ইগো এবং সেলফ রেসপেক্টের মাঝে পার্থক্য আছে। দুটি আলাদা বিষয়। আমরা দুটিকে এক মনে করি।
আমারা নিজের পারসোনালিটি দেখাতে গিয়ে সবচেয়ে কাছের মানুষটার সাথে ইগো দেখিয়ে বসে থাকি। তখন আমরা ভাবি আমরা খুব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ।
তোমার পারসোনালিটি, অহম, ক্ষমতা, দাপট থাকুক পুরো পৃথিবীর কাছে। অন্তত ঐ একটা মানুষের কাছে তার মতো হও। সহজ এবং সাধারণভাবে তার সাথে মিশো।
খুব কাছের মানুষ হয়েও তোমার সাথে কথা বলতে গেলে যদি তার ম্যাচিউরিটি দেখানো লাগে, যদি তার খুব ভেবে চিন্তে কথা বলতে হয় তাহলে আর তুমি তার কাছের মানুষ হতে পারলে কই! এগুলো তো আমরা দূরের মানুষের সাথে করি। যারা আমাদের অচেনা। তুমি তাহলে ঐ দূরের মানুষ হয়েই রয়ে গেলে। তুমি আর কাছের মানুষ হতে পারলে না।
আপন কিংবা কাছের মানুষের সাথে এতো বেশি ইগো বা পারসোনালিটি দেখানোর প্রয়োজন নেই। তুমি তার সাথে একেবারে সাধারণ একজন হয়েই মিশো। তাকে বাচ্চাদের মতো ট্রিট করো। তার হুটহাট পাগলামো আর আবদারগুলো হাসি মুখে পূরণ করতে চেষ্টা করো। তুমি বরং তাকে তার মতো আগলে রাখো, তুমি বরং তার একটুখানি স্বস্তি হও। বিধ্বস্ত পৃথিবীতে একটুকরো নিজস্ব আকাশ হও। হাজারো ঝামেলা আর জঞ্জালে ভরা জীবনে একটুখানি মানসিক প্রশান্তি হও। এতে তোমার ব্যক্তিত্ব একটুও কমবে না। তুমি বরং সেই মানুষটার কাছে সারাজীবন সবচেয়ে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটা হয়েই থাকবে।🌺❤️
No comments:
Post a Comment