Thursday, November 28, 2024

একটা মানুষের প্রতি অনুভূতি জন্মাতে যেমন সময় লাগে

 __"কারো প্রতি একবার অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেলে, মানুষ আর তখন ভালোবাসা, মায়া, টান এসব আর দেখে না। একটা মানুষের প্রতি অনুভূতি জন্মাতে যেমন সময় লাগে, ঠিক তেমনি সেই মানুষটার অবহেলা, ব্যবহার এবং আচরণে অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায়!


প্রচন্ড ভালোবাসা পাওয়ার পরেও যারা অবহেলা করে, যাদের স্বভাবে মিথ্যা এবং লুকোচুরি লুকিয়ে থাকে, তাদের প্রতি অনুভূতি কখনোই একইরকম থাকে না।


অনুভূতি এমন এক জিনিস, যেটার যত্ন না নিলে নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ তার মন এবং অনুভূতির ব্যাপারে একদমই চাপ নিতে পারে না। মানুষ যেখানে যত্ন পায়, সম্মান এবং গুরুত্ব পায়, ভালোবাসা এবং আদর পায়, সেখানেই নিজেকে রাখতে চায়।


আর যেখানে নিজের আত্মত্যাগ এবং ভালোবাসার বিনিময়ে শুধুই অবহেলা পায়, অসম্মান পায়, সেখানে একটা সময় পর গিয়ে থেকে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে! সম্পর্ক যখন অসম্মানের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যখন মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, মানুষ তখন আর ভালোবাসা, মায়া, টান, এসব আর দেখে না–সম্পর্ক থেকে মুক্তি চায়।


কারো প্রতি অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেলে, সেই মানুষটার জন্য আর কোনো অনুভূতিই কাজ করে না। যার প্রতি একবার অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায়, তার সাথে থাকতে গেলেই মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়!

কতদিন চলে গেল

 কতদিন চলে গেল

কত সময় ফুরাল ।

জীবনের সব চাওয়ার মাঝে

প্রথম চাওয়া ছিলে তুমি ,

সেই তোমাকেই পাওয়া হল না । 

অসময়ে নীল আকাশে যে ঝড় ওঠে

তেমনি ঝড় বয়ে যায় আমার অন্তরে ।

কখনও কি খবর রেখেছ ?

কেনো জীবনে এলে , কেনো ভালবাসলে

আজও ভাবী একান্তে । 

জীবনে সব সুখ আলো নিয়ে আসে না 

কিছু সুখ আঁধারেই রয়ে যায় ।

আলো আঁধারের জীবনে

চাওয়া পাওয়ার শূন্যতা থেকে যায় ,

কোনদিনও সেই শূন্যতা পূরণ হয় না ।

তোমারে নিজের কইরা পাবার জন্য যতটুকু ভাগ্য দরকার হয়


 বুঝলা প্রিও

 তোমারে নিজের কইরা পাবার জন্য যতটুকু ভাগ্য দরকার হয়। সেটুকু ভাগ্য নিয়া এই পৃথিবীতে আমার জন্ম হয় নাই । তবে তোমাকে ভালোবাসার জন্য যত বড় মন আর আবেগের প্রয়োজন হয়, তার থেকে হাজার বড় গুণ মন এবং আবেগ নিয়ে জন্ম হয়েছে আমার এই পৃথিবীতে।

 বিশ্বাস করো প্রিয় ,মনের গহীন কোণ থেকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে ছিলাম তোমায়। এই ভালোবাসা নিয়ে সারাটা জীবন আগলে রাখতে চেয়েছিলাম তোমায়।

কিন্তু তুমি আমার ভালোবাসার মূল্য দিলা না..?


হয়তো সবকিছুই আমার ভাগ্য নেই তাইতো তোমাকে পাওয়া হইলো না।💔🥀

জীবনে মানসিক শান্তিটাই আসল


 __"জীবনে মানসিক শান্তিটাই আসল। বাকি সব কিছু মিথ্যা। আপনার কাছে সবকিছু আছে শুধু মানসিক শান্তি নাই। আমার মতে আপনার কাছে কিচ্ছু নাই, নাথিং। দুনিয়াদারি একদিকে আর নিজের মানসিক শান্তি আরেকদিকে। নিজের মনের শান্তিটাকে খুঁজুন। বিশ্বাস করুন, মনের শান্তির উপরে কিচ্ছু নাই। কিচ্ছু না। মন শান্তি তো সব শান্তি। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে আমরা সেই মনের শান্তি বা মানসিক শান্তি টাই হারিয়ে ফেলি।  প্রত্যেক টা মানুষের জীবনেই কিছু শব্দহীন ব্যাথা থাকে।  যার সাক্ষী সে নিজেই আর কেউ না।  আর হয়তো এই জন্যই আমরা দিনের আলোতে সবার কাছে অভিনয় না করেও নিক্ষুত একটা অভিনেত্রী বা অভিনেতা হয়ে যায়।  আর যখন রাত নামে তখন নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধ, বোঝাপড়া,, দীর্ঘশ্বাস,,  চোখে জল নিয়ে রাত পার করতে হয়...😥

কারো মায়ায় জড়ানো'টা খুব সহজ কিন্তু তাকে ভুলে যাওয়া'টা মৃত্যুর থেকেও কঠিন


 _"কারো মায়ায় জড়ানো'টা খুব সহজ কিন্তু তাকে ভুলে  যাওয়া'টা মৃত্যুর থেকেও কঠিন !!

_"ইচ্ছে নেই আর কারো প্রতি মায়া বাড়ানোর থাকুক না যে যার মতো আমায় ছেড়ে ভালো !!

_"পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুইটা ভুল হচ্ছে প্রথমত কারো সাথে রাত জাগার অভ্যাস করে ফেলা 

দ্বিতীয়ত নিজে সুন্দর না হয়েও কাউকে অতিরিক্ত ভালোবেসে ফেলা !!

_"পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় হলো সেই মানুষ যে নিজের রাগ অভিমান কষ্ট কাউকে দেখাতে পারে না চিৎ কার করে কান্না করতে পারে না শুধু চোখের জল লুকিয়ে হাসে !!

_"হাসি দিয়ে হয় তো সবকিছু প্রকাশ করা যায় না কিন্তু অনেক কিছু আড়াল করা যায় !!

__যদি কমে যায় কথা বার্তা আর গল্প তবে বুঝে নিও সে ঠিকই পেয়েছে তেমার বিকল্প !!

_"অতিরিক্ত সরল হতে যেওনা এই স্বার্থপর সমাজ তোমাকে ঠকিয়ে দিবে !!

_"অল্পতে যার চোখে পানি আসে সবাই তাকেই কাঁদাতে ভালোবাসে !!

_"কাঁদতে নয় হাসতে শিখো কারণ মানুষ তোমাকে কাঁদতে সাহায্য করবে হাসতে নয় !!

_"মানুষের জীবন থেকেই গল্প সাজানো হয় কিন্তু গল্পের মতো করে কখনো সাজানো হয় না !!

_"সব কথার জবাব দিতে নেই কিছু কথা সময়ের জন্য রেখে দিতে হয় !!

_"এই পৃথিবীতে সেই বেশি ধোকা খায় যে নিঃসন্দেহে মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে।

ধন্যবাদ সেই মানুষ টাকে যে আমাকে নতুন করে চোখ খুলে দিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছে সবাই কথা রাখে না সবার মাঝে মনুষ্যত্ব বোধ থাকে না।

এই পৃথিবী দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু তার বাস্তবতা অকল্পনীয় কঠিন !!

_"দুরত্ব বাড়িয়েছো ভালো থাকবে বলে জানো আমার না খুবই জানবার মনে ধরে যেখানে থাকো সেখানে কি আসলেই ভালো থাকা মেলে !!

_"মৃত্যু শব্দটা কারো কাছে খুব ভয়ংকর আবার কারো কাছে মুক্তির উপায় !!

_"তোমাকে যতটুকু ভালেবেসেছি ততটুকু নিজেকে কখনো ভালোবাসিনি !!

_"তুমি মিথ্যা বলছো বলে আমার কষ্ট হচ্ছে না

আমার কষ্ট হচ্ছে এ কারণে যে এখন থেকে আমি আর তোমাকে বিশ্বাস করতে পারবো না !!

_"কিছু মানুষ এতটাই গভীরে ছুঁয়ে যায় যে মানুষটা ঠকিয়ে চলে যাবার পরও আমরা তার কাছেই ফিরতে চাই আবার ঠকার জন্য !!

_"ভালোবাসা কি তাকেই জিজ্ঞাসা করো যার রিদয় টা ভেঙে যাওয়ার পর ও দিনের পর দিন সেই নির্দিষ্ট মানুষটার জন্যই অপেক্ষা করে !!

_"চাওয়ার অধিকার সবার আছে কিন্ত পাওয়ার ভাগ্যটা সবার থাকে না !! 

_"ভালোবাসা তখনই সুন্দর যখন দুজন দুজন কে মূল্য দিতে জানবে !!

_"অনুরোধ করে কাউকে ধরে রাখা যায় না যে ভালোবাসে সে কখনো ছেড়ে যায় না !! 

❤️সংগৃহীত ও পরিমার্জিত ❤️

Wednesday, November 27, 2024

ভালোবাসায় কখনো শরীর আসে না


 “ভালোবাসায় কখনো শরীর আসে না" এটা যারা বলেন,তাদের ধারণায় কিঞ্চিত ভুল আছে বৈকি!


মানুষের শারীরিক চাহিদা আর মানসিক চাহিদা দু'টোই খুব সেনসেটিভ ইস্যু! মানুষের এ দুটো চাহিদা পূরণ হলে,মানুষের আর তেমন কিছু লাগে না।মানসিক প্রশান্তি লাভে অবশ্যই এ দু'টো চাহিদার পূরণ অনিবার্য।


এখন আপনি যাকে মন থেকে ভালোবাসেন,সে যদি আপনার মনকে ভালোবাসে;তবে তাকে কি কখনো শারীরিক চাহিদায় টানবে না?এখন তার যদি শারীরিক চাহিদার টান থাকে,তবে আপনি কি চাইবেন সে অন্য কারো কাছে যাক?নিশ্চয়ই না।


পক্ষান্তরে আপনাকে যে মন থেকে ভালোবাসে,সেও চাইবে না আপনি তাকে ছাড়া অন্য কারো কাছে যান।


একটা মানুষকে ভালোবাসি মানে,তার সবটা আমার চাই।মন হোক কিংবা শরীর,তার সবকিছু শুধু আমার।


তবে ব্যপারটা হচ্ছে;

সম্পর্ক কেবলই শরীর কেন্দ্রিক হতে পারে না কখনোই।আগে মানসিক দিকটা পূরণ হলেই শারীরিক দিকটা এমনিতেই চলে আসে।


তবে যারা বলেনঃ

ভালোবাসায় কোনো শরীরের স্থান নেই। তারা দয়া করে ভালোবাসার মানুষটাকে একটু স্বাধীনতা দিন না,যাতে শরীরের টানে সে অন্য কারো কাছে যেতে পারে।


ভয় নেই...সে তো আপনাকে মন থেকেই ভালোবাসে,শরীরের ভালোবাসার তো আপনার কোনো প্রয়োজনই নেই।সে মন আপনাকে দিলে,শরীর অন্য কাউকে দিলে দোষ কোথায়? মানুষ হিসাবে তো তার শারীরিক চাহিদাকে সে বিসর্জন দিতে পারে না!


যারা বলেনঃ

"ভালোবাসায় কোনো শরীরের স্থান নেই" আমি বলবো; বিয়ের আগে কিংবা পরে আপনার ভালোবাসারও কোনো প্রয়োজন নেই।শরীর কেন্দ্রিক ভালোবাসা পাপ হলে,বিয়ের আগে কিংবা পরে ভালোবাসাটা আরও জঘন্যতম  পাপ!"শরীর চাওয়া পাপ"এই একটা পাপ সামনে এনে,বিশাল পাপটি আপনি এড়িয়ে যান কি করে?

ভালোবাসার থেকেও কঠিন জিনিস কি জানো?


 ভালোবাসার থেকেও কঠিন জিনিস কি জানো?

" মায়া " ভালোবাসা চলে গেলে মানুষ বিশ বছরের সংসার ফেলেও চলে যেতে পারে। আবার সেই মানুষ'ই যদি মায়া'য় আটকে যায় তাহলে দুই মাসের "মায়া' য় পড়ে সারা জীবন থেকে যায়। ভালোবাসার শেষ আছে কিন্তু "মায়া চিরন্তন এর কোন শেষ নেই !


শোনো প্রিয়" তোমারে একখানা কথা কই , তুমি শুধু আমার ভালোবাসায় নও তুমি হচ্ছ আমার "মায়া " যার কোন শেষ নেই! ভালোবাসা ভুলে থাকা গেলেও মায়া  কখনো ভুলে থাকা যায় না ।


তুমি হচ্ছো আমার "মায়া ” যা আমি কখনোই ভুল থাকতে পারবো না।🩷🌼🖇️


_সংগ্রহীত

তুমি একটু আসবে, তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে!


 তুমি একটু আসবে, তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে!

তুমি এলে আমার সিঁথানের পাশে বসতে দিবো,

আমার শরীরে মারাত্মক জ্বর, মনের কথা নাইবা বলি!

জ্বরের তিব্রতায় যখন মহাবিশ্ব ভুলে যাই, কেবল তুমিই স্বরণে থাকো!

সম্ভবত তোমাকে এতটুকুই ভালোবাসতে পেরেছি!


আমার নিয়তির সঙ্গে আগেও দেখা হয়েছে, এমন ভাগ্য নিয়ে তোমাকে চাওয়া অহেতুক!

এ কথা আমি জানলেও, মন কে কোন যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারি না!

পৃথিবীর ইতিহাসে শেষ ছাতক পাখির মত, তোমার অপেক্ষার পথ চেয়ে আছি!


জীবনের এমন পর্যায়ে তুমি আমাকে ছেড়ে গেছো, অনেকগুলো ট্রাজেডি মোকাবিলা শেষ করে উঠেছি মাত্র!

পুরো জীবন ব্যথায় জর্জরিত!

পুরুষের জীবন পেয়েছি, তবুও আমাকে অফিস করতে হয়!

লোকের সঙ্গে হাসতে হয়, ঠান্ডা মেজাজে বুঝাতে হয়!


মায়ের সঙ্গে এতটা মিথ্যুক হইনি আগে কখনো, কেমন আছি প্রশ্নে বলি, ভালো আছি!

অথচ মা জানে না সমস্ত ভালো থাকা নিয়ে, তুমি হারিয়েছো!

মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয় তোমার উদ্দেশ্যে সুসংবাদ রাখি, আমি কিছুদিন হয় সিগারেট ছেড়েছি!


তুমি ফিরে এলেই মায়ের সঙ্গে সত্য বলবো, নিয়তিও ইয়ার্কি থামিয়ে ভদ্রলোকের ব্যবহার করবে!

তুমি ফিরে এলেই, রিটায়ার্ড নিবো অপেক্ষাকৃত ছাতকের চোখ থেকে!

শরীরের জ্বর নিয়ে মাথা ব্যথা নেই, মনের জ্বর কমবে তুমি এলে।

আচ্ছা প্রিয় ধরো!


 আচ্ছা প্রিয় ধরো!


তুমি আমাকে রোজ অবহেলা করো দিগুন কষ্ট দিয়ে দূরে ঠেলে দেও । আর আমি সব শেষে তবুও বেহায়ার মতো ফিরে আসি। 

কিন্তু একদিন আর ফিরলাম না" 

তবে তুমি আমাকে Miss করতাছো, আমার Sms এর অপেক্ষা করতে করতে রাতে ঘুমিয়ে গেছো "

সকাল ৯ টার সময় ঘুম ভেঙ্গে ফোন হাতে নিয়ে দেখো তবুও আমি online আসি নাই। পরে নিজেই আমার বাসায় Call দিয়ে জানতে পারো যে, আমি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন হয়ে গেছে "!


এমন একটা সংবাদ শুনে তোমার কেমন লাগবে

প্ৰিয়..?!🙂

Tuesday, November 26, 2024

ইগো এবং সেলফ রেসপেক্টের মাঝে পার্থক্য আছে।


 ইগো এবং সেলফ রেসপেক্টের মাঝে পার্থক্য আছে। দুটি আলাদা বিষয়। আমরা দুটিকে এক মনে করি।


আমারা নিজের পারসোনালিটি দেখাতে গিয়ে সবচেয়ে কাছের মানুষটার সাথে ইগো দেখিয়ে বসে থাকি। তখন আমরা ভাবি আমরা খুব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। 


তোমার পারসোনালিটি, অহম, ক্ষমতা, দাপট থাকুক পুরো পৃথিবীর কাছে। অন্তত ঐ একটা মানুষের কাছে তার মতো হও। সহজ এবং সাধারণভাবে তার সাথে মিশো। 


খুব কাছের মানুষ হয়েও তোমার সাথে কথা বলতে গেলে যদি তার ম্যাচিউরিটি দেখানো লাগে, যদি তার খুব ভেবে চিন্তে কথা বলতে হয় তাহলে আর তুমি তার কাছের মানুষ হতে পারলে কই! এগুলো তো আমরা দূরের মানুষের সাথে করি। যারা আমাদের অচেনা। তুমি তাহলে ঐ দূরের মানুষ হয়েই রয়ে গেলে। তুমি আর কাছের মানুষ হতে পারলে না।


আপন কিংবা কাছের মানুষের সাথে এতো বেশি ইগো বা পারসোনালিটি দেখানোর প্রয়োজন নেই। তুমি তার সাথে একেবারে সাধারণ একজন হয়েই মিশো। তাকে বাচ্চাদের মতো ট্রিট করো। তার হুটহাট পাগলামো আর আবদারগুলো হাসি মুখে পূরণ করতে চেষ্টা করো। তুমি বরং তাকে তার মতো আগলে রাখো, তুমি বরং তার একটুখানি স্বস্তি হও। বিধ্বস্ত পৃথিবীতে একটুকরো নিজস্ব আকাশ হও। হাজারো ঝামেলা আর জঞ্জালে ভরা জীবনে একটুখানি মানসিক প্রশান্তি হও। এতে তোমার ব্যক্তিত্ব একটুও কমবে না। তুমি বরং সেই মানুষটার কাছে সারাজীবন সবচেয়ে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটা হয়েই থাকবে।🌺❤️

Monday, November 25, 2024

ভালোবাসার মানুষ ছাড়াও মানুষ বাঁচে,শুধু মন বাঁচেনা


 !! ভালোবাসার মানুষ ছাড়াও মানুষ বাঁচে,শুধু মন বাঁচেনা !!


মানুষ তার ঘর ছাড়ে,সংসার ছাড়ে,পাড়া,প্রতিবেশী,সমাজ,শহর,দেশ,সব ছাড়ে,কিন্তু ভালোবাসার মানুষের প্রতি মায়া ছাড়তে পারে না।


ভালোবাসার মানুষ কষ্ট দিলে, সেই কষ্টও কিছু দিন পর ভুলা যায়,কিন্তু মানুষটাকে ভুলা যায় না। ভালোবাসার মানুষ ছাড়াও মানুষ বাঁচে,শুধু মন বাঁচেনা। জরুরী বিভাগের শেষ নিশ্বাসের আগেও মন বলে, যদি যাওয়ার আগে একটাবার ওই মুখটা কাছে থেকে দেখতে পারতাম!

.

.


মেন্টালি স্ট্রং হতে চাইলে অযাচিত আগ্রহ কমিয়ে দিন


 মেন্টালি স্ট্রং হতে চাইলে অযাচিত আগ্রহ কমিয়ে দিন।মেপে চলুন। কেউ যদি বলে 'বেশি কথা বলে', তবে তার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিন।যখন বুঝবেন আপনার সব অভিযোগ আপনার বিপরীতেই যাবে, আপনার কথা অন্যের কাছে কেবলমাত্র শব্দ দূষণ তখন শুধু শুনুন।বলতে চাইবেন না।

কথা বলতে চাওয়া ,দেখা করতে চাওয়ার যে তেষ্টা; তা একবার পার করে ফেললেই জীবনটা অনেক অন্যরকম হয়ে যায়। ভয়ঙ্কর কথা বলার ইচ্ছেরা গলাকে আঁকড়ে ধরে না।

একসাথে পথ চলার ইচ্ছের দায় যে আপনার একার নয় এটা বুঝে গেলেই ঘ্যানঘেনে ভাবটা চলে যাবে।

 "তাকে ভালোবাসি কিন্ত একসাথে যাপন চাই না" কারো প্রতি এইরকমভাবে আগ্রহ চলে যাবার মতো কঠিন আর কিছু নেই। আগ্রহ চলে গেলেই, "হলেই হলো" এমন একটা ভাব নিয়ে দিব্য ঘুরে বেড়ানো যায়। কে কি বলল, কে কি ভাবলো এগুলো নিয়ে বিরাট রকমের মাথাব্যথা আর হয় না। মনে হয়, যে যেটা জানে জানুক। সমস্যা নেই। কেউ আমার লাইফটা লিড করছে না। 

অন্যের কাছে গুড ভাইভস্ বজায় রাখার জন্য মানুষ অনেক কিছু হারিয়ে ফেলে। এমনকি গুড ভাইভস্ বজায় রাখতে রাখতে অনেকে মাঝবয়সে এসে জীবন অবধি হারিয়ে ফেলে।

আর যারা জীবন হারায়নি, তারা নিজেকে গুছিয়ে নেবার অদম্য প্রয়াস করতে করতে হাঁপিয়ে গিয়েও হাল ছাড়েনা। 

নিজের মধ্যে প্রচন্ড পজিটিভিটি আনতে আনতে একটা সময় টের পাবেন আপনার চারপাশটা নেগেটিভিটিতে ভরে গেছে। পজেটিভ মানুষ যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই তার স্ট্রাগেল বেশি।

"অনুভূতি দিয়ে কিছু হয় না। মনের ভাব প্রকাশের জন্য শব্দ প্রয়োজন, বাক্য প্রয়োজন।" ছোটোবেলার পড়া এই সহজ ব্যাকরণ টা এইবারে আয়ত্ব করে নিন। ঝগড়াঝাটির স্কিলটা নিজে থেকেই কমিয়ে দিন। শব্দ-বাক্যের ঘনঘটা কমে আসলে মন খারাপগুলো থিঁতিয়ে যায়।

নিজের কাছে পরাজিত হয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে পারলে দেখবেন এই উঠে দাঁড়ানোটা ভয়ঙ্কর শক্ত ।  এর মধ্যে ছিঁটেফোঁটা বাড়তি ইমোশন থাকবে না।

যেখানে আপনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না সেখান থেকে চুপচাপ সরে আসুন। ঈগলের মতো সাহস করে সম্পর্কের সুতো গুলো এক এক করে নিজেই ছিঁড়ে ফেলুন। কোনো মেকি বাঁধন রাখবেন না। যে কাজটা করতে যাচ্ছেন তাতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবেন জেনেও করুন একটা সুন্দর ভবিষ্যতের দায়ে। নিজের শান্তি বজায় রাখার জন্য একপ্রকার মরিয়া হয়ে উঠুন।

আপনি যখন কারও প্রেমে পরবেন তখন খেয়াল করে দেখবেন


 আপনি যখন কারও প্রেমে পরবেন তখন খেয়াল করে দেখবেন, আপনার শুধু মাত্র মানুষটা কে ভালো লাগছে। হয়তো মানুষটার চোখ আপনার ভালো লাগছে, তার চুল ভালো লাগছে, হয়তো তার ঠোঁটের ভাঁজ আপনাকে অতীতের কারো মুখের আদলের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে যে এক ঝুম বৃষ্টির সন্ধ্যায় আপনার হাতের মুঠো ছেড়ে একা ফেলে চলে গিয়েছিলো। প্রেম জিনিসটা মূলত একমুখী। একটা নিদৃষ্ট জিনিসের প্রতি আকর্ষন। মানুষটার একটা বিশেষ অংশের প্রতি মোহ। সেটা হাসি থেকে কাশি যে কোন কিছুই হতে পারে।


ভালোবাসা ব্যাপারটা সম্পুর্ণ আলাদা। ভালোবাসা বহুমুখি। 'ভালোবাসি' শব্দটার ব্যাপকতা বিশাল। কেউ যখন কাউকে ভালোবাসে, তখন সে অবশ্যই মানুষটা সহ তার চারপাশের সব কিছুর প্রেমে পরবে। মানুষটার সাদা শার্ট থেকে শুরু করে তার বাড়ির পাশের ডোবায় অযত্নে বেড়ে ওঠা কলমি শাঁকের লতার দিকেও সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখবে। দড়িতে ঝোলানো সদ্য শুকোতে দেয়া তার সবুজ শাড়ি থেকে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার কোনে আঁটকে রাখা কালো ছোট্ট টিপের খেয়াল সে রাখবে। কেউ যখন কাউকে ভালোবাসবে তখন সে আসলে উলটো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটার পুরো জগতটাকেই ভালোবাসবে। সে জগতে মানুষটার পরিবার থেকে শুরু করে, বন্ধু, কলিগ অল্প অথবা স্বল্প পরিচিত সবাই থাকে। কেউ যখন কাউকে ভালোবাসবে, সে তার সমস্ত অস্তিত দিয়ে ভালোবাসার মানুষটাকে রক্ষা করার চেষ্টার সাথে সাথে তার পরিবার কেও আগলে রাখবে। কেউ যখন কাউকে ভালোবাসবে, সে কোন ভাবেই তার ভালোবাসার মানুষকে কারোও কাছে কখনো ছোট হতে দেবে না। 


প্রেম এক সময় কেটে যায়। ভালোবাসা উলটো। এটা নিয়ম করে বাড়ে। প্রেমে পরলে মানুষ এক সময় উঠে দাঁড়ায়। ভালোবাসা চোরাবালি। প্রতিদিন আর একটু করে তলিয়ে দেয়।


কাউকে চাইলেই দুম করে বলে দেয়া যায়... "তোমার প্রেমে পরেছি"। ভালোবাসা অন্য জিনিস। ভালোবাসি বলতে গিয়ে গলা শুকিয়ে যায়, জিভ জড়িয়ে যায়। একশ নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেয়ার পরেও তাকে জানাতে না পারার অসহায়ত্বের নামই 'ভালোবাসা'।


মানুষ প্রেমে পরে হাজারবার। ভালোবাসা সীমিত। প্রেমে মিশে থাকে 'ইগো', ভালোবাসায় 'স্যাক্রিফাইস'।


প্রেমে পরে আজ পর্যন্ত কাউকে জীবন হারাতে হয়নি। ভালোবেসে মানুষ এক জীবনই মরে যায় অসংখ্যবার।

Sunday, November 24, 2024

এক পুরুষের স্পর্শ পেলে অন্য পুরুষকে ভুলে যাওয়া নারীর ধর্ম


 এক পুরুষের স্পর্শ পেলে অন্য পুরুষকে ভুলে যাওয়া নারীর ধর্ম! নারী প্রথম পুরুষের স্পর্শ ভুলে না। আমার ঠোঁটের কলঙ্ক তোমার ঠোঁটে রেখে দিলে, তুমি আর ঘূনাক্ষরেও আমার হবেনা। গত শীতেই চোখ রাঙিয়ে তুমি অন্যের হয়ে গেছো। শীতের চাদর বদলানোর মতো যাদের প্রেমিক বদলানোর স্বভাব, তাদের লায়লী মজনুর প্রেম কাহিনী শুনিয়ে লাভ নেই। নষ্টামি মনের মধ্যে থাকলে বোরকা পড়েও নষ্টামি করবেই। নষ্টা রা কান্না বুঝে না, আবেগ তাদের কাছে পানির মতো সস্তা ।


আবেগ দিয়ে দুই চার লাইন কবিতা হলেও সংসার হয় না। তুমি আমার প্রেমিকা বলার আগে তুমি আমার বন্ধু বলতে শিখো। যার সাথে সম্পর্কে আছো তাকে বুঝাও,

-পৃথিবীতে নিয়তি নামে একটা খেলা আছে। নিয়তি যদি তোমাকে আমাকে এক না করে, বন্ধুত্ব বাঁচিয়ে রেখো।

'তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না', কখনো বলো না। তাকে শেখাও, বুঝাও, নিয়তি না চাইলে তোমাকে আমাকে একাই থাকতে হবে। অন্যের খাঁচায় বন্দি হয়ে হলেও তুমি সুখে থাকবে। তুমি সুখে থাকলে আমার মুখে হাসি থাকবে। আমার মনে শান্তি থাকবে ।


কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ভেঙে গেলে দেখবেন, ভিঁটেমাটি থাকে। সেই ভিঁটেমাটি আঁকড়ে ধরে আবার নতুন করে ঘর সাজিয়ে নিন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে একই, বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও সম্মান হারাতে দিয়েন না। সম্মান টুকু আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকুন।মানুষ মরে গেলেও ভালোবাসা মরে না ।


কখনোই কারো উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হবেন না। প্রিয় একটা সময় প্রিয় থাকে না। বৃষ্টিতে একাই ভিজতে হবে

সবসময় কেউ একজন মাথার উপর ছাতা ধরবে না  ।

জ্বর চুমু তে সেরে উঠেনা, এন্টিবায়োটিক লাগে প্রিয়।


- কাজল পারভেজ

প্রত্যেকের জীবনেই কম বেশি এমন কিছু ঘটে যার উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়


 প্রত্যেকের জীবনেই কম বেশি এমন কিছু ঘটে যার উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না, আমরা কেউ বুঝতে পারিনা এর কারণ...অথচ অজানা এক কারণে হতাশায় ভুগি... কাউকে বলতেও পারি না, কোনো প্রমাণ তো নেই শুধু অনুভুতি দিয়ে কারোকে দো*ষী সাব্যস্ত করা যায় না কি!??


এই ধরুন,যাদের সাথে নিত্যদিন ওঠা বসা করছি বা যাতায়াতের পথে দেখা হচ্ছে, বা ফেসবুক ফ্রেন্ড শুধু মাত্র কেউ ইশারায় বোঝাতে চাইছে সে আপনাকে পছন্দ করে, অনুভব করতে পারেন তার আচার ব্যবহার থেকে, আপনার প্রতি এক দূর্বলতার আভাস পান কিন্তু আশ্চার্যজনকভাবে কোনো কমিটমেন্ট বা প্রোপোজাল আসেনা, দীর্ঘদিন শুধু লুকোচুরি খেলাই চলতে থাকে...তারপর হঠাৎ করেই একদিন দেখবেন অন্য কারো সাথে ঠিক একই ভাবে এই খেলা চলছে.....আসলে এটা একধরণের mind game ভালোবাসা না। আপনার অনুভুতি নিয়ে খেলাটা সে শুধুমাত্র enjoy করে....

খোঁজ নিয়ে দেখবেন এরকম অনেকের মুখেই ওই একটা মানুষকে নিয়ে শুনবেন কিন্তু সব তো mind game প্রমাণ কোথায়????? চাইলেও তার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবেন না.....


হ্যাঁ, কিছু মানুষ আছে যাদের এরকম মানসিকতা কাজ করে, সে চাইলেই অনেক জন কে ঘোরাতে পারে, কিন্তু ওই যে দো*ষ রাখা যাবে না, আমি খেলবো অন্যদের মন নিয়ে কিন্তু চাইলেও সে আমাকে দো*ষী প্রমাণ করতে পারবে না। জানেন তো এই মানসিকতার মানুষরা নিজের আনন্দটাকেই প্রায়োরিটি দেয় সামনের মানুষদের অনুভুতি তারা বোঝেনা, তারা এটা জানে না অজান্তেই কত মানুষের দীর্ঘশ্বাসের কারণ হচ্ছে... মানুষ ভুলে যাবে, মানুষকে ভুল বোঝানোও যাবে কিন্তু প্রকৃতি, সে তার নিজ পথে সব টুকু ফিরিয়ে দেবে.....🙂


Mind game এর খেলোয়াড় আমাদের আশে পাশে কম নেই, ভালো করে Observe করলেই এরকম মানুষ দেখতে পাবেন, এরা জানে না তাদের এই mind game একটা মানুষকে মনের দিক থেকে কতটা ক্ষ*ত বিক্ষ*ত করতে পারে, হয়তো মানুষের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা যায় কিন্তু স্রষ্ঠার কাছে কিভাবে??????


শারীরিক ভাবে হ*ত্যার থেকেও মানসিকভাবে কারোকে হ*ত্যা টা অনেক বেশি ভয়*ঙ্কর....


প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ যেভাবেই হোক একজনের অনুভুতি নিয়ে খেলা মানেই সে প্রতা*রক, এটা ভুলবশত হয় না, ইচ্ছাকৃত ভাবেই সে এই mind game খেলে।


Loyality সবার থেকে আশা করা যায় না, অনেক কঠিন নিজেকে সামনের মানুষটার মানসিক শান্তির কারণ হিসাবে গড়ে তোলা... একটা মানুষকে ভালো রাখা বা তার ভালো থাকার কারণ হওয়া 🙂

মানুষের আচরণ বলে দেয় সে আদৌতে Honest/che-ater.....

🫠🫠

✍️©️®️

Friday, November 22, 2024

একদিন আমাকে মনে পড়বে কিন্তু সাহস করে ফোন দিতে পারবে না। লজ্জায় নিজেকে সংবরণ করবে।


 একদিন আমাকে মনে পড়বে কিন্তু সাহস করে ফোন দিতে পারবে না। লজ্জায় নিজেকে সংবরণ করবে।

আমাদের এত এত গল্প আর স্মৃতি জমেছে যে তুমি অন্য কারো মাঝে আমার ছায়া দেখবে কিন্তু সেখানে আমাকে পাবে না। একটা আক্ষেপ জন্ম নিবে তোমার ভিতরে।

রাত গভীর হলে আমার ফেইসবুক ওয়াল ঘুরতে মন চাইবে।হয়তো সব বাঁধা ভেঙ্গে, মনের সাথে যুদ্ধ করে হলেও আমার প্রতিটি পোস্ট দেখবে।হাসবে।রাগ করবে। কিন্তু আমাকে সেই অনুভূতি বলতে পারবে না। এর চেয়ে আর বড় কি কষ্ট থাকতে পারে?

কোন এক ভোরে কিংবা গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে ফোন চেক করে দেখবে আমার কোন টেক্সট আছে কি না।আমাকে না পেয়ে তোমার যেই দীর্ঘশ্বাস জন্মাবে তা তোমার প্রাপ্য ছিল। আমি তো কোন অন্যায় করি নি।

এখন যার সাথে আছ তাকে নিয়ে যতই সুখে থাক, যতই ভাল থাক আমি জানি আমাকে তোমার মনে পড়বেই।কারন আমি তোমাকে ঠকাই নি। তার সাথে কাটানো প্রতিটি সুখময় মুহুর্তে আমি থাকবো তোমার মস্তিষ্কের একটা কোনায়।এর চেয়ে বড় শাস্তি আর কি হতে পারে?

আমাকে কষ্ট দেয়ার প্রতিটি পাপ তোমাকে ঘিরে ধরবে।একদিন তুমিও অসুখী হবে।একদিন তোমারও আমার জন্য কাঁদতে মন চাবে।কিন্তু চোখের পানি আর আসবে না।

এক শীতে সমুদ্র স্নান করতে যাবে।সাথে প্রিয় মানুষটা থাকবে।অথচ সেখানে আমার থাকার কথা ছিল।এক জোৎস্নার রাতে আকাশ দেখে তোমার চোখের কোনায় পানি জমবে।এত সুন্দর রুপালি জ্যোৎস্না আমাকে ছাড়া দেখবে আর কষ্ট তোমাকে জাপ্টে ধরবে না তা হবে না।

একদিন আমাকে দেখার জন্য আকুল হবে।রাস্তায় খুঁজবে।পাবে না।সেদিন আঘাত লাগবে।সেদিন বুঝবে কি অন্যায় করেছ।একদিন বুঝবে ভাল একটা সম্পর্ক শেষ করে কেউ ভাল থাকে না।একদিন বুঝবে কথা দিয়ে কথা না রাখা একটা অন্যায়। সেদিন চাইলেও আর নিজেকে ভাল রাখতে পারবে না।

একদিন আমিও সুখী হব।কিন্তু সেই আমি আর তোমার মাঝে সুখ খুঁজব না।তোমার দেয়া প্রতিটি অবহেলা একদিন আমার জীবনে অন্য কারো মাধ্যমে সুখ হয়ে ফেরত আসবে।কিন্তু আমি আর তোমাকে মনে করবো না।

Thursday, November 21, 2024

মানুষ সব ভুলে যেতে পারে!!


 মানুষ সব ভুলে যেতে পারে!!

রাগারাগি, ভুল বোঝাবুঝি, ঝগড়া, তর্ক বিতর্ক, মন খারাপ ইত্যাদি সময়ের সাথে সাথে সব ভুলে যেতে পারে মানুষ। শুধু ভুলতে পারে না কিছু কথা। প্রিয় মানুষের মুখ থেকে নিজের ব্যাপারে শোনা কিছুকিছু কথা মানুষের ভিতরে বাজতে থাকে অদৃশ্য টেপ রেকর্ডারের মতো। বুকের ভিতর কোনও তীক্ষ্ণ ফলার মতো বিঁধে থাকে সে'সব অপমান, গলার ভিতর মাছের কাঁটার মতো আটকে থাকে সে'সব কটূক্তি, ঘুমের ভিতর দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে।

 

না গেলা যায়, না ফেলা যায়। একটা সময় পর সব আঘাত মিলিয়ে যায় ধীরে ধীরে, আবার হাসি ফুটে ওঠে মুখে, দিব্যি থাকি আমরা। তারপর হঠাৎ কোনও ঘুম না আসা একলা রাতে, স্মৃতির বারান্দায় পায়চারি করতে করতে আমরা পৌঁছে যাই সে'সব কথার কাছে। কী ভীষণ যন্ত্রণা হয় আবার! সেই একই কষ্ট আবার ফিরে আসে। আর আমরা বুঝতে পারি আমরা মানুষদের ক্ষমা করি, তাদের বলা কথাগুলোকে না...


Wednesday, November 20, 2024

একদিন আমাকে মনে পড়বে কিন্তু সাহস করে ফোন দিতে পারবে না


 একদিন আমাকে মনে পড়বে কিন্তু সাহস করে ফোন দিতে পারবে না। লজ্জায় নিজেকে সংবরণ করবে।


আমাদের এত এত গল্প আর স্মৃতি জমেছে যে তুমি অন্য কারো মাঝে আমার ছায়া দেখবে কিন্তু সেখানে আমাকে পাবে না।একটা আক্ষেপ জন্ম নিবে তোমার ভিতরে।


রাত গভীর হলে আমার ফেইসবুক ওয়াল ঘুরতে মন চাইবে।হয়তো সব বাঁধা ভেঙ্গে, মনের সাথে যুদ্ধ করে হলেও আমার প্রতিটি পোস্ট দেখবে।হাসবে।রাগ করবে। কিন্তু আমাকে সেই অনুভূতি বলতে পারবে না। এর চেয়ে আর বড় কি কষ্ট থাকতে পারে?


কোন এক ভোরে কিংবা গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে ফোন চেক করে দেখবে আমার কোন টেক্সট আছে কি না।আমাকে না পেয়ে তোমার যেই দীর্ঘশ্বাস জন্মাবে তা তোমার প্রাপ্য ছিল। আমি তো কোন অন্যায় করি নি।


এখন যার সাথে আছ তাকে নিয়ে যতই সুখে থাক, যতই ভাল থাক আমি জানি আমাকে তোমার মনে পড়বেই। কারন আমি তোমাকে ঠকাই নি।তার সাথে কাটানো প্রতিটি সুখময় মুহুর্তে আমি থাকবো তোমার মস্তিষ্কের একটা কোনায়।এর চেয়ে বড় শাস্তি আর কি হতে পারে?


আমাকে কষ্ট দেয়ার প্রতিটি পাপ তোমাকে ঘিরে ধরবে।একদিন তুমিও অসুখী হবে।একদিন তোমারও আমার জন্য কাঁদতে মন চাবে।কিন্তু চোখের পানি আর আসবে না।


এক শীতে সমুদ্র স্নান করতে যাবে।সাথে প্রিয় মানুষটা থাকবে।অথচ সেখানে আমার থাকার কথা ছিল।এক জোৎস্নার রাতে আকাশ দেখে তোমার চোখের কোনায় পানি জমবে।এত সুন্দর রুপালি জ্যোৎস্না আমাকে ছাড়া দেখবে আর কষ্ট তোমাকে জাপ্টে ধরবে না তা হবে না।


একদিন আমাকে দেখার জন্য আকুল হবে।রাস্তায় খুঁজবে। পাবে না।সেদিন আঘাত লাগবে।সেদিন বুঝবে কি অন্যায় করেছ।একদিন বুঝবে ভাল একটা সম্পর্ক শেষ করে কেউ ভাল থাকে না।একদিন বুঝবে কথা দিয়ে কথা না রাখা একটা অন্যায়।সেদিন চাইলেও আর নিজেকে ভাল রাখতে পারবে না।


একদিন আমিও সুখী হব।কিন্তু সেই আমি আর তোমার মাঝে সুখ খুঁজব না।তোমার দেয়া প্রতিটি অবহেলা একদিন আমার জীবনে অন্য কারো মাধ্যমে সুখ হয়ে ফেরত আসবে।কিন্তু আমি আর তোমাকে মনে করবো না। 

জীবনে প্রেমিক বা প্রেমিকা থাকার চেয়ে বরং একটা ভালো বন্ধু থাকুক


 জীবনে প্রেমিক বা প্রেমিকা থাকার চেয়ে বরং একটা ভালো বন্ধু থাকুক। যার সাথে কথা বলা যাবে নিঃসংকোচে। যার সাথে সম্পর্কটা হবে দুই দেহ এক আত্মা টাইপের।


জীবনে একটা ভালো বন্ধু থাকুক। সব উল্টো পাল্টা কথাগুলো শোনার জন্য। মন খা'রা'পের দিনে প্রেমিক বা প্রেমিকার মতো করে মন ভালো না করে দিয়ে আরো মে'জাজ খা'রা'প করে দেওয়ার জন্য হলেও একটা ভালো বন্ধু থাকুক।


জীবনে এমন একটা ভালো বন্ধু দরকার, যাকে হুটহাট ফোন দিয়ে চেঁচিয়ে কথা বলে মনের সব রা'গ ,ক'ষ্ট বের করে দেওয়া যাবে। সে তখন ভুল না বুঝে এক চিলতে হাসি হেসে বলবে, “কীরে, রা'গ মিটছে? চল বিকালে হাঁটতে বের হই একসাথে।”


জীবনে একটা ভালো বন্ধু থাকুক। কান্না ভেজা গল্পগুলো শোনার জন্য। যে প্রয়োজনে ঢাল হবে, শাসন করবে, বকবে, রাগাবে, গা'লা'গা'লি করবে আবার সোহাগে আদরে আগলেও রাখবে।


জীবনে একটা ভালো বন্ধু থাকুক। যে হবে আমারই মতো! যার জন্য নিজেকে অন্তত মানিয়ে নিতে হবে না। যে বুঝবে আমার একাকিত্বের মানে, চোখের চাহুনির হাসি কিংবা সকল না বলা কথা! .


জীবনে এমন একটা ভালো বন্ধু পেয়ে গেলে আর প্রেমিক বা প্রেমিকার দরকার পড়ে না!


-- লেখা ও ছবি সংগৃহীত

কিভাবে অনুকূল পরিবেশে দিক নির্ণয়ের জন্য কম্পাস তৈরি করতে হয়


 ◾কিভাবে অনুকূল পরিবেশে দিক নির্ণয়ের জন্য কম্পাস তৈরি করতে হয়


কম্পাস বা দিক নির্দেশক যন্ত্র ছাড়া উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম দিক নির্ধারণ করা সম্ভব। এর জন্য প্রাচীনকালের একটি সহজ পদ্ধতি হলো ছায়া ব্যবহার করে দিক নির্ধারণ করা। নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো কীভাবে সহজে একটি কম্পাস তৈরি করা যায়:


◾প্রয়োজনীয় উপকরণ:


একটি প্রায় 90 সেন্টিমিটার দীর্ঘ লাঠি


দুইটি ছোট পাথর বা অন্য কোনো চিহ্ন রাখার বস্তু


একটি খোলা জায়গা যেখানে সূর্যের আলো আসে


◾ধাপসমূহ:


১. লাঠি স্থাপন:

একটি প্রায় 90 সেন্টিমিটার দীর্ঘ লাঠি খোলা জায়গায় মাটিতে স্থাপন করুন। এমন জায়গা বেছে নিন যেখানে সূর্যের আলো পরিষ্কারভাবে পড়ে। লাঠিটি সোজা এবং স্থিরভাবে মাটিতে বসান যাতে এটি একটি ছায়া তৈরি করতে পারে।


২. প্রথম ছায়া চিহ্নিত করুন:

লাঠির ছায়া যেখানে পড়ে, সেখানে একটি ছোট পাথর রাখুন। এটি হবে প্রথম ছায়া চিহ্ন। এই ছায়া সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে দিনভরের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হবে।


৩. সময় অপেক্ষা:

দশ থেকে পনের মিনিট অপেক্ষা করুন। এই সময়ের মধ্যে সূর্য আকাশে কিছুটা সরবে, ফলে লাঠির ছায়াও সরতে থাকবে।


৪. দ্বিতীয় ছায়া চিহ্নিত করুন:

কিছুক্ষণ পর আবার লাঠির ছায়ার ডগার দিকে লক্ষ্য করুন এবং যেখানে এটি নতুন করে পড়ছে সেখানে দ্বিতীয় পাথরটি রাখুন। এটি হবে দ্বিতীয় ছায়া চিহ্ন।


. ৫. লাইন আঁকুন:

প্রথম পাথর এবং দ্বিতীয় পাথরের মধ্যে একটি সরল রেখা আঁকুন। এই রেখাটি হবে পূর্ব-পশ্চিম দিক নির্দেশক লাইন।


৬. দিক নির্ধারণ:

এখন আপনার বাম পা প্রথম পাথরের উপর এবং ডান পা দ্বিতীয় পাথরের উপর রাখুন। এভাবে দাঁড়ালে আপনি উত্তর দিকে মুখোমুখি হবেন।


◾দিক নির্ধারণের ব্যাখ্যা:


পৃথিবীর যেকোনো স্থানে প্রথম ছায়ার চিহ্ন সবসময় পশ্চিম দিকে পড়ে, এবং দ্বিতীয়টি পূর্ব দিকে।


এই পদ্ধতি সূর্যের গতিপথের ভিত্তিতে কাজ করে, যেহেতু সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠে পশ্চিমে অস্ত যায়।


এই পদ্ধতি বহু প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যখন মানুষ প্রাকৃতিক উপায়ে দিক নির্ধারণ করত। . এটি একটি সহজ, কার্যকরী এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যা এখনো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যায়, বিশেষ করে কম্পাস না থাকলে বা প্রযুক্তির ব্যবহার সম্ভব না হলে। 

Copy 

ভালোবাসলে সমস্ত কিছু উজাড় করিয়া ভালোবাসাই ভালো


 ভালোবাসলে সমস্ত কিছু উজাড় করিয়া ভালোবাসাই ভালো।হিসাব কিংবা দর কষাকষি করিয়া ভালোবাসা যায় না। তাহা হইলে তা আর ভালোবাসা হয় না ভনিতা হইয়া দাঁড়ায়। মানুষ বাঁচে আর কয়দিন?সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অবিনশ্বর পৃথিবীতে নশ্বর জীবন লইয়া কাউকে হিসাব করিয়া ভালোবাসতে আমি চাই না।


আমি জানি সমস্ত কিছু উজাড় করিয়া ভালোবাসার পর হয়তো আমি স্বর্গ পাবো না হয় সব হারাবার পরে উচ্ছনে যাবো।যা হবে সেটা পরে হবে।

কিন্তু ততদিনও যদি আমার জীবনকাল না থাকে তাহা হইলে তো আমি সব হারাইয়া ফেলিব।বেশির মোহে আমার আমার সব বিলীন হইবে। তাহার চেয়ে ভালো আমি বর্তমানে বাঁচি। জীবনাবসানের নিশ্চয়তা নাই। যখন আমি চলিয়া যাইবো তখন জগতের সমস্ত সৌন্দর্য লইয়াই আমি পারি দিব।
কোনো কিছুর মোহ আর আমায় আটকাইতে পারিবে না। 


এই বিশাল জগৎ ছাড়িয়া যাইবার পূর্বে আমি তোমারে মহা সমুদ্রের ন্যায় দীর্ঘ ও গভীরভাবে ভালোবাসিতে চাই। যাহার গভীরতার অন্ত নাই সেইরূপ আমি তোমার ভালোবাসার অতল স্পর্শ গভীরে প্রবেশ করিতে চাই।আমি তোমায় অসীম আকাশের ন্যায় ভালোবাসিতে চাই যেখানে কোনো কিছুর সীমা থাকবে না। আমি তোমারে স্থির পাহাড়ের ন্যায় ভালোবাসিতে চাই যেখানে প্রেম থাকবে অটল। আমি তোমাকে বৃষ্টির ন্যায় ভালোবাসিতে চাই যেখানে থাকবে সীমাহীন জল যা হৃদয় শুষ্ক করিবে না কখনো।আমি ঝর্ণার ন্যায় তোমারে ভালোবাসিতে চাই যাহা ক্রমাগত বহমান যেখানে বহমান থাকবে তোমার প্রতি আমার প্রেম। 


আমি তোমারে এমনভাবে ভালোবাসিতে চাই যেখানে তোমারে পাওয়ার পর আমি জগতের সমস্ত কিছু ভুলিয়া যাইবো। আমি তোমারে পাওয়ার পর ভুলিয়া যাইবো কে দিয়াছিলা আমায় কষ্ট, কে করিয়াছিল পর, কে দিয়াছিল মিথ্যা অপবাদ, কে করিয়াছিল অন্যায় অপরাধ। আমি শুধু তোমাতেই মগ্ন থাকিব। আমি তোমাতেই মুগ্ধ হইয়া জীবনকালের ক্ষীন আয়ু ফুরাইয়া জগৎ পারি দিব।আমি তোমাতেই বিভার হইয়া এই পৃথিবীর মায়া শেষ করিয়া যাইবো।

Monday, November 18, 2024

চাইলেই - একজন নারী একজন পুরুষকে বহু রকম ভাবে তৈরি করতে পারে।


 চাইলেই - একজন নারী একজন পুরুষকে বহু রকম ভাবে তৈরি করতে পারে।


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে সম্মানের দিক থেকে অনেক উঁচুতে উঠাতে পারে। আবার অসম্মানের একদম নিম্ন মানের জায়গাতেও নামিয়ে এনে দাঁড় করাতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে অনেক আর্থিক এবং সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারে। আবার সেই নারীই একজন পুরুষকে ভিক্ষুক হিসেবে কিংবা সমাজের একদম গরীব পুরুষ হিসেবে পরিণত করতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মা-বাবা ভাই-বোন ছাড়া করে সে একাই রাজত্ব বহণ করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের, মা-বাবা ভাই-বোন এর সাথে মিলেমিশে নিজেকে প্রকৃত সুন্দরী নারী হিসেবে তৈরি করতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে পরিবার ছাড়া, ঘর ছাড়া, সমাজ ছাড়া, দেশ ছাড়া করতে- বাধ্য করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে একটা সুন্দর ঘর, একটা সুন্দর পরিবার এবং সুন্দর একটা সমাজ তৈরি করে- সুন্দর একটা বন্ধনে আবদ্ধ করে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - শত রকমের খারাপ একজন পুরুষকে ভালো করে গড়ে তুলতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন ভালো পুরুষকে নষ্ট করে সমাজ থেকে উৎখাত করে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মৃত্যুর রাস্তায় পৌঁছে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে! শুধু কেবল রব এর হুকুমের মৃত্যু ছাড়া।


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে বস্ত্রহীন পাগল - উম্মাদ বানিয়ে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে রাস্তা থেকে তুলে এনে নিজের যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে স্বাভাবিক সেন্সে ফিরিয়ে আনতে পারে এবং মানসিক ভাবেও সুস্থ করে তুলতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে দিয়ে গোটা পৃথিবীটা অন্ধকারে আচ্ছন্ন করাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - পুরো পৃথিবীটা আলোয় আলোকিত করে বদলে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে জাহান্নামের বাসিন্দা বানাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে জান্নাতের পথ খুঁজে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সমস্যা কারণ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - একজন পুরুষের সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে।


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সুখ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের দুঃখ হয়ে - আজীবন পুরুষের জীবননাশ করতে পারে! ইত্যাদি ইত্যাদি


একজন নারীর -


শিক্ষা, চিন্তা- চেতনা, শক্তি- ক্ষমতা, ভালোবাসার মায়া - মমতা এবং সভ্যতা অনেক প্রখর হয়।


তাই

নারী চাইলেই - অনেক কিছু করতে পারে!

প্রতিটা নারীর প্রেম হোক - তার সংসার।


প্রতিটা নারীর ভালোবাসা হোক- তার আপন প্রিয় স্বামী। প্রতিটা নারীর মায়ার বাঁধন হোক - তার বুকে আগলে রাখা ধন - প্রিয় সন্তান।


নারী তোমার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস - তুমি সব সময় "তোমার সৌন্দর্য" তোমার সকল গুণ দিয়ে আগলে রাখবে।


নারীর সৌন্দর্য হোক -

নারীর অসাধ্য সাধনকারী -

গৃহময়ী হোক - নারীর নেতৃত্ব -

জরুরী নয় সঙ্গী সব সময় তোমায় মূল্য দেবে।


 জরুরী নয় সঙ্গী সব সময় তোমায় মূল্য দেবে। সে নারী হোক বা পুরুষ। লেখাটা উভয়ের ক্ষেত্রেই। প্রেম করে বিয়ে,প্রেম পর্বে চরম ঘোরাফেরা আনন্দ করা সিনেমা যাওয়া পার্কে ঘুরতে যাওয়া সব কিছুই ছিল। কিন্তু যেই বিয়ে হলে গেলো সবটা যেন বালি চাপা পড়ে গেলো। আগে অফিস থেকে বেরিয়ে কখন দেখা হবে এই আশাতে দিক শূন্য হয়ে দৌড়ানো ছিল এখন সেই সঙ্গী যখন পার্মানেন্ট হয়ে গেছে অফিস থেকে ঢিমে তালে ফিরতে ইচ্ছা করে। কারণ বাড়ি গেলেই সেই এক মুখ। এখন আর কোনো নতুন উত্তেজনা নেই। সবটা পাওয়া হয়ে গেছে যে। নানা এটা পুরুষদের দোষ দেওয়ার জন্য লিখছি না এমন অনেক মহিলা আছেন যারা এইরকম করেন। আমি দুই তরফের অবহেলার কথা বলছি।

যৌবন কাল বাড়ির বউ ডাল,ভাতের মত আর স্বামী মেদ্দা মারা ( অনেক পুরুষ আর নারীর কাছেই)।

তাই চুটিয়ে অফিস বন্ধু, অফিস পার্টি, অফিস ট্যুর সব চলছে সাথে গ্লাস তো আছেই। তার সাথে চলে দিনের পর দিন সঙ্গীর প্রতি অবহেলা।

সঙ্গী সময় চাইলে বিরক্তি, অশান্তি, বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া বা তোমার জন্য আমার স্বাধীন জীবন নষ্ট হয়ে গেছে এই ডায়লগ।।

এই তো হয়ে আসছে। এত মানসিক চাপ, অবহেলা, একাকীত্বের যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে সেই মানুষটি ( সে পুরুষ হোক বা নারী ) নিজের একটা কমফোর্ট জোন খুঁজে পায় তখন ও ঐ স্বার্থপর মানুষগুলোর জ্বালা ধরে।

কারণ তাদের ঐ আমোদ প্রমোদ তখন এক ঘেয়ে হয়ে গেছে। বাইরের জগৎ আর ভালো লাগছে না। তখন তারা বাড়ি ফিরে আসে। আবার এসেই আশা করে যাকে এত দিন অবহেলা করেছিলো সে এখনো পথ চেয়ে বসে আছে তার জন্য।

না আমি এটা বলতে চাইছি না যে সঙ্গী সময় দেয় না বলে পরকিয়া করো। এমন অনেক কাজ আছে যেখানে নিজেকে ইনভলব করা যায়। 

টুইস্ট টা এখানেই সেই অবহেলিত সঙ্গী যখন নিজের কাজের ওপর বা যে কোনো ভালো কিছুর ওপর ফোকাস করছে তখন ঐ চূড়ান্ত স্বার্থপর মানুষটাই বলবে " আমার সাথে তোমার কথা বলতে ইচ্ছা করে না"

" তুমি শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত"

"একটু কথা বলা যায় না তোমার সাথে"


আরো কত কি,,, কিন্তু এরা এটা বোঝে না আজ এই দিনটা তৈরি হয়েছে শুধু তাদের কারণেই। তাদের অবহেলার ফল এটা। জীবনে কোনো কর্ম বিফলে যায় না। সকল কর্মের ফল আছে। কাজেই আজ তোমার অবহেলার কারণে আমি আমার জগৎ পরিবর্তন করে ফেলেছি। সেখানে আমাকে আর কেউ আঘাত করতে পারে না।। সেখানে আমি নিজেই আমার বন্ধু। 

হ্যাঁ অবহেলা মানুষকে একা পথ চলতে শিখিয়ে দেয়।

✍️©️®️

Sunday, November 17, 2024

কোনো কারণ ছাড়াই তোমাকে, আরোও কিছুকাল মনে রাখবো আমি


 কোনো কারণ ছাড়াই তোমাকে, আরোও কিছুকাল মনে রাখবো আমি, যেভাবে শৈশবে সুঁতা ছিঁড়ে নিখোঁজ হওয়া শখের ঘুড়িটাকে মনে রেখেছি এযাবৎকাল, তোমায় মনে রাখতে গিয়ে দৈনন্দিন রুটিন বদলে ফেলবো তা নয়, সকালে অফিস, দুপুরে চা, মাঝেমধ্যে  হুটহাট ব্যাগটেগ গুছিয়ে চলে যাবো পাহাড় দেখতে, স্বাভাবিক মানুষের মতোনই যাপন করবো জীবন ।  


তোমায় মনে রাখবো মানে এই নয় যে তোমার দেওয়া দুঃখ ভুলে যাবো, শেঁকড় ছাড়া কি আর বৃক্ষকে কল্পনা করা সম্ভব ? ছোট্টো বেলায় রেললাইন হতে কুঁড়িয়ে পাওয়া বেড়ালটা মারা যাবার পরে যে দুঃখটা হয়েছিল, তোমার দুঃখগুলোকে রাখবো সেই দুঃখের পাশে ।  খুব বেশি দুঃখ হলে ছুটে যাবো রবীন্দ্রনাথের গানের কাছে, তবে তুমি যাহা চাও, তাই যেনো পাও, আমি যত দুঃখ পাই গো..!


তোমার শহরে যাবো ব্যাবসায়িক কাজে, অথবা তোমার সুবাধে পরিচিত হওয়া কোন বন্ধুর শেষ জানাজায়, হতে পারে কারণ ছাড়াই যাব, চায়ের কাপ আর সিগারেট হাতে দাঁড়িয়ে থাকবো মুদি দেকানের পাশে, তোমাকে দেখা যাবে হয়তো পাশাপাশি রিকশায় চেপে বসে হয়ে উঠেছো কারোর, প্রথম প্রেমিকা ।


আমি তোমায় পাইনি বলে অন্যকেউ তোমায় পাবে না তা তো নয়, প্রকৃতি এমন যে, একপাশ ভেঙেচুরে নিয়ে অন্যপাশ ভরাট করে দারুণ মমতা নিয়ে, এটাই নিয়ম, ফুলের দোকানের দিকে আমি ফিরেও তাকাবো না আর, তোমার পছন্দের কবিতার বই খুঁজতে ঢুকবো লাইব্রেরিতে, সন্ধ্যা গড়িয়ে এলো একটা মন ভাঙা কবিতার বই নিয়ে আমি হাঁটা দিবো, শহরের এইটুকুন বাতাসও তোমায় সে সংবাদ দিবে না, কেউ না, তুমিও জানবে না । 


তোমাকে কোনোরকম কারণ ছাড়াই আরোও কিছুকাল মনে রাখবো আমি; এরকম তোমায় মনে রেখে হাঁটতে হাঁটতে বহুকাল পার হবার পর আমি গিয়ে থামবো এক ভোরে পৃথিবীর ওপাশে ।


ততক্ষণে তুমি শুধু জানবে, কাউকে মনে রেখে পুরো পৃথিবী হেঁটে আসা যায়, হাঁটতে হাঁটতে চলে যাওয়া যায় মৃত্যুর কাছেও, তবুও নিজের কাছে ফেরা যায় না আর কখনোও...।


লেখা : শেষ চিঠি ツ

আমাকে করুণা করে এক চিমটি প্রেম দান করো না তুমি।

শহরে ডাস্টবিন দেখি,ময়লা আবর্জনা দেখি,

তোমার ভিতরে দুর্গন্ধের ময়লাস্তপ দেখিনা।

ভাঙা আয়না,ভাঙা কাঁচের চুড়ি,ভাঙা মেট্রোরেল দেখো,

নিজের হাতে ভাঙা আমার মনটা দেখোনা তুমি।


কবিতা,উপন্যাস,নাটকের স্ক্রিপ্ট ,কিংবা কোন লেখকের এক লাইন ট্রাজেডি সংলাপ দেখে কাঁদো তুমি,

আমি দুঃখী মানুষ,চোখে জল , মুখে বলিনা   দেখো আর হাসো তুমি।


ক্ষুধার্ত কুকুর,টোকাই ছেলের কান্না,পাগলীটার খালি পেটে আহাজারি দেখে মন কাঁদে তোমার,বিলিয়ে দাও খাদ্য।

অথচ দেখো,প্রেমে ক্ষুধার্ত প্রেমিক আমি,আমাকে করুণা করে এক চিমটি প্রেম দান করো না তুমি। 


গান শুনো,কবিতা শুনো,আবৃত্তি শুনো,কতশত দুঃখী মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো,

তোমাকে আমার একটা কথা বলা দরকার,

সময় হয়না তোমার, তবুও বলি,  শোনো না মেয়ে তুমি...


তুমি উপপাদ্যের অংক বুঝো,পিথাগোরাসের সূত্র বুঝো,

সাইন্সের সূত্র বুঝো,বায়োলজির সবই বুঝো,

পানির মতো সহজ একটা মানুষ আমি,আমাকে বুঝো না।


তুমি পৃথিবীর সবই দেখো,সবই বুঝো,

শুধু আমাকে দেখোনা,আমার মন বুঝোনা। 


Friday, November 15, 2024

পৃথিবীতে আপনার নিকটে থাকা মানুষটা যখন দুরত্বে সুখ খুঁজে,তখন বুঝে নিতে হয় ,


 পৃথিবীতে আপনার  নিকটে থাকা মানুষটা যখন দুরত্বে সুখ খুঁজে,তখন বুঝে নিতে হয় , ভালোবাসায় লিকেজ ছিল তার কারনে কমিটমেন্ট  সম্পর্কে থেকেও সে অন্য কোন কিছুতে নিজের জন্য সুখ  খুঁজে নেয় ।


ভালোবাসায় , লিকেজ মানে -মানসিক শান্তি আপনার নিকট সে খুঁজে পাচ্ছেন না ।তাই কাছে থেকেও আপনি তার কাছে অচেনা । ভালোবাসায় দুরত্ব চলে আসে অনেক কারনে ।

আপনার ক্রমাগত মুখ ফিরিয়ে নেওয়া , আপনার সম্পর্কে যতটুকু সময় , কেয়ার ও মর্যাদা দেওয়া দরকার তা না দেওয়া, কারনে অকারনে অভিযোগ করা ,  একজন অন্য জনকে বুঝতে না পারা , এটা কারনে আমাদের অতি প্রিয় মানুষটা একসময় অপ্রিয়তে এবং অচেনা কেউ রূপান্তর হয় ।


প্রতিটা সম্পর্কে গিভ ইন টেক ব্যাপারটা অবশ্যই আছে , কেউ যদি দিনের পর দিন আপনার অপেক্ষায় তার সময়টা ব্যয় করে অথচ আপনি , জেনে ও বুঝেও তার সাথে আপনার খেয়াল খুশিমত ব্যাবহার করে থাকেন , তবে সে মানুষটা একদিন নিজের অজান্তেই আপনার সাথে দুরত্ব তৈরী করবে ।ভালবাসায় মুড অনুযায়ী কারো সাথে ব্যাবহার করা উচিত নয় । আমরা কেউ কারো মনের মতো হতে পারিনা কিন্তু চেষ্টা করতে পারি । সেক্রিফাইজ খুব জরুরী যে কোন সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে ।


স্বামী-স্ত্রী , প্রেমিক প্রেমিকা , যে কোন সম্পর্কে আমরা তখনই দুরত্ব সৃষ্টি করি যখন দেখতে পাই , সম্পর্কটা আমাদের আত্নতৃপ্তি দিতে ব্যর্থ  হয় ।সম্পর্কে , সম্মান , যত্ন , সাপোর্ট , মানসিক শান্তি , ও সবশেষে ভালোবাসার দরকার হয় ।যখন আমরা এ গুলো খুঁজে না পাই তখন একজন মানুষের কাছের মানুষ অচেনা হবে এটাই স্বাভাবিক । আমরা অনেকেই ভালোবাসাহীন  সম্পর্ক গুলোতে থেকে যাই অনেক সময় , পারিবারিক অবস্থানের কারনে অথবা , সন্তানদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত চিন্তায় ।

মন থেকে আমরা বাস করি একে অপরের চেয়ে হাজারও গুন দূরে । 

Copy 

অসুখ করলে গলার স্বর বদলে যায়। story

U

 অসুখ করলে গলার স্বর বদলে যায়। সারাদিনের কাজের ফাঁকে তবুও লুকিয়ে রাখা গেলেও, খুব সকালে সেই গলা বেশ বোঝা যায়। অনেক রাতে একটু একটু করে শরীর সেরে ওঠে তখন, গলায় আদুরে অভিমান জমতে থাকে। মায়ের জন্য অভিমান, সম্পর্কের মানুষটার জন্য অভিমান। অসুখ হলে মানুষ সবার আগে নিজের মা, বাবা অথবা সম্পর্কের মানুষ কে খোঁজে। সব তো বদলে যাবে, এরা বদলায় না। সম্পর্ক অনেক জায়গায় ভাঙতে দেখি, বদলে যেতে দেখি গলার স্বর। তবুও আদুরে অভিযোগ গুলো সবসময় থাকবে, থাকবে অপেক্ষা ও। ওরা চুপ করে চেয়ে থাকে চোখের দিকে, গলা শুনে শরীরের ভিতরের অবস্থা বুঝে নিতে চেষ্টা করে। বুকের উপর হাত রেখে উত্তাপ বুঝে নিতে চেষ্টা করে। কেউ কেউ পারে, কেউ কেউ পারে না। সবাই ঠিক বুঝতে পারে না বলেই ওপাড়ের মানুষটা অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। সম্পর্কে থাকার সময় অসুখ ও থাকে। তখন অসুখ বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতেও হবে। সম্পর্ক বাঁচে সমর্পনে। তা না হলে অসুখে। মনখারাপ হলে সবাই এতোটাও আমল দেয় না। কিন্তু অসুখ হলে দেয়। খুব মন দেয়। বুকের উপর কান পেতে হৃৎপিণ্ডের শব্দ বুঝতে চেষ্টা করে। আচ্ছা, সবাই কি ডাক্তার? সবাই বুকের শব্দ শুনে মানুষের অসুখ বুঝতে পারে?

না, সেটা নয়। নিজের মানুষটার অসুখ সবাই বোঝে। একবার শরীরে শরীর মিললে, শরীরের তরঙ্গ গুলোও কিছু কিছু এক হয়ে যায়। সম কম্পাঙ্কের তরঙ্গ একসাথে মিললেই আশ্চর্য কান্ড ঘটে। চট করে বুঝে নেওয়া যায় তখন। সব মানুষ সম্পর্ক বোঝে, বুঝতে চেষ্টা ও করে। ওই তরঙ্গের কম্পাঙ্ক টা মিলে যাওয়া জরুরি। নইলে সারা জীবনেও বোঝা হয় না। অসুখের সময় মানুষ নিজের অভিমান, রাগ লুকিয়ে রাখতে পারে না। আর পারে না বলেই তাকে বুঝে নেওয়া তখন খুব সহজ। সবসময় বলব, অসুখে তার কাছে থাকুন। হাতের উপর হাত রেখে শান্ত হয়েই বসুন। বুকে কান পাতুন, হাত দিয়ে উত্তাপ ও দেখুন। কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে চোখের দিকে চেয়ে থাকুন। জলের আঘাতে শতাব্দীপ্রাচীন শিলাখন্ড ও ভাঙতে থাকে। আপনার উপস্থিতি যত নিয়মিত, তত মানুষটা আরো কাছে আসে। চিনতে হবে সবটা জীবন ধরে। হাল ছাড়লে চলে না। একবার ছুঁয়ে দিলে কারো চোখে জল আসে যদি, জানবেন সে আপনাকে বড় কাছের মানুষ মনে করেন। সেই মনের ভাবটা ভাঙবেন না কখনোই। মানুষ ভীষণ কঠিন। খুব সহজে মনের ভিতর জায়গা হয় না। জায়গা হলে গেলে তার কদর করুন। আমি জানি, আপনি নিশ্চয়ই পারেন। সবটা খুব ভালো হবে একদিন।❤️🥀🌼

এই ব্যস্ত পৃথিবীতে ইতিউতি করে সময় খুঁজে বের করে কেউ একজন তোমাকে সময় দিচ্ছে—সেটা আর যাই হোক, সস্তা কিছু না!!


 একটা মানুষ প্রতিনিয়ত তোমাকে সময় দিচ্ছে, তোমার খোঁজ রাখছে, তোমার কেয়ার করছে—এই ব্যাপারগুলো যদি তোমার কাছে সস্তা মনে হয়, তাহলে তুমি বিশাল ভুল করছো!!


এই ব্যস্ত পৃথিবীতে ইতিউতি করে সময় খুঁজে বের করে কেউ একজন তোমাকে সময় দিচ্ছে—সেটা আর যাই হোক, সস্তা কিছু না!!


প্রতিনিয়ত মানুষটার কাছ থেকে ভালোবাসা আর কেয়ার পেতে পেতে তুমি যদি ভেবে বসো, তোমার জন্য পৃথিবীটা আলাদিনের জাদুর চেরাগের মত... তুমি যা চাইবে, তা-ই পেয়ে যাবে... এই সবকিছু আসলে তোমার প্রাপ্যই... তাই এগুলোকে এত মূল্য দেয়ার কিছু নেই... এরকম ভেবে থাকলে তুমি ভীষণ ভুল ভাবছো... বিশ্বাস করো, তুমি ভুলের জগতে বাস করছো!!


দপ করে আলোটা নিভে গেলে যেমন গোটা পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে যায়, ভালোবাসা দিয়ে ঘেরা তোমার জগতটা হুট করে একদিন ভালোবাসাহীন হয়ে গেলে তুমি বুঝবে, তুমি কতটা ভাগ্যবান কিংবা ভাগ্যবতী ছিলে!!


একদিন তোমার মূল্য না দেয়া ভালোবাসা আর কেয়ারের অভাবেই তুমি হাঁসফাঁস করতে থাকবে... একটু একটু করে প্রতিদিন তুমি যখন একটা মানুষের ইফোর্টগুলোকে অবহেলা করে যাচ্ছিলে, খুব ধীরে ধীরে তুমি মানুষটাকে হারিয়ে ফেলছিলে... একদিন তুমি সত্যি সত্যিই মানুষটাকে হারিয়ে ফেলবে... পুরোপুরি হারিয়ে ফেলবে!!


মাথার ওপরটায় যতক্ষণ ছাতা ছিলো, ততক্ষণ তুমি টের পাও নি কতটা রোদ, কতটা বৃষ্টি থেকে কেউ একজন তোমাকে আগলে রেখেছিলো... যেদিন ছাতাটা সরে যাবে, সেদিনই টের পাবে, ছাতা ধরে রাখা হাতটাকে তুমি কখনো একটিবারের জন্যও স্পর্শ করে দেখো নি!!


নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরে কান্না আটকে রেখে তুমি সেদিন টের পাবেঃ


সস্তা ভেবে, প্রাপ্য ভেবে যে ভালোবাসাটুকুর এক ফোঁটা মূল্য না দিয়ে তুমি এতদিন নিজের কাছে জায়গা দাও নি, সেই ভালোবাসাটুকু তার মূল্য পেয়ে অন্য কারো কাছে নিজের জায়গা খুঁজে নিয়েছে!!


সেই জায়গাটাতে তোমার জন্য "প্রবেশ নিষেধ" নামক একটা অদৃশ্য সাইনবোর্ড নীরবে চিৎকার করে বলছেঃ


"বিশ্বাস করো, এই জায়গাটুকু তোমার জন্যই বরাদ্দ ছিল... তুমিই হেলায় হারিয়ে ফেলেছো... নিজ দোষে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছো!!"🖤✨ 


Copy

তুমি দেইখ্যা নিও একদিন আমার লাইগ্যা তোমার পরাণ পুড়বো পোড়া কাগজের মতোন


 তুমি দেইখ্যা নিও একদিন আমার লাইগ্যা তোমার পরাণ পুড়বো পোড়া কাগজের মতোন। তহন কাঁনতে থাকবা রাইতের আন্ধারে। চোখ গড়াইয়্যা জল বাইয়্যা বাইয়্যা পড়বো টিনের চাল থেইক্যা টপটপ কইরা পড়া বৃষ্টির লাহান।


তুমি দেইখ্যা নিও একদিন আমার লাইগ্যা তোমার হৃদপিণ্ড কাঁপবো মাঘ মাসের বেবাক শীতে কাঁপতে থাকা মানুষটার মতোন। তহন ভিতর খানে’র হু-হু ব্যথায় চোখে-মুখে ধোঁয়াশা দেখবা ঘনকালো কুয়াশার লাহান।


তুমি দেইখ্যা নিও একদিন আমার লাইগ্যা তুমি ম্যালা আপসোস করবা-লটারির শেষ নাম্বারটা মিল না থাকবার কারণে পুরস্কার না পাওয়া ছেলেরটার মতোন! যেমন কইরা ন্যায় বিচারের আশায় স্বাক্ষীর অভাবে হাইরা যাওয়া মানুষটা হতাস হইয়্যা থাকে আফসোসের হিসেব কঁষতে কঁষতে।


তুমি দেইখ্যা নিও একদিন আমার লাইগ্যা তোমার ম্যালা দুঃখ হইবো বাবার মৃত্যুর নির্মম দৃশ্য নিজ চোখে দেখ্যা ছেলেটার মতোন। তহন কষ্টের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হইয়্যা যাইবো ভিতরখান চুরির আঘাতে কুঁ|পিয়ে হ|ত্যা করা একটা লা|শের লাহান!


তুমি দেইখ্যা নিও একদিন আমার লাইগ্যা তোমার বেবাক ক্ষতি হইয়্যা যাইবো কালবৈশাখী ঝড়ে নুইয়ে পড়্যা ধান ফসলের মতোন! তহন কপালের দোষ দিতে থাকব্যা ৩২ পাইয়্যা ফেইল করা ছেলেটার লাহান।


তুমি দেইখ্যা নিও একদিন তোমার মন আমার লাইগ্যা কাঁইন্দা কাঁইন্দা কইবো তুমি আকাশের তারা খুঁজতে গিয়্যা চাঁদ নক্ষত্র হারাইয়্যা ফেলছো! তয়, সেদিন হয়তো আমার শুকতারা হইয়্যাও দেহা মিলবো না তোমার লগে।

Copy

নারী সম্পর্কে প্রত্যেক পুরুষের যা জানা উচিত


 নারী সম্পর্কে প্রত্যেক পুরুষের যা জানা উচিত


১. নারীরা পুরুষের কথার মাধ্যমে প্রেমে পড়ে, কিন্তু তার কর্মের কারণে তারা প্রেমে থাকে।


২. যখন কোনও অপরিচিত ব্যক্তি তাদের উপর "প্রিয়," "সুইটহার্ট" বা "লাভ" এর মতো অন্তরঙ্গ নাম ব্যবহার করে তখন তারা এটিকে টার্ন-অফ বলে মনে করে। তিনি ভাবতে পারেন যে এটি তাকে মুগ্ধ করে, তবে তিনি এটিকে সস্তা বলে মনে করেন, অনুভব করেন যে তিনি কোনও এলোমেলো মহিলার উপর এই অন্তরঙ্গ নামগুলি ব্যবহার করেন।


৩. আপনি তাকে "আমি তোমাকে ভালবাসি" বলার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি এই শব্দগুলির অর্থ, গভীরতা, ওজন এবং দায়িত্ব জানেন।


৪. তিনি আস্তে আস্তে উন্মোচন করতে পছন্দ করেন, তাই তাকে ধাক্কা দেবেন না বা তাড়াহুড়ো করবেন না।


৫. তার হৃদয় ভালোবাসায় বিশ্বাস করলেও কেন তাকে ভালোবাসতে হবে তা বোঝাতে হবে। আড়াল থেকে তার হৃদয়কে ডেকে আনার দায়িত্ব আপনার।


৬. আপনি যদি গম্ভীর হন, তবেই তার মধ্যে ভালবাসা জাগ্রত করুন।


7. সততা চাবিকাঠি; সহ্য করা যত কষ্টদায়ক বা কষ্টকরই হোক না কেন তাকে সত্য বলুন। এর জন্য তিনি আপনাকে আরও ভালবাসবেন এবং বিশ্বাস করবেন।


৮. নারীরা মনোযোগ ভালোবাসে; যে মুহুর্তে তিনি লক্ষ্য করেন যে আপনি তাকে মনোযোগ দিচ্ছেন না, তিনি পড়েন যে আপনার দুজনের মধ্যে জিনিসগুলি আলাদা হয়ে যাচ্ছে।


৯. একজন নারীকে দিতে পারেন এমন শ্রেষ্ঠ উপহার হলো আপনার সময়। আপনি দামি উপহার কিনতে পারেন, কিন্তু আপনি যদি তাকে আপনার উপস্থিতি থেকে বঞ্চিত করেন, তা হলে দামি উপহারগুলো তার কাছে খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না। তার ভালোবাসার সূচক আপনার সময়।


10. প্রেম এবং প্রেমে থাকার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আপনাকে ভালবাসা তার ব্যক্তিগত পছন্দ; আপনার সাথে প্রেমে পড়া নির্ভর করে আপনি তার সাথে কতটা ভাল আচরণ করেন এবং তাকে উত্তেজিত করেন তার উপর।


11. আপনি তাকে ভালবাসেন তা বলা এক জিনিস; তাকে ভালোবাসা দেওয়া অন্য জিনিস।


** একজন নারী যখন ভালোবাসে, তখন সে সত্যিকার অর্থেই❣️❤️ ভালোবাসে।

** নারীর ভালোবাসায় ৯৯ শতাংশ অভিনয় থাকে। যা পুরুষরা সত্যি ভাবে।

নারীর ভালোবাসায় শুধুমাত্র মায়ের ভালোবাসায় নিঁখুত ভালোবাসা খুঁজে পাবেন। 

** দয়া করে অনুসরণ করুন

Wednesday, November 13, 2024

ভালোবাসার মানুষ সম্পর্কে যত কম জানবেন, তার প্রতি আগ্রহ তত বেশি থাকবে।


 ভালোবাসার মানুষ সম্পর্কে যত কম জানবেন, তার প্রতি আগ্রহ তত বেশি থাকবে। সব জেনে যাওয়ার মানেই সকল আগ্রহের পরিসমাপ্তি।

যত বেশি জেনে যাবেন, দেখবেন, ধীরে ধীরে তার প্রতি তৈরী হচ্ছে অনাস্থা, অবিশ্বাস আর ভরসাহীনতা। অনাগ্রহ বা নিঃস্পৃহতার অশুভ সূচনাও সেখান থেকেই।

একটা সময় পর গিয়ে দেখবেন, গভীর থেকে গভীরতর কোনও সম্পর্কও কাচের গ্লাসের মতো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। মন সেসময় গভীর অসুখে ডুবতে থাকে। আহা, বাঁচতে বড়ো কষ্ট হয় তখন!


সৌন্দর্য দেখতে হয় দূর থেকে, যত কাছ থেকে দেখবেন, তত বেশি ত্রুটি ধরা পড়বে। সৌন্দর্যের বিচার হয় অখণ্ডতায়, 'খণ্ডিত সৌন্দর্য' বলে কিছু নেই।

যে ছবি যত বেশি জুম করবেন, সে ছবির ফাটা দাগ তত বড়ো বড়ো করে দেখা যাবে। ছবির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে ছবিকে দেখতে হয় সামগ্রিকভাবে, ভেঙে ভেঙে নয়।

এজন্য দাগ দেখতে না চাইলে ছবি জুম করতে নেই, এবং মানুষ সম্পর্কেও বেশি জানতে নেই। জানলে উলটো নিজের মধ্যেই মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে থাকবে। যে ছবিটা ডিলিট করতেই পারবেন না, সে ছবিটা জুম করে দেখেও-বা কী হবে কিছু আফসোসের বৃদ্ধি ছাড়া! সরান ও সরুন, কিংবা মানান ও মানুন। ব্যস্! মাথায় রাখুন, পৃথিবীতে কারুর‌ই সবকিছু আপনার মনের মতো হবে না। আপনার‌ও সবকিছু কারুর মনের মতো নয়।


খেয়াল করলে দেখবেন, শারীরিক সৌন্দর্যের টানে আমরা কার‌ও কাছে গেলেও, পরবর্তীতে মানসিক সৌন্দর্যটাই বড়ো হয়ে দাঁড়ায়। সে মানুষটা মানসিকভাবে ঠিক কতটুকু সুন্দর, ব্যাপারটার গুরুত্ব তখন তার শারীরিক সৌন্দর্যকে বহুগুণে ছাড়িয়ে যায়। মূলত মনের টানেই দুজন মানুষ পাকাপোক্তভাবে বাঁধা পড়ে।

এজন্যই অনিন্দ্যসুন্দর দুজন মানুষ‌ বিয়ে কিংবা সম্পর্কে জড়ানোর পরও কখনও কখনও তা দুবছরও টেকে না। প্রকৃত সৌন্দর্য বরাবরই দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। সময় হলে সময় মুখ খোলে।

আবার অসুন্দর নিতান্তই সাদামাটা কোনও দুজন মানুষের সম্পর্ক টিকে যায় দুযুগ কিংবা তারও বেশি। শরীরের টানের পরিসমাপ্তি যেখানে, সেখান থেকেই মনের টানের অপূর্ব সূচনা। আর যদি সে সূচনার কোনও সুযোগ না থাকে, তবে সম্পর্কের ইতি সেখানেই।


অভিজ্ঞতা বলে, মানুষ সম্পর্কে কম জানাই মানুষের প্রতি ভালোবাসাকে অক্ষুণ্ন রাখার শ্রেষ্ঠ পথ। জানতে হয় মানুষের মনটাকে, বাহ্যিক অভ্যেসগুলিকে নয়। শরীরের সতীত্ব খুঁজতে খুঁজতে মানুষ মনের সতীত্বের খোঁজটা আর পায় না।

যাকে ভালোবাসেন, সে নেশা করে, কিংবা সম্পর্কের বাইরে গিয়ে অন্য কারও সাথে ফ্লার্ট করে, অথবা মানুষটি বেশ অহংকারি বা জেদি। এমন ব্যাপারগুলো সম্পর্কে ঢোকার আগে জানতেন না বলেই তাকে বড়ো সুন্দর লাগত। সময়ের প্রবাহে যখন ধীরে ধীরে ব্যাপারগুলো জানতে ও বুঝতে শুরু করবেন, তখনই কাটতে শুরু করে মোহের বিস্তৃত জাল। তখন মানুষটিকে আর আগের মতো সুন্দর লাগবে না; দেখবেন, আগের মতো মোহিত করছে না তার মিষ্টি কথা, প্রেমালাপ কিংবা আরও অনেককিছুই। গভীরতাতেই যত কষ্টের আবাদ।


একসময় আবিষ্কার করবেন, তার পুরনো একটা ছোট্টো মেসেজ আপনাকে যতটা আন্দোলিত করত, আনমনেই ফিক করে হেসে বলতেন, 'আমার পাগলটা!', এখন আর আগের মতো তার কোনও কিছুই আপনাকে উদ্বেলিত করছে না। এমনকি সেই একই মেসেজ দেখে ভ্রু কুঁচকে আনমনেই বলে উঠছেন, 'ধুর ছাই!'।


সম্পর্ককে বাঁচাতে চাইলে যত্ন নিতে হয়। বদলাতে হয় এবং বদলেও যেতে হয়। যে সম্পর্ক আপনাকে বদলাতে পারে না, কিংবা নিজ থেকেই আপনি পালটে যাচ্ছেন না যে সম্পর্কে, তখন ধরে নেবেন, আপনি আদতে কোনও সম্পর্কেই নেই। স্রেফ একটা সময়ের চুক্তিতে আবদ্ধ আছেন মাত্র, যে চুক্তিটি শেষ হয়ে যাবে মেয়াদ ফুরলেই। কিংবা তারও আগে! অবশ্য দুপক্ষের এতে আপত্তি না থাকলে এমন সম্পর্কে থেকেও আনন্দে বাঁচা যায়। বরং, স্রেফ কামের সম্পর্কে প্রেম এলেই শুরু হয় যত বিপত্তি।


কাউকে জাজ করে লাভ নেই। সে কখনও আপনার মনের মতো করে নিজেকে বদলে ফেলবে না, বড়োজোর বদলে ফেলার অভিনয় করতে পারে নেহায়েত বাধ্য হলে। যদি তার সাথে থাকতেই চান, তবে তাকে গ্রহণ করার মতো নিজের মনটাকে তৈরি করে ফেলুন, কিংবা ভিন্ন পথে হাঁটুন। অন্য কাউকে বা নিজেকে অশান্তিতে রেখে বাঁচার মতো অতটা বড়ো জীবন সঙ্গে দিয়ে আমাদের এ পৃথিবীতে পাঠানো হয়নি। মুখে হাসি রেখে তাকে রাখুন, কিংবা মুখে হাসি আনতে তাকে ছাড়ুন। যে যার মতো। তাকে তার মতো থাকতে দিন, আপনিও থাকুন আপনার নিজের মতো। সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার এটিই সবচেয়ে ভালো রাস্তা।

Copy

Sunday, November 10, 2024

চাইলেই - একজন নারী একজন পুরুষকে বহু রকম ভাবে তৈরি করতে পারে।


 চাইলেই - একজন নারী একজন পুরুষকে বহু রকম ভাবে তৈরি করতে পারে।


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে সম্মানের দিক থেকে অনেক উঁচুতে উঠাতে পারে। আবার অসম্মানের একদম নিম্ন মানের জায়গাতেও নামিয়ে এনে দাঁড় করাতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে অনেক আর্থিক এবং সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারে। আবার সেই নারীই একজন পুরুষকে ভিক্ষুক হিসেবে কিংবা সমাজের একদম গরীব পুরুষ হিসেবে পরিণত করতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মা-বাবা ভাই-বোন ছাড়া করে সে একাই রাজত্ব বহণ করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের, মা-বাবা ভাই-বোন এর সাথে মিলেমিশে নিজেকে প্রকৃত সুন্দরী নারী হিসেবে তৈরি করতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে পরিবার ছাড়া, ঘর ছাড়া, সমাজ ছাড়া, দেশ ছাড়া করতে- বাধ্য করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে একটা সুন্দর ঘর, একটা সুন্দর পরিবার এবং সুন্দর একটা সমাজ তৈরি করে- সুন্দর একটা বন্ধনে আবদ্ধ করে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - শত রকমের খারাপ একজন পুরুষকে ভালো করে গড়ে তুলতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন ভালো পুরুষকে নষ্ট করে সমাজ থেকে উৎখাত করে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মৃত্যুর রাস্তায় পৌঁছে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে! শুধু কেবল রব এর হুকুমের মৃত্যু ছাড়া।


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে বস্ত্রহীন পাগল - উম্মাদ বানিয়ে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে রাস্তা থেকে তুলে এনে নিজের যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে স্বাভাবিক সেন্সে ফিরিয়ে আনতে পারে এবং মানসিক ভাবেও সুস্থ করে তুলতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে দিয়ে গোটা পৃথিবীটা অন্ধকারে আচ্ছন্ন করাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - পুরো পৃথিবীটা আলোয় আলোকিত করে বদলে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে জাহান্নামের বাসিন্দা বানাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে জান্নাতের পথ খুঁজে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সমস্যা কারণ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - একজন পুরুষের সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে।


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সুখ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের দুঃখ হয়ে - আজীবন পুরুষের জীবননাশ করতে পারে! ইত্যাদি ইত্যাদি


একজন নারীর -


শিক্ষা, চিন্তা- চেতনা, শক্তি- ক্ষমতা, ভালোবাসার মায়া - মমতা এবং সভ্যতা অনেক প্রখর হয়।


তাই


নারী চাইলেই - অনেক কিছু করতে পারে!


প্রতিটা নারীর প্রেম হোক - তার সংসার।


প্রতিটা নারীর ভালোবাসা হোক- তার আপন প্রিয় স্বামী। প্রতিটা নারীর মায়ার বাঁধন হোক - তার বুকে আগলে রাখা ধন - প্রিয় সন্তান।


নারী তোমার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস - তুমি সব সময় "তোমার সৌন্দর্য" তোমার সকল গুণ দিয়ে আগলে রাখবে।


নারীর সৌন্দর্য হোক -


নারীর অসাধ্য সাধনকারী -


গৃহময়ী হোক - নারীর নেতৃত্ব -



সংগৃহীত 

একটি শিক্ষণীয় গল্প,,,,😊 মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর যখন সে


 একটি শিক্ষণীয় গল্প,,,,😊

মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর যখন সে আবার বাবার বাড়ি আসে তখন মা খুব আগ্রহ ভরে জানতে চায় যে ঐ বাড়িতে তার কেমন লেগেছে ?মেয়ে জবাবে বলে-“ আমার ওখানে ভালো লাগেনা। মানুষগুলো কেমন যেন। পরিবেশটাও আমার ভালো লাগছেনা”।মেয়ের ভেতর এক ধরনের হতাশা দেখতে পায় তার মা!!


 দেখতে দেখতে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। মেয়ের চলে যাবার সময় চলে আসে। চলে যাবার ঠিক আগের দিন মা তার মেয়েকে নিয়ে রান্না ঘরে প্রবেশ করেন। মা হাড়িতে পানি দেন এবং তা গরম করতে থাকেন। একসময় যখন তা ফুটতে থাকে তখন মা হাড়িতে গাজর, ডিম আর কফির বিন দেন। এভাবে বিশ মিনিট পর মা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। একটি বাটিতে গাজর, ডিম এবং কফির বিন নামিয়ে রাখেন। এবার তিনি মেয়েকে উদ্দেশ্যকরে বলেন-“তুমি এখান থেকে কি বুঝতে পারলে আমাকে বল” ?মেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলে-“আমি দেখলাম তুমি গাজর, ডিম আর কফির বিন সিদ্ধ করলে মাত্র”।মেয়ের কথা শুনে মা বললেন-“হ্যাঁ, তুমি ঠিকই দেখেছ। তবে তুমি কি আরও কিছু লক্ষ্য করনি?”মেয়ে বলে-“ না- মা ”মা বলে-“গাজর মোটামুটি শক্ত ধরনের, ডিম খুব হালকা আর কফির বিন খুবই শক্ত। কিন্তুযখন এগুলিকে গরম পানিতে রাখা হল তখন তিনটি জিনিসের তিন রকম অবস্থা হল। গাজর খুব নরম হয়ে গেল, আর ডিম শক্ত হয়ে গেল আর কফির বিন সুন্দর ঘ্রান আর মিষ্টি স্বাদে পানিতে মিশে গেল”। মা এবার দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যেন অনেক অতীতে চলে যেতে চাইলেন। তারপর আবার বাস্তবে ফিরে এসে মেয়ের দিকে ফিরে বললেন “আমি তোমাকে এখন যে কথাগুলি বলব, আমার মাও ঠিক এইভাবেই আমাকে এ কথাগুলি বলেছিল।আমি জানিনা কথাগুলি তোমার কতটুকু উপকারে আসবে, তবে আমার জীবনকে অনেক প্রভাবিত করেছিল”।

 

মা কিছুক্ষন বিরতি দিয়ে বলতে লাগলেন-


“তুমি যদি তোমার স্বামীর বাড়িতে নিজেকে কঠিনভাবে উপস্থাপন কর, তবে প্রতিকূল পরিবেশের সাথে তোমার সংঘর্ষ হবে- তোমাকে দুর্বল করে ঠিক গাজরেরমতই নরম করে ফেলবে- তোমার ব্যক্তিত্বকে ভেঙে ফেলবে। যদি তুমি নিজেকে নরম-ভঙ্গুর করে উপস্থাপন কর তবে প্রতিকূল পরিবেশ তোমাকে কব্জা করে ফেলবে, আঘাতের পর আঘাত এসে তোমার হৃদয়কে একসময় কঠিন করে ফেলবে ঠিক ডিমের মত। কিন্তু তুমি যদি তোমার ভালবাসা দিয়ে নিজেকে প্রতিকূল পরিবেশেরসাথে মিশিয়ে দিয়ে তার অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে পার তবে পরিবেশ সুন্দরহয়ে উঠবে ঠিক যেমন কফির বিন গরম পানির সাথে নিজেকে মিশিয়ে দিয়ে পানিকেসুস্বাদু আর চারপাশকে মিষ্টি ঘ্রানে ভরিয়ে দিয়েছে”।


পরের দিন যখন মেয়েটি তার স্বামীর বাড়িতে যাচ্ছিল তখন তার ভিতর এক আশ্চর্য শান্ত ভাব আর এক দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ পাচ্ছিল। আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি সবসময় অনুকুল থাকবেনা, তাই বলে নিজেকে পরিস্থিতির কাবু না করে র্ধৈয্য ,ভালবাসা, সহমর্মিতা নিয়ে পরিস্থিতিকে কাবু করতে হবে!!


পারিবারিক শিক্ষা ভীষণ রকমের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।


#𝑪𝒐𝒍𝒍𝒆𝒄𝒕𝒆𝒅

তুমি অন‍্য কারো জানার আগেই তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি।


 #তুমি অন‍্য কারো জানার আগেই তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি।যখন জানতে পারলাম তুমি অন‍্য কারো ভালোবাসার মানুষ,সাত পাকের বাঁধনে,জন্ম জন্মান্তরের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তখন ভালোবাসাকে গলা টিপে হত‍্যা করি কিভাবে?আর ভালোবাসার আত্মহত‍্যা!সেটা কি সম্ভব!

না,সম্ভব নয়।

ভালোবাসা যে আইন কানুন ব‍্যারিকেড কিছুই মানে না।

আমিও যে সামাজিক দায়বদ্ধতার ঘেরাটোপে এক দক্ষ অভিনেতা,সুসম্পর্কের অভিনেত্রী,চলুক অভিনয় আপন ছন্দে।

আমি না হয় কল্পনাতেই তোমায় ভালোবেসে সুখী হই। একটা ছোট্ট কুঁড়েঘরে আমাদের ছাই রং এর সংসার,তুমি আমি মুখোমুখি হাতের ওপর হাত রেখে চোখে চোখ রেখে স্বপন দেখি।

তোমাকে কোনোদিন পাব না জেনেও সহস্রবার আমি মনে মনে বলে উঠি "ভালোবাসি"।

ঐ মায়াচোখে চোখ রেখে কোনোদিনবলা হয়ে ওঠেনি আমি তোমায় ঠিক কতোটা ভালোবাসি,আমি ঠিক কতোটা তোমার মায়ায় বাঁচি।

বলা হয়নি,হয়তো হবেও না।

তবে...

আমার মনের ভেতর তৈরী হওয়া উষ্ণ প্রস্রবণে যেদিন অবগাহন করবে অনুভূতিতে নিমজ্জিত হয়ে,তুমি উতলা হয়ে,হন‍্যে হয়ে খুঁজবে,আমার বিশ্বাস আমি যে নিখাদ ভালোবাসা স্তরে স্তরে তোমার জন‍্য রচনা করেছি তা একদিন তোমায় স্পর্শ করবে।ক্লান্ত পথিক যেমন একটু শীতল জলে তপ্ত গলা ভিজিয়ে শান্তি পায় তেমনি তুমিও শান্তি খুঁজবে আমার মধ‍্যে।

একবার কথা বলার জন‍্য,একটিবার দেখার জন‍্য  ছটফট করবে।

কিন্তু...

সময় যে ধরে রাখা যায় না,চাইলেও হারিয়ে যাওয়া মানুষকে ফিরিয়ে আনা যায় না।তোমার সাথে কথা বলার জন‍্য আমি যেমন ব‍্যাকুল হই,তেমনি তুমিও হবে।আমার যোগ‍্যতা বলতে আমি শুধু উজাড় করে ভালোবাসতে পারি।

আর যে কিছুই পারিনা।

শিউলির মতো ফুরিয়ে যাওয়ার আগে আমায় তুমি কুড়িয়ে নিও প্রিয়।

✍হৃদয়ের ছোঁয়া🌻

_কিছু মানুষের জীবন তাসের ঘরের মতো..!


 _কিছু মানুষের জীবন তাসের ঘরের মতো..! ভাঙ্গা স্বপ্ন, ভাঙ্গা মন আর ভেতরে ভেতরে ভেঙেচুরে গুঁড়ো গুঁড়ো হওয়া উপরে এক আস্ত মানুষ..! 

রংহীন, স্বপ্নহীন, মায়াহীন জীবন টা বয়ে বয়ে ক্লান্ত হয়ে নেতিয়ে গিয়ে আবার শক্ত হয়ে সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ানো যার প্রতিদিনের রুটিন..! বিশুদ্ধ বাংলায় আমরা তাদের বলি খাঁটি সুখী মানুষ.!

এই মানুষ গুলোর জীবনে ঋতু তো বদলায় কিন্তু বসন্ত আসে না। দিন তো হয় কিন্তু সূর্য ওঠে না। রোজ নিয়ম করে সকাল তো হয় কিন্তু সেই সকালে শিউলি ফোটে না। সোনা রোদে মনের উঠোন ঝলমল করে চমকে ওঠে না..! চৌকাঠে সুখ এসে বাসা বাঁধে না।

এই মানুষ গুলো রাস্তার পাশে অযত্নে বেড়ে ওঠা নয়নতারা বা অন্য ফুলগুলোর মত.! অযত্নে ধূলো জমে গেলেও বেড়ে ওঠে নিজের নিয়মে.! যত্ন না পেলেও সৌন্দর্য বিলাতে ভোলে না.! 

রেল লাইনের পাশে যুগের পর যুগ মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বকুল , কৃষ্ণচূড়া বা শিমুল গাছের মত..! ঝড় ঝাপটা যতই হোক - নিজে ভেঙে গিয়েও অন্যকে ছায়া দিয়ে ভোলে না.!

এই মানুষ গুলো কখনও আকাশের মত দূর থেকে সঙ্গ দেয়, কখনও পাহাড়ের মত ঢাল হয়ে দাঁড়ায়, আবার বৃষ্টি হয়ে শীতল করে যায় মনমরা দিন গুলোতে..! কারণে অকারণে এই মানুষগুলো রোদের মত হাসতে জানে.! তুমি ওদের দুঃখ টের পাবে না..!

তবে আঘাত পেলে বা দরকার হলে এরাই আবার বিধ্বংসী হতে জানে.! তুফান হয় তোলপাড় করে দিতে জানে.! আগলে রাখা থেকে পিষে ফেলতে জানে.! এরা যতটা ভালবাসতে জানে ততটা ঘৃণা করতে জানে.! কাছে টানতে জানলে তাকে নিমিষে দূরে ঠেলতে জানে.!

এরা আঘাত সহ্য করতে জানে তবে বেইমানি না.! ভুল ক্ষমা করলেও বিশ্বাস ঘাতকের ক্ষমা নেই এদের কাছে.! এদের জীবনে বেঈমানের না থাকে কোনো জায়গা আর না তো কোনো অস্তিত্ব.! এই মানুষ গুলোর ঘৃণা আর ভালোবাসা দুটোই অদ্ভুত রকমের ভয়ংকর সুন্দর...... 😊❤

Saturday, November 9, 2024

কাউকে তোমার পৃথিবী বানানোর আগে অনেক বার ভেবে নিও।


 কাউকে তোমার পৃথিবী বানানোর আগে অনেক বার ভেবে নিও। একটা মানুষ কখনোই তোমার পৃথিবী হতে পারেনা, হওয়া সম্ভব না !!

ভেবে দেখো, এই পৃথিবীর পুরোটাই জল হলে তুমি ভেসে যেতে, পুরোটাই স্থল হলে তুমি তৃষ্ণায় মরে যেতে, সব কিছুতে ব্যালেন্স লাগে !!

শুধু চা-পাতা দিয়ে চা হয় না, শুধু চিনি দিয়েও চা হয় না, দুটোই লাগে পরিমিত পরিমাণে লাগে। তোমাকে পরিমানটা বুঝতে হবে, কতটুকু তুমি দিচ্ছো একটা মানুষকে? কতটুকু দেয়া দরকার?

প্রশ্ন করো নিজেকে, সময় থাকতেই প্রশ্ন করো!! ভালো লাগা থাকবেই, ভালো লাগা মানুষকে অন্ধ করে দেয়, অন্ধ মানুষ একটা হাত পেলেই তাকে ভরসা করতে শুরু করে। সে জানে না, ঐ হাতটা তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে নাকি মাঝপথে ছেড়ে চলে যাবে !!

অন্ধ মানুষটা মাঝে মাঝেই হেরে যায়, বিশ্বাস করে, ভরসা করে হেরে যায়। চোখ থাকার পরেও অন্ধ হয়ে হেরে যেও না। এই পৃথিবী হেরে যাওয়া মানুষদের মনে রাখে না !!

কাউকে পুরো পৃথিবী বানিয়ে ফেলো না,

কাউকে পুরো পৃথিবী দিয়ে ও ফেলো না,

এক আকাশ সমান ভালোবাসা দেয়ার আগে ভেবে নিও, এক আকাশের নিচে তারা গোনার স্বপ্ন দেখে ছিলে যে মানুষটার সাথে, সেই মানুষটা থাকবে তো? হয়তো এক দিন মানুষটা তোমার ঐ আকাশ টাও চুরি করে নিয়ে চলে যাবে, তোমার বুকের ভেতর জমে থাকা মেঘগুলো কিন্তু তখনো রয়ে যাবে !!

সেই মেঘ ঝরে ঝরে সমুদ্র সমান অশ্রু হবে, সেই সমুদ্রের তীরে তুমি একা দাঁড়িয়ে থাকবে, তুমি টের পাবে, তোমার আকাশ বিহীন পৃথিবীতে তুমি ভীষণ ভীষণ একা, কারণ একটা মানুষকে পুরো পৃথিবী বানানোর সময়টাতে অন্য মানুষ গুলোকে তুমি নিজের অজান্তেই সরিয়ে দিয়েছিলে অনেক দূরে, অনেক অনেক দূরে !!

নিজের "সব" কাউকে দিয়ে দিতে হয় না, "কিছু" দিতে হয়, ঐ "কিছু" নিয়ে কেউ চলে গেলে কিছু থেকে যায়, বাকি কিছুকে আকড়ে ধরে বাঁচা যায়, সব নিয়ে কেউ চলে গেলে, শুধু শূন্যতা থেকে যায়, শূন্যতা আকড়ে ধরে বাঁচা যায় না।

একদম বাঁচা যায় না !


সংগৃহীত


For HUAWEI Watch Pro GPS NFC Smart Watch Men 360*360 AMOLED Screen Heart rate Bluetooth Call IP68 Waterproof Man Smartwatch 2025

  Specifications Hign-concerned Chemical None Battery Life 3Day Voice assistant built-in YES Bluetooth-compatible Version 5.3 Metrics measur...