‘প্রজাপতি, প্রজাপতি, কোথায় পেলে ভাই
এমন রঙিন পাখা’। এই গানটি নিশ্চয়ই সবাই
জানেন। আর প্রজাপতি নামের ছোট্ট
প্রাণীটিকেও নিশ্চয়ই সবাই চিনে থাকবেন।
প্রজাপতি এত সুন্দর যে এটি সবারই চোখের
নজর কাড়তে বাধ্য। বিশেষ করে এর রঙ
বেরঙের পাখাগুলো। কি যে সুন্দর দেখতে।
আবার যারা এর পাখাগুলো হালকাভাবে হাত
দিয়ে স্পর্শ করেছেন তারা হয়ত খেয়াল করে
থাকবেন এই ছোট্ট ছোট্ট পাখাগুলো থেকে রঙ
হাতে লেগে যায়। আমরা প্রজাপতিকে হয়ত
সাদা চোখে সবাই চিনি কিন্তু এর সম্পর্কে
এমন ১০ টি বিষয় রয়েছে যা আমরা কেউই
জানি না।
১. প্রজাপতির পাখাগুলো বেশ স্বচ্ছ হয়ে থাকে :
আপনারা খেয়াল করে দেখবেন প্রজাপতির
পাখাগুলো বেশ স্বচ্ছ হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব
ধরনের পোকামাকড়ের মধ্যে প্রজাপতিই সবচেয়ে
রঙিন এবং স্পন্দনশীল। প্রজাপতির পাখাগুলো
আসলে এক ধরনের চিটিন নামক প্রোটিনের স্তর
দিয়ে তৈরি যেগুলো প্রাণীটিকে উড়তে সহায়তা
করে। এই স্তরগুলো এত পাতলা যে এর ভেতর দিয়ে
সবকিছুই দেখা যায়। হাজার হাজার হালকা তুলার
মত পদার্থ স্বচ্ছ চিটিনের চারপাশে বেষ্টন করে
থাকে যেগুলোকে আলো পড়লে তা প্রতিফলিত হয়ে
বিভিন্ন রঙের তৈরি করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে
এই হালকা তুলার মত পদার্থগুলো পাখা থেকে খসে
পড়ে যায় এবং একসময় পাখাগুলোর উজ্জ্বলতা
হারিয়ে যায়।
২. পা দিয়ে স্বাদ গ্রহণ :
প্রজাপতি তার পা গুলো
দিয়ে কোনোকিছুর স্বাদ
গ্রহণ করে থাকে। পা
গুলোকে ব্যহার করে সে
কোনো উদ্ভিদ বা বিভিন্ন
খাবার খুঁজে বেড়ায়। মেয়ে
প্রজাপতি বিভিন্ন গাছের
উপরে বসে এবং দুই পা দিয়ে
কোনো ফুলকে জড়িয়ে ধরে
এর রস আস্বাদন করে থাকে।
প্রজাপতির পা গুলোর উপরে
মেরুদন্ডের কাছে একটি
কেমোরেসিপটরস থাকে যা
বিভিন্ন গাছের রাসায়নিক
পদার্থের কোনো মিল খুঁজে
পেলে সেখানে সে তার
ডিমগুলো স্থাপন করে যায়। এভাবে পা দিয়েই
তারা বিভিন্ন খাবারের এবং তাদের বাসস্থানের
স্বাদ গ্রহণ করে থাকে।
৩. তরল খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে :
প্রাপ্ত বয়স্ক প্রজাপতি সবসময় তরল জাতীয় খাবার
যেমন মধু খেয়ে থাকে। এরকম তরল খাবার ছাড়া এরা
কঠিন খাবার খেতে পারে না। তাদের মুখে হাতির
শুঁড়ের মত এক ধরনের নলাকার বস্তু থাকে যা দিয়ে
তারা বিভিন্ন গাছের বা ফুলের মধু খেয়ে থাকে
এবং এভাবেই জীবন ধারণ করে থাকে।
৪. গুটিপোকার ক্ষেত্রে হাতিশুঁড়কে কাজে লাগায় :
একটি প্রজাপতি স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন মধু খেয়ে
থাকে। কিন্তু নতুন বয়সে মাঝেমাঝেই সে
গুটিপোকাকেও আক্রান্ত করে। এক্ষেত্রে তার মুখটি
দুটি অংশে ভাগ হয়ে যায়।
৫. প্রজাপতি কাদাখানা থেকেও পান করে থাকে :
প্রজাপতি শুধু মধু খেয়ে বাঁচতে পারে না এদের
কিছুটা মিনারেলেরও প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই মধু
আহরণের পাশাপাশি মাঝে এটি কাদাখানাতেও
চুমুক দিয়ে থাকে যেটিতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল
এবং খনিজ লবণ থাকে। এই কাজটি বেশিরভাগ সময়ে
পুরুষ প্রজাপতিটি করে থাকে কেননা এই মিনারেল
তাদের স্পার্ম তৈরিতে সহায়তা করে। প্রজননের
সময় এই মিনারেল স্ত্রী প্রজাপতির দেহে
স্থানান্তর হয় যার ফলে এদের ডিমের
কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে তোলে।
৬. ঠান্ডা মৌসুমে প্রজাপতিরা উড়তে পারে না :
প্রজাপতিদের স্বাভাবিকভাবে উড়তে ৮৫ ডিগ্রি
ফারেনহাইট তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এটি
একটি শীতল রক্তযুক্ত প্রাণী, এর ফলে তারা তাদের
দৈহিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না।
এজন্য পরিবেশের তাপমাত্রা তাদের শরীরের
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
বাইরের তাপমাত্রা যদি ৫৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের
নিচে থাকে তাহলে তারা নড়াচড়া করতে পারে না
এমনকি তারা তাদের আহার সংগ্রহে যেতেও পারে
না। তাপমাত্রা ৮২-১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের
মধ্যে থাকলে প্রজাপতি খুব সহজেই চলাফেরা করতে
পারে। শীত মৌসুমগুলোতে প্রজাপতিদের
চলাফেরার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের তাপের
প্রয়োজন হয়।
৭. নতুন জন্মগ্রহণ করা
প্রজাপতি উড়তে পারে না :
নতুন জন্মগ্রহণ করা
প্রজাপতির গায়ের সাথে এর
পাখাগুলো লেগে থাকে।
কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে
হয় তার সারা দেহ শুষ্ক
হওয়ার জন্য। পাখাগুলোকে
ছড়িয়ে দিয়ে গুটিপোকা
সাহায্য করে থাকে। তার
পাখা পুরোপুরিভাবে খুলে
যাওয়ার পরে সে
প্রথমবারের মত উড়তে
পারে।
৮. ২-৪ সপ্তাহ বেঁচে থাকে :
একটি প্রজাপতির আয়ুস্কাল
মোটামুটিভাবে ২-৪ সপ্তাহ। এতটুকু সময়ের মধ্যে
তারা শুধুমাত্র দুটি কাজই করে থাকে খাওয়া এবং
প্রজনন করা। এদেও মধ্যে নীল রঙের ছোট
প্রজাপতিগুলো মাত্র কয়েকদিনই বেঁচে থাকে।
৯. এরা অদূরদর্শী হয়ে থাকে :
১০-১২ ফুটের মধ্যে প্রজাপতিরা সচরাচর দেখতে
পারে, এর বেশি দেখতে পারে না। এরা বড় বড়
কাজের ক্ষেত্রে চোখগুলোকে কাজে লাগায় যেমন
সঙ্গী খোঁজা, খাবার সংগ্রহ ইত্যাদি। এছাড়া
প্রজাপতি অতিবেগুণী রশ্মিও এমন একটি পরিসীমা
দেখতে পায় যেটি মানুষ দেখতে পারে না।
১০. খাবার সংগ্রহে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ :
প্রজাপতিরা তাদের খাবার সংগ্রহে একসাথে দল
বেঁধে গমন করে থাকে। কোনো ধরনের আক্রমণ থেকে
রক্ষা পাওয়ার জন্য এরা মাঝেমাঝে এদের
পাখাগুলোকে গুটিয়ে রাখে। আবার কোনো কোনো
ক্ষেত্রে এরা এদের পাখার রঙও পরিবর্তন করে
থাকে।
Saturday, January 23, 2016
প্রজাপতি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
প্রকৃত পুরুষের কাছে একজন রমণীর মূল্যায়ন।
💘প্রকৃত পুরুষের কাছে একজন রমণীর মূল্যায়ন। 🌻 বেশিরভাগ পুরুষই তাদের মায়ের কাছ থেকে ভালোবাসা পাননি, তাই তারা অবচেতনভাবেই নারীদের মাধ্যমে সে...

-
তোমাকে ছাড়া হয়তো বেঁচে থাকতে পারবো, ,,,, কিন্তু , কখনো সুখে থাকতে পারবো না,। ভেবো না, তাই বলে তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ,,,,,,,,,,,,,,...
-
আজ সত্যিই আমি অপরিচিত নিজের কাছে হারিয়ে ফেলেছি আমি, আমার আমি কে ছোট্ট কিছু স্বপ্ন ছিল বাস্ততা স্বপ্ন গুলো কে বদলে দিল আজ কষ্ট হচ্ছে না...
No comments:
Post a Comment