পৃথিবীতে সবচেয়ে বিভৎস রকমের ক্ষত-বিক্ষত করা বাক্য হলো, ভালো থেকো!, প্রিয় মানুষ গুলো জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়ার সময়, বলে যাওয়া ভালো থেকো শব্দ দু'টি, হাতুড় দিয়ে পাথর কুচি করার মতো কলিজা থেতলে দিতে যায়।
এই শহরে কোটি কোটি প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা এই ভালো থেকো বাক্যের সাথে প্রতিদিন পরিচিত হচ্ছে । বাড়ছে আ.ত্ম.হ.ত্যা নামক খু.নে.র তালিকা। এই ভালো থেকো বাক্যের ভিতরে লুকিয়ে আছে সিলিংফ্যানের রশি কিংবা বিষ জাতীয় মরণের উপকরণ।
সারাজীবন এক সাথে সুখে দুঃখে থাকবে বলে সে মানুষটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। একদিন হঠাৎ করেই বিনা নোটিশে সেই প্রিয় মানুষটি সম্পর্ক বিচ্ছেদ ঘটিয়ে, বিদায় নেয়ার সময় বলে যাবে "ভালো থেকো!
যে বন্ধুটি মন খারাপ করে থাকলে নিজেকে অসহায় মনে হতো! যে বন্ধকে ছাড়া নিয়মে অনিয়মে খাবার খাওয়া হতো না, সামান্য কারণ বসত কিংবা ভুল বুঝাবুঝির জন্য সেই বন্ধু দূরে চলে যাওয়ার সময়, সেও বলে যায়, ভালো থাকিস!
জীবনের সাথে জড়িত এমন অসংখ্যা প্রিয় মানুষের তালিকা থাকে আমাদের। এই মানুষ গুলো যখন দূরে চলে যায় তখন সবাই চায় যেন ভালো থাকি। কিন্তু তারা এটা বুঝে না যে, ভালো থাকার জন্য তাদেরকে পাশে প্রয়োজন ছিল।
জীবনের এই "ভালো থেকো"সমীকরণ নিয়ে যাত্রা পথে রাতের শেষে ভোর হয়। রঙিন জীবন হয় সাদাকালো,শুধু ভালো থাকাটাই বাকি রয়ে যায় শেষ নববর্ষের হালখাতায় ।
ভালো থেকো" বাক্যটি যত্নের হলেও বিভৎস যন্ত্রণার।যা অতি সহজেই বলা গেলেও যে, ভালো থেকো" কিন্তু বিপরীত মানুষটির ভালো থাকাটা অতো সহজে থাকা হয়ে উঠে না।
মানুষকে জীবিত দেখা গেলেও, জীবিত থেকেও জীবনের কাছে লা.শ হয়ে থাকে। যে লা.শের পচন থাকলেও গন্ধ নেই।তাই ভালো থেকো" শব্দটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হ.ত্যা.র নাম। ভালো থেকো মানে আমি তোমাকে হ.ত্যা করে গেলাম।
লেখা- মোঃ মেহেদী হাসান
No comments:
Post a Comment