Tuesday, November 22, 2016

আমি তোমাকে ভালোবাসি Post BY tuhin

"আমি তোমাকে ভালোবাসি" কথাটা খুব হালকা
নয়।
 কিছুদিন চোখে চোখ রেখে, হাত ধরে, স্বপ্ন দেখেই
বলে ফেলা যায়না - আমি তোমাকে ভালোবাসি।
প্রথম ভালো লাগা, প্রথম দেখা, প্রথম স্পর্শ
এসব ভালোবাসার দিকে চলে যাওয়া বিভিন্ন
রাস্তা ছাড়া আর কিছুই নয়।
একদিন সব রাস্তা মিলে গেলো, যোগ হলে
একখানে।
সেইখানে দাঁড়িয়ে যদি কাউকে বলা হয়- আমি
তোমাকে ভালোবাসি।
ঐ ভালোবাসা ফেরানোর শক্তি কোন মানুষের নেই।
এমনও হয়, কখনো খুব চেষ্টা করেও মুখ ফুটে বলতে
যায় না ভালোবাসার কথা,
অথচ ভেতরে একটা পাখি প্রচন্ড অস্থিরতায় ছটফট
করে।
 এই পাখিটা কোন পাখি? এই পাখিটা মনপাখি।
একটা মনপাখি পোষার জন্য যথেষ্ট আকাশ আমাদের
বুকে নেই, তাই এত কষ্ট।

জীবনের কাছে হেরে গেলাম Post BY. তুহিন

আজ সত্যিই আমি অপরিচিত নিজের কাছে
হারিয়ে ফেলেছি আমি, আমার আমি কে
ছোট্ট কিছু স্বপ্ন ছিল বাস্ততা স্বপ্ন গুলো কে
বদলে দিল
আজ কষ্ট হচ্ছে না , দুঃখও নেই আমার ,
না হয় হেরে গেলাম জীবনের কাছে এই তো ??
একদিন আমিও তোমার কাছে স্মৃতি হয়ে যাবো
ভুল করেও হয়তো মনে পরবে না ,
ভাববে না কোন একজন ছিল
যে তোমায় তার পৃথিবী ভাবতো ,
হয়তো কিছু পুরনো স্মৃতি ভেবে
হাজারো নতুন স্মৃতির চাঁদরে ডেকে দেবে আমাকে
কষ্ট নেই তুমি ভুলে যাবে আমায়
হয়তো বাস্তবতা তোমায় বদলে দিয়েছে
তুমি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখে গেছ ।
সত্যিই তোমার তুলনা তুমি
খেলেছ আমার আবেগ গুলো নিয়ে
বদলে দিয়েছ কষ্টের রং দিয়ে আমার সোনালি
স্বপ্ন গুলো ।
তবুও তুমি ভালো থেকো
যতটা ভালো থাকলে আর আমায় মনে পরবে না

Wednesday, August 24, 2016

পল্লী কবি জসিম উদ্দিন

জসীম উদ্দীন (জানুয়ারি ১, ১৯০৩ - মার্চ ১৩, ১৯৭৬) একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি। তিনি বাংলাদেশে 'পল্লী কবি' হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখা কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান। পুরো নাম জসীম উদ্দীন মোল্লা হলেও তিনি জসীম উদ্দীন নামেই পরিচিত।
জীবন বৃত্তান্তঃ
তিনি ১৯০৩ সনের পহেলা জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার বাড়ি ছিলো একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট। জসীম উদ্দীন ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল, ও পরবর্তীতে ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে পড়ালেখা করেন। এখান থেকে তিনি তার প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১৯২১ সনে উত্তীর্ন হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. এ. এবং এম. এ. শেষ করেন যথাক্রমে ১৯২৯ এবং ১৯৩১ সনে। ১৯৩৩ সনে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী পদে যোগদেন। এরপর ১৯৩৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৯ সনে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন।
তিনি ১৩ মার্চ ১৯৭৬ সনে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাকে তার নিজ গ্রাম বিমলগুহে সমাধিস্থ করা হয়।
রচনাবলীঃ
কাব্যগ্রন্থ
রাখালী (১৯২৭)
নকশী কাঁথার মাঠ (১৯২৯)
বালু চর (১৯৩০)
ধানখেত (১৯৩৩)
সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৪)
হাসু (১৯৩৮)
রঙিলা নায়ের মাঝি(১৯৩৫)
রুপবতি (১৯৪৬)
মাটির কান্না (১৯৫১)
এক পয়সার বাঁশী (১৯৫৬)
সকিনা (১৯৫৯)
সুচয়নী (১৯৬১)
ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে (১৯৬২)
মা যে জননী কান্দে (১৯৬৩)
হলুদ বরণী (১৯৬৬)
জলে লেখন (১৯৬৯)
কাফনের মিছিল (১৯৮৮)
পুরস্কারঃ
প্রেসিডেন্টস এওয়ার্ড ফর প্রাইড অফ পারফরমেন্স ১৯৫৮
একুশে পদক ১৯৭৬
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ১৯৭৮ (মরণোত্তর)
১৯৭৪ সনে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট ডিগ্রি (১৯৬৯

Monday, August 15, 2016

হতভাগা কপাল পোড়া আমি

হাসো! হাসো না কেন? আমিই তো হাসির
পাত্র!
যত খুশি হেসে ছুড়ে ফেলে দিও যত্র-তত্র!
যেথায় খুশি ফেলে দিও, কি বা যায় আসে
তাতে?
আর আমি বিরক্ত করবনা দিনে কিংবা রাতে।
মানুষ হিসাবে যেটুকু ছিল প্রাপ্প মুল্যায়ন-
অনেক পেয়েছি, তাতেই আমার ভরে গেছে
দুনয়ন!
কি নির্বধ আমি! অধিকারের সীমা করে
অতিক্রম-
কি পেলাম আমি? পরিশেষে হল আমার
মতিভ্রম!
ভুলেই গেছিলাম, চাওয়া-পাওয়া কিছু থাকতে
নেই আমার,
তাই তো মাত্রা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছি
বারংবার!
“কি বলছো! এতে আমার হয়ে কিছু বদনাম?
হাসালে! আমার ছিল এক্টা কাগজের থেকেও
কমদাম!”
ভুল! ভুল! কিছুই যে আমি বুঝতে পারিনি তখন,
বড় দেরি হয়ে গেল, ভুল্টা বুঝতে পারলাম যখন!
না না! ভয় নেই! আজ এর কাউকে দোষ দেব না
আমি,
কতখানি কষ্ট পেয়েছি তা হানি আমি এর
অন্তর্যামি!
কি হল? হাসছো না? আমি তো রয়েছি বহুদূরে,
ভয় নেই! তোমাদের জ্বালাতে আমি আসবনা এর
ফিরে!
এক্টু তো হাসো! যাবার আগে দেখি তোমের
হাসি মুখ,
আমার কপালে হয়ত তা জমা রবে হয়ে কিছুটা
শুখ!
খুব ভাল লাগ্লো যখন জান্লাম তুমিও নও
ব্যতিক্রম,
আগেই যদি বুঝতাম তবে হয়ত হত না এই বৃথাশ্রম!
দাড়াও, এক্টু হেসে নেই! এটুকু সময় তো অন্তত
দেবে?
আমি কষ্ট পাই না পাই, তুমি তো নিশ্চই আনন্দ
পাবে!
আজ বুঝলাম আমি আমার সীমা করেছিলাম
লঙ্ঘন,
তাই তো চলে যাচ্ছি ছিন্ন করে সকল বাঁধন!
ভেবনা! আজ এর আমার মনে জমা নেই কোন
ক্ষোভ,
কন পরিতাপ নেই, দুঃখ নেই, এর নেই কোন লোভ!
অনেক চেষ্টা করেও যখন বঝাতে পারলাম না
তোমায়,
এক্টু এক্টু করে তখন পার হয়ে গিয়েছে সময়!
পোড়া কপাল! হতভাগা আমি! বুঝতে পারিনি
কিছুই,
অহেতুক আস্ফালন করে করে কষ্ট দিয়েছি শুধুই!
তাও ভাল, দেরি হলেও ভেঙ্গে গেছে আমার
ভুল,
কি আসে যায়, কন্টা হল অনুকূল অথবা প্রতিকূল?
আজ কেন পরছে মনে তোমার কথা ক্ষনে ক্ষনে?
এতটুকু জায়গা যখন করতে পারলাম না তোমার
মনে!
দেখ তো কান্ড! শুধু শুধু সময় করছি নষ্ট-
ব্যবধানের দেয়াল গড়ে উঠেছে দেখতে পেলাম
স্পষ্ট!
একদিন আমি ঘুমিয়ে যাব উঠব না আর জেগে,
ভালই হবে, তখন তুমি মুখ কালো করবেনা রেগে!
অনেক বেশি চেয়েছিলাম সীমা গিয়েছিলাম
ছাড়িয়ে,
আজ তাই চলে যাচ্ছি তোমার জীবন থেকে
হারিয়ে!
বিদায় কালে এক্টা কথা বলে দিতে চাই
তোমায়,
শেষ অনুরোধ টা রেখ, ভুল বুঝ না আমায়!

Sunday, August 14, 2016

স্বামী স্ত্রী র জন্য গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট

মা | স্বামী | স্ত্রী | শাশুড়ী
পড়া শেষে শেয়ার করুন...
.
-হুজুর! “বউ হারালে শ টা বউ পাওয়া যাবে, কিন্তু মা হারালে আর পাওয়া যাবে না”-কথাটি কতটুকু সঠিক?
.
-বৎস! কথাটি বাহ্যিকভাবে খুবই সঠিক মনে হলেও এরকম বলা অত্যন্ত খারাপ এবং শয়তানী মস্তিষ্কপ্রসূত। তোমার স্ত্রী কিন্তু তোমার সন্তানের মা। সুতরাং, প্রত্যেক স্ত্রীর ভেতরেই একজন মা লুকিয়ে থাকেন। আরেকটা কথা, মায়ের প্রয়োজনীয়তা পূরণে অনেক সময় তোমার আরো ভাই-বোন আছেন, কিন্তু স্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা পূরণে তুমি একজনই।
#০২
-কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, মা নাকি বউ?
-দুজনের মধ্যে compare করাটাও শয়তানের কাজ। মা হচ্ছেন তোমার কলিজা আর স্ত্রী হচ্ছেন তোমার হার্ট। এবার বলো- “কলিজা” আর “হৃদয়ের” মধ্যে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ? শুনো, দুজনের কাউকেই অখুশি রেখে পরকালে মুক্তি পাবে না।
'
#০৩
-হুজুর! তাহলে আমাদের পরষ্পরে কী রকম আচরণ হওয়া উচিত?
-তুমি স্ত্রীর সাথে এমন আচরণ করবে, যে আচরণ তোমার বোনের সাথে তার স্বামীর থেকে আশা করো। জননী এমন আচরণ করবেন, তোমার বোনের সাথে তার শাশুড়ি থেকে যে রকম আচরণ আশা করেন। আর তোমার স্ত্রীর উচিত শাশুড়ির সাথে এমন আচরণ করা, যে আচরণ তিনি আপন ছেলের বউ থেকে তিনি আশা করেন। স্বামীর পরিবারের লোকের সাথে এমন আচরণ করা উচিত, যা তার ভাইয়ের বউয়ের কাছ থেকে আশা করেন।
☆শুনো, বৎস! স্রষ্টার দেয়া নির্দিষ্ট কক্ষপথে চললে সৃষ্টিসমূহ কখনোই মুখোমুখি হবে না। ইনশাআল্লাহ।
:
#০৪
স্বামীদের বলছি,
নিজ স্ত্রীকে রাগ দিয়ে নয় সুন্দর আচরণ আর ভালবাসা দিয়ে মন জয় করুন।
নিজের চরিত্র আর নবীজির সুন্নাত দিয়ে তাকে অাকৃস্ট করুন।
ভুল না ধরে মন, মগজ ও সুন্দর পরিস্থিতি বুঝে আপ্নি যেভাবে খুশি হোন সেভাবে বুঝানোর চেষ্টা করুন।
নিজের মা এবং স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা বাড়াতে সাহায্য করুন, অগ্রনি ভূমিকা পালন করুন।
যখন বাজারে যাবেন তখন বাড়ি আসার আগে কিছু হাদিয়া স্ত্রীর জন্য আনুন। স্ত্রী যা পচ্ছন্দ করে সেটা আগে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
আল্লাহর হুকুম পালনে স্ত্রীকে উৎসাহ প্রদান করুন, পরকালের ভয়, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা স্পস্টরুপে উপস্থাপন করুন।
মনে রাখবেন!
লেবু যতো চাপ দিবেন ততোই এর স্বাদ নস্ট হবে, স্ত্রীর ভুল যতো ধরবেন, যতো রাগ করবেন ততোই সাংসারিক কলহ বাড়বে, বরং বেশি বেশি স্ত্রীকে ছাড় দিন। রাগ দিয়ে নয় স্ত্রীকে ভালবাসা দিয়ে জয় করুন।
:
#০৫
আর একটি কথা
দ্বীনদার সঙ্গী মানেই শুধু একসাথে দ্বীন মানা, নফল পড়া, তাহাজ্জুদে ডেকে দেয়া...
যারা শুধুই এই ধারনা নিয়ে আছেন, তারা এখনো কল্পনার আকাশ থেকে নিচে নামতে পারেননি।
নিউলি ম্যারিড ফেবু সেলিব্রিটির 'খুন'শুটি মার্কা পোস্ট দেখে পুরো জীবনের বাস্তবকে অনুরূপ মনে করে বসা বোকামি।
নতুন দম্পতির পোস্ট আবেগের জোয়ারে ভাসবে এটাই নিয়ম। কিন্তু ইহাই সারাজীবনের বাস্তবতা নয়।
শুধুই স্বপ্নের পশরা নিয়ে বাস্তবে নামলে হোঁচট খাবেন।
..........
একটা সংসার। দু'জনের। দু'টি 'মানুষ', আবার বলছি, "মানুষ"।
তাদেরও মানবীয় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে; তারা পাশাপাশি থাকলে বছরের পর বছর বাংলা সিনেমার মত জীবন চলবে না।
ধরুন; হয়ত, প্রচন্ড ব্যাস্ততায় আপনার একবেলা জামাত ছুটে গেছে ;
আপনি নিজেই প্রচন্ড মনঃক্ষুণ্ণ ; সে হয়ত এটা নিয়ে অনুযোগ-অভিযোগ করেই বসল। তখন তার উপর একটু হলেও হয়ত আপনার বিরক্তি আসবে!
"বেশি জ্ঞান দাও ; হু? "
.......
বোন, হয়ত আপনার কোন ঝামেলার কারনে এক ওয়াক্ত নামাজে দেরি হয়েছে; কিংবা ফরজ বিধানে ত্রুটি হয়েছে, এই মুহুর্তে আপনি আসলেই খুব অনুতপ্ত থাকবেন। এমন সময় ভাই হয়ত ভাল নিয়তেই একটু কড়া ভাবে উপদেশ দিল।
তখন আপনারও একটু আঘাত লাগবে।
.......
দ্বীনদার মানুষগুলোর মধ্যে "তুমি ঐ ছেলে/মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ছিলে কেন" কিংবা " হেসে কথা বললে কেন? " এগুলো নিয়ে ঝামেলা হবার কথা নয়। কিন্তু, উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়েও অসন্তুষ্টি আসে, আসতে পারে। মাত্র ১টি নগন্য উদাহরন দিলাম।
...
এক্ষেত্রে আপনি যদি ভেবে বসে থাকেন "দ্বীনদার মানে ত্রুটিহীন /অলস্কোয়ার"
তবে আশাহত হবেন।
.
যে কোন মানুষকে দ্বীন সম্পর্কে সাহায্য করতে হলে শাসন নয়, কোমল হতে হবে।
খুব কোমলতার ইন্ডিরেক্টলি বোঝালে সেটা কড়া উপদেশের চেয়ে বেশি ফলদায়ক। কারন, মানুষ উপদেশ খুব একটা পচ্ছন্দ করেনা।
.
সহমর্মিতা & কোমলতা একান্ত জরুরি। অন্যথায় হিতে বিপরীত ঘটতে পারে।
তবে হ্যা, সকল মনোমালিন্য কিংবা মনঃকষ্টের বেলায়, আপনার দ্বীনদার সংগীটি তার ভুল বুঝতে অনুতপ্ত হবে।এটাই দ্বীনদারিতা। তবে হ্যা, তাকে যথেষ্ট ফ্যাসিলেট করুন নিজের ভুল বুঝতে। আপনি তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিলে শয়তান জয়ী হবে।
.
বিশেষত; জিহ্বার সাইজ হার্টের চেয়ে ছোট হলেও ; এটা মুহুর্তেই heart কে hurt করার বিরাট ক্ষমতা রাখে।
.
কিছু ক্ষেত্রে সবার কাছে উত্তম আখলাকের মানুষটার আচরণ ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে বিনম্র হয় না। ( কারনটা হয়ত একটু বেশি সখ্যতা কিংবা আবদার।তবে এটা কাম্য নয়।কারন পরিবারের মানুষগুলোর হক সব'চে বেশি)
.
আমাদের সকলকেই যথেষ্ট সহনশীল হতে হবে। একটা সুখী জীবনের জন্য উত্তম আখলাক এবং সহনশীলতা জরুরি।
ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ্
-সংগৃহীত এবং সম্পাদিত
কৃতজ্ঞতাঃ দীন ইসলাম

Saturday, July 9, 2016

অন্য এক তুই!!!

একটা সময় ছিলো, যখন তুই নিজেকে খুব একা ভাবতিস, তখন আমিই তোকে বলেছিলাম আমি আছি। আমিই তোর একাকীত্বের সঙ্গী ছিলাম। যখন তুই ভাবতিস তোর জীবন অমাবস্যার অন্ধকার, তখন আমিই তোর জীবনটাকে পূর্নিমার আলো দিয়েছিলাম। যখন তোর মনে কষ্টের মেঘ জমতো, আমিই তোকে আশার আলো দেখিয়েছিলাম। দুজনের দিন খুব ভালোই যাচ্ছিলো। আজ সময়ের পরিবর্তনে তুই আমাকে দূরে সরিয়ে দিলি!!! কেন???  আজ তোর সব হয়েছে তাই?? ভাবিসনা আজ সময়ের পরিবর্তনে আমাকে ভুলে গেলি, আবার হয়তো কোন সময়ের পরিবর্তনে আমায় চাইবি!! কিন্তু লজ্জা দ্বিধায় হয়তো বলতে পারবিনা। ভাবিসনা, বলিস আমি তখনো আছি। আমি ছিলাম, আমি আছি, আমি থাকবো ইনশাল্লাহ। #TuHiN

Friday, July 8, 2016

I Miss You

অসুস্থ না হলে যেমন কেউ বুঝতে পারতো
না যে সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার কত বিশাল নেয়ামত ...........
.
তেমনিভাবে একটা রিলেশনের মাঝেও যদি রাগ
অভিমান না থাকতো তাহলে তারা কেউই বুঝতে
পারতো না যে, একে অপরকে কতটা "Love" করে
এবং কতটা "miss" করে .........
.
আর প্রকৃত সম্পর্কের মাঝে রাগ অভিমানের জন্য সম্পর্ক নষ্ট হয় না, বরং একজনের জীবনে আরেকজনের জায়গাটা আরো বেড়ে যায় .........

মুক্ত আকাশের পাখি তুমি

মুক্ত করে দিলাম তোমায়
আর সেই সাথে শুরু হল ভাঙ্গন আমার...
আমার পৃথিবীতে
তোমার প্রভাব যতই থাকুক না কেন...
আমার পৃথিবীটা...
তোমায় ছাড়া যতই এলোমেলো হোক না কেন
তবুও চাইব না আর তোমায়...
আর কখনো না কোনদিন না...
এতটা স্বার্থপর হয়ে উঠতে পারিনি এখনও
যে শুধু নিজে বাঁচার তাগিদে তোমায় চাইব...
আমি নিঃশেষ হয়ে যাবার পরও যদি
তুমি ভাল থাক তবে সেখানেই আমার শান্তি......।।

Wednesday, June 8, 2016

কাজল টানা চোখে অশ্রু হাসি

আমি ক্লান্ত হয়ে তখনই তোমার বুকে আশ্রয়
চাইলাম, যখন নিদারুন আঘাতে তোমার বুকের
প্রতিটি প্রবেশদ্বার রুদ্ধ করে দিয়েছি! ঐ
কাজল টানা চোখে অশ্রুর হাসি এনে বললে- ঐ
তো সাঁঝের পাখিরা আমায় ডেকে চলেছে, আমায়
যে ফিরতে হবে!
তুমি চলে গেলে,
আস্তে আস্তে মিশে গেলে আধারের মাজে......!
ক্লান্ত চোখ অশ্রুভারে চোখের
পাতা মিশিয়ে দিল। নিজেকে ফিরে পাই-
দেখি কোথাও কেও নেই! আধারের
মাঝে একা দারিয়ে!
"বন্ধু গো যেয়ো ভুলে-
প্রভাতে হবে যে বসি, সন্ধায় রেখনা সে ফুল
তুলে"

Saturday, April 23, 2016

ভালোবাসি শুধু তোমাকে

ভালবাসা সে তো ছোট্ট একটা শব্দ
কিন্তু তার ব্যাখা করে শেষ করা সম্ভব হবে না..
ভালবাসা মানে কাছে পাওয়া তা
সঠিক না....
অনেকেই আছে যারা দূর থেকে
ভালবাসতে পছন্দ করে....
ভালবাসা মানে নোংরামি না....
ভালবাসা মানে যদি সে
কাছে নাও থাকে তাহলে তার
অনুভুতিগুলো ফিল করা.... ভালবাসা মানে দিনে
১০০ বার
I love u বলা তা না.... ভালবাসা হচ্ছে তাকে নিজের চেয়ে বেশি বিশ্বাস করা.... ভালবাসার মানুষের কাছে কিছু
আশা করতে পারা যায় না...
বরং তার ছোট্ট
গিফট গুলোকে অনেক বড় করে
দেখা...
ভালবাসা মানে আবেগের বসে
তার সাথে চুম খাওয়া, তার সাথে রুম ডেট করা তা না...
ভালবাসা হচ্ছে তার সবচেয়ে
বড় বিপদের সময় তার হাতে হাত রেখে বলা "কিছু চিন্তা কর না সব ঠিক হয়ে যাবে"
ভালবাসা মানে তার একটু অবহেলায় তাকে ভুলে যাবে তা না...
ভালবাসার মানে
হচ্ছে তার জন্য সারাটা জীবন প্রতিক্ষা করা...
ভালবাসার মানে এইটা না যে দুইজন দুইজনকে ভালবাসতেই হবে ...
ভালবাসা মানে নিজেকে এমন কিছু করতে হবে যেন সে
নিজেই তাকে ভালবাসি বলবে...
ভালবাসা মানে যে শুধুই KFC তে নাস্তা করাতে হবে তাই না...
ভালবাসা হচ্ছে রাস্তার
পাশে একপ্লেট ফুচকা ভাগাভাগি করে খাওয়া..
ভালবাসা মানে তার সম্বন্ধে সব সময় পজেটিভ চিন্তা করা... ভালবাসা মানে তার সাথে সারাজীবন এক ছাদে
কাটিয়ে দেয়া....
ভালবাসা মানে হচ্ছে তার এক
ঝলক দেখার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকা....
ভালবাসা মানে তার একটা
মুচকি হাসি দেখে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে
সুখী মানুষ মনে করা...

Thursday, April 7, 2016

কষ্ট বুঝলেনা By তুহিন

পৃথিবীতে একদল মানুষের জন্মই হয় শুধু 'স্যাক্রিফাইস"
করার জন্য... এরা সবার কষ্ট বুঝলেও এদের কষ্ট'টা
কেউ বোঝেনা.. মানুষগুলো সবার জন্য স্যাক্রিফাইস
করলেও..এদের জন্য কেউ 'স্যাক্রিফাইস করে না...
পাঁচ বছর একটা রিলেশনে থাকার পর 'বাবা'র
পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে এসে যখন মেয়েটি
বলে "সরি জানু-মাফ করে দিও"...তখন আর কিছুই বলার
থাকেনা...কিচ্ছুনা...শুধু বুকের ভেতর দ্রিম করে
একটা শব্দ উচ্চারিত হয়ে বলে "নাহ ঠিক আছে-
ব্যাপার না"... বিশ্বাস করো তোমার এই সামান্য
একটি ভুলের কারনে বন্ধ রুমের বাতি অফ করে দিলে
যতটা না অন্ধকার হয় ঘর... তার থেকেও বেশি
অন্ধকার হয়ে যায় মানুষটার জীবন...তুমি কখনই সেটা
টের পাওনা বলেই হুট করে মানুষটাকে একা করে
দেওয়ার সাহস পাও...হয়তো তুমি অনেকের স্বপ্ন
পূরনের আনন্দ দেখেছ কিন্তু স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্ট'টা
দেখনি....কোনো মানুষকে যদি বলা হত 'সারাদিন
তুমি এই খালি গ্লাসটা হাতে নিয়ে রোদে
দাঁড়িয়ে থাকবে তাহলে তোমাকে এই কষ্টটা কখনই
দেয়া হবেনা...আমার মনে হয় ৯৮% মানুষ রাজি হয়ে
যেত...কারন সব কষ্টের যন্ত্রনা ধীরে ধীরে
নিঃশ্বেস হয়ে গেলেও মন ভাঙার কষ্টের কোনো
পরিসীমা থাকেনা...যতবার তুমি মানুষটিকে নিয়ে
ভাববে..যতবার তুমি মানুষটির ফেলে যাওয়া
স্মৃতিগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করবে ঠিক ততবারই
কষ্ট পাবে...যদি কখনো গভীর রাতে চোখে ঘুম না
আসে..বুকের ভেতরটা ভার ভার মনে হয় ওই সময়টাতে
অল্প কিছুক্ষনের জন্য নিঃশ্বাসটা বন্ধ রেখে
দেইখো-তো কষ্ট'টা কেমন.? মনে হবে ১০ সেকেন্ডের
জন্যও নিঃশ্বাস' ছাড়া বাঁচা তোমার পক্ষে
অসম্ভব...ঠিক তেমনি এই মানুষগুলোর তোমাকে
ছাড়া বাঁচা অসম্ভব বলে এখনও গভীর রাতে
অপেক্ষা করে তোমার একটি মেসেজ কিংবা ফোন
কলের...বলতে পারো আর কতটা সময় অপেক্ষা করতে
হবে এদের.?
.

Monday, April 4, 2016

শেষ আকুতি By তুহিন

বার বার অপলক দৃষ্টি নিয়ে দেখে যাই তোমায়
যতবার দেখি ,
আর যতবার দেখেছি আপন মনে
তবুও বার বার অতৃপ্তি থেকে যায় ।
ও চোখের গহিনে যে স্বপ্ন দেখি
দেখি বেঁচে থাকার প্রয়াস ,
এ তো এ জন্মের নয়
এ তো পূর্ব জন্মের ।
তবু তোমাকে দেখার সাধ মিটে না ।
অপলক দৃষ্টি নিয়ে ততবার দেখেছি যতবার বাঁচার
আকুতি ছিলো হৃদে ।
তবুও যে অতৃপ্ত !
তবে জেনে গেছি আমি
হ্যাঁ খুব করে জেনে গেছি এ জন্মে তোমায় দেখার
তৃপ্তি হবে না ।
শর্তবিহীন আজীবন তোমাকে দেখার আদম্ম ইচ্ছে
কে
বুকের রাজ ফটকে বন্দী করে
শেষ বারবের মত অপলক তোমায় দেখে দেখে যেতে
যেতে
চিৎকার করে বলে যাবো ,
এ জন্ম আমার বৃথা ,
এ জন্ম আমার নিরাশ ,
তোমায় আরও দেখার ইচ্ছে ছিলো ।

Saturday, April 2, 2016

কষ্টের আহাজারীর জীবন

কষ্টের আহাজারিতে ভরপুর জীবন!!
তবুও হেঁসে হেঁসে কাঁটাতে হয় সময়ের এক একটি ক্ষণ-
ধুঁকে ধুঁকে থাকার অভ্যাস আয়ত্ত করতে হয়
প্রতিনিয়ত-
বেঁচে থাকার আশ্বাস এখনো মরেনি-
শত কষ্টের ভারেও ঠিকই বেঁচে থাকা হয় দারুণভাবে।
অতীতের কথা ভেবে কেন নষ্ট হবে জীবন-
নতুন এক প্রেরণায় বাঁচার শপথে উঠে দাঁড়াবো
আবার-
হারানো মানুষগুলোকে দেখিয়ে দেবো-
তারা ছাড়াও ভালো থাকা যায়!!
তবু কেন জানি-তুমি আসো মনের গহীনে-
অবাস্তবে তোমাকে নিয়ে হারিয়ে যায় দিগন্তে!
শুধু বাস্তবেই তোমায় দেখে-
মাথা নিছু করে চলে যেতে হয়।

Tuesday, March 22, 2016

আমি হারিয়ে যাবো

আমি কোনদিন হারিয়ে যাবো,
নোনা শিশিরের মতো বাষ্প হয়ে
একদিন বিবর্ণ বাতাসে মিলাবো।
হয়তো কোনদিন মেঘ হয়ে যাবো,
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার অপেক্ষায়
বিষণ্ণ মহাকাল পার করে দেবো।
হয়তো কোন একদিন উড়ে যাবো
দেশান্তরি পাখির মতো দূরদেশে,
শান্ত হ্রদের পাড়ে যেয়ে বসবো।
কোন একদিন সময়ের মতো,
নিঃশব্দে এসে যাওয়ার বেলায়
সবকিছু নিয়ে শূন্যে বিলীন হবো।
সেদিন আমি আমাকে খুঁজে পাবো,
আমার ছায়াকে হয়তো হারিয়ে-
ছায়াকে হয়তো হারিয়ে ফেলবো।

হারিয়ে যাবো অজানাতে কোন একদিন

হারিয়ে যাবো একদিন অজানাতে
খুজে পাবেনা তোমরা কেউ,
যতই খোজ আলো আধারে।
কেন আমি যাবো না হারিয়ে?
আমার যে কত কিছু গেছে হারিয়ে
পারবে কি ফিরিয়ে দিতে তা?
জানি পারবে না তোমরা।
তাইতো এসো না বাধা দিতে,
পারবেও না রাখতে ধরে।
আমি যাবই হারিয়ে,
নীল আকাশ আর সাদা মেঘের ভিড়ে।
শুকিয়ে যাওয়া ফুল আর
মরে যাওয়া পাতায়।
আমি থাকব মিশে ভোরের কুয়াশায়,
শিশির ভেজা ঘাসে।
আলোর একটু পরশে ই হারিয়ে যাবো
শত চেষ্টাও পারবেনা ধরে রাখতে।
হারিয়ে আমি যাবোই যাব।

তোর মতো আমি একটা বন্ধু চাই with youtube Link

তোর মতই আমি একটা বন্ধু চাই
যার ইচ্ছে বানাবে স্বপ্নে রঙমহল
তোর মতই আমি একটা বন্ধু চাই
তুই অল্প হলেও আমার সঙ্গে চল
ওই তোর নামে, হ্যাঁ তোর নামে
দেখ তোর নামেই, এ সময় থামে
ভয়ে ভয়ে, মন ফেলেছে পা
ফেলে আসা রাস্তাতে
ভিজে ভিজে, কেন চোখজোড়া
ভুলিয়ে দে, ভুলিয়ে দে
কথা দিলাম, তোকে একলা না রাখার
হবো ছায়াদের মত সঙ্গী আমি তোর
তোর মতই আমি একটা বন্ধু চাই
তুই চাইলে নামাবো রাত আর চাইলে ভোর
তুই ভরসা দে, তুই আয় সাথে
তোর জন্যে দেখ, দিন পাল্টেছে।   https://youtu.be/u3snMqztfMo

Monday, March 21, 2016

ভালোবাসার গল্প ও কথা

পড়ন্ত বিকেল। নিহাদ লেকের পাশের বেঞ্চিতে
বসে সূর্য ডুবা দেখছে আর গীটারে সুর তুলছে।
হাতে যখন কোন কাজ থাকেনা, তখন প্রায়ই নিহাদ
এ জায়গাটাতে বসে থাকে, আর কল্পনার সঙ্গীত
জগত থেকে সুর বের করে গীটারে ফুটিয়ে তোলে।
এই মুহূর্তে নিহাদ ওর লেখা “স্বপ্নে দেখা
রাজকন্যা” গানটার সুর তোলার চেষ্টা করছে,
কিন্তু হঠাৎ ওর কাজে বিঘ্ন ঘটালো একটি
মেয়েলি কণ্ঠের কাশির খুক খুক শব্দ। এই সময়ে
কেউ বিরক্ত করলে নিহাদের মেজাজ খারাপ হয়ে
যায়, ভ্রু কুঁচকে মেয়েটির দিকে তাকালো।
.
-“আসসালামুয়ালাইকুম”
নিহাদ তাকানোর সাথে সাথে থ বনে গেল, এর
কারন দুইটা এক মেয়েটির সালাম শুনে, দুই
মেয়েটি ছিল অপরূপ সুন্দরী। নিহাদের রাগ
কর্পূরের মত উড়ে গেল, এক ধ্যানে মেয়েটির
দিকে তাকিয়ে আছে সে.. মেয়েটির ডাকে ধ্যান
ভাঙলো।
-“এই যে আসসালামুয়ালাইকুম”
-“অলাইকুমআসসালাম। আপনি?”
-আমি “সুমাইয়া রাহা”। প্রতিদিন বিকেলে ছোট
ভাইকে নিয়ে এখানে ঘুরতে আসি, আপনাকে
প্রায় দেখি এখানে বসে গীটার বাজান, ভালোই
বাজাতে পারেন, আমার গীটারের টোন ভীষণ
ভালো লাগে, তাই ভাবলাম আপনার সাথে
পরিচিত হয়ে নিই।
– “আমি নিহাদ হোসাইন।”
-আমি কি আপনাকে বিরক্ত করলাম? আপনার মুখ
দেখে মনে হচ্ছে আপনি বিরক্ত।
– “No It’s Ok…”
– “আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি? যদি আপনার
কোন আপত্তি না থাকে।”
নিহাদের তেমন বন্ধু নেই, নিহাদ কিছুক্ষণ ভাবলো,
মেয়েটিকে দেখে ভদ্র ঘরের মনে হচ্ছে। বন্ধুত্ব
করা যায়।
.
– “ঠিক আছে, বন্ধু হতে পারেন।”
-থ্যাংকস” বলেই রাহা একটা হাসি দিল। নিহাদ
ভাবছে চশমা পরা মেয়েটিকে হাসলে মনে হয়
চারপাশে মুক্ত ঝরে পড়ছে। রাহার কণ্ঠ শুনে আবার
ধ্যান ভাঙল
-“সন্ধ্যা হয়ে আসছে, আজ আসি আবার দেখা হবে।
টাটা…..”
.
রাহা চলে যাচ্ছে, নিহাদ ওর গমন পথের দিকে
তাকিয়ে ভাবছে “কে এই সুন্দরী মেয়ে? কথা নেই
বার্তা নেই বন্ধু হয়ে গেল? আর আমিও বোকার মত
হ্যাঁ বলে দিলাম”
কিছুক্ষণ মন্ত্রমুগ্ধের মত বসে নিহাদ থেকে উঠে
পড়ল, আজ আর সুর তোলা হবেনা।
.
এভাবেই প্রথম পরিচয় হয় রাহা আর নিহাদের।
রাহার সাথে প্রথম পরিচয়ে একধরণের
ভালোলাগা কাজ করে নিহাদের ভেতর।
মেয়েটির চাঞ্চল্য, হাসি, কথা সবকিছু নিহাদকে
মুগ্ধ করে, আগে নিহাদ মাঝে মাঝে লেকে আসত,
এখন প্রতিদিন আসে।
ধীরে ধীরে ওরা ভাল বন্ধু হয়ে যায়।
.
রাহার গীটারের টোন খুব পছন্দ, একবার গীটার
ছাড়া লেকে গিয়েছিল নিহাদ, আর তা দেখে সে
কি রাগ রাহার….
-“আজ গীটার আনো নি কেন?”
-“আসলে ক্লাস থেকে সোজা এখানে চলে
এসেছি, আনার সুযোগ পাইনি।”
-“কোন কথা শুনব না, যাও এখনি যাও গীটার নিয়ে
এসো।”
-“মাত্র তো আসলাম, এখনই যেতে হবে?”
-“হে এখনই, এটা তোমার গীটার না আনার শাস্তি,
তুমি জাননা তোমার গীটারের টোন না শুনলে
আমার ভালো লাগেনা।”
বলেই রাহা অন্যদিকে মুখ ঘুরালো, নিহাদ বুঝল
মেয়েটি অভিমান করেছে, সামান্য কারনেই
অনেক অভিমান করে মেয়েটি।
-“রাহা এই রাহা। সরি তো এই কান ধরলাম আর এমন
হবে না।”
-“সত্যি তো?”
-“হুম সত্যি। এমন ভুল আর করবোনা।”
-“ঠিক আছে, আজকের মত মাফ করে দিলাম।”
.
এভাবেই ওদের বন্ধুত্ব এগিয়ে যায়, ভালোলাগা
থেকে কখন যে মনের মিল হয়ে যায় তা নিহাদ
নিজেও বুঝতে পারেনা। নিহাদ চেষ্টা করে
রাহাকে বোঝার, রাহাকে তার মনের কথা
বোঝাবার। প্রতিদিন নিহাদ বাসা থেকে I Love
You বলার প্র্যাকটিস করে আসে, কিন্তু বলতে
পারেনা, রাহার সামনে গেলেই সব গুলিয়ে যায়।
এমনি করে রাহার জন্মদিন চলে আসে, নিহাদ
নিয়ত করে এবার রাহাকে তার মনের কথা
জানাবে। রাহার জন্য বার্থডে গিফট নিয়ে নিহাদ
বার্থডে পার্টিতে যায়। নীল শাড়ি পরে মুখে
মিষ্টি হাসি নিয়ে রাহা নিহাদের কাছে আসে।
.
-“এত লেট করলে কেন?”
-“কই লেট করলাম?”
-“তুমি ৫মিনিট লেট।”
-“রাস্তায় জ্যাম ছিল তাই একটু লেট হল। হ্যাপি
বার্থডে রাহা।”
বলেই নিহাদ নীল মলাটে মোড়ানো একটা
ডায়েরি রাহার হাতে দেয়।
-তুমি তো লেখালেখি পছন্দ কর, মনের ভাবনা
জগতের কথাগুলো এটাই লিখবে তাই দিলাম।
– “থ্যাংক ইয়ু.. Anyway আজ আমার বার্থডে তাই
তোমাকে ছেড়ে দিলাম।”
-“রাহা..”
-“হুম বল”
-“না মানে একটা কথা……”
-“কি কথা বল”
-“না আসলে….”
.
এই রাহা কেক কাটবি না? সবাই তোর জন্য
অপেক্ষা করছে। রাহার এক ফ্রেন্ড ওকে ডাক
দেয়।
.
-“আসছি এক মিনিট, কি বলবা বল।”
-“Happy Returns Of the Day”
-“Thanks A lot… এখন চল কেক কাটি।”
.
আর এভাবেই প্রতিবার নিহাদ শত চেষ্টার পরও
রাহাকে তার মনের কথা বলতে পারেনা। কখনো
ওদের মাঝে বন্ধুদের প্রবলেম, আবার কখনো
নিহাদের নিজস্ব ভয় যদি তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে
যায়, নিহাদ রাহাকে হারাতে চায়না। বার্থডে
পার্টিতে সবাই মিলে নিহাদকে ধরে গান
গাওয়ার জন্য।
নিহাদ গীটার নিয়ে রেডি হয় গান করার জন্য।
-“বন্ধুরা এই গানটি আমার একজন বিশেষ মানুষকে
নিয়ে লেখা।”
.
[“একবার তাকাও প্রিয়তমা আমার দুই চোখে
দেখ বড় ভালবাসি তোমাকে…………………।
যখন তোমার দুই চোখে দেখি দুষ্টু হাসি,
বলতে ইচ্ছে করে কতটা ভালবাসি।
আমার ভালবাসার ছোঁয়ায় রাঙ্গিয়ে দেব হৃদয়
তোমার।
তুমি ভালবেসে হবে কি রাজকন্যা আমার?”]
.
গান শেষ করার পর করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে
চারদিক, সবাই নিহাদের কণ্ঠের প্রশংসা করে,
নিহাদ রাহার দিকে তাকায় রাহা তার মিষ্টি
হাসিটা হাসতে থাকে।
.
সেদিন রাতে নিহাদের গিফট করা ডায়রিতে
রাহা তার মনের কথাগুলো লিখে, লেখার সবটা
জুড়েই ছিল নিহাদের কথা, ওদের বন্ধুত্বের কথা,
নিহাদকে ভালো লাগার কথা। রাহাও নিহাদকে
খুব পছন্দ করে, কিন্তু সে বলতে চায়না, সে চাই
নিহাদ নিজের মুখে তাকে প্রপোজ করুক।
এভাবেই চলতে থাকে তাদের সম্পর্ক, একজন
আরেকজনকে অসম্ভব ভালবাসে কিন্তু কেউ
কাউকে বলতে পারেনা। অবশেষে একদিন….
.
নিহাদ, রাহার জন্য লেকে অপেক্ষা করছে। আজ
অনেকক্ষণ হয়ে গেল কিন্তু রাহা আসছে না,
নিহাদের টেনশন হচ্ছে, রাহার কিছু হল নাতো।
অবশেষে রাহা এল।
-“আজ এত দেরি করলে কেন?”
-“কোচিং ক্লাস ছিল, তাই আসতে লেট হল।”
-“এটা আগে বললেই পারতে।”
(নিহাদের কণ্ঠে অভিমান)
-“সরি, সরি মনে ছিল না।”
– “It’s Okay.. তোমার জন্য নতুন একটা সুর তুলেছি।”
-“আজ শুনতে পারবোনা নিহাদ, এমনিতেই অনেক
লেট হয়ে গেছে, পরে বাসায় আম্মু টেনশন করবে।”
-“চলে যাবা? আর একটু বসো প্লিজ”
-“নাহ, যেতে হবে। না হলে প্রবলেম হবে।”
-‘ঠিক আছে যাও।”
-“ভালো থেকো।”
.
বলেই রাহা ঝটপট চলে যায়, শেষ বিকেলের
সূর্যটাও ডুবতে শুরু করেছে, নিহাদ উঠতে যাবে,
এমন সময় বেঞ্চের দিকে নজর পরে। রাহা ভুল করে
ওর ডায়রিটা ফেলে গেছে। নিহাদ ডায়রিটা
হাতে নিয়ে রুমের দিকে হাঁটা শুরু করে।
রাতে রাহার ডায়রিটা খুলে পড়ার জন্য, ওকে
নিয়ে লেখাগুলো পড়তে থাকে, নিহাদ বুঝতে
পারে রাহাও তাকে পছন্দ করে, তাকে ভালবাসে।
পরদিন নিহাদ লেকে যায়, গিয়ে দেখে রাহা
উদাসীন ভাবে বসে আছে।
.
-“কখন এলে?”
-“অনেকক্ষণ আগে”
– আজ দেরি করে আসার জন্য আমাকে বকা দিবে
না?
-সবসময় ফান করো নাতো নিহাদ, ভালো লাগছে
না।
-কি হয়েছে তোমার? ‘মন খারাপ? ”
-“কাল থেকে তোমার দেয়া ডায়রিটা খুঁজে
পাচ্ছিনা, কোথায় যে পড়ল…..”
নিহাদ মুচকি হেসে বলে,
-“মন খারাপ করোনা, ওরকম আরেকটা ডায়রি
তোমার নেক্সট বার্থডে তে গিফট করব।”
-“স্টুপিড! ডায়রির জন্য না, আমার লেখাগুলোর
জন্য খারাপ লাগছে।”
-“ডায়রিতে কি লেখা ছিল জানতে পারি?”
-“না, এটা পার্সোনাল। একি তুমি হাসছো কেন?
আমার মন খারাপ আর তুমি হাসতেছো? থাক তুমি
আমি গেলাম।”
বলেই রাহা উঠে দাঁড়াল।
.
-“রাহা শুনো”
-কি?
-“তোমার ডায়রিটা।”
.
নিহাদ ডায়রিটা রাহার দিকে এগিয়ে দেয়।
রাহা চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করে,
.
-“এটা তোমার কাছে এল কিভাবে?”
-“কাল ভুল করে এখানে ফেলে গিয়েছিলে।”
-“তুমি ডায়রির সব লেখা পড়েছো তাইনা?”
-“কোন সন্দেহ আছে?”
.
নিহাদ, রাহার কাছে যায়, হাঁটু গেড়ে তার পাশে
বসে.. আর বলে
-“ভালোবাসো?”
-“কোন সন্দেহ আছে?”
বলেই রাহা মুচকি হাসি দেয়।
.
রাহা নিহাদের কাঁধে মাথা রেখে নিহাদের গান
শুনছে ,
.
[তাঁরা ভরা জোছনার আলোতে,
তোমাকে খুঁজে পাই………
আমার মনের ভাবনার জগতে
তোমায় রাখতে চাই…
রঙধনুর আভায় ছড়িয়ে দাও
মনের ভাবনাগুলো…….
আজ ভালবেসে ছিনিয়ে নাও
অতৃপ্ত মনের ইচ্ছেগুলো…………………..]
.
শেষ বিকেলের সূর্যটা মনে হয় আজ ডুববে না,
নিহাদের গান শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
www.twitter.com/@mansurkhan5

ভালো বাসা

ঠিক অপরাহ্নের পর দেখা......
-"চলো আজ তোমায় একটা লাল রঙের টিঁপ কিনে
দিব।
চোখ তুলে কেউ থাকালে খালি চোখে চন্দ্রগ্রহন
দেখা হয়ে যাবে!"
-"আমি তো কারো দারদ্বারী না।তবে কেন এতো
আয়োজন!
তুমি বরং এক কাজ করো এটা অন্য কাউকে দিয়ে
দাও"।
"অন্য কেউ তো ছিল না! আর তুমি তো অন্যদের থেকে
অন্যতম।অন্য কারো দরজায় তো কখনোও নাড়া
দেইনি!যদি ফিরে এসে তোমার দরজা বন্ধ পাই এই
ভয়ে!!"
-"আমি তো কখনও অপেক্ষা করতে বলিনি"
"তুমি তো কখনও একেবারে সরে যেতেও বল নি!!"
-"আমি এখন অনেক ব্যস্ত থাকি!আমি আমার এই নিয়ম-
মাফিক জীবনে একটু নিজের মতো চলতে চাই যাতে
কারো অনুরোধ বা উপদেশ থাকবে না!"
"আমি তো কখনও আমার মতো কিছু করতে বলিনি!আর
তুমি কবেই বা আমার ছিলে যে বলব!!"
-"আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে,আমি যাই।ভালো থেকো!"
"আমিও উল্টোপথে হাটা শুরু করলাম গন্তব্যের
খুজে..........সোজা পথের বাহনের যাত্রী হয়ত আমি
হতে পারব না।তাতে কি সব পথ তো সবসময় মসৃণ
থাকে না!
বিক্ষোভ মিছিলের কবলে পড়লে বিপরীত পথেই
আবার ফিরে আসতে হবে!!"

Wednesday, March 16, 2016

স্বপ্ন কে হত্যা By তুহিন

প্রতিদিন কিছু কিছু ইচ্ছা মরে যায়
অনিচ্ছাকৃত মরে যেতে হয়
অযত্নে মরে যায়।
প্রতিদিনই কিছু কিছু ইচ্ছারা
নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়
নির্বাসিত হয়।
কিছু কিছু ইচ্ছা স্বইচ্ছায় হত্যা করি
ইচ্ছার হননে বিবর্ন হই বারবার
তবু হত্যা করতেই হয়।...........

Saturday, March 12, 2016

তুমি কি আমাকে এখনো ভালোবাসো By তুহিন

তুমি কি আমাকে এখনো ভালোবাস?
যেমনটি আগে বাসতে?
.
তুমি কি এখনো আমায় খুঁজো?
যেমনিভাবে আগে হাজার লোকের
ভীরে খুঁজতে?
.
আমি নেই বলে কি তুমি এখনো হৃদয়ে
মৃদু কম্পন অনুভব করো?যেমনিভাবে
আগে করতে।
.
তুমি কি এখনো আমাকে নিয়ে স্বপ্ন
দেখ?যেমনিভাবে আগে দেখতে।
.
তুমি কি এখনো আমাকে নিয়ে
ভাবো?যেমনিভাবে আগে যে
ভাবনায় মশগুল থাকতে।
.
না এখন তুমি হয়তো এগুলোর একটাও
করো না।কারন এখন তুমি আমাকে
কাঁদিয়ে অন্যজনের পিছনে ছুটতে
ব্যতিব্যস্ত।
.
কি দোষ ছিল আমার বলতে পারো?শুধু
আমার জানামতে আমার একটাই গুরুতর
অপরাধ ছিল।আর সেটি হচ্ছে
তোমাকে ভালোবাসে অন্তরে
স্হান দেয়া।
.
হয়তো এর আগে তুমি আরো মন ভেঙ্গে
খাঁন খাঁন করেছো।হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার
করেছো।তুমি হয়তো জান না যে
ভাঙ্গা হৃদয় আর নতুন করে বাধেঁ না।
.
তুমি সেই দিন এই কষ্টটা বুঝবে যেদিন
তুমি কাউকে সত্যিকারের
ভালোবাসবে আর সে তোমার হৃদয়
ভেঙ্গে চুরমার করবে।
.
আমি সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম।
যেদিন তোমার ভালোবাসা
ভালোবাসা নামক খেলায় তুমি
হেরে যাবে।

Friday, March 11, 2016

বাস্তবতা posted by তুহিন

যে মানুষটা কখনো ছেড়ে যাবো না বলে কথা
দেয়,
সেই হয়তো সবার আগে ভালো থেকো বলে
বিদায় নিয়ে নেয়...
যে মানুষটা আপনার একটু কষ্টতেই আগে চোখের
জল ফেলতো,
সে হয়তো আপনাকে মৃত্যু শয্যায় দেখেও কোন
ফিলিংস পায়না,, পরিবর্তন হওয়া মানুষের ধর্ম,
সবাই পরিবর্তন চায়....
যে মানুষটা আপনার মেসেজ না পেলে একটুতেই
অনেক ছটফট করতো, সে হয়তো এখন আর মেসেজ
পেয়ে রিপ্লাই দেয় না....
সময় দূরত্ব সৃষ্টি করে, আবেগ গুলোকে জ্বালিয়ে
নিঃশেষ করে দেয়,,,, তারপর ও যদি কারো জন্য
টান অনুভব হয় সেটা ভালোবাসা..
এসব ভালোবাসা মিথ্যে না, যুগ যুগ বেঁচে থাকে
সবার অজান্তে.....
কখনো রাতের অন্ধকারে চোখের জল হয়ে, কখনো
বা একাকিত্ব অনুভব করে।

Wednesday, March 2, 2016

হতাশা

সকাল থেকে রাত্রি সময় কাটে না যে
নানান বাজে চিন্তা আমায় ঘিরে রাখে
অন্তরের ভেতর শুধু কষ্টের হাহাকার
বিষন্নতার আভা সদা আমার আকাশে
হতাশা
হতাশা, হতাশা
কালো ছায়া হয়ে জড়িয়ে আছে
হতাশা, হতাশা
দিশেহারা আমি আঁধারে একা
একা আঁধারে হায় বসে থাকি শুধু ভাবি
শেষ কবে হতাশার
ভালোবাসার ক্ষত শুকোয়নি যে আজও
তোমার মধুর কন্ঠ আজও কানে বাজে
জীবন আমার শুধুই যেন কষ্টের বোঝা হায়
সব নেশার বড় নেশা কষ্টের মাদকতা
হতাশা
হতাশা, হতাশা
কালো ছায়া হয়ে জড়িয়ে আছে
হতাশা, হতাশা
দিশেহারা আমি আঁধারে একা
একা আঁধারে হায় বসে থাকি শুধু ভাবি
শেষ কবে হতাশার
হতাশা, হতাশা
কালো ছায়া হয়ে জড়িয়ে আছে
হতাশা, হতাশা
দিশেহারা আমি আঁধারে একা
সুদিন আমার সয়না তাই দুঃখ ফিরে আসে
হতশাগুলো বুঝি আজ মুখ চেপে হাসে
জীবন আমার শুধুই যেন কষ্টের বোঝা হায়
সব নেশার বড় নেশা কষ্টের মাদকতা
হতাশা, হতাশা
কালো ছায়া হয়ে জড়িয়ে আছে
হতাশা, হতাশা
দিশেহারা আমি আঁধারে একা
হতাশা, হতাশা
কালো ছায়া হয়ে জড়িয়ে আছে
হতাশা, হতাশা
দিশেহারা আমি আঁধারে একা
হতাশা...

Friday, February 19, 2016

চন্দ্র রাতের শেষে By তুহিন

আমি তোমার কাছে আসবো ফিরে
কোন এক চন্দ্র রাতের শেষে
আমার জন্য কিছু জল রেখো চোখে
ললাটে রেখো কিছু রোদ
ঠোঁটে রেখো একটু লেপ্টানো হাসি
চিবুকে রেখো কিছু মিষ্টি আদর
আর বুকে রেখো বাসনা
আমি আবার আসবো ফিরে
স্বপ্ন-সারথি অথবা শাদা বকপাখি হয়ে
শিশির ভেজা কোন এক নিশ্চুপ রাতে
তুমি সোহাগ কাঁকন পরে
দখিনের দরজায় দাঁড়িয়ে থেকো
আর ভুলে যেও অভিমান
ভুলে যেও সব দলছুট বেদনা।
#কোন_একদিনের_স্বপ্ন

Tuesday, February 16, 2016

তোমাকে হারিয়ে শুন্য আমি Posted By T.....

একাকী আমার জীবনটা অনেক ভালো ছিল ,
যে জীবনে কোন স্বপ্ন ছিল না ,
ছিল না কোন চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ,
ছিল না কোন প্রাপ্তি আর হারানোর বেদনা ।
হঠাৎ করে তোমার অল্প কিছু দিনের অবস্থান
আমার জীবন
টা কে বদলে দিল ।
হ্যাঁ সত্যিই অনেক স্বপ্ন আর কিছু অন্য রকম অনুভূতি
জন্ম
দিল আমার মাঝে ।
কিন্তু এক পসলা বৃষ্টির মত হঠাৎ করে তোমার
চলে যাওয়াটা অনেক বেশী বদলে ফেলেছে
আমাকে ,
আবার একা করে ফেলেছে আমাকে ।
কিন্তু বিশ্বাস করো সেই একাকী জীবন আর
আজকের এই
একাকীত্বতার মাঝে যে অনে ব্যবধান সেটা
আমি বুঝি ।
আমার সেই একাকী জীবন কোনদিনও দুঃখ দেয়নি
আমাকে ,
কিন্তু আজকের এই একাকীত্বতার জীবন একটু সুখ
দেয়নি আমাকে ,
শুধু দিয়েছে চোখের কুনে কিছু অশ্রু ফোঁটা আর
কিছু নির্ঘুম
রাত ।

তুমি আসবে বলে By তুহিন

তুমি আসবে বলে বৃষ্টি হল
তপ্ত রোদেলা দুপুরে স্নান করল পৃথিবী,
শুকিয়ে যাওয়া এই ছোট্ট নদীটায়
সাঁই সাঁই জোয়ার এলো আবার।
সজীবতা ফিরে পেল উঠোনের এক কোণে
স্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকা কদম গাছটি,
ডালে ডালে ধরল ছোট বড় কত ফুল।
দেবদারু গাছের শাখায় হঠাৎ
মিষ্টি সুরে গেয়ে উঠল একটা
কালো কোকিল।
কতদিন তুমি আসনা!
তাই সবকিছু বিমর্ষ এমন।
আজ তুমি আসবে বলে
হৃদয় জুড়ে বাজে বাঁশের বাঁশি,
বেহালায় সেই মায়াময় সুর
ফুটফুটে জ্যোৎস্না হাসে আকাশে
সুখের মাতম যেন বসন্ত বাতাসে।
তুমি আসবে বলে
ফুলগুলো সব উঠলো হেসে
সবুজে সবুজে ভরল বৃক্ষ কানন।
তুমি আসবে বলে
সমুদ্রের বুকে নামলা শীতলতা
তোমার জন্যই প্রিয় সব মমতা। @
সংগ্রহ
fb.com/smsp.bd

Saturday, February 13, 2016

একাকী পথচলা

চিন্তা করেও ভেবে পাইনা কি লিখবো-
মনের মধ্যে পাই না কোন আশার আলো!
একা একা হাঁটি আমাই দিনভর বারান্দায়,
পৌঁছাতে পারলাম না জীবনের কিনারায়!
যন্ত্রে রুপান্তরিত হচ্ছে আমাদের এই জীবন,
যন্ত্রের মধ্যেই বাঁচা আর যন্ত্রের মধ্যেই মরণ!
মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমার নিজের অস্তিত্ব,
খালি কামরায় যখন গুমরে মরে সব আমিত্ব!
যন্ত্রমানব হয়ে গিয়েছি! উপায় নেই ফেরার!
জীবন প্রত্যাশী? কিন্তু কিই বা আছে পাবার?
কখন মনে হয় আমি ফিরে আসবনা আবার-
ভাবি আমি পথ কি খোলা আছে চলে যাবার?
কন্টকময় স্বর্গে আমি নিজেকে করলাম আবিস্কার,
একাকী পথচলায় এটাই আমার প্রাপ্য পুরস্কার!

শুধু একবার বলো ভালোবাসি শুধু তোমায়

যদি তুমি বলো তবে আমি আকাশ ছুঁতে পারি,
সুদূর আকাশে পাখির মত ডানা মেলে উড়ি!
আকাশ থেকে তোমার জন্য তারা এনে দেব,
তোমার জন্য ভালবাসা বিলিয়ে আমি যাব!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
পাহাড় অতিক্রম করতে পারি যদি তুমি বলো,
তোমার জন্য ভালবাসা মোর হবেনা টলোমলো!
পাহাড় খুঁড়ে তোমার জন্য আনব নীল-কমল!
এটাই আমার দৃঢ় পণ! হতে দেব না দুর্বল!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
যদি তুমি বলো সাগর পাড়ি দেব সাঁরতে!
তোমার হাসি আমার সকল কষ্ট দেয় উতরে।
সাগরের তল থেকে আমি এনে দেব মুক্তো,
আমি জেনেছি আমার জীবনে তুমি আছ যুক্ত!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
যদি তুমি বলো দেব পাড়ি বিশাল মহাশুন্য -
তোমার সঙ্গ আমার একাকীত্বকে করবে পূর্ণ!
পৃথিবীর সকল সুখ এনে দেব তোমার জন্য,
তোমায় ভালবেসে আমার জীবন হল ধন্য!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
কত ভালবাসি তোমায় যদি তুমি জানতে-
কখনও দেখেছ কি ক্ষুদ্র শিশির বিন্দু?
জ্বলজ্বল করে ওঠে প্রভাত রবির কিরণে!
আমার ভালবাসা তেমনি উজ্জ্বল হে বন্ধু!
হৃদয়ের দহন কি বুঝতে পারছো না তুমি?
আমায় ছেড়ে যদি যাও, কিভাবে বাঁচব আমি?
আমার দিকে তাকিয়ে একবার বল আমায়-
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’

তুমিই আমার ভুবন

আমাদের ভূবনে থাকবে না কোন বেদনা,
থাকবে না কোন বিরহ আর দেনা-পাওনা!
তোমাকে ছেড়ে আমি কখনও দূরে যাবোনা,
তোমার ব্যাপারে আমি পিছপাও হবোনা!
ঢেকে রাখবো তোমায় দিয়ে সব ভালবাসা,
প্রমাণ করতে পারি, তুমিই আমার আশা!
আমার জীবনে তুমি এনে দিলে পরিবর্তন,
তোমার জন্য আমার সব! এটা রেখ স্মরণ!
তোমার হৃদয়ের মাঝে আমায় দিও আসন,
তুমিই আমার ভালবাসা, তুমিই আমার ভুবন

নির্জনতায় তোমাকে খুঁজি

রাত্রি যখন নিঝুম হয়
নিস্তব্ধ হয় পৃথিবী,
ঘুমিয়ে পড়েছে সকল কিছু
নিশ্চুপ রয়েছে সবই।
মাঝে মাঝে নিস্তব্ধতা ভাঙ্গে
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে,
বাঁকা চাঁক উঁকি মারে
মেঘের ভেলার ফাঁকে।
বনের মধ্যে চলছে যখন
আলো আঁধারির খেলা,
আকাশজুড়ে বসেছে তখন
সহস্র তারার মেলা।
রূপালী জোছনা প্লাবিত করেছে
সুপ্ত এই প্রকৃতিকে,
তারার আলো সাজিয়ে দিয়েছে
রাতের নিস্তব্ধতাকে।
এরই সাথে যুক্ত হয়েছে
ক্ষুদ্র জোনাকীর আলো,
কে বলবে আঁধারের রূপ
লাগে বড় কালো?
নিশাচর পশুরা বেরিয়ে পড়েছে
খাবারের সন্ধানে,
নদীর পানি ফুলে উঠেছে
জোয়ারের প্লাবনে।
বাতাস যখন বয়ে চলে
বনের ভিতর দিয়ে,
বনের বৃক্ষ শামিল হয়
মর্মর ধ্বনি দিয়ে।
এরই মাঝে একাকী আমি
উদ্দেশ্যহীন হেঁটে যাই,
নির্জনতার মাঝেই আমি
নিজেকেই খুঁজে পাই।

Real Love

শুধু কি বুকে জড়িয়ে রাখলেই ভালবাসা গভীর হয়??
শুধু কি পাশে থেকে সময় কাটালেই ভালবাসা গভীর
হয়?? শুধু কি একজনের কোমল ঠোঁটে আরেক জনের
হিংস্র কামড় কেই গভীর ভালবাসা বলে?? . . নাহ
এসবের বাহিরেও একটা ভালবাসা থাকে যা অনেক
গভীর,অনেক পবিত্র।।যেখানে নোংরামির কোন
জায়গা নেই।। . . একটা মানুষকে না দেখে শুধু মাত্র
তার কথা শুনে তার প্রতি যেই ভালবাসা হয় সেইটাও
অনেক গভীর হয়।।একটা মানুষের পাশে না থেকেও
তাকে অনুভব করার মধ্যে যে ভালবাসা থাকে তাও
অনেক গভীর হয়।।একজনের শুধু হাত ধরে থাকার
ভেতরেও যে ভালবাসা থাকে তাও অনেক গভীর
হয়।। . . কিন্তু এসব সবাই বোঝে না।।এই ভালবাসা
গুলা বোঝার জন্য একটা সুস্থ,সুন্দর মনের মানুষ
দরকার,সাথে একটা ভাল চরিত্রও বটে।।কারন অসুস্থ
মনের চরিত্রহীন মানুষ গুলা ভালবাসা বলতে প্রথম
সারির কথা গুলাই বোঝে।। . . যারা দ্বিতীয় সারির
ভালবাসা পায় তাদের জীবন সার্থক কিন্তু আফসোস
এর বিষয় হলো এমন ভালবাসা হাজারেও নয় হয়তো
লক্ষে একটা মেলে।। .
www.fb.com/smsp.bd

বসন্ত

বসন্ত অযুত বৎসর আগে হে বসন্ত, প্রথম ফাল্গুনে মত্ত কুতূহলী, প্রথম যেদিন খুলি নন্দনের দক্ষিণ-দুয়ার মর্তে এলে চলি, অকস্মাৎ দাঁড়াইলে মানবের কুটিরপ্রাঙ্গণে পীতাম্বর পরি, উতলা উত্তরী হতে উড়াইয়া উন্মাদ পবনে মন্দারমঞ্জরী, দলে দলে নরনারী ছুটে এল গৃহদ্বার খুলি লয়ে বীণা বেণু-- মাতিয়া পাগল নৃত্যে হাসিয়া করিল হানাহানি ছুঁড়ি পুষ্পরেণু। সখা, সেই অতিদূর সদ্যোজাত আদি মধুমাসে তরুণ ধরায় এনেছিলে যে কুসুম ডুবাইয়া তপ্ত কিরণের স্বর্ণমদিরায়, সেই পুরাতন সেই চিরন্তন অনন্ত প্রবীণ নব পুষ্পরাজি বর্ষে বর্ষে আনিয়াছ-- তাই লয়ে আজো পুনর্বার সাজাইলে সাজি। তাই সে পুষ্পে লিখা জগতের প্রাচীন দিনের বিস্মৃত বারতা, তাই তার গন্ধে ভাসে ক্লান্ত লুপ্ত লোকলোকান্তের কান্ত মধুরতা। তাই আজি প্রস্ফুটিত নিবিড় নিকুঞ্জবন হতে উঠিছে উচ্ছ্বাসি লক্ষ দিনযামিনীর যৌবনের বিচিত্র বেদনা, অশ্রু গান হাসি। যে মালা গেঁথেছি আজি তোমারে সঁপিতে উপহার তারি দলে দলে নামহারা নায়িকার পুরাতন আকাঙক্ষাকাহিনী আঁকা অশ্রুজলে। সযত্নসেচনসিক্ত নবোন্মুক্ত এই গোলাপের রক্ত পত্রপুটে কম্পিত কুণ্ঠিত কত অগণ্য চুম্বন-ইতিহাস রহিয়াছে ফুটে। আমার বসন্তরাতে চারি চক্ষে জেগে উঠেছিল যে-কয়টি কথা, তোমার কুসুমগুলি হে বসন্ত, সে গুপ্ত সংবাদ নিয়ে গেল কোথা? সে চম্পক, সে বকুল, সে চঞ্চল চকিত চামেলি স্মিত শুভ্রমুখী, তরুণী রজনীগন্ধা আগ্রহে উৎসুক-উন্নমিতা, একান্ত কৌতুকী, কয়েক বসন্তে তারা আমার যৌবনকাব্যগাথা লয়েছিল পড়ি। কণ্ঠে কণ্ঠে থাকি তারা শুনেছিল দুটি বক্ষোমাঝে বাসনা-বাঁশরি। ব্যর্থ জীবনের সে কয়খানি পরম অধ্যায় ওগো মধুমাস, তোমার কুসুমগন্ধে বর্ষে বর্ষে শূন্যে জলে স্থলে হইবে প্রকাশ। বকুলে চম্পকে তারা গাঁথা হয়ে নিত্য যাবে চলি যুগে যুগান্তরে, বসন্তে বসন্তে তারা কুঞ্জে কুঞ্জে উঠিবে আকুলি কুহুকলস্বরে। অমর বেদনা মোর হে বসন্ত, রহি গেল তব মর্মরনিশ্বাসে-- উত্তপ্ত যৌবনমোহ রক্তরৌদ্রে রহিল রঞ্জিত চৈত্রসন্ধ্যাকাশে।

Tuesday, February 9, 2016

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজ বুকের বসন ছিঁড়ে ফেলে দাঁড়িয়েছে এই
প্রভাতখানি।
আকাশেতে সোনার আলোয় ছড়িয়ে গেল
তাহার বাণী।
ওরে মন, খুলে দে মন, যা আছে তোর
খুলে দে--
অন্তরে যা ডুবে আছে আলোক-পানে
তুলে দে।
আনন্দে সব বাধা টুটে সবার সাথে ওঠ্ রে
ফুটে--
চোখের 'পরে আলস-ভরে রাখিস নে আর
আঁচল টানি॥

নিরন্তর

বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা ॥
বাজে অসীম নভোমাঝে অনাদি রব,
জাগে অগণ্য রবিচন্দ্রতারা ॥
একক অখণ্ড ব্রহ্মাণ্ডরাজ্যে
পরম-এক সেই রাজরাজেন্দ্র রাজে ।
বিস্মিত নিমেষহত বিশ্ব চরণে বিনত,
লক্ষশত ভক্তচিত বাক্যহারা ॥

Sunday, February 7, 2016

ভালোবাসা যন্ত্রণা By. তুহিন

জীবনের পথে একা একা পথ চলা অনেক সহজ,কিন্তু
কারো হাত ধরে অনেক দুরে গিয়ে সেখান থেকে
আবার একা ফিরে আসা অনেক কঠিন।
I LOVE YOU "F

Sunday, January 31, 2016

সকাল

আজিকে এই সকালবেলাতে
বসে আছি আমার প্রাণের সুরটি মেলাতে।।
আকাশে ওই অরুণ রাগে মধুর তান করুণ লাগে,
বাতাস মাতে আলোছায়ায় মায়ার খেলাতে।।
নীলিমা এই নিলীন হল আমার চেতনায়।
সোনার আভা জড়িয়ে গেল মনের কামনায়।
লোকান্তরের ও পার হতে কে উদাসী বায়ুর
স্রোতে।।
ভেসে বেড়ায় দিগন্তে ওই মেঘের ভেলাতে।

Friday, January 29, 2016

এক ফোটা জল By তুহিন

আমি নদীর কাছে গিয়েছিলাম
চেয়েছিলাম একফোটা জ্বল
আমি বৃক্ষের কাছে গিয়েছিলাম
চেয়েছিলাম একমুঠো ফল,,,
আমি আকাশের কাছে বলেছিলাম....
আমায় দিবে???
.......ঐ নীল আকাশের একমুঠো
শুভ্রমেঘ...........
আমি হৃদয় ঢেলে দেব তোমায়
আমার সমস্থ আবেগ।
আমি সূর্যের কাছ গিয়েছিলাম,
চেয়েছিলাম একফোটা রোদ.....
আমি চাঁদের কাছে গিয়েছিলাম
চেয়েছিলাম জোৎস্নার স্বাদ।।

জীবন মরণের সীমানা ছড়ায়ে

জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে,
বন্ধু হে আমার, রয়েছ দাঁড়ায়ে ॥
এ মোর হৃদয়ের বিজন আকাশে
তোমার মহাসন আলোতে ঢাকা সে,
গভীর কী আশায় নিবিড় পুলকে
তাহার পানে চাই দু বাহু বাড়ায়ে ॥
নীরব নিশি তব চরণ নিছায়ে
আঁধার-কেশভার দিয়েছে বিছায়ে।
আজি এ কোন্ গান নিখিল প্লাবিয়া
তোমার বীণা হতে আসিল নাবিয়া!
ভুবন মিলে যায় সুরের রণনে,
গানের বেদনায় যাই যে হারায়ে ॥

হ্রদয়ের গহীনে By তুহিন

সৌন্দর্য আমাকে স্পর্শ করতে চেয়েছিল,
আমি তার মায়ার জালে নিজেকে জড়াইনি।
প্রাচুর্য্য বারবার আমার দরজায় কড়া নেড়েছিল,
দরজা বন্ধই করা ছিল যা আমি খুলে দেইনি।
ক্ষমতা আমার পদতলে মাথা ঠেকিয়েছিল,
আমি তার মোহে পড়ে স্বীয় শীর নত করিনি।
সব কিছু দুরে ঠেলে দিয়ে আমি,
শুধু তোমার কাছে,
শুধু তোমারই কাছে যেতে চেয়েছি।
কি জানি কেন, এই আমাকে তুমি,
আমার মত করে বুঝতে চাওনি।
আমাকে ভালোবাস একথাটি তুমি,
কখনও কোনদিন বুঝতেই দাওনি।
তোমাকে ভালোবাসি একথাটি আমি,
কখনও বলে তোমায় কাছে পাইনি।
তোমাকে ভালবাসি কিনা, জানি না,
সত্যি আমি বলতে পারবনা,
তবে এটুকু সত্য, যা এক বিন্দুও মিথ্যানা।
তুমিহীনা আমার সাদাকালো পৃথিবী সম্পুর্ন
বর্নহীন,
আমার বাগানের যত ফুল আছে সব গুলোই গন্ধহীন,
সমুদ্রের গর্জন বা ঢেউ নেই কারন তা জলবিহীন,
মেঘমুক্ত আকাশ আছে কিন্ত তা চন্দ্র-সূর্যবিহীন,
ভুবন জুড়ে ধু ধু মরুভুমি জনশুন্য, তাই প্রানহীন,
আমার এই নিষ্প্রান জীবনে তুমি নেই তাই অর্থহীন,
ভালবাসা আমাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছিল,
আমার কর্নযুগল বন্ধ করা তাই শুনতে পারিনি।
সুখপাখি বার বার কাছে এসে ধর্না দিচ্ছিল,
পাছে মতিভ্রম হয় নষ্ট হই তাই প্রশ্রয় দেইনি।
পৃথিবী নব উদ্দোমে সাজাবার প্রয়াস ব্যক্ত
করেছিল,
দরজায় তালা দেয়াই ছিল সে চাবি হাতছ্বাড়া
করিনি।
সব কিছু পেছনে ফেলে আমি,
শুধু তোমার কোলে,
শুধু তোমারই কোলে মাথা রাখতে চেয়েছি।
কি জানি কেন, এই আমি তোমাকে,
তোমার দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে পারিনি।
তোমাকে ভালোবাসি, একথাটি আমি,
কখনও তোমাকে বোঝাতে পারিনি।
আমাকে ভালোবাস তুমি একথাটা বলে,
কখনও আমাকে তোমার কাছে ডাকনি। copyright

Thursday, January 28, 2016

পরশমণি By তুহিন

আগুনের পরশমণি ছোঁওয়াও প্রাণে ।
এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে ।।
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার এই দেবালয়ে প্রদীপ করো-
নিশিদিন আলোকশিখা জ্বলুক গানে ।।
আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব
সারা রাত ফোটাক তারা নব নব ।।
নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো,
যেখানে পড়বে সেথা দেখবে আলো-
ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে উর্ধ্ব-পানে ।।

সত্যিকারের ভালোবাসা By তুহিন

a১টা ছেলেপাখি ১টা মেয়েপাখিকে
খুবভালবাসে,হঠাৎ ১ দিন মেয়ে পাখিটি পায়ে খুব
ব্যথাপেয়েপা হারালো, মেয়ে পাখিটি
কাদতেকাদতে ছেলেপাখিকে বললো,তুমি আমাকে
ছেড়ে চলেযাবেনাতো,ছেলে পাখিটি একথা
শুনেতার নিজের ২ টি ডানাকেটে দিয়ে
বললো'এবারতো আমি চাইলেও তোমাকে
ছেড়েযেতে পারব না..১দিন বড় ১টা তুফান এসে
তাদের ঘর ভেঙ্গেদিল,তখন ছেলে পাখি
মেয়েপাখিকে বলেছে তুমি চলেযাও
নিরাপদজায়গায়,আমার কথাচিন্তা কর না,?মেয়ে
পাখিটা তারকথা শুনে উড়ে চলে গেল নিরাপদ
জায়গায়..ঝর,তুফান থামার পর মেয়ে পাখিটা
ফিরেএসেদেখলো ছেলে পাখিটা মরে পড়ে
আছে,পাশে মাটিতে লেখা ছিল.."তুমি
যদি১বারবলতে আমি তুমাকে ছেড়েযাবো না
তাহলে আমি ঝর,তুফান কেউপেক্ষাকরে বেচে
থাকতাম শুধু তোমার জন্য!! —

তবু মনে রেখো

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে।
যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে।
যদি থাকি কাছাকাছি,
দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি--
তবু মনে রেখো।
যদি জল আসে আঁখিপাতে,
এক দিন যদি খেলা থেমে যায় মধুরাতে,
তবু মনে রেখো।
এক দিন যদি বাধা পড়ে কাজে শারদ প্রাতে-- মনে
রেখো।
যদি পড়িয়া মনে
ছলোছলো জল নাই দেখা দেয় নয়নকোণে--
তবু মনে রেখো।

মন রে আমার

তুই ফেলে এসেছিস কারে, মন, মন রে আমার।
তাই জনম গেল, শান্তি পেলি না রে মন, মন রে
আমার॥
যে পথ দিয়ে চলে এলি সে পথ এখন ভুলে গেলি--
কেমন করে ফিরবি তাহার দ্বারে মন, মন রে
আমার॥
নদীর জলে থাকি রে কান পেতে,
কাঁপে যে প্রাণ পাতার মর্মরেতে।
মনে হয় যে পাব খুঁজি ফুলের ভাষা যদি বুঝি,
যে পথ গেছে সন্ধ্যাতারার পারে মন, মন রে আমার॥

Tuesday, January 26, 2016

ভালোবাসার সাগর তুমি By তুহি ন

তোমায় ভেবে হয় যে আমার,
প্রতিটি দিনের সূচনা ৷
তোমায় ভেবে দু'চোখে নামে,
স্বপ্ন রাতের জোছনা ৷
ভালবাসার সাগর তুমি,
আমি অবুঝ মোহনা ৷
তুমি ছাড়া মনের কথা,
কেউতো বোঝেনা ৷ copy #খুশি

ঝড়ের মেঘ By তুহিন

যদি ঝড়ের মেঘের মতো আমি ধাই চঞ্চল-অন্তর
তবে দয়া কোরো হে,
দয়া কোরো হে, দয়া কোরো হে ঈশ্বর ॥
ওহে অপাপপুরুষ,
দীনহীন আমি এসেছি পাপের কূলে--
প্রভু, দয়া কোরো হে, দয়া কোরো হে,
দয়া করে লও তুলে
আমি জলের মাঝারে বাস করি,
তবু তৃষায় শুকায়ে মরি--
প্রভু, দয়া কোরো হে,
দয়া করে দাও সুধায় হৃদয় ভরি ॥

সার্থপর সবাই By তুহিন

মানুষ Bluetooth দিয়ে Share it নেয়,
তার পর Bluetooth কে ভুলে যায়,
তেমনি এই পৃথীবিতে এমন অনেক মানুষ আছে,
যারা আপনার হাত ধরে,
অন্যের সাথে পরিচিত হয়ে,
আপনাকে ভুলে যায়,

Monday, January 25, 2016

আমরা আমরাইতো 

আমরা আমরাইতো 
 


হ্রদয় হীনা by তুহিন

আমি জানি না তুমি আমার কষ্ট গুলো
অনুভব করো
কি না !!,,কিন্তু আমার অন্তরটা কি
ভাবে যে পুড়ে
যাচ্ছে তুমি সেটা বুঝবে কি
করে !!,,কারণ তুমি
তো একটা হৃদয়হীনা তুমি এখন বুঝবে
না !!,,যখন
দেখবে তোমার পাশে সেই ছায়ার মতো
মানুষ
টা আর নেই !!,,তখন তুমি বুঝবে কি
ছিলাম তোমার
আমি !!,,,  copy from YA SAHIN

For HUAWEI Watch Pro GPS NFC Smart Watch Men 360*360 AMOLED Screen Heart rate Bluetooth Call IP68 Waterproof Man Smartwatch 2025

  Specifications Hign-concerned Chemical None Battery Life 3Day Voice assistant built-in YES Bluetooth-compatible Version 5.3 Metrics measur...