◾কিভাবে অনুকূল পরিবেশে দিক নির্ণয়ের জন্য কম্পাস তৈরি করতে হয়
কম্পাস বা দিক নির্দেশক যন্ত্র ছাড়া উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম দিক নির্ধারণ করা সম্ভব। এর জন্য প্রাচীনকালের একটি সহজ পদ্ধতি হলো ছায়া ব্যবহার করে দিক নির্ধারণ করা। নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো কীভাবে সহজে একটি কম্পাস তৈরি করা যায়:
◾প্রয়োজনীয় উপকরণ:
একটি প্রায় 90 সেন্টিমিটার দীর্ঘ লাঠি
দুইটি ছোট পাথর বা অন্য কোনো চিহ্ন রাখার বস্তু
একটি খোলা জায়গা যেখানে সূর্যের আলো আসে
◾ধাপসমূহ:
১. লাঠি স্থাপন:
একটি প্রায় 90 সেন্টিমিটার দীর্ঘ লাঠি খোলা জায়গায় মাটিতে স্থাপন করুন। এমন জায়গা বেছে নিন যেখানে সূর্যের আলো পরিষ্কারভাবে পড়ে। লাঠিটি সোজা এবং স্থিরভাবে মাটিতে বসান যাতে এটি একটি ছায়া তৈরি করতে পারে।
২. প্রথম ছায়া চিহ্নিত করুন:
লাঠির ছায়া যেখানে পড়ে, সেখানে একটি ছোট পাথর রাখুন। এটি হবে প্রথম ছায়া চিহ্ন। এই ছায়া সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে দিনভরের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হবে।
৩. সময় অপেক্ষা:
দশ থেকে পনের মিনিট অপেক্ষা করুন। এই সময়ের মধ্যে সূর্য আকাশে কিছুটা সরবে, ফলে লাঠির ছায়াও সরতে থাকবে।
৪. দ্বিতীয় ছায়া চিহ্নিত করুন:
কিছুক্ষণ পর আবার লাঠির ছায়ার ডগার দিকে লক্ষ্য করুন এবং যেখানে এটি নতুন করে পড়ছে সেখানে দ্বিতীয় পাথরটি রাখুন। এটি হবে দ্বিতীয় ছায়া চিহ্ন।
. ৫. লাইন আঁকুন:
প্রথম পাথর এবং দ্বিতীয় পাথরের মধ্যে একটি সরল রেখা আঁকুন। এই রেখাটি হবে পূর্ব-পশ্চিম দিক নির্দেশক লাইন।
৬. দিক নির্ধারণ:
এখন আপনার বাম পা প্রথম পাথরের উপর এবং ডান পা দ্বিতীয় পাথরের উপর রাখুন। এভাবে দাঁড়ালে আপনি উত্তর দিকে মুখোমুখি হবেন।
◾দিক নির্ধারণের ব্যাখ্যা:
পৃথিবীর যেকোনো স্থানে প্রথম ছায়ার চিহ্ন সবসময় পশ্চিম দিকে পড়ে, এবং দ্বিতীয়টি পূর্ব দিকে।
এই পদ্ধতি সূর্যের গতিপথের ভিত্তিতে কাজ করে, যেহেতু সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠে পশ্চিমে অস্ত যায়।
এই পদ্ধতি বহু প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যখন মানুষ প্রাকৃতিক উপায়ে দিক নির্ধারণ করত। . এটি একটি সহজ, কার্যকরী এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যা এখনো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যায়, বিশেষ করে কম্পাস না থাকলে বা প্রযুক্তির ব্যবহার সম্ভব না হলে।
Copy
No comments:
Post a Comment