Thursday, December 31, 2015

Life by Tuhin

আজ সত্যিই আমি অপরিচিত নিজের কাছে
হারিয়ে ফেলেছি আমি, আমার আমি কে
ছোট্ট কিছু স্বপ্নপুর ছিল বাস্ততা স্বপ্ন গুলো কে বদলে
দিল
আজ কষ্ট হচ্ছে না , দুঃখও নেই আমার ,
না হয় হেরে গেলাম জীবনের কাছে এই তো ??
একদিন আমিও তোমার কাছে স্মৃতি হয়ে যাবো
ভুল করেও হয়তো মনে পরবে না ,
ভাববে না কোন একজন ছিল
যে তোমায় তার পৃথিবী ভাবতো ,
হয়তো কিছু পুরনো স্মৃতি ভেবে
হাজারো নতুন স্মৃতির চাঁদরে ডেকে দেবে আমাকে
কষ্ট নেই তুমি ভুলে যাবে আমায়
হয়তো বাস্তবতা তোমায় বদলে দিয়েছে
তুমি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখে গেছ ।
সত্যিই তোমার তুলনা তুমি
খেলেছ আমার আবেগ গুলো নিয়ে
বদলে দিয়েছ কষ্টের রং দিয়ে আমার সোনালি স্বপ্ন
গুলো ।
তবুও তুমি ভালো থেকো
যতটা ভালো থাকলে আর আমায় মনে পরবে না।

Friday, December 25, 2015

অভিনয় By তুহিন

পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই অভিনয় করে।
কেউ নিজের সাথে কেউ অন্যের সাথে।
কেউ নিজেকে হাসাতে আবার কেউ
অন্যকে হাসাতে। কেউ এই অভিনয় করে
নিজের দুঃখ লুকাতে যেয়ে অথবা নিজেকেই দুঃখ
দেয়ার জন্য।
আবার কেউ অন্যের দুঃখ ঘুচাতে অথবা অন্যকে দুঃখ
দিতে।
তবে অভিনয় সবাই আমরা করছি আর করব এটা ঠিক।

শূন্যতা By তুহিন

একদিন সবছিল আমার...
আশা ছিল,ভালবাসা ছিল,
ছিল বিচিত্র সব স্বপ্ন।
আর আজ-
তুমি নেই,
যেন কিছুই নেই।
আমার হৃদয়ে আছে শুধু,
শূণ্যতা মাত্র।

নিস্তব্ধ একলা আমি by তুহিন

নিরব নিস্তব্ধ রাতে একলা বসে
ভাবছি তোমার কথা
ছাদের কোনে নিরবে
ঝরছে জল দু এক ফোটা
আমি একলা একলা আমার জীবন
একলা ভাবি একলা থাকি এইত আমার জীবন
নিস্তব্ধ এই রাতে শুনতে পাই
মাঝে মাঝে কিছু যানবাহনের শব্দ
আর শুনতে পাই তোমার পদধ্বনি
আমি একলা একলা আমার জীবন
একলা ভাবি একলা থাকি এইত আমার জীবন
শুন্যতার মাঝে খুজে পাই তোমার ছায়া
বুঝতে পারি আমি অসহায় তোমায় ছাড়া
তাইত আমি একলা চলি তোমার অপেক্ষায়
আমি একলা একলা আমার জীবন
একলা ভাবি একলা থাকি।

Monday, December 21, 2015

অসহায় অনুভব

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনের শেষ প্রান্তে আমার
অবস্থান!! সত্যিই যদি আমি ছেড়ে যায় এই ভূবন কেউ
কি আমায় অনুভব করবে?? আমি অনেক দিন আমার
আপনজন দের থেকে অনেক দূরে, আর নিশ্চয় এখন যদি
আমার শেষ সমাধি হয় কেউ আগের মত feel করবেনা।
আমি এটাই চাই, আর তাই নিজেকে সরিয়ে নিলাম
অনেক দুরে। তবে আরো দুরে সরে যাবো, সারা
পৃথিবী খুজলেও আমাকে পাবেনা। আমি খুব চেষ্টা
করছি সূর্যের আলোর ছায়া আমার হয়ে মাটিতে না
পড়ে যেন। আমার সমাধির উপর পড়ে। যন্ত্রনার সইতে
সইতে মোটামুটি সয়ে উঠেছি ও, কিন্তু তা এখন
পৃথিবী সমান হয়ে গেছে, এই কষ্টের ভর আর নিতে
পারছিনা, খোদা আমায় এবার নিয়ে যাও জনম
বাড়িতে। #
তুহিন 

Saturday, December 19, 2015

কবিতা হয়ে ঘুমিয়ে থাকো ....... সংগ্রহ posted by তুহিন

কবিতা হয়ে ঘুমিয়ে থাকো তুমি
আমার ডায়েরীর পাতায় পাতায়
নির্লিপ্ত আবদ্ধ চোখে স্থিতু প্রগাঢ় অমানিশা
শতাব্দীর জমাট অন্ধকার হতে বহমান অতীতের গান....
এক একটি পত্র পল্লবে
এক একটি ধুম্র ইতিহাস.....
কখনও জলে কখনও স্থলে কখনও বা মায়াজাল খেলা করে
আমার আঙ্গুলের ডগায় ডগায়, প্রতি তন্ত্রীর লৌহকনিকায়,
নীলাভ শিরায় ....
পাতা উল্টাই, ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই
অবিশ্রুত ভালোবাসার পেলব অভিমানে
বিষাদীয় সঙ্গীতের সূর গুন গুন, কোমল গান্ধার, জেগে
ওঠো তুমি
চোখ মেলো ঘুমপূরীর রাজপুত্র, সোনার জীয়ন কাঁঠি
জাগে শিওরে তোমার.......
ললাটে ছোঁয়াই তপ্ত অধর,
পরম আদরে, শোনাই গল্পকথা জ্যান্তব রুপকার
বন্দী রাজকন্যা, দৈত্যি দানো, সাত সমুদ্র তেরো নদী
মন্ত্রমুগ্ধ মোহাবিষ্ঠতায় অবাক চেয়ে রও তুমি, পলকহীন
মুগ্ধশ্রোতা!
হরতন চিড়েতন রুহিতন
তাসের খেলাঘরে প্রতিষ্ঠা পায় প্রাণ পৌত্তলিকা
শব্দজ্যোসনায় দৃষ্টিদান করি,বাঁধি মায়াহরিণীর প্রেমে
উতল ভালোবাসায় গাঁথি মালা অমরাবতী শ্রান্তিহীন অবিরাম....
অদল বদল রৌপ্য ঘুমকাঠি পুনশ্চ পূণর্বার
দীঘল শীতার্ত রাত্রী অলস দুপুর অথবা ঝুম বর্ষন সন্ধ্যা
কবিতা হয়ে ফের ঘুমিয়ে পড়ো তুমি আমার ডায়েরীর
নক্সীপাতার ভাজে
বন্ধ মলাটে জাগে স্মৃতির মেলানকলিয়া অনিদ্র নীলকন্ঠী
বালিকার মৌন মনিহার!!!

নীলাম্বরের ধ্রুবতারা লিখেছেন নীলাম্বর সরকার মিন্টু

কেন তুমি বাতাসে যাও ভেসে । কেনই
বা আড়ালে ওঠো হেসে ।
কেন তুমি হারিয়ে যাও গভীর আঁধারে ।
কেন তুমি থাকো দূরে সরে ।
কেন তুমি স্বপ্ন দেখাও
মিথ্যা ঘুমের ঘরে ।
দূর অজানায় থাকো তুমি
যায় না তোমায় দেখা ।
অদৃশ্যের জালে আটকে থাকো তাই হয় না আঁকা ।
কেন তুমি অদৃশ্যের ঐপারে ।
কেন তুমি স্বপ্ন দেখাও মিথ্যা ঘুমের ঘরে ।
কোয়াশার মত হারিয়ে যাও
সোনালি ঊষার সাথে ।
ধ্রূবতারা হয়েও তুমি দাও না ধরা নীলাম্বরের হাতে ।
কেন তুমি থাকো দূরে সরে ।
কেন তুমি স্বপ্ন দেখাও
মিথ্যা ঘুমের ঘরে ।

Friday, December 18, 2015

ঘুমপুর স্বপ্নপুর By তুহিন

ঘুমাও তুমি...............!!
তোমার ঘুমের ভেতর দেখো
আমি ঠিক ছুয়ে যাবো তোমার হৃদয়,মন,
তোমার নিষ্পাপ দুটি হাত ।
তোমার কানের কাছে গিয়ে দেখো
ফিস ফিস করে বার বার বলবো-
আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি ।
যেমনটা সুযোগ পেলেই মাতিয়ে রাখি তোমার
চারপাশ ।
আমার অদ্ভুদ সব কান্ড দেখে হাসবে না তুমি !!!
তুমি তো জানো......
তোমার কতটা ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি ।
আমাকে এভাবে অস্থিরতায় রেখে
তুমি এমন করে নিষ্পাপ শিশুর মত
কেমন করে ঘুমাও বলোতো দেখি ?
আমি জেগে আছি, থাকবো অনন্তকাল ।
শুধু তোমার ভালোবাসা পেতে ।
জানো এভাবে অনন্তকাল জেগে থাকতে
আমার কোন আপত্তি নেই.........!!!

Thursday, December 17, 2015

এ পি জে আবদুল কালামের উক্তি গুলো

ভারতের মরহুম রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের
৫টি উক্তি আপনার ক্যারিয়ার পাল্টে দিতে পারে।
সেগুলো হচ্ছে- ১) ‘স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে
দেখো। স্বপ্ন সেটা যেটা তোমায় ঘুমোতে দেয় না।’
২) ‘সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে প্রথমে
তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।’ ৩) ‘যদি তুমি
তোমার কাজকে স্যালুট কর, দেখো তোমায় আর
কাউকে স্যালুট করতে হবে না। কিন্তু তুমি যদি
তোমার কাজকে অসম্মান কর, অমর্যাদা কর, ফাঁকি
দাও, তাহলে তোমায় সবাইকে স্যালুট করতে হবে।’ ৪)
‘যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না; তাদের
অর্জন অন্তঃসারশূন্য, উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে
তিক্ততার উদ্ভব ঘটায়।’ ৫) ‘প্রতিদিন সকালে এই
পাঁচটা লাইন বলো : – আমি সেরা। – আমি করতে
পারি। – সৃষ্টিকর্তা সব সময় আমার সঙ্গে আছে। –
আমি জয়ী। – আজ দিনটা আমার।

Wednesday, December 16, 2015

শেষের কিছু By তুহিন

এতোগুলো দিন পেরিয়ে গেল.. তুমি কোথায় আছো
জানিনা .... কেমন আছো তাও জানিনা । কিন্তু আজ আবারো
স্বার্থপরের মতো তোমায় খুজতেছি .. না কোন আশা
বা প্রত্যাশা থেকে নয়... জীবনের এই মোড়ে
এসে কিইবা প্রত্যাশা থাকতে পারে । কোন এক
রোদেলা দুপুরে রাস্তার পিচ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলে
তুমি...। সেদিন তোমাকে দেখার পর আমার মনে হচ্ছিল
এই সেই তুমি যাকে আমি আমার হৃদয় দিয়ে খুজতেছিলাম ।
তুমি ছিলে আমার অনেক কাছের একজন বন্ধু ।
ভালোবাসার মায়াবি টানে অকারনেই ভালোবাসি তোমায় ।
বন্ধুত্বের এই মধুর সম্পর্কের জন্য হয়তোবা কখনো
তোমাকে বলতে পারিনি আমার মনের মধ্যে লুকিয়ে
থাকা সেই ভালোবাসা কথা । একসময় নির্দিধায় সেই
ভালোবাসার কথাও বলে দেই ... জানিনা তোমার মনে
আমার জন্য কতটুকুইবা ভালোবাসা ছিল...?? তুমি আমাকে
ভালোবাস কি না তাও আমি জানতাম না... অনেক ভয়েই ছিলাম
..?? হ্যা তোমাকে হাড়ানো ভয়.. এই কারনে যদি
কখনো তুমি আমার কাছ থেকে হাড়িয়ে যাও .. এটা আমি
মানতে পারবো না.. নিজেকে অনেক অপরাধী মনে
হচ্ছে । নির্ঘুম রাত হটাৎ তোমার নম্বর থেকে একটা
sms ... আমিও যে তোকে অনেক ভালোবেসে
ফেলেছি রে পাগল.. সেই মহুর্তটা আমার কাছে কেমন
ছিল সেটা আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না ..
নিজেকে অনেক ভাগ্যেবান মনে হচ্ছিল তোমার
মতো একজন সঙ্গীকে পেয়ে.. । সরাদিন ফোনে
কথা হতো.... মাঝে মাঝে হাসি আবার কখনো কখনো
কান্না.... ভালো লাগতো তোমার দুষ্টু মিষ্ট
অভিমানগুলো আর ভালো লাগতো তোমার শাসন ।
এভাবেই চলতে থাকে দিনগুলো.. নিজের অজান্তেই
একটা পরিচয় করে নিয়েছিলাম তোমার মাঝে । তুমি সব
সময় অনেক দুরেই থাকতে কিন্তু সব সময়ের জন্যই
আমার মনে হতো এইতো তুমি আমার কাছেই আছো ।
তোমার কিছু কিছু পাগলামী আমাকেই পাগল করে দিতো
। একটা ঘন্টা কথা না বলে কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে
পারতাম না । সেদিন যখন ফোনটা সাইলেন্ট করা ছিল আর
পরে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি যে ৯৫ টা মিসকল আর
৭টা এস.এম.এস । সেদিনি আমি বুঝে গেছি এই জনমে
তোমার মতো ভালোবাসা আমাকে কেউ দিতে পারবে
না । কয়েকদিন পর তোমার সাথে দেখা । একটা কফি
দুজনে শেয়ার করা, হাতে হাত রেখে নদীর ধার দিয়ে
হাটা, এবংকি তোমার সাথে কাটানো প্রত্যেকটা মহুর্ত
আমার মনের ডায়েরিতে গাথা হয়ে রয়েছে .. । হটাত
একটা দমকা হাওয়া.... আর আস্তে আস্তে সেটা রুপ নেয়
এক কাল বৈশাখী ঝড়ে.... ভেঙ্গে চুরমাচার করে দিয়ে
যায় সবকিছু । দেয়াল হয়ে দাড়ায় তোমার আর আমার
সম্পর্কের মাঝখানে । সেটা এতোবড়ই ঝড় যে তার
সাথে মোকাবেলা করাটাও আমার সামর্থের মধ্যে ছিলনা ।
আর এই ঝড় আমাকে বাধ্য করায় তোমার কাছ থেকে
দুরে সরতে । বিশ্বাস করো সেদিন আমি চেয়েও কিছু
করতে পারিনি আর আজো পারবো না । হয়তোবা
তোমার জন্য কিঞ্চিত পরিমান ভালোবাসা আজো এই
মনের ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে কিন্তু আজ সেটা আমি
প্রকাশ করবো না । কিন্তু এই স্বার্থপরটা আজো তোমায়
খুজতেছে শুধুমাত্র একটি কথা বলার জন্য ... যদি কখনো
পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও...

Saturday, December 12, 2015

তুমি আমি সবাই

মৃত্যু আসবেই,আমি তুমি সবাই জানি।
আজ রাতের ঘুম কাল সকালে ভাঙবে কিনা কে
জানে? যে জানে সেতো নির্বাক সৌন্দর্যের
আয়োজক।
তবুও আগামীকালের জন্য জমিয়ে রাখা কাজ
গুলোর দোহাই দিয়ে জেগে উঠতে চাই।
বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি নির্মম শহরটা
কে...

Thursday, December 10, 2015

মন ভালো নেই - তপু song Lyrics


মন ভালো নেই
বলো না কিছুতেই
তবু বুঝে নেবে কে আছে
দেখো কেউ কাছে নেই
তবু তুমি এগুবেই
ভাঙ্গা পথ সাথী কে হবে ?
যদি কখনো আমায় মনে পড়ে যায়
খোল দুয়ার আকাশের আমি তারাময়
যদি কখনো ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয়
চাদর হয়ে আজ জড়াবো তোমায়
কে বলো কে দেখাবে পথ তোমাকে
যদি যাও হারিয়ে এই শহরে
কে বলো কে দেখাবে পথ তোমাকে
যদি যাও হারিয়ে এই শহরে
যদি কখনো আমায় মনে পড়ে যায়
খোল দুয়ার আকাশের আমি তারাময়
হাওয়াতে এলো চুল মুখে এসে পড়ে
যদি না থাকি তা কে সরাবে
হাওয়াতে এলো চুল মুখে এসে পড়ে
যদি না থাকি তা কে সরাবে
যদি কখনো আমায় মনে পড়ে যায়
খোল দুয়ার আকাশের আমি তারাময়
যদি কখনো ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয়
চাদর হয়ে আজ জড়াবো তোমায়
যদি কখনো আমায় মনে পড়ে যায়
খোল দুয়ার আকাশের আমি তারাময়
যদি কখনো ছুয়ে দিতে ইচ্ছে হয়
চাদর হয়ে আজ জড়াবো তোমায়। 

শিরোনামহীন By তুহিন

রাত্রি ক্লান্ত জীর্ন শীর্ন আঁধো চাঁদের আলো
পিচ ঢালা পথ কখনো ধূসর কখনও বা কালো
সারাটা পথ জুড়ে আমি একা
হেটে যাই আকাশ তারার পানে চেয়ে
নীল জোছনায় স্মৃতিরো ভীড়ে
হারিয়ে যায় মন আধারে।
আধাঁর রাতে নেমে আসে শিশিরের ছায়া
নিভে গেছে দূর কোন স্মৃতিরও মায়া
নিঃসীম চারপাশ কোনো সাড়া নেই
তবু এক দীপ্তি রয়ে গেছে
যত দূরে যেতে চাই নিলীমার পথে
আরো দূরে সরে যায় রাতের আকাশে
চুপচাপ শহরে নিশ্বাস ফেলে আসি
এই নিরব বাতাসে।

Wednesday, December 9, 2015

কেমন আছো By মানছুর

কেমন আছ জানিনা জানার ইচ্ছে হলে ও জানতে পারিনা,
একটা সময়ই ছিল তোমাকে না দেখে থাকতে পারতাম না , তা
ওই সময়ই একটা ব্যাপার ভাল ছিল তোমাকে না ভেবে
থাকতে পারতাম।
এখন তোমাকে না দেখে থাকতে পারি কিন্ত না ভেবে
থাকতে পারি না কিন্তু কেন ?
জানি না আর কখনো জানার চেষ্টা ও করি না কেন করবো
কার জন্য করবো যাকে একা রেখে চলে গেছ
অনেক দূর, কি ভেবেছিলে আমি ভেঙ্গে যাব
ভেঙ্গে দিবে আমার সব কিছু কি ছিল তোমার ইচ্ছা কষ্ট
দিয়ে আমাকে শেষ করে দিবে কিন্তু তমি কি করে
ভুলে গেলে আমি জন্মের পর থেকেই জ্বলছি তুমি
আর নতুন করে কি জ্বালাবে ।
আমার লেখা গোলা তুমি পড়বে জানি হয়ত কোন একদিন
তুমি পড়বে কিন্তু কিছু বলবে না কারণ তোমার বলার কিছু
নেই থাকবেই বা কি করে যা বলার ছিল টা তো বলেই
দিয়েছ আজ একটা গান অনেক মনে পরে
জীবন মানে পদ্মা নদী
থেমে সে তো থাকে না
তোমাকে ছাড়া আমি কষ্টে আছি
এমন কখনো ভেবনা
তুমি যদি ভাল থাক আমাকে ছাড়া
আমি কেন পারব না
তোমার কি কখনো মনে পরে এই গানটা শুনি বলে তুমি
অনেক রাগ করতে ,
আর আমি তোমাকে বলতাম যে কি করবো তুমি যদি
আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাও সেই সময়ই গানটা
গাইব তাই শিখে রাখি, তুমি আমার মুখ চেপে ধরে
বলেছিলে এক মাত্র মরন ছাড়া তোমাকে আমাকে আলাদা
করতে পারবে না ।
সেই তুমি আজ আমাকে চেন না দেখে না দেখার মত
করে চলে যাও কিন্তু কেন ?
আমি কি তোমার কোন ক্ষতি করছিলাম ??
তোমাকে তো শুধু ভালবেসেছিলাম
চেয়েছিলাম সারাটা জীবন তোমার বুকে মাথা রেখে
কাটাতে, চেয়ে ছিলাম তোমার হাতে হাত রেখে জীবন
পার করে দিতে কিন্তু কিছুই হল না আর হবে ও না।
আমার লেখা হইত এখানেই শেষ কিন্তু জীবন এর শেষ
কোথাই ??
যানিনা তবে সেই অপেক্ষাই আছি যাবার আগে এক নজর
তোমাকে দেখার আসাই
একবার চখের দেখা দেখব বলে হইত বেছে আছি
দরদিয়া তুমি দাওনা দেখা থাকলে কাছা কাছি
ভাল থেকো সারাটা জীবন দোয়া করি, তোমার উপর
আমার কোন অভিমান কেই নেই কোন রাগ তোমাকে
ভালবাসার আগে এমন কোন সর্ত তো ছিল না যে তুমি
আমার হবে, সারা জীবন আমার পাশে থাকবে তবে কেন
তোমার ওপর অভিমান করবো বল,
ভুলে গেছি তোমার দেয়া সব কষ্ট
ভুলতে পারিনি তোমাকে
ভুলে গেছি তোমার সব কথা
ভুলতে পারিনি তোমার প্রেম।

ভাবনা By মানছুর

আমি তো ভালোই ছিলাম রাতের নীরবতায় নিজেকে
লুকীয়ে রেখে
ছিল আমার এলোমেলো একটা জীবন
ছন্নছাড়া এই জীবন নিয়ে
আমি তো বেশ আছি
তবুও উড় মনে আজ হাজারো ভাবনা তোমাকে ঘিরে
আমার আমি কে নতুন করে সাজানোর
এক ইচ্ছার ডিঙ্গি নায়ে আমি কেন সাগর পাড়ি দিচ্ছি ??
কেন আমি আজ বাস্তবিক চিন্তা থেকে নিজেকে
এত দূরে রেখেছি ??
হয়তো আমি তোমায় এত ভালোবাসি বলেই ??
মনের জমানো আবেগ গুলো তো আমি সেই
কবেই শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছি
তবে কেন আজ ওরা আবার পুনর্জীবিত ??
তবে কি আমি আজও তোমায় ভালোবাসি ??
মাঝে মাঝেই কিছু প্রশ্নের বিষাক্ত তীর
এ মনের আবেগ গুলো কে ছিন্নভিন্ন করে দেয় ,
ভাবনার অজান্তেই এ মনের আকাশ টা ঢেকে যায়
হারিয়ে যাবে তুমি নামক এক
বিশাল কালো ঘুটঘুটে চাঁদরে ।
এই অন্ধকার আজ আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে
তবুও এ অবাধ্য ভাবনা শুধু তোমাকেই ভাবে
কারণ আমি যে সত্যিই আজও তোমায় ভালোবাসিভালোবাসি

ভালোবাসতে ভালোবাসি By তুহিন

গতকালের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসি
আজ,
কাল ভালবাসবো অনেক বেশি আরও ।
ভুলে যেতে বলেছিলে তোমায়, হুম্মম…এ
জীবনে তো আর সম্ভব না, আর একবার জন্ম
নিলে চেষ্টা করে দেখতে পারি । যদি প্রশ্ন
করো কেন এতোটা ভালোবাসি !!! যা প্রকাশ
করার
ভাষা ,পরিমাপ করার স্কেল অথবা কোন কারন
আজো পাইনি ।
উত্তর একটাই …”ভালবাসতে ভালোবাসি….

কষ্টের সীমানা কতদূর By তুহিন

কষ্টের সীমানা কতদুর ?এর শুরু কোথায়? শেষ কোথায় ?কারো কষ্ট মুহুর্ত মাত্র, কারো কষ্ট অষ্টপ্রহর।কারো কষ্ট সপ্তাহ, মাস বা বছর, কখনো বা যুগ !কারো কষ্ট জীবনের অন্তিম শয়নেই সমাপ্তি টানে।কারো কষ্ট শুকতারার মত হঠাত খসে পরে।কারো কষ্ট ইন্দুরবির মত পালাক্রমে আসে।কারো কষ্ট তমঃবিষাদে নক্ষত্রের মত জ্বলে।কারো কষ্টে কষ্টেই গাঁথা সুখের মালা।কষ্টের সীমানা কতদুর ?কারো কষ্ট এলোমেলো, কারো কষ্ট একা।কারো কষ্ট নিরবে কাঁদে, যায়না তারে দেখা !কারো কষ্ট দিন দুপুরে, কারো কষ্ট রাতে,কারো কষ্ট লালে লালে নীল,দাগ কেটে রয় সুপ্রভাতে।কারো কষ্ট নস্ট বলে, নস্টেই কাব্যের কষ্ট ,নস্টে নস্টে এক জীবন হারে, কষ্টের গল্পটি স্পস্ট।কষ্ট আমার চোখের কোনে, বুকে কষ্টের মরুভুমি,কষ্ট আমার একলা রাতের, কষ্ট আমার তুমি।কষ্টের সুতোয় কাব্য গাঁথি ,কষ্টেই আমি বাঁধা ,অশ্রু দামে কষ্ট কিনি, কষ্টেই সুখ গাঁথা ।কষ্ট আমার একটা আকাশ, বরফ গলা নদী,কষ্ট আমার একটা অতীত, ছুঁয়ে দেখতে যদি।কষ্ট আমার ঘরের চোকাঠে, শীতল পায়ে হাটে,কষ্ট নড়ে চোখের ভিতর, কষ্টের কোলে বছর কাটে। কষ্টআমার দুপুর বেলা, কষ্ট একলা রাতি,কষ্ট বুকের ভাসমান পাঁজর,কষ্ট পথের সাথী।কষ্ট তোমার বিমুখ হওয়া, কষ্ট জলরাশি,কষ্টের সাথে সন্দ্বি আমার, কষ্টে কষ্টে হাসি।কষ্ট খুঁজি সকাল সন্দ্ব্যা, কষ্টেই যত ভয়,কষ্ট আমার গোপন রাতের, সন্দ্ব্যাতারা সাক্ষী রয়।

শূন্যতা. by তুহিন

দুনিয়াতে খুব অল্প কিছু মানুষ আছে ,যারা আসলেই আলাদা ,সারাজীবনেওতারা কারও আপন হতে পারে না , তাদের কেউইবুঝে না , তাদের সব থেকেওআসলে শূন্যতা ছাড়া কিছুইথাকে না ,তারা একা আসে ,একা ঘুরে ,একাই থাকে ,একাই চলে যায় ...

Tuesday, December 8, 2015

কিছু স্বপ্ন ছিলো by তুহিন

আজ সত্যিই আমি অপরিচিত নিজের কাছে
হারিয়ে ফেলেছি আমি, আমার আমি কে
ছোট্ট কিছু স্বপ্ন ছিল বাস্ততা স্বপ্ন গুলো কে বদলে
দিল
আজ কষ্ট হচ্ছে না , দুঃখও নেই আমার ,
না হয় হেরে গেলাম জীবনের কাছে এই তো ??
একদিন আমিও তোমার কাছে স্মৃতি হয়ে যাবো
ভুল করেও হয়তো মনে পরবে না ,
ভাববে না কোন একজন ছিল
যে তোমায় তার পৃথিবী ভাবতো ,
হয়তো কিছু পুরনো স্মৃতি ভেবে
হাজারো নতুন স্মৃতির চাঁদরে ডেকে দেবে আমাকে
কষ্ট নেই তুমি ভুলে যাবে আমায়
হয়তো বাস্তবতা তোমায় বদলে দিয়েছে
তুমি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখে গেছ ।
সত্যিই তোমার তুলনা তুমি
খেলেছ আমার আবেগ গুলো নিয়ে
বদলে দিয়েছ কষ্টের রং দিয়ে আমার সোনালি স্বপ্ন
গুলো ।
তবুও তুমি ভালো থেকো
যতটা ভালো থাকলে আর আমায় মনে পরবে না

বেঁচে থেকে কি লাভ. By. তুহিন

মৃত্যু আর জীবনের
সহবাসে এই মাত্র জন্ম হল আমার,
মাথার মধ্যে এখনও নিউরনিক সেল গুলো
সঠিক ভাবে উত্তেজিত হতে শেখেনি।
তবুও আমি অনেক কিছু বুঝতে শিখে গেছি :
মৃত্যুর ছোবল বিষাক্ত নয়, ------ স্বাদহীন!
আমি অজস্র মৃত্যুর ছোবল নিয়েছি এ বুকে ----
শরীরি মৃত্যুই কি কেবল মৃত্যু?
আমি মানষিক মৃত্যুতে মরেছি বারং বার।
মৃত্যুর বরপুত্র আমি !
করোনারিসাইনাস বেয়ে নেমে আসা চিন চিনে ব্যথায়
আমার মস্তিষ্কজাত নিউরনিক সেল গুলো
নার্ভের শরীর দিয়ে ব্যথার বার্তা পাঠায় না।
অথচ রাস্তায় পড়ে থাকা অভুক্ত শিশুর আর্তনাদে,
মৃত মায়ের স্তনে অবুঝ বালকের দুগ্ধ অন্বেষণে,
পাগলের গায়ের ক্ষতে সর্বগ্রাসী কীটের দংশনে,
আমার শরীরের প্রতিটি কোষে, কোষে তখন অসহ্য
যন্ত্রণা হয় !
তুমি বেঁচে থেকেই মরে আছ,
মরে গিয়েই বেঁচে যাওয়া বোধ হয় ভাল হতো !
এভাবে বেঁচে থেকে কি লাভ?
শরীরি মৃত্যুই কি কেবল মৃত্যু?
আমি মানষিক মৃত্যুতে মরেছি বারংবার... সহস্র বার.....
মৃত্যুর বরপুত্র আমি....!!

Wednesday, December 2, 2015

হতাশা by TuHiN

রাত্রি বেড়ে চলে
বেড়ে চলে আমার
একাকীত্ব।
বেড়ে চলে আকন্ঠ
জীবনের মাংসল
ভার-
জীবন এ যেন এক
আজন্ম ক্যান্সার,
আমাকে উপভোগ
করে,
আমাকে উপভোগ
করে।

অমর প্রেম by তুহিন

বার বার অপলক দৃষ্টি নিয়ে দেখে যাই তোমায়যতবার দেখি ,আর যতবার দেখেছি আপন মনেতবুও বার বার অতৃপ্তি থেকে যায় ।ও চোখের গহিনে যে স্বপ্ন দেখিদেখি বেঁচে থাকার প্রয়াস ,এ তো এ জন্মের নয়এ তো পূর্ব জন্মের ।তবু তোমাকে দেখার সাধ মিটে না ।অপলক দৃষ্টি নিয়ে ততবার দেখেছি যতবার বাঁচারআকুতি ছিলো হৃদে ।তবুও যে অতৃপ্ত !তবে জেনে গেছি আমিহ্যাঁ খুব করে জেনে গেছি এ জন্মে তোমায় দেখারতৃপ্তি হবে না ।শর্তবিহীন আজীবন তোমাকে দেখার আদম্ম ইচ্ছে কেবুকের রাজ ফটকে বন্দী করেশেষ বারবের মত অপলক তোমায় দেখে দেখে যেতে যেতেচিৎকার করে বলে যাবো ,এ জন্ম আমার বৃথা ,এ জন্ম আমার নিরাশ ,তোমায় আরও দেখার ইচ্ছে ছিলো ।

Friday, November 27, 2015

নীলাদ্রী

লিখেছেনঃ অভ্র তুষার (১) ছেলেটির নাম ‘নীলাদ্রী’;চট্টগ্রামের একটি বিখ্যাত কলেজে I.Sc-2 Nd ইয়ারে পড়ছে।নীলাদ্রী যখন class-6 এ পড়ত তখন ওর বাবা মারা যান।বাবা মারা যাওয়ার পর ওর মা ওকে খুব কষ্টে মানুষ করেন।নীলাদ্রী মা-এর কষ্টের মান রেখেছে। school-এ 1st ছাড়া 2nd হতে ওকে কেউ কখন-ও দেখেনি।SSC তে Golden A+ পেয়েছে এবং Board-এর সেরা দশ জন ছাত্রের তালিকায় ওর নাম আছে।নীলাদ্রী কখনও কারও সাথে ঝগড়া বা মারামারি করেছে এমনটা কেউ কখনও শোনেনি। তো এই ঘটনা সেই সময় কার যখন নীলাদ্রী একটি নতুন airtel sim কিনল।যেহেতু নতুন sim তাই ২-১ জন বন্ধু ছাড়া তেমন কেউ ওর এই number টা জানত না।ঐদিন সকালে ওর এক বান্ধবি ‘চৈতী’র note খাতা ফেরত দেয়ার কথা ছিল।কিন্তু ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায়,ফিজিক্স ব্যাচ-এ দেরি হয়ে যাচ্ছিল বলে,নীলদ্রী এক প্রকার ছুটতে ছুটতেই ব্যাচে গেল ‘চৈতী’র খাতা না নিয়েই।কথা ছিল চৈতী college gate-এ wait করবে ওর জন্য;হয়ত করছিল-ও,কিন্তু নীলাদ্রী অনেকটা লুকিয়ে বাসায় চলে এল।আর কারন?খাতা তো ও’ সাথে করে নিয়ে যেতেই ভুলে গেছে। YesterdayOvro Tushar (২) এর প্রায় দেড় ঘন্টা পরের কথা……………….নীলদ্রীর mobile-এ একটা missed call এল।নীলাদ্রী ভাবলো,‘‘নিশ্চই চৈতী দিয়েছে”(চোরের মন পুলিশ পুলিশ আর কি)।ও’ মনে মনে ভাবল,‘‘নাহ!বেচারীকে একটা call দিয়ে একটা ‘সরি’ অন্তত বলে নেওয়া উচিত।কতক্ষন অপেক্ষা করেছে একা একা কে জানে?”যেই ভাবা সেই কাজ………..ও’ call দিল।ও’পাশ থেকে একটা মেয়ে call receive করতেই নীলাদ্রী ওর দোষ কবুল করা শুরু করল। কিন্তু অপর পাশের মেয়েটি তাকে অবাক করে দিল।সে নীলাদ্রী’কে রাগারাগি করার পরিবর্তে কিছু হাস্যকর প্রশ্ন করা শুরু করল।কিছুক্ষন কথা বলার পর নীলাদ্রীর কেমন যেন সন্দেহ হল।ও’ সরাসরি জানতে চাইল,‘‘কে কথা বলছেন?”তখন অপর পাশের মেয়েটি ও’কে খুব পরিচিত জনের মতই বলল,‘‘ইমমমমা!তুমি আমায় চিনতে পারছ না?”নীলাদ্রীর সন্দেহটা আরও বেড়ে গেল।এরপর শেষ পর্যন্ত নীলাদ্রী যা জানতে পারল তা হলঃমেয়েটিও আসলে নীলাদ্রীকে চেনে না।ওরা কয়েক বান্ধবী মিলে নিজের number-এর শেষ digit টা change করে unknown number-এ missed call দিচ্ছিল মজা করবার জন্য। নীলদ্রী number টা mobile-এ save করে রাখল ‘unknown number’ নাম-এ।ঠিক ঐদিন বিকালেই আরও একটা missed call এল ঠিক ঐ number থেকেই।নতুন sim,airtel sim কোম্পানীর কল্যানে mobile-এ তখনও কিছু free minute অবশিষ্ট ছিল।নীলাদ্রী ভাবল,‘‘দোষ কোথায় এই অপরিচিত বন্ধুটিকে চিনে নিতে যখন সে নিজেই আগ্রহ দেখাচ্ছে?”নীলাদ্রী call দিল number টা’তে।কিন্তু অপর পাশ থেকে যে কণ্ঠটি ভেসে এল কে সে?এই কণ্ঠ তো নীলাদ্রীর চেনা নয়।এত মিষ্টি আর মোহনীয় কণ্ঠস্বর নীলাদ্রী আগে কখনও শোনেনি।ও যেন নিজের কান কেই বিশ্বাস করতে পারছিল না।ওর মনে হচ্ছিল এটা স্বপ্ন নয় তো?নিজের গায়ে চিমটি কেটে ব্যাথা পেতেই বুঝতে পারল যে,এ মায়াবী কণ্ঠস্বর স্বপ্নে নয়,ও’ বাস্তবেই শুনছে।নীলাদ্রী তখন সরাসরি জানত চাইল যে মেয়েটি ও’কে missed Call কেন দিয়েছিল?কিন্তু মেয়েটি ও’কে অবাক করে দিয়ে জানাল যে,সে নীলাদ্রী’কে কোন missed call দেয়নি,হয়ত তার ছোট ভাই-বোন কেউ দিয়েছে। মেয়েটি আরও জানাল যে,সে নীলাদ্রী’কে চিনতে পারছে না।তখন নীলাদ্রী মেয়েটিকে দুপুরের সব ঘটনা খুলে বল্ল।সব শুনে মেয়েটি যা জানাল,তার মর্মার্থ হলঃদুপুরে নীলাদ্রীর সাথে যে কথা বলেছে সে ও’(মেয়েটি) নয়,ওর এক বান্ধবী ছিল।ওর বান্ধবী মেয়েটির number থেকেই নীলাদ্রী’কে missed call দিয়েছিল।কিন্তু ওর বান্ধবীরা ও’কে নীলাদ্রীর কথা বলেছে।আর এখন তো নীলাদ্রীর সাথে সরাসরিই কথা হল।নীলাদ্রী আরও বেশ কিছুক্ষন কথা বলল মেয়েটির সাথে।মেয়েটিও কথা বলল কারন তার দুষ্টু বান্ধবিদের কল্যাণে নীলাদ্রী যে আর অচেনা কেউ ছিল না,হয়ে গেছিল পরিচিত একজন।আর কারণটা?কারণটা আর কি-বা হবে……………নীলাদ্রী নামের এই অচেনা ছেলেটিকে যে ওদের মনে ধরে ছিল।নীলাদ্রী আর ঐ অসম্ভব সুন্দর কণ্ঠের অধিকারিণী মেয়েটি বেশ কিছুক্ষন কথা বলেছিল।রাতে ঘুমাবার সময় নীলাদ্রী মেয়েটার কথা ভাবতে লাগলো…………… (৩) মেয়েটির নাম ‘সেমন্তি’।নীলাদ্রীকে অবাক করে দিয়ে সেমন্তি জানিয়েছিল যে,সে’ও নীলাদ্রীর শহরেই থাকে।শুধু এটাই নয়,নীলাদ্রীর জন্য তখনও আরও চমক অপেক্ষা করছিল।আর তা হল….সেমন্তি নীলাদ্রীর-ই college-এ I.Sc-1st ইয়ারে পড়ছে।এরপর প্রায়ই ওদের ফোনে কথা হত।কিন্তু মেয়েটি চাইলে তবেই শুধুমাত্র,কারণ সেমন্তি যে number টা দিয়ে কথা বলত সেটা ও’ বন্ধ রাখত।যখন মন চাইত শুধু তখন-ই আবার চালু করে নীলাদ্রীর সাথে কথা বলত।সেমন্তির যে number টা সব সময় খোলা থাকতো,সেটা ও’ নীলাদ্রী’কে দেয়নি। আর নীলাদ্রীও কখনও জানতে চায়নি।অচিরেই ওরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে উঠল।সেমন্তি নীলাদ্রীকে জানিয়েছিল যে,সেমন্তি খুবই রক্ষনশীল একটি পরিবারের মেয়ে। college-এ ও’ কখনও কোন ছেলের সাথে কথা বলেনি। এমনকি ওর নিজের কোন facebook account পর্যন্ত তাই নেই।কিন্তু তবুও ওর ২টা ছেলে বন্ধু জুটে গেল,যাদের দু’জন কেই ওর খুব ভাল লাগে।তাদের একজন তো নীলাদ্রী নিজেই,আর অপর জনের নাম ‘ধ্রুব। ধ্রুব নাকি আবার নীলাদ্রীর সাথেই একই section-এ পড়ে।তবে ধ্রুবই নাকি সেমন্তি’কে প্রথম ফোন করে,আর তারপর থেকেই ওদের বন্ধুত্ব।কিন্তু ধ্রুব সেমন্তির mobile number টা কোথা থেকে পেয়েছিল সেটা সেমন্তির অজানাই ছিল। (৪) এরপর প্রায় এক মাস কেটে গেল সেমন্তির সাথে কোন কথা হয়নি নীলাদ্রীর।নীলাদ্রী বহুবার call দিয়েছে ও’র number-এ,কিন্তু ফোন কোম্পানী’র যণ্ত্রারূঢ় কণ্ঠ প্রতিবার-ই নিষ্ঠুরের মত ঘোষনা দিয়েছে যে,সেমন্তির number টি বন্ধ আছে।নীলাদ্রীর খারাপ লাগলেও ও’র কিছুই করার ছিল না।নীলাদ্রীর কেন খারাপ লাগত সেটার ব্যাখ্যা ও’র কাছে অজানাই ছিল।ওরা তো শুধুই বন্ধু ছিল,তাইনা?কিন্তু সত্যিই কি তাই ছিল ওরা?এর থেকে এক বিন্দু-ও কি বেশি মনে হয়নি নীলাদ্রীর কাছে সেমন্তি’কে?এই প্রশ্ন নীলাদ্রী কখনও তার মন কে করেনি,আর করবেও না।কারণ সে জানে বন্ধুত্বের কিভাবে মূল্যায়ণ করতে হয়।কিন্তু তবুও কেন এক অজানা ব্যাথা,প্রিয় একজনকে হারানোর সংশয় বরংবার আন্দলিত করেছে নীলাদ্রীর শান্ত হৃদয়কে?কিন্তু নীলাদ্রীর জানা নেই কি এর কারণ? কোথায়-ই বা আছে এর সমাধান? সেমন্তির যে জিনিষটা নীলাদ্রীর সব থেকে বেশি ভাল লাগত তা হল সেমন্তির মিষ্টি হাসি।নীলাদ্রী ওর সাথে কথা বলার সময় মনে হয় সেমন্তি কথার থেকে হয়ত হেসেছেই বেশি।আর নীলাদ্রীর যে জিনিষটা সেমন্তি সবথেকে বেশি ভালবাসত তা হল নীলাদ্রীর গান।খুব সুন্দর গানের গলা ছিল নীলাদ্রীর।সেমন্তি তো নীলাদ্রীকে বহুবার অনুরোধ পর্যন্ত করেছে ‘close- up one’-এর competition-এ অংশ নিতে।কিন্তু আজ সেই প্রতিযোগিতার সময় কাছে চলে আসলেও সেই কাছের মানুষটাই যে আর কাছে নেই।একটা প্রশ্ন বার বার নীলাদ্রীর মনে বাজতে থাকে আর তা হল,আমি যেমন ও’কে miss করি,সেমন্তি-ও কি আমায় তেমন miss করে? দুরত্ব হয়ত ভালবাসা বা বন্ধুত্বকে আরও গভীর করে,কিন্তু এই দুরত্ব নীলাদ্রীকে এ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তার উত্তর নীলাদ্রীর জানা নেই। (৫) এরপর হঠাৎ একদিন………………নীলদ্রীর মোবাইল-এ একটা missed call এল সেই বহু প্রতিক্ষিত number টা থেকে। number টা তখনও ‘unknown friend’ নামেই save করা ছিল নীলাদ্রীর mobile-এ।নীলদ্রী তখন ‘ফিজিক্স practical class’-এ ছিল।কোন রকমে একটা sms করে জানাল যে class থেকে বের হয়েই call back করবে।নীলাদ্রী কোন রকমে practical class করছিল।স্যার-এর নির্দেশ মত চোখটা হয়ত তড়িৎ প্রবাহ মাপার যন্ত্র ‘অ্যামিটার’-এর দিকেই ছিল কিন্তু মনটা হয়ত পড়েছিল অন্য কোথাও,অন্য কার কাছে।class থেকে কোন রকমে বের হয়েই নীলাদ্রী call দিল সীমন্তি’র number-এ…..অনেক কথা জমে আছে।বহু দিন পর আবার সেই প্রিয় মানুষটার সাথে কথা বলতে পেরে কী যে ভাল লাগছিল সেটা হয়ত নীলাদ্রী ছাড়া আর কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না। নীলাদ্রী তখন সেমন্তির সাথে দেখা করতে চাইল,কারন ও’ ঠিক করে ফেলেছে mobile তা আপাতত আর ব্যাবহার করবে না,কারণ সামনেই HSC পরীক্ষা।সেমন্তি-ও খুশীর সাথে দেখা করতে রাজী হল।ওরা ঠিক করল college campus-এ দেখা হবে।কিন্তু বিপত্তি হল,সেমন্তি college-এ কোন ছেলের সাথে কথা বলেছে-এটা ওর বান্ধবিরা কেউ দেখে ফেললে সেমন্তির সমস্যা হতে পারে। তখন নীলাদ্রী অনেক ভেবে একটা plan বের করল আর সেমন্তি’কে সেটা জানাল।plan টা এমন ছিল যে,‘নীলাদ্রী যেন বাইরের কোন শহরের অন্য কোন college থেকে transfer হয়ে এই college-এ নতুন এসেছে,তাই নিজের class খুজে পাচ্ছে না(1st ইয়ার এর students,2nd ইয়ার এর student দের তেমন চেনে না)। আগে থেকে ফোনের মাধ্যমে ওরা জেনে নেবে কে কোন রং-এর dress পরে আসছে।ফলে ওরা একে অপরকে দেখলেই চিনতে পারবে।তখন নীলাদ্রী ঐ মিথ্যা কথাগুলো বলে একটু ছোট-খাট নাটক করে সেমন্তির কাছে জানতে চাইবে class room টা কোথায়? আর এর মাধ্যমে ওদের দেখা আর কথা বলা টাও হয়ে যাবে।পরে সেমন্তির বান্ধবী্রা যদি ও’কে কিছু জিগ্যেস করে তো সেমন্তি সোজাসুজি বলে দেবে,আমি কী জানি এই নতুন ছেলেটা আমাকেই কেন প্রশ্ন করল? সেমন্তির-ও plan টা বেশ পছন্দ হল।ঐদিন নীলাদ্রী অনেক সময় ধরে গান শোনাল সেমন্তি’কে।আর সেমন্তি-ও খুব হেসেছিল।কথার মাঝে সেমন্তি নীলাদ্রীর Facebook Id টা জানতে চাইল কারণ সেমন্তিও নাকি খুব শীঘ্রই একটা Facebook Account খুলবে। নীলাদ্রী শুধু বলেছিল যে কথা শেষ হলেই text করে জানিয়ে দেবে।কিন্তু একটানা 23 minutes কথা বলার পরও যখন কথা আর ফুরায় না তখন মোবাইল-এর balance কিন্তু গেল ফুরিয়ে।একটা অর্ধ-সমাপ্ত কথা বলতে গিয়ে শুধু মুখেই রয়ে গেল,বলা হল না আর………….. (৬) পরদিন সকাল,তারিখটা ছিল সম্ভবত ‘১০ই অক্টোবর’,২০১২- বুধবার।নীলাদ্রীর জীবণের খুবই special একটা দিন।খুব স্বাভাবিক ভাবেই সকাল থেকেই খুব উচ্ছসিত ছিল তাই নীলাদ্রী।আগের দিন তো খুশীর চোটে ‘কাল কিছু হতে চলেছে’ এই টাইপের একটা status পর্যন্ত post করে ফেলল Facebook-এ।ওর বন্ধু আতিক তো ও’কে প্রশ্ন করেই শ

নীলাদ্রী

লিখেছেনঃ অভ্র তুষার (১) ছেলেটির নাম ‘নীলাদ্রী’;চট্টগ্রামের একটি বিখ্যাত কলেজে I.Sc-2 Nd ইয়ারে পড়ছে।নীলাদ্রী যখন class-6 এ পড়ত তখন ওর বাবা মারা যান।বাবা মারা যাওয়ার পর ওর মা ওকে খুব কষ্টে মানুষ করেন।নীলাদ্রী মা-এর কষ্টের মান রেখেছে। school-এ 1st ছাড়া 2nd হতে ওকে কেউ কখন-ও দেখেনি।SSC তে Golden A+ পেয়েছে এবং Board-এর সেরা দশ জন ছাত্রের তালিকায় ওর নাম আছে।নীলাদ্রী কখনও কারও সাথে ঝগড়া বা মারামারি করেছে এমনটা কেউ কখনও শোনেনি। তো এই ঘটনা সেই সময় কার যখন নীলাদ্রী একটি নতুন airtel sim কিনল।যেহেতু নতুন sim তাই ২-১ জন বন্ধু ছাড়া তেমন কেউ ওর এই number টা জানত না।ঐদিন সকালে ওর এক বান্ধবি ‘চৈতী’র note খাতা ফেরত দেয়ার কথা ছিল।কিন্তু ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায়,ফিজিক্স ব্যাচ-এ দেরি হয়ে যাচ্ছিল বলে,নীলদ্রী এক প্রকার ছুটতে ছুটতেই ব্যাচে গেল ‘চৈতী’র খাতা না নিয়েই।কথা ছিল চৈতী college gate-এ wait করবে ওর জন্য;হয়ত করছিল-ও,কিন্তু নীলাদ্রী অনেকটা লুকিয়ে বাসায় চলে এল।আর কারন?খাতা তো ও’ সাথে করে নিয়ে যেতেই ভুলে গেছে। YesterdayOvro Tushar (২) এর প্রায় দেড় ঘন্টা পরের কথা……………….নীলদ্রীর mobile-এ একটা missed call এল।নীলাদ্রী ভাবলো,‘‘নিশ্চই চৈতী দিয়েছে”(চোরের মন পুলিশ পুলিশ আর কি)।ও’ মনে মনে ভাবল,‘‘নাহ!বেচারীকে একটা call দিয়ে একটা ‘সরি’ অন্তত বলে নেওয়া উচিত।কতক্ষন অপেক্ষা করেছে একা একা কে জানে?”যেই ভাবা সেই কাজ………..ও’ call দিল।ও’পাশ থেকে একটা মেয়ে call receive করতেই নীলাদ্রী ওর দোষ কবুল করা শুরু করল। কিন্তু অপর পাশের মেয়েটি তাকে অবাক করে দিল।সে নীলাদ্রী’কে রাগারাগি করার পরিবর্তে কিছু হাস্যকর প্রশ্ন করা শুরু করল।কিছুক্ষন কথা বলার পর নীলাদ্রীর কেমন যেন সন্দেহ হল।ও’ সরাসরি জানতে চাইল,‘‘কে কথা বলছেন?”তখন অপর পাশের মেয়েটি ও’কে খুব পরিচিত জনের মতই বলল,‘‘ইমমমমা!তুমি আমায় চিনতে পারছ না?”নীলাদ্রীর সন্দেহটা আরও বেড়ে গেল।এরপর শেষ পর্যন্ত নীলাদ্রী যা জানতে পারল তা হলঃমেয়েটিও আসলে নীলাদ্রীকে চেনে না।ওরা কয়েক বান্ধবী মিলে নিজের number-এর শেষ digit টা change করে unknown number-এ missed call দিচ্ছিল মজা করবার জন্য। নীলদ্রী number টা mobile-এ save করে রাখল ‘unknown number’ নাম-এ।ঠিক ঐদিন বিকালেই আরও একটা missed call এল ঠিক ঐ number থেকেই।নতুন sim,airtel sim কোম্পানীর কল্যানে mobile-এ তখনও কিছু free minute অবশিষ্ট ছিল।নীলাদ্রী ভাবল,‘‘দোষ কোথায় এই অপরিচিত বন্ধুটিকে চিনে নিতে যখন সে নিজেই আগ্রহ দেখাচ্ছে?”নীলাদ্রী call দিল number টা’তে।কিন্তু অপর পাশ থেকে যে কণ্ঠটি ভেসে এল কে সে?এই কণ্ঠ তো নীলাদ্রীর চেনা নয়।এত মিষ্টি আর মোহনীয় কণ্ঠস্বর নীলাদ্রী আগে কখনও শোনেনি।ও যেন নিজের কান কেই বিশ্বাস করতে পারছিল না।ওর মনে হচ্ছিল এটা স্বপ্ন নয় তো?নিজের গায়ে চিমটি কেটে ব্যাথা পেতেই বুঝতে পারল যে,এ মায়াবী কণ্ঠস্বর স্বপ্নে নয়,ও’ বাস্তবেই শুনছে।নীলাদ্রী তখন সরাসরি জানত চাইল যে মেয়েটি ও’কে missed Call কেন দিয়েছিল?কিন্তু মেয়েটি ও’কে অবাক করে দিয়ে জানাল যে,সে নীলাদ্রী’কে কোন missed call দেয়নি,হয়ত তার ছোট ভাই-বোন কেউ দিয়েছে। মেয়েটি আরও জানাল যে,সে নীলাদ্রী’কে চিনতে পারছে না।তখন নীলাদ্রী মেয়েটিকে দুপুরের সব ঘটনা খুলে বল্ল।সব শুনে মেয়েটি যা জানাল,তার মর্মার্থ হলঃদুপুরে নীলাদ্রীর সাথে যে কথা বলেছে সে ও’(মেয়েটি) নয়,ওর এক বান্ধবী ছিল।ওর বান্ধবী মেয়েটির number থেকেই নীলাদ্রী’কে missed call দিয়েছিল।কিন্তু ওর বান্ধবীরা ও’কে নীলাদ্রীর কথা বলেছে।আর এখন তো নীলাদ্রীর সাথে সরাসরিই কথা হল।নীলাদ্রী আরও বেশ কিছুক্ষন কথা বলল মেয়েটির সাথে।মেয়েটিও কথা বলল কারন তার দুষ্টু বান্ধবিদের কল্যাণে নীলাদ্রী যে আর অচেনা কেউ ছিল না,হয়ে গেছিল পরিচিত একজন।আর কারণটা?কারণটা আর কি-বা হবে……………নীলাদ্রী নামের এই অচেনা ছেলেটিকে যে ওদের মনে ধরে ছিল।নীলাদ্রী আর ঐ অসম্ভব সুন্দর কণ্ঠের অধিকারিণী মেয়েটি বেশ কিছুক্ষন কথা বলেছিল।রাতে ঘুমাবার সময় নীলাদ্রী মেয়েটার কথা ভাবতে লাগলো…………… (৩) মেয়েটির নাম ‘সেমন্তি’।নীলাদ্রীকে অবাক করে দিয়ে সেমন্তি জানিয়েছিল যে,সে’ও নীলাদ্রীর শহরেই থাকে।শুধু এটাই নয়,নীলাদ্রীর জন্য তখনও আরও চমক অপেক্ষা করছিল।আর তা হল….সেমন্তি নীলাদ্রীর-ই college-এ I.Sc-1st ইয়ারে পড়ছে।এরপর প্রায়ই ওদের ফোনে কথা হত।কিন্তু মেয়েটি চাইলে তবেই শুধুমাত্র,কারণ সেমন্তি যে number টা দিয়ে কথা বলত সেটা ও’ বন্ধ রাখত।যখন মন চাইত শুধু তখন-ই আবার চালু করে নীলাদ্রীর সাথে কথা বলত।সেমন্তির যে number টা সব সময় খোলা থাকতো,সেটা ও’ নীলাদ্রী’কে দেয়নি। আর নীলাদ্রীও কখনও জানতে চায়নি।অচিরেই ওরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে উঠল।সেমন্তি নীলাদ্রীকে জানিয়েছিল যে,সেমন্তি খুবই রক্ষনশীল একটি পরিবারের মেয়ে। college-এ ও’ কখনও কোন ছেলের সাথে কথা বলেনি। এমনকি ওর নিজের কোন facebook account পর্যন্ত তাই নেই।কিন্তু তবুও ওর ২টা ছেলে বন্ধু জুটে গেল,যাদের দু’জন কেই ওর খুব ভাল লাগে।তাদের একজন তো নীলাদ্রী নিজেই,আর অপর জনের নাম ‘ধ্রুব। ধ্রুব নাকি আবার নীলাদ্রীর সাথেই একই section-এ পড়ে।তবে ধ্রুবই নাকি সেমন্তি’কে প্রথম ফোন করে,আর তারপর থেকেই ওদের বন্ধুত্ব।কিন্তু ধ্রুব সেমন্তির mobile number টা কোথা থেকে পেয়েছিল সেটা সেমন্তির অজানাই ছিল। (৪) এরপর প্রায় এক মাস কেটে গেল সেমন্তির সাথে কোন কথা হয়নি নীলাদ্রীর।নীলাদ্রী বহুবার call দিয়েছে ও’র number-এ,কিন্তু ফোন কোম্পানী’র যণ্ত্রারূঢ় কণ্ঠ প্রতিবার-ই নিষ্ঠুরের মত ঘোষনা দিয়েছে যে,সেমন্তির number টি বন্ধ আছে।নীলাদ্রীর খারাপ লাগলেও ও’র কিছুই করার ছিল না।নীলাদ্রীর কেন খারাপ লাগত সেটার ব্যাখ্যা ও’র কাছে অজানাই ছিল।ওরা তো শুধুই বন্ধু ছিল,তাইনা?কিন্তু সত্যিই কি তাই ছিল ওরা?এর থেকে এক বিন্দু-ও কি বেশি মনে হয়নি নীলাদ্রীর কাছে সেমন্তি’কে?এই প্রশ্ন নীলাদ্রী কখনও তার মন কে করেনি,আর করবেও না।কারণ সে জানে বন্ধুত্বের কিভাবে মূল্যায়ণ করতে হয়।কিন্তু তবুও কেন এক অজানা ব্যাথা,প্রিয় একজনকে হারানোর সংশয় বরংবার আন্দলিত করেছে নীলাদ্রীর শান্ত হৃদয়কে?কিন্তু নীলাদ্রীর জানা নেই কি এর কারণ? কোথায়-ই বা আছে এর সমাধান? সেমন্তির যে জিনিষটা নীলাদ্রীর সব থেকে বেশি ভাল লাগত তা হল সেমন্তির মিষ্টি হাসি।নীলাদ্রী ওর সাথে কথা বলার সময় মনে হয় সেমন্তি কথার থেকে হয়ত হেসেছেই বেশি।আর নীলাদ্রীর যে জিনিষটা সেমন্তি সবথেকে বেশি ভালবাসত তা হল নীলাদ্রীর গান।খুব সুন্দর গানের গলা ছিল নীলাদ্রীর।সেমন্তি তো নীলাদ্রীকে বহুবার অনুরোধ পর্যন্ত করেছে ‘close- up one’-এর competition-এ অংশ নিতে।কিন্তু আজ সেই প্রতিযোগিতার সময় কাছে চলে আসলেও সেই কাছের মানুষটাই যে আর কাছে নেই।একটা প্রশ্ন বার বার নীলাদ্রীর মনে বাজতে থাকে আর তা হল,আমি যেমন ও’কে miss করি,সেমন্তি-ও কি আমায় তেমন miss করে? দুরত্ব হয়ত ভালবাসা বা বন্ধুত্বকে আরও গভীর করে,কিন্তু এই দুরত্ব নীলাদ্রীকে এ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তার উত্তর নীলাদ্রীর জানা নেই। (৫) এরপর হঠাৎ একদিন………………নীলদ্রীর মোবাইল-এ একটা missed call এল সেই বহু প্রতিক্ষিত number টা থেকে। number টা তখনও ‘unknown friend’ নামেই save করা ছিল নীলাদ্রীর mobile-এ।নীলদ্রী তখন ‘ফিজিক্স practical class’-এ ছিল।কোন রকমে একটা sms করে জানাল যে class থেকে বের হয়েই call back করবে।নীলাদ্রী কোন রকমে practical class করছিল।স্যার-এর নির্দেশ মত চোখটা হয়ত তড়িৎ প্রবাহ মাপার যন্ত্র ‘অ্যামিটার’-এর দিকেই ছিল কিন্তু মনটা হয়ত পড়েছিল অন্য কোথাও,অন্য কার কাছে।class থেকে কোন রকমে বের হয়েই নীলাদ্রী call দিল সীমন্তি’র number-এ…..অনেক কথা জমে আছে।বহু দিন পর আবার সেই প্রিয় মানুষটার সাথে কথা বলতে পেরে কী যে ভাল লাগছিল সেটা হয়ত নীলাদ্রী ছাড়া আর কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না। নীলাদ্রী তখন সেমন্তির সাথে দেখা করতে চাইল,কারন ও’ ঠিক করে ফেলেছে mobile তা আপাতত আর ব্যাবহার করবে না,কারণ সামনেই HSC পরীক্ষা।সেমন্তি-ও খুশীর সাথে দেখা করতে রাজী হল।ওরা ঠিক করল college campus-এ দেখা হবে।কিন্তু বিপত্তি হল,সেমন্তি college-এ কোন ছেলের সাথে কথা বলেছে-এটা ওর বান্ধবিরা কেউ দেখে ফেললে সেমন্তির সমস্যা হতে পারে। তখন নীলাদ্রী অনেক ভেবে একটা plan বের করল আর সেমন্তি’কে সেটা জানাল।plan টা এমন ছিল যে,‘নীলাদ্রী যেন বাইরের কোন শহরের অন্য কোন college থেকে transfer হয়ে এই college-এ নতুন এসেছে,তাই নিজের class খুজে পাচ্ছে না(1st ইয়ার এর students,2nd ইয়ার এর student দের তেমন চেনে না)। আগে থেকে ফোনের মাধ্যমে ওরা জেনে নেবে কে কোন রং-এর dress পরে আসছে।ফলে ওরা একে অপরকে দেখলেই চিনতে পারবে।তখন নীলাদ্রী ঐ মিথ্যা কথাগুলো বলে একটু ছোট-খাট নাটক করে সেমন্তির কাছে জানতে চাইবে class room টা কোথায়? আর এর মাধ্যমে ওদের দেখা আর কথা বলা টাও হয়ে যাবে।পরে সেমন্তির বান্ধবী্রা যদি ও’কে কিছু জিগ্যেস করে তো সেমন্তি সোজাসুজি বলে দেবে,আমি কী জানি এই নতুন ছেলেটা আমাকেই কেন প্রশ্ন করল? সেমন্তির-ও plan টা বেশ পছন্দ হল।ঐদিন নীলাদ্রী অনেক সময় ধরে গান শোনাল সেমন্তি’কে।আর সেমন্তি-ও খুব হেসেছিল।কথার মাঝে সেমন্তি নীলাদ্রীর Facebook Id টা জানতে চাইল কারণ সেমন্তিও নাকি খুব শীঘ্রই একটা Facebook Account খুলবে। নীলাদ্রী শুধু বলেছিল যে কথা শেষ হলেই text করে জানিয়ে দেবে।কিন্তু একটানা 23 minutes কথা বলার পরও যখন কথা আর ফুরায় না তখন মোবাইল-এর balance কিন্তু গেল ফুরিয়ে।একটা অর্ধ-সমাপ্ত কথা বলতে গিয়ে শুধু মুখেই রয়ে গেল,বলা হল না আর………….. (৬) পরদিন সকাল,তারিখটা ছিল সম্ভবত ‘১০ই অক্টোবর’,২০১২- বুধবার।নীলাদ্রীর জীবণের খুবই special একটা দিন।খুব স্বাভাবিক ভাবেই সকাল থেকেই খুব উচ্ছসিত ছিল তাই নীলাদ্রী।আগের দিন তো খুশীর চোটে ‘কাল কিছু হতে চলেছে’ এই টাইপের একটা status পর্যন্ত post করে ফেলল Facebook-এ।ওর বন্ধু আতিক তো ও’কে প্রশ্ন করেই শ

Monday, November 16, 2015

যেদিন কেউ তোমাকে কষ্ট দিবে,
সেদিন বুঝবে আমার ভালবাসা কতটা গভীর ছিল...
কতটা ভালোবেসেছিলাম তোমাকে...
আমি জানি আমাকে তোমার মনে পড়বে
হয়তো সেদিন আমি তোমার কাছ থেকে অনেক
অনেক দূরে থাকবো ........ :"

Saturday, November 14, 2015

খুশি by তুহিন

কাউকে মিথ্যা বলে খুশি করার
চেয়ে, সত্য বলে কাঁদানো
অনেক ভালো। এতে সে আপনার
উপর রাগ করলেও,
কখনো আপনার উপর থেকে বিশ্বাস
হারাবে না।

হাসির আড়ালে জমানো কষ্ট by তুহিন

একটা মানুষকে বাহির থেকে দেখে কখনোই
বুঝা যায় না যে,
সেই মানুষটার মনে কি পরিমান কষ্ট জমা
আছে_____
কেউ কেউ হাসির আড়ালে কষ্টগুলোকে
লুকিয়ে রাখে,
আবার কেউ কেউ নিজেকে ব্যাস্ত রেখে
কষ্টগুলো ভুলার চেষ্টা করে___
নিভে যাওয়া কয়লায় বাতাস দিলে আগুন
যেভাবে পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে,
মানুষ যখনই একাকী থাকে তখন তার
কষ্টগুলোও মনের ভিতর উত্তপ্ত হয়ে উঠে___
একটা সময় মানুষ কষ্টগুলোকে লুকিয়ে রাখতে
শিখে যায়,
নিজেকে ব্যাস্ত করে কষ্টগুলোকে সাময়িক
ভুলে থাকতেও শিখে ফেলে,
তবে পৃথিবীতে এমন কাউকে খুজে পাবেন
না যে তার কষ্টগুলোকে মন থেকে
একেবারে মুছে ফেলতে পেরেছে___
পেন্সিলের লেখা রাবার দিয়ে মুছলেও
দেখবেন একটা দাগ থেকে যায়,
তেমনি কষ্ট লুকিয়ে রাখলে বা সাময়িক
ভুলে থাকলেও সেই কষ্টের একটা দাগ মনে
থেকেই যায়___
কষ্টগুলোকে মন থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে
পারলে হয়তো মানুষের জীবনটা অন্যরকম
হতে পারতো___

অবহেলা by তুহিন

যে মানুষটা তোমাকে প্রচন্ড পরিমাণে
ভালোবাসে,
সে মানুষটাকে ইচ্ছা করে অবহেলা করো না ।
হ্যা তুমি অবহেলা করলে কষ্ট পাবে ঠিকই,
কিন্তু , কষ্ট পেয়েও সে তোমাকে ক্ষমা করে
দিবে ।
তোমার কাছেই ফিরে আসবে ।
তুমি তার দুর্বলতা এটা জেনে তাকে ইচ্ছা করে
কষ্ট দিও না ।
এটা ভেবো না যে যতো যাই করি,
অতো দিন শেষে আমার কাছেই আসবে,
এটা চিন্তা করে তার আবেগের সাথে নিষ্ঠুরের
মতো খেলার অধিকার তোমার নেই ।
কারো দুর্বলতা জেনে তাকে আঁঘাত করে মজা
পাওয়ার অধিকার তোমার নেই ।

কষ্ট by tuhin

কষ্ট মানুষকে কাঁদায় না.
নীরব করে রাখে ।
আরে কাঁদায় তো সুখ.
যে আসে.
আবার চলে যায় ।
দিয়ে যায় ভুলতে না পারা কিছু সময় ও
কিছু স্মৃতি ।
যা একজন মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়.
সারাটি জীবন......

বোকা

তুমি বলেছিলে কখনো বদলাবেনা
তুমি
আর সে কথা বেlকার মতো
বিশ্বাস করেছিলাম আমি...
কিন্তু এখনো
সবকিছুই আগের মতো আছে
শুধু বদলে গেলে সেই চিরচেনা তুমি !!

বিশ্বাস by তুহিন

তাকেই বিশ্বাস করুন..
যে কিনা আপনার হাঁসি দেখে
আপনার
কষ্ট বুঝে নেয়..
যে কিনা আপনার নিরবতায় কান
পেতে আপনার
কথা গুলো শুনতে পায়.....
এবং যে আপনার রাগ অভিমান
দেখে আপনার
ভালোবাসাকে বুঝতে পারে..
কারন..
নিঃসন্দেহে সে সত্যিই আপনার...

সন্দেহ by তুহিন

পৃথিবীতে যে তোমাকে বেশী সন্দেহ করবে, বুঝে
নিবে সে তোমাকে তার জীবনের চেয়েও বেশী
ভালোবাসে ………
.
কারণ......সে চায় না তার ভালোবাসার ভাগ আর
কেউ পাক ……

Friday, November 13, 2015

বিস্ময় ছিলে তুমি স্বপ্ন আমার by তুহিন

বিস্ময় ছিলে তুমি স্বপ্ন আমার
কাছে পাবো না জানি তোমাকে তো আর
কাটত সময় কত গল্প করে, বলতে ভালবাসি হাত টি
ধরে
আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না
তোমাকে।।
স্বপ্ন প্রহর গুলো মনে পরে যায়
সোনালী আবেগ কাছে ডাকতো আমায়
সৃতি গুলো আজ শুধু আবেশে জড়ায়
বার্থ এ মন শুধু আমাকে কাঁদায়
আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না
তোমাকে।।
প্রেম কি ছিল না ছিল না ছিল শুধু প্রহসন
চেয়েছি নিবিড় করে শুধু অকারণ
তোমার-ই ছবি মনে তুমি পাশে নেই, অন্যের হয়ে
গেলে খুব সহজেই
কেনো থাকলে না, কেনো থাকলে না, কেনো
থাকলে না আমার হয়ে।
আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না
তোমাকে।
দিশে হারা হয়ে পড়ে আছি তবু পারিনি মেনে
নিতে ভুলে যাবে কভু
দিশে হারা হয়ে পড়ে আছি তবু পারিনি মেনে
নিতে ভুলে যাবে কভু।।
চলে গেলে কেন একা ফেলে আমাকে....
তোমার অবুঝ মন বোঝেনি তখন হয়ত পারিনি হতে
তোমারই মতন,
হৃদয় মাঝে সৃতি চিহ্ন রেখে, প্রেমের সমাধি মনে
গেলে যে এঁকে
আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না
তোমাকে।।
কেনো থাকলে না, কেনো থাকলে না, কেনো আমার
হয়ে
আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না
তোমাকে।।

ঘৃনা by তুহিন

আমি আমাকে ঘৃনা করি
কারন - স্বার্থপর না হয়ে তোমার সাথে
কাটানো স্মৃতি গুলো নিয়ে বেঁচে আছি বলে।
হাঁ আমি আমাকে ঘৃনা করি।
অতীত কে ভুলে সময়ের সাথে তালমিলিয়ে
চলতে পারি নি জানি পারবো না কোনদিন।
আসলেই আমি আমার জীবন কে ঘৃনা করি ...
ঘুমন্ত অবস্থায় তৈরি হওয়া
কোন স্বপ্ন যদি ভেঙ্গে যায়,
তাহলে তেমন কিছুই হয় না,
কিন্তু মানুষ জেগে থেকে
যে স্বপ্ন সাজায় তা ভেঙ্গে
গেলে
"জীবনটাই নষ্ট হয়ে যায়"

Thursday, November 12, 2015

MiSs YoU by TuHiN

তোমাকে কতটা মিসকরি তা শুধু আমি
জানি,আমি জানি আমিতোমাকে কতটা
ভালোবাসিতোমার কথা ভাবতে ভাবতেঘুম
হারিয়ে যায়,কেটে যায় অনেক রাত..........আর এই
তুমি সুখেরঅনুভূতিতে ঘুমিয়ে যাওহয়তবা আমাকে
তোমারমনেও পরেনা,কি আর করা সত্যিকারযদি
ভালবাসতে তাহলেবুঝতে কষ্ট টুকু,জানি তুমি
কখনোআমার হবেনা তবুওআমি তোমারি
অপেক্ষায় থাকিশুধু তোমাকে
ভালোবাসিবলে.......।।

সুখে থাকো

সুখে থাকো দুঃখে থাকো, খবর তো
আর রাখো না । এখন তো আমায়
তুমি ভালো আর বাসো না । যতো
ভালোবাসা ছিলো দিয়ে ছিলাম
তোমাকে । তবু তুমি কিছুতেই
বুঝলেনা আমাকে ।
সুখে থাকো দুঃখে থাকো, খবর তো
আর রাখো না । এখন তো আমায়
তুমি ভালো আর বাসো না । যতো
ভালোবাসা ছিলো দিয়ে ছিলাম
তোমাকে । তবু তুমি কিছুতেই
বুঝলেনা আমাকে ।

ভালো থেকো

একটা কথাই বলবো তোমায় ভালো
থাকো। কারন তুমি ভালো থাকলে
এই পৃথিবীর কোনো এক কোনে
তোমার ভালোতে একটি মানুষ
ভালো থাকবে. . . . . . . .
তুমি কেঁদে যাও
আমি দেখে যাব,
তোমার কান্নার ধ্বনি
আমাকে স্পর্শ করবেনা।
আমার কান্নার ধ্বনি
বেঝে উঠে আমার বুকে
আমি কেন কাঁদতে পারিনা।
কিযে কষ্ট, কিযে যন্ত্রণা
তুমি বুঝতে পারনি।
স্বাভাবিকের ছলে অস্বাভাবিক আমি
গোপন হৃদয়ে অসহায় আমি,
কেউ বুঝলোনা
তুমিও বুঝলেনা আমায়।
আমার মাঝেও তো ছিল ভালবাসা
ছিল স্বপ্নে আঁকা কিছুভাষা,
কেউ বুঝলোনা
তুমিও বুঝলে না আমায়।
অবিশ্বাস আমি আজ দাঁড়ালাম
তোমারই বিশ্বাসের কাঠগড়ায়,
তুমি পড়ালে আমায়
অবিশ্বাসের যন্ত্রণার মালা।
কিযে কষ্ট, কিযে যন্ত্রণা
তুমি বুঝলে না আমায়।
তুমিও আমাকে একদিন ভালোবাসবে ...!!
যেভাবে আমি ভালোবাসতাম তোমাকে .......
তুমিও আমাকে চাইবে ...!!
যেভাবে আমি চাইতাম ....... তুমিও আমার জন্য
কাঁদবে ...!!
যেভাবে আমি কাঁদতাম ......... কিন্তু আফসোস যে
দিন
তুমি চাইবে ,, আমায় সে দিন আর পাবে না.......

Tuesday, November 10, 2015

কিছু কথা

মন পাখি তুই বুঝলি নারে আমার মনের কথা । বোঝার
মত হয়নিরে তোর ক্ষমতা। বুঝবি যখন থাকবো নারে
যাবো আনেক দুরে । তখন পাখি কাঁদবিরে তুই
চোখের জল ফেলে ।
2) আমি কষ্টের স্মৃতি নিয়ে, করি বসবাস ... আমায়
নিয়ে কখনো, করোনা উপহাস ... আমার জীবনটা হল,
একটা দুঃখের ইতিহাস ... এটাই আমার ভাগ্যের,
নির্মম পরিহাস ।
3) আমি চাইনি তুমি কখনো কষ্ট পাও, আমি চেয়েছি
তুমি সুখী হও, তাইতো কোনো অভিযোগ করিনি
অকারণে চলে গেছো বলে, আমি চাই আমার
ভালবাসার মানুষটি সুখে থাকুক যেইখানেই থাকুক,
কারণ ভালোবাসা মানে তো সুখের নীড়, তাই আমার
ভালোবাসা আমাকে যতই কষ্ট দিক, আমি চাই তার
বিনিময় যেন সেই সুখে থাকে, আর তার সুখই আমার
সুখ ।
4) অচেনা পাখি হয়ে বেধেছিলে বাসা, নিয়ে
গেলে মন তুমি ভেঙ্গে দিলে আশা। কার আকাশে
এখন তুমি মিষ্টি গান গাও, মন ভেঙ্গে তুমি কি সুখ
পাও??
5) একটা সময় হারিয়ে যায়, অনেক সময়ের মাঝে....
একটা সম্পর্ক হারিয়ে যায় একটা কথার
ভুলে....একটা মন ভেঙ্গে যায় ছোট্ট
অপমানে!!....একটা জীবন শেষ হয়ে যায় একটু
অভিমানে...
6) সুখে থাকো দুঃখে থাকো, খবর তো আর রাখো না
। এখন তো আমায় তুমি ভালো আর বাসো না । যতো
ভালোবাসা ছিলো দিয়ে ছিলাম তোমাকে । তবু
তুমি কিছুতেই বুঝলেনা আমাকে ।
7) মেঘ ভেবে ছিলাম তোকে বৃষ্টি হয়ে এলি। আমার
যত স্মৃতি ভিজিয়ে দিয়ে গেলি। হয়ত কালকে সবার
মত তুইও ছেড়ে যাবি, মনে রাখিস হাত বাড়ালেই
আমায় খুঁজে পাবি..!!
8) চিরদিনই আধারে, কেটে গেল এ জীবন, কেউ তো
প্রদীপ হাতে, কাছে আসেনি । দুর থেকে দেখেছি
পূনিমা চাঁদকে, আমার ঘরে আলো কখনো আসেনি..!!
9) তুই তোর মত করে ভালবাসিস অন্য কাউকে, আজ
আমি আমার থেকে মুক্তি দিলাম, স্বপ্ন নিয়ে যাস।
অন্য আকাশে উড়ে দেখিস, সুখটা কাকে বলে?
ক্লান্ত হলে ফিরে আসিস, আমার চেনা ঘরে ।
কখনো যদি চোখের পাতা, ভিজে যায় জ্বলে, বুজতে
পারবি পাঁজর ভাঙ্গার, কষ্ট কাকে বলে..!!
10) তুমি যখন তোমার শাড়ি সাজিয়ে রাখো
আলনাতে, আমি তখন দু’চোখ মেলে তাকিয়ে থাকি
জানলাতে। আকাশ দেখি, বৃষ্টি দেখি, দেখি আমার
চোখের জল, নিয়ে দূরের আকাশ পথে যাচ্ছে উড়ে
মেঘের দল।
11) হয়তো আনমনে ভেবেছি কত রূপকথা, নয়তো
অভিমানে কেঁদেছি একা একা । জানি কেউ তো
বোঝেনা আমার এই ব্যথা , তাই জোনাকিদের সাথে
বলে যাই না বলা কত কথা ।
12) কেউ দুঃখ পেয়ে সুখী,, কেউ দুঃখ দিয়ে সুখী,,
কেউ হাসতে পেরে সুখী,, কেউ বেশি বেশি কথা
বলে সুখী,, কেউ কথা গুলা নিরবে শুনে সুখী,, তবে
কেউই প্রকৃত সুখী না, কিন্তু অভিনয়ে সবাই সুখী..!!
13) শ্রাবনে ওই বৃষ্টি ধারায়, আজ শুধু তোমাকে খুঁজে
বেড়াই । যদিও তুমি অনেক দুরে, তবুও রেখেছি
তোমায় মন পাঁজরে। নীরবে তোমায় মিস করি
সারাক্ষণ, অথচ তা তোমার কাছে আজও গোপন..!!
14) মাঝে মাঝে মনে হয় তোমার সাথে আমার হৃদয়টা
পাল্টাপাল্টি করি,, যাতে তুমি বুঝতে পারো আমি
তোমাকে কতোটা ভালোবাসি.. আর আমি বুঝতে
পারি, তুমি আমাকে কতোটা ঘৃণা করো..!!
15) ভুলে যদি যাও আমায়,, করবো নাকো বারণ..
আমায় কেন রাখবে মনে,, আছে কি কোনো কারণ..
তবুও যদি পড়ে মনে,, আমায় একটি বার.. মন থেকে
কাছে ডেকো,, ফিরে আসবো আবার..!!
16) শুকনো পাতার মতো শুকিয়ে গেছে মন,, জানিনা
কোন অপরাধে তুমি হয়ে গেলে এমন.. কি চেয়েছি
কি পেয়েছি,, তা তো আমি জানিনা,, শুধু জানি
মনটা আমার একদম-ই ভালোনা..!!
17) কত ঝড় সহে মাটি যে পাথর হয়,, সেই পাথর চিরে
সুখের নদী বয়.. নদীটা দেখে সবাই পাথর দেখে না,,
যাকে মেনে ছিলাম জীবনের আয়না,, তাকে দূরে
রাখা যায়, ভুলে থাকা যায় না..!!
18) সেই রাতের আকাশের মাঝে ছিল না তো চাঁদ,,
ছিলে না তুমি পাশে,, ছিল বিষন্ন সে রাত! আমি
কেঁদেছি তোমাকে ভেবে,, তুমি ফিরে এলে না,,
আকাশের কান্না ভেজা বৃষ্টি তবু থামলো না!
19) একটা আকাশ হেরে গেলো,, হারিয়ে তার মন..
অন্য আকাশ হঠাৎ হল চাঁদের প্রিয়জন.. তবুও তার
ভালবাসা চাঁদের ভালো চায়,, নতুন আকাশ চাঁদকে
যেন সুখের ছোঁয়া দেয়..!!
20) কষ্ট বুকে চেপে একলা থাকি,, কান্নার নোনাজল
অধরে মাখি,, লাভ কি বৃথা মনে কষ্ট চেপে,, আয় না
ফিরে তুই আমারি বুকে..!!
21) প্রতিটা দিন প্রতিটা রাত কষ্টে কাটাই আমি,
তবুও মন জানতে চায় কেমন আছ তুমি? তুমি তো
ভালোই আছ ভুলে গিয়ে সব, ভালো থাকতে পারিনা
আমি, স্মৃতি গুলো মনে হলে থাকি নীরব !
22) কাউকে এমন কথা বলো না, যাতে পরে ক্ষমা
চাইতে হয়। এমন ভাবে দুরে সরিয়ে দিও না, যাতে
পরে তাকে ভাবতে হয়। এমন কষ্ট দিও না, যাতে পরে
চোখের জল ফেলতে হয়।
23) একদিন তুমিও কাঁদবে, যেভাবে আমি কাঁদছি। এ
আমার অভিশাপ নয়, এ আমার বঞ্চিত ভালবাসার,
নিরব আবেদন..!!
24) অচিন পুরের কোন এক রাস্তার অতিথি ছিলে
তুমি, পথ ভুলে চলে এলে সঙ্গী হলাম আমি। পথ খুঁজে
পেতেই চলে গেলে তুমি, হয়ে আগের মতো সেই একা
আমি..!
25) ভালোবাসা এমনি হয়, কেউ জিতে কেউ হারে।
আমি না হয় হারলাম, তোমার সুখের তরে। হয়তো
তোমায় হারিয়ে, কষ্ট পাবো বেশি। তবুও দেখতে
পাবো, তোমার মুখের একটু হাসি..!!
26) আমার উপস্থিতি হয় যদি তোমার কষ্টের কারণ,
কথা দিলাম হবে না আর তোমার সীমানায় আমার
আগমন, সাজিয়ে নিও নিজের মতো তোমার ভুবন,
করবো না আর তোমায় জ্বালাতন..!!
27) পৃথিবীর সবচেয়ে নির্লজ্জ বস্তু হলো কষ্ট। যতই
তুমি তাকে দূরে রাখ না কেনো, সে বার বার
তোমার কাছে ফিরে আসবে। সুখের কথা আর কী
বলব!! সেতো বড়ই স্বার্থপর।
28) আকাশ তুমি মেঘলা কেনো, বোকলো তোমায়
কে? রোদের সাথে আজ কি তোমার ঝগড়া হয়েছে?
তা'না হলে সকাল থেকে কাঁদছ কেনো এতো,
তোমারো কি মনটা খারাপ আমারই মতো?
29) পৃথিবীতে সবচেয়ে নরম জিনিস কি জানো ...??
মানুষের মন !! যাকে কোন কঠিন বস্তু দিয়ে আঘাত
করতে হয় না ... দুঃখের পরশ পেলে এমনিই ভেঙ্গে
টুকরো হয়ে যায় !
30) যখনি ভাবী একটু এগিয়ে যাই, তখনি পাশে দেখি
তুমি নাই।। একি জ্বালা দিয়ে মোরে, আছ তুমি দুরে
সরে।।
31) হয়নি তোর যাবার বেলা, তবুও গেলি চলে। ভুলবি
না বলে আমায়, তবুও গেলি ভূলে। আপন করে রাখবি
বলে, করলি আমায় পর, বুঝিনি তুই হবি, এতো
স্বার্থপর..!!
32) কারো মনে আঘাত দিওনা, সুখী হতে পারবে না।
ভালোবাসতে না পারো, অভিনয় করো না। মনে
রেখো, কারো চোখের পানি, তোমার জীবনে
অভিশাপ হয়ে ঝরতে পারে!
33) অচিন পুরের কোন এক রাস্তার অতিথি ছিলে
তুমি, পথ ভুলে চলে এলে সঙ্গী হলাম আমি। পথ খুঁজে
পেতেই চলে গেলে তুমি, হয়ে আগের মতো সেই একা
আমি..!
34) তোমায় আমি ভেবে ভেবে রাত করি পার ..
তোমার কাছে পেলাম শুধু কষ্ট উপহার। ভেবেছিলাম
তুমি আমার মন বাগানের ফুল.. সে টা ই ছিল জিবনে
আমার বিরাট একটা ভুল।
35) কিছু রাত কেটে যায় সপ্ন বিহীন.. কিছু আশা
ভেঙ্গে যায় নিরবে.. কিছু স্মৃতি কাঁদিয়ে যায়
আড়ালে.. কিছু মানুষ দুরে হারায় কিছু না বলে..!!
36) কান্নার জল সবাই দেখে.. হৃদয়ের কষ্ট কেও
দেখেনা.. পাওয়ার আনন্দ কিছু দিন থাকে.. কিন্তূ
না পাওয়ার বেদনা সারা জীবনে ও ভুলা যায়না..!!
37) কাউকে ভালবাসি বোঝানোর, সবথেকে বড়
অনূভুতি হল কান্না করা, কারণ যার জন্য কান্না আসে
না, তার প্রতি কখনও ভালবাসা থাকে না, জোর
করে হাসা যাবে কিন্তু কান্না করা যাবে না।
38) আকাশের কষ্ট গুলো মেঘ হয়ে ভাসে, মেঘের
কষ্ট গুলো বৃষ্টি হয়ে আসে। পাথরের কষ্ট গুলো ক্ষয়ে
ক্ষয়ে পড়ে , আর মনের কষ্ট গুলো অশ্রু হয়ে ঝরে।
39) তুমি ভুল করেও, ভুল করোনি, তাই আমি অপরাধী।
তুমি পথ দেখিয়েও, পাশে হাটনি, তাই এখন আমি
একলা হাটি।
40) ভালবাসা হলো এমন একটি মায়া, তুমি যত দুরে
যাবে যাবে ততই কাছে টানবে, যত ভুলে যাবে ততই
মনে পড়বে, আর যতটুকু হাসবে তার থেকে বেশি
কাঁদবে।
41) কেউ চায় না কাউকে ভুলতে, কিন্তু সময় ভুলিয়ে
দেয়। কেউ চায় না কাউকে হারাতে, কিন্তু সময়
ভাগ্য তাকে ছিনিয়ে নেয়। এই হল বাস্তব পৃথিবীতে
যা চাই তা পেতে পেতে হারাই।
42) তুমি বলেছিলেনা, কোন দিন আমায় ছেড়ে
যাবে না। সারা জীবন আমার পাশে রবে তবে আজ
কেন, ছেড়ে চলে গেলে আমাকে একা ফেলে। কী
আমার দোষ ছিল, তোমাকে নিজের চেয়ে বেশি
ভালবেসে ছিলাম বলে।
43) আমি যখন তোমার নাম মাটিতে লিখলাম,
বৃষ্টিতে ভিজে গেলো। আকাশে লিখলাম, আকাশ
মেঘে ঢেকে গেলো। কিন্তু যখনই হৃদয়ে লিখলাম,
ঠিক তখনই তুমি আমায় ভুলে গেলে।
44) জীবনে প্রথম একজন আমাকে খুব ভালবেসে
ফেলেছে। সে নাকি আমাকে ছেড়ে যাবে না।
আমি ছাড়া সে নাকি মূল্যহীন। আমাকে ছাড়া সে
অর্থহীন। আর সে হল"কষ্ট"।
45) পাথর চাপা কষ্ট বুকে, কষ্টের কথা বলি কাকে?
যার কারনে নিস্ব হলাম, সেইতো আছে বেশ সুখে,
আর আমার কথা ভুলেই গেছে..!!
46) গোলাপ যদি সুন্দর হয়, গাছে এতো কাটা কেন?
মণি যদি মুল্যবান হয়, বিষাক্ত সাপের মাথায় কেন?
ভালবাসা যদি স্বর্গ হয়, তাহলে এতো কষ্ট কেন??
47) কষ্টে ভরা জীবন আমার,, দুঃখ ভরা মন,, মনের
সাথে যুদ্ধ করে আছি সারাক্ষণ .. তারার সাথে
থাকি আমি,, চাঁদের পাশাপাশি,, আজব এক ছেলে
আমি দুঃখ পেলেও হাসি।
48) ভালোবাসা এক অদ্ভুত অনুভূতি, যখন ছেলেটি
বোঝে তখন মেয়েটি বোঝে না। যখন মেয়েটি
বোঝে তখন ছেলেটি বোঝে না। যখন দুজনেই বোঝে
তখন পৃথিবী বোঝে না।
49) স্বপ্ন যখন চোখের পাতায় ফুটবে কারোর হয়ে,
দাড়িয়ে তুমি থাকবে একা সময় যাবে বয়ে। ভেবো
নাকো একলা তুমি দুঃখের বোঝা নিয়ে, দেখবে
আমি পাশে আছি তোমার বন্ধু হয়ে।
50) ছিড়ে ফেলেছি আমি ডাইরির পাতা, সেথা
লেখা ছিল হাজার স্বপ্নের কথা। ছিড়তে পারিনি
আমার মনের পাতা, যেখানে জমে আছে আছে
জীবনের অনেক ব্যথা।
51) জগতে তারাই খুব বেশী কষ্ট পায়, যারা মানুষকে
সরল মনে ভালোবাসে। বিনিময়ে তারা পায়, অনাদর,
অবহেলা ও ঘৃণা। তাই জগতে কাউকে সরল মনে
ভালবাসতে নেই। এখানে সরলতা মানে, চরম দুর্বলতা।
52) তোকে অনেক বেশি বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম
,এটাই ছিল আমার বড় অপরাধ । কিন্তু এই অপরাধের
শাস্তি যে এত কঠিন হবে তা আমি কল্পনাও করি
নি..তবু চাই সুখে থাক ।
53) পাষান পৃথিবীর পাষান মানুষ, স্বার্থের
বিনিময়ে সবাই বেহুশ, দুরে গেলে অভিমান কাছে
এলে অভিনয়, মানুষ যে নিষ্টুর এটাই তার পরিচয়।
54) চুপি চুপি বলি তোমায় প্রিয়তমা, আমায় ছেড়ে
যেন দুরে যেওনা। আজ তুমি আমার হৃদয়ের একদম গহীন
বনে, তোমায় ছাড়া আমি বাচঁতে পারবনা এই ভুবনে।
55) আকাশ ভরা দুঃখ আমার, সাগর ভরা ঢেউ। এত কষ্ট
আমার বুকে, দেখে নাতো কেউ। দুঃখ দিয়ে স্বপ্ন
বুনি, কষ্ট দিয়ে আকি। স্বপ্ন আমার ভেঙ্গে যায়,
আমি চেয়ে থাকি..!!
56) যেদিন আমি হারিয়ে যাবো, সেদিন তুমি বুঝবে।
হাজার লোকের ভিড়ে সেদিন, আমায় তুমি খুজবে।
সেদিন তুমি পাবেনা আর এই আমাকে, পাবে শুধু
ফেলে আসা স্মৃতিগুলোকে। কষ্ট হয়ত তোমার বুকে
আচড় কেটে যাবে, কদিন গেলেই তুমি আবার নতুন
সাথী পাবে..!!
57) সৃষ্টি হবে অন্যরকম গল্প আজ, আলোর নিচে
সাজাবো আমি অন্ধকারের সাজ। দেখে আবার
আসেনা যেনো তোমার চোখের পানি, হটাত্ করে
দেখবে তুমি হারিয়ে গেছি আমি..!!
58) ভালবাসা সবার জীবনেই আসে কেউ ধরে
রাখতে পারে, আবার কেউ হারিয়ে ফেলে, ধরে
রাখে চোখের জলে.......................
59) হারিয়ে যদি যাবি তুই কভু ভালবাসার এই বাঁধন
ছিড়ে, আমার শুন্য মনের ঘরে বাসা বেঁধে কেন চলে
গেলি আজ বহুদূরে। সন্ধ্যার আকাশের তারা মত
জ্বলে আবার নিভে গেলি তুই, কাছে এসে,
ভালবেসে কেন হয়ে ছিলে একে একে দুই।
60) তোকে ছাড়া কষ্টে কাটে দিন, খুজবি আমায়,
বুজবি সেদিন, বাজিবে যেদিন আমার মরণ বীন।
61) হৃদয়ে যতন করে রেখেছি ভালবাসায় ধরে রাখব
তোমায়, হারিয়ে যাবে না কভু আমায় ছেড়ে দূর
অজানা ঐ দিগন্তের কোথায়।
62) যে জন সৃষ্টি করেছে তোমায়, আমিও সৃষ্টি তার।
তবু কেনো তোমার সাথে, ব্যবধান আমার। আমারো
তো মন আছে, আছে ভালবাসা। আমারো তো থাকতে
পারে, তোমায় পাবার আশা
63) মাঝে মাঝে কাঁদাবো, হয়তবা রাগাবো,একদিন
হটাত্ করেই হারাবো, চিরতরে ঘুমাবো। আমি যে
তোমার কেউ ছিলাম, একদিন তোমায় ভাবাবো।
64) যদি কাউকে ধোঁকা দিতে পারো, তাহলে
ভেবোনা সে বোকা ছিলো। মনে রাখবে সে
তোমাকে বিশ্বাস করে ছিলো। কিন্তু তুমি তার সেই
বিশ্বাসের যোগ্য ছিলেনা..!!
65) রং বদলে গেছে আমার মনের ও, ভয় নেই অনেক
দুরে চলে গেছি। শুনলাম তুমি এখন অন্যের মনের ময়না
পাখি, আর আমি এখনো সেই অজানা বালুচরের
চোখের বালি..!!
66) যারা খুব কাঁদতে পার, তাদের সবচেয়ে বড় লাভ
হচ্ছে তাদের মনে কষ্ট তেমন জমে না। অথচ যারা মন
খুলে কাঁদতে পারে না, তাদের মনটা হল "কষ্টের
আকাশ"।
67) আমি অভিমান করি, তুমি আমার কষ্ট বুঝবে বলে।
আমি দুরে থাকি, তুমি আমাকে মিস করবে বলে।
অল্পতে রাগ করি, রাগ ভাঙ্গাবে বলে। তাই বলে
ভুলে যাবে এটা কখনো ভাবিনি..!!
68) আমি এমন এক জনকে চাই, যে আমাকে বুঝবে।
একটু চোখের আড়াল হলে, পাগলের মত খুজবে।
ভালবেসে বারবার আমার কাছে আসবে। আর দুরে
গেলে অঝর নয়নে কাঁদবে..!!
69) তুমি যদি না বুঝ। বুঝবে আমায় কে? তুমি যদি পর
ভাব, আপন ভাববে কে? তুমি যদি কস্ট দাও, সুখ দিবে
কে? তুমি যদি ভুলে যাও, মনে রাখবে কে?
70) তুমি সব সময় আমার পাশে থাকো, তবু কেন
তোমাকে দেখি না? থাকতে হবে আশায় আশায়
জানলে ভালোবাসা করতাম না, সাগরের পাশে বাস
করে পিপাসায় মরতাম না..!!
71 ) তোমার চলে যাবার খুব বেশি কি তাড়া ছিল?
এতো তাড়াতাড়ি তবে কেন গেলে? খুব বেশি কি
তাড়া ছিল চলে যাবার, খুব বেশি কি তাড়া ছিল
ভুলে যাবার?
72) যদি ভুলে আমায় পড়ে গো মনে, ভেবে নিও
পাশে আছি প্রতিটি খনে। দুর থেকে কামনা করি,
সুখে থেকো নিয়ে ঐ জীবন সাথী । অভিশাপ দেবনা
হও তুমি সুখি..!!
73) পথহারা পাখি কেঁদে ফিরি একা। আমার জীবন
শুধু আধারে লেখা। বাহিরে অন্তরে ঝড় উঠিয়াছে।
আশ্রয় চাহি হায় বলো কাহার কাছে?
74) নরম কাঁদা একবার পুড়ে যদি ইট হয়ে যায়, এরপর
যতই পানি ঢালা হোক না কেন, তা আর গলেনা বরং
ভারি ও শক্তিশালী হয়। মানুষের মনও ঠিক এ রকম।
একবার কষ্ট পেলে এরপর শত আবেগেও তার কোন
পরিবর্তন হয় না।
75) আমি যেদিন চলে যাব শান্ত মাটির নিচে, পাবে
না আর খুঁজে আমায় হাজার লোকের ভিড়ে। কাদবে
শুধু একা একা বুঝবে না তো কেউ, সুখ গুলো কেড়ে
নিবে দুঃখের সেই ঢেউ।
76) তোমার পৃথিবীটা বিশাল বড়, আমায় ছাড়াই
হাসা যায়, বাঁচা যায়, আমার কথা মনে না করেই
থাকা যায়..!!
77) কষ্ট নিয়ে জীবন শুরু,কষ্ট নিয়ে শেষ। কষ্ট কে
ভালোবেসে, কষ্টে আছি বেশ। কষ্ট নিয়ে সুখি
আমি, কষ্ট নিয়ে দুঃখি। কষ্ট গুলো বুকের মাঝে জমা
করে রাখি।
78) যদি কর সুখের আশা করিও না ''ভালবাসা''।
ভালবাসা অতি "কষ্ট", এতে হয় জীবন"নষ্ট"।
ভালবাসার শেষ "ফল" বুকে ব্যথা চোখে ''জল"।
79) মনটা দিলাম তোমার হাতে, যতন করে রেখো।
হৃদয় মাঝে ছোট্ট করে, আমার ছবি এঁকো। স্বপ্ন গুলো
দিলাম তাতে আরও দিলাম আশা, মনের মতো
সাজিয়ে নিও আমার ভালবাসা।
80) কষ্ট নিয়ে জীবন শুরু,কষ্ট নিয়ে শেষ। কষ্ট কে
ভালোবেসে, কষ্টে আছি বেশ। কষ্ট নিয়ে সুখি
আমি, কষ্ট নিয়ে দুঃখি। কষ্ট গুলো বুকের মাঝে জমা
করে রাখি।
81) বৃষ্টি রে তুই আসবি কবে? আমায় একটু বল। তোর
জন্য রেখেছিধরে আমার চোখের জল। কাঁদবো আমি
তখন, তুই আসবি যখন। খুঁজবে না কেউ আর আমার
কান্নার কারণ ।
82) কষ্ট দাও তবে এতো বেশি দিয়ো না যা সইবার
ক্ষমতা আমার নাই। দুঃখ দাও তবে এতো বেশি দিয়ো
না যা বইবার ক্ষমতা আমার নাই। আমায় এতো বেশি
কাঁদাইয়ো না, যে কাঁন্নার জল একদিন তোমায়
ভাসিয়ে দিবে।
83) দুটি চোখের কান্নার মর্ম যদি কেউ বুঝতো।
দুঃখের পিছনেও যে সুখ আছে সেটা যদি সবাই
জানতো। ভালোবাসার মাঝে টক-ঝাল মিষ্টি
এগুলো সবই আছে। কিন্তু ভালোবাসার এসব অনেকের
জীবনেও মিছে।
84) ফুল গুলি সব ঝরে গেছে, বাগান আজ শুন্য। তোমায়
স্মৃতি মনে হলে লাগে যে বিষন্ন। হঠাৎ করে হারিয়ে
গেলে অজনা এক দেশে। কেমন করে চলে গেলে
হাওয়ার সাথে মিশে? পাখির গানে ঘুম ভাঙ্গে,
তোমার ফোনে না। প্রতী ক্ষার প্রহর শেষ দেখা হল
না..!!
85) আমার নিভে যাওয়া প্রদীপ তুমি পারবে কি
জ্বালাতে? আমার ভুলে যাওয়া স্বপ্ন পারবে কি
দেখাতে? আমার হৃদয়ের গোপন কথা তুমি পারবে কি
শুনতে? ভেঙ্গে যাওয়া জীবন আমার তুমি পারবে কি
গড়তে?
86) লোহার মত মনেও যদি একবার মরিচা এসে যায়,
তাহলে তা আর দূর করা যায় না। বাড়ির ভিতর থেকে
যেমন লোহা বের করে ঠিক করা যায়, না তেমনি
মনকেও আর স্থির করা যায় না।
87) চোখের পানিই হল সব থেকে মূল্যবান পানি,
কারন কি জানেন? পৃথিবীতে অনেক রকমের পানি
থাকলেও একমাত্র চোখের পানিই বুঝাতে পারে
কাউকে হারানোর কষ্ট।
88) কাউকে নিয়ে বেশি ভেবো না, প্রেমে পড়ে
যাবে। কাউকে কষ্ট দিয়ো না, পরে নিজেই কষ্ট
পাবে। কাউকে ভালোবেসনা, হারিয়ে যাবে ।
কাউকে পেয়ে ভুলে যেয়ো না, তা হলে সারাজীবন
কষ্ট পাবে।
89) মুক্ত করে দিলাম তোরে যেতে পারিস অনেক
দুরে, ভালবাসি এই কথাটি বলবো না আর আমি
তোরে। সুখে যদি থাকিস তুই আসিস না আর ফিরে,
না পাওয়া সুখ খুঁজে নিব কষ্টের ভিড়ে।
90) হাসি সব সময় সুখের পরিমান বুঝায় না। এটা
মাঝে মাঝে এটাও বোঝায় আপনি কতটা কষ্ট আড়াল
করতে পারেন।
91) কিছু কথা ভাবতে ভাবতে চোখে এল জল, জলকে
বলিলাম তুই হটাৎ কেন বাইরে এলি বল? জল বলল
চোখটি তোমার সুখ সৃষ্টির নীড়, কি করে সইবো বল
এত কষ্টের ভীড়?
92) কেন এসেছিলে মনের আঙিনায়? কেন মুগ্ধ
করেছিলে কথার ছলনায়? কেনই বা ভালবেসে ছিলে
আমায়? আর আজ কেনই বা হারিয়ে গেলে, আমায়
ফেলে দুর অজানায়।
93) কষ্ট দিচ্ছ, দিয়ে যাও। ঘৃণা করছো, করে যাও।
কিন্তু মনে রেখো, জীবনটা ছোট নয়। যে কষ্ট তুমি
আজ আমায় দিচ্ছো, তা তোমাকে অন্য কেউ
ফিরিয়ে দিবে।
94) ভুলবোনা কোনদিন আমি তোমাকে, যত দুরে যাও
তুমি ছেড়ে আমাকে। সারা জীবন ধরে তোমায় করব
আমি স্মরণ , তোমায় ভোলার আগে যেন হয় আমার
মরণ ।
চাইলেই হয়..
একবার মন থেকে চেয়ে দেখোন না..!
দেখবেন কোন একদিন বিধাতা আপনার মনের চাওয়াতাকে
পূরন করে দিবেন..
.
কারনহীন কিংবা কোন কারনেও যদি আপনার চাওয়া থেকে
পাওয়ার ভূমিকা না রাখে...
ধরে নিবেন,এটা বিধাতার বিধান অনুযায়ী আপনার জীবনের
এক কঠিন পরিক্ষা কিংবা নিয়তির খেলা...
.
তার জন্য বিধাতার প্রতি মন থেকে বিশ্বাস রাখুন...সেই সাথে
নিজের প্রতি ধৈর্য এর অংশটাকে আপনার হৃদয়ে পেরেক
এর মত বসিয়ে নিন..
.
দেখবেন,বিধাতা আপনার মনের আশা ঠিকই পূরন করে
দিবেন...
.
মনে মনে এই আশা করে
মনে রাখবেন যে,
"আকাশের বিজলীর পর যেমন বৃষ্টি হয়
ঠিক তেমনে জীবন নামের কঠিন পরিক্ষার সাথে
মোকাবেলা করে তার একটা সহজ পথ বেরিয়ে আসবেই"

For HUAWEI Watch Pro GPS NFC Smart Watch Men 360*360 AMOLED Screen Heart rate Bluetooth Call IP68 Waterproof Man Smartwatch 2025

  Specifications Hign-concerned Chemical None Battery Life 3Day Voice assistant built-in YES Bluetooth-compatible Version 5.3 Metrics measur...