Monday, February 24, 2025

প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোনো না কোনো অভাব থাকে।

 প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোনো না কোনো অভাব থাকে। এটা সত্যি যে আমি তোমার অভাবে মরিয়া। আমার অভাব জুড়ে কেবলই তুমি। তুমিহীনা এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার জটিল কোনো অভাব নেই | 


তোমার এই একটা অভাবের কারণে সকল পূণ্যতা থাকার পরেও আমি বারোমাস অভাবী হয়ে থাকি।

তার মানে এই নয় যে কেউ আমাকে নিতে চায় না। কেউ আমাকে নেয় না বিধায় আমি বার বার তোমার কাছে ফিরে যাই |


আমাকেও নিতে চায় কেউ না কেউ। মূলত তোমাকে ছাড়া কারো কাছে আমার এক রত্তি ও ভালো লাগে না। শান্তি লাগে না। তুমি ছাড়া অন্য কোথাও আশ্রয়ের দুঃসাহস করি না। তাই আমি বার বার তোমার কাছেই যাই |


তুমি আমাাকে নির্বোধ আর উন্মাদ ভাবতেই পারো। কেননা তোমার অভাবে আমি মোমের মতো জ্বলছি।তোমার এমন ভাবনায় আমার দুঃখ হবে না কস্মিনকালেও। আমার দুঃখ কেবল একটা-ই তুমি না থাকা |


আমার অভাব কেবল একটা তুমি না থাকা। এমন অভাব আমাকে নিদারুণ যন্ত্রণা দেয়! মাঝে মাঝে বিভৎস করে তোলে। তুমি বোধহয় জানো না মানুষ মানুষের অভাবে মা|রা যায়। মানুষ মানুষের অভাবে  মা|রা যায়

Wednesday, February 19, 2025

ছুঁয়ে দেখার সাধ্য নেই, তবু অনুভবে বুনে রাখি


 ছুঁয়ে দেখার সাধ্য নেই, তবু অনুভবে বুনে রাখি,

দূরত্ব যতই হোক আমি তাকে ভীষন ভালোবাসি তাকে.....!!


যেমন করে চাঁদ ছুঁতে পারে না কেউ,

তবু রাতভর তার আলোয় বিভোর হয়ে থাকে,

তেমনি আমিও তোমার ছোঁয়া না পেয়ে,

তোমার অস্তিত্বে বাঁচি প্রতিটা নিঃশ্বাসে।


শুধু দূর থেকে দেখি তোমার হাসির ঝিলিক,

তাতে কি আমার ভালোবাসা কমে যায়?

তোমার ছায়ায় বাঁধা আমার একলা রাত,

স্বপ্নের গভীরে তুমিই যে আমার ঠিকানা।


কখনো যদি ভেবো, ভালোবাসা স্পর্শ চায়,

তবে শুনে রেখো—

বাতাসের ছোঁয়া কি চোখে দেখা যায়?

তবু কি তার অস্তিত্বে শরীর জুড়িয়ে যায় না?


তুমিও আছো ঠিক তেমনি,

অদৃশ্য এক আবেগের সুতোয় বাঁধা,

যে বাঁধন ছিঁড়তে পারবে না দূরত্বের দেওয়াল,

আমি তোমায় ভালোবাসি, ছুঁতে না পারলেও...


          "অস্পর্শ ভালোবাসা"

                   লেখা_ছাব্বির

শুনেছিলাম নারীর জন্ম হয় পুরুষের বাম পাঁজরের হাড়ের অংশ থেকে


 শুনেছিলাম নারীর জন্ম হয় পুরুষের বাম পাঁজরের হাড়ের অংশ থেকে, তাই চেয়েছিলাম তুমি যেনো হও আমার পাঁজরের হাড়। পৃথিবী সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ তায়ালা মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে রেখেছেন, আমি চেয়েছিলাম তুমি যেনো থাকো আমার সেই পূর্ব নির্ধারিত ভাগ্যে। মানুষ অতীত জানে আর বর্তমান বুঝে কিন্তু সব মানুষের ভবিষ্যৎ অজানা; আমি তোমাকে চেয়েছিলাম আমার সেই অজানা ভবিষ্যতে। আপন মানুষ নাকি থাকে মানুষের হাতের রেখায়, আমি যত্ন করে চেয়েছিলাম আমার হাতের কোন একটা রেখায় যেন তুমি থাকো।


তুমিও চাইলে হইতো,


আমাদের ছোট্ট একটা সংসার হতো, পুরনো সম্পর্কে প্রতিদিন নতুন করে প্রেম হতো, আমাদের একটা থাকার ঘর হতো। জানালায় উঁকি মেরে চাঁদ দেখা হতো, ভোরের হাওয়া শিশিরে ভেজা ঘাসের উপর একসাথে হাটা হতো, গোধুলির বিকালে তোমার চুলে বিনুনি বাঁধা হতো। মাঝেমধ্যে এক জোড়া গোলাপ হতো, একটা বই দুজনের পড়া হতো। একসাথে আমাদের হাসাহাসি হতো, একসাথে কাঁদা হতো; আমাদের রাগ হতো, অভিমান হতো। আমাদের ভালোবাসা হতো, একসাথে আমাদের বয়স ফুরাইতো।


কিন্তু তুমিই চাইলেনা!


তবুও তুমি আমার শ্রেষ্ঠ নারী।


তুমি চাওনি বলে পুরো পৃথিবী তোমাকে ভিন্ন চোখে দেখলেও আমি তোমায় দেখি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়া মহারাণী হিসেবে। পৃথিবীটা তোমায় ভুল ভাবলেও আমি তোমায় ভাবি সবচেয়ে সুন্দর সঠিক মানুষের রূপে। গোটা পৃথিবীর লোকেরা তোমায় ঘৃণা করলেও, আমি তোমায় ভালোবাসি পৃথিবীকেই ঘিরে থাকা সমস্ত ভালোবাসার ভালোবাসার সমান। পুরোটা পৃথিবীতে জুড়ে থাকা ভয় যদিও চেপে ধরে তোমায়, তবুও তুমি আমার কাছে সাহসী নারী। পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তোমায় ছোট করে দেখলেও, তুমি আমার বিশাল সমুদ্র। তোমাকে ঘিরে সমস্ত বস্তু তোমায় কখনো দেখতে অপছন্দ করকেও, তুমি আমার উজ্জল নক্ষত্র। আমাকে চাওনি বলে তোমাকে কেউ দূর্বল হৃদয়ী ভাবলেও, তুমি আমার কাছে পাহাড়ের মতো অটল। তুমি ফুল ছিলেনা আমার, কিন্তু তুমি ছিলে মহাবিশ্বের সবচেয়ে সুরভী; তুমি চাঁদ ছিলেনা, তবুও তোমার বিষ্মিত একা হাসির দৃশ্য ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জোসনাময় রূপালী সুখ।


তুমি আমার সর্বকালের সেরা সুন্দরী, তুমি মহাবিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মায়াবতী। তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে কোমল, তুমি হৃদয়স্পর্শী মমতাময়ী, তুমি শতাব্দীর পুরনো আদুরিনী। তুমি ইতিহাসের সবচেয়ে রূপবতী, তুমি যুগের বিজয়ী মহীয়সী। তুমি গুণবতী, তুমি ভাগ্যবতী।


তবুও আমি তোমায় ভালোবেসেছি কোন কারণ ছাড়া, কারণ তুমি নিজেই এক টুকরো ভালোবাসা।


কিন্তু তোমাকে পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।

তোমার মাথায় বড্ড স্নেহে রাখা তোমার বাবার হাতের কাছে বরাবরই তুচ্ছ আমার ভালোবাসা। দারুণ অসহায় ভঙ্গি নিয়ে তোমার হাত চেপে ধরা মায়ের চেয়ে সস্তা আমার ভালোবাসা। “আমরা তোর ভালো চাই” কথাটার কাছে সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে আমার ভালোবাসা। “এবার আমাদের সম্মানের দিকে তাকা” এই কথার মর্মের চেয়ে হালকা আমার ভালোবাসা। এসব বলতে গিয়ে তোমার বাবার কন্ঠস্বর ভারী হয়ে আসা, তোমার মায়ের চোখ ভিজে ওঠার অনুভূতির কাছে একদম সামান্য অনুভূতি আমার ভালোবাসা। ভাই বোনের কটুকথা আর প্রতিবেশী লোকের বাহবার চেয়ে অসুন্দর আমার ভালোবাসা। তারপর তোমার নেওয়া কঠিন সিদ্ধান্তের চেয়ে দূর্বল আমার ভালোবাসা। এভাবে তুমি পুরোপুরি ভাবেই হারিয়ে গেলে; তুমি আর রইলেনা দৃশ্যতে, তুমি রইলেনা আকাশে কিংবা বাতাসে, তুমি আর রইলেনা কোথাও। আর আমিও হারিয়ে ফেললাম এমন একজনকে, যাকে ভালোবাসা বাকি আরো খুব।


তুমি এখানেও বাবার শ্রেষ্ঠ কন্যা, মায়ের দায়িত্বশীল মেয়ে, তুমি বড় বোনের গর্ব, ছোট ভাই বোনের অনুপ্রেরণা। তুমি প্রতিবেশীদের অহংকার। তুমি সবকিছুতে বিজয়ী, তুমি শ্রেষ্ঠ, তুমি মহারানী। তুমি এক মহাপুরুষের অর্ধাঙ্গিনী, তুমি ভবিষ্যৎ সন্তানের মমতাময়ী মা। তুমি শাশুড়ীর আঁচলের প্রিয় বউ, তুমি ননদের পছন্দের সেরা ভাবি, তুমি ঘরের রাণী, তুমি দায়দায়িত্বশীল নারী।


নারী ৪ ভাবে সোহাগিনী হয়, তুমি সেই ৪ ভাবে সোহাগিনী।


-তুমি বাবার কন্যা হিসেবে সোহাগিনী 

-ভাইয়ের বোন হিসাবে সোহাগিনী 

-স্বামীর স্ত্রী হিসাবে সোহাগিনী 

-তুমি হবে ভবিষ্যৎ সন্তানের মা হিসেবে সোহাগিনী


তারপর নিয়ম করে সমুদ্রে ডেউ বয়ে চলবে, হিমালয়ে বরফ গলবে, সময় মতো চাঁদ উঠবে, সূর্য অস্ত যাবে। দলবেঁধে জোনাকিরা আলো ছড়াবে, মহাকাশে রকেটগুলো সময় মতো ছুটবে। পৃথিবীর সবকিছু নিয়ম অনুপাতে হবে। দিন যাবে, সপ্তাহ আসবে, মাস গুনতে গুনতে বছর ফুরাবে; যুগের পর যুগ চলে যাবে। কিন্তু আমাদের আর দেখা হবেনা, আমাদের আর কথা হবেনা। নিয়ম ভেঙে তুমি আমার হলেইনা।


যে নিয়ম মেনে চলে গেলে, সে নিয়মে ষোলআনা সুখ হবে, হাসিখুশি জীবন হবে। হৃদয় স্পর্শী আনন্দ হবে, কখনো গান, কখনো কবিতা, মাঝেমধ্যে গোলাপ আবার উপন্যাস; সবই তোমার হবে। দামী উপহার, সুস্ক চুমু, তুমুল সুখময় যৌনতা মাখামাখি রাত। থিয়েটার, শপিংমল, পাহাড় সমুদ্র। তোমার সবই হবে, এমনকি তোমার ভালোবাসাও হবে, তুমি মমতা নিয়ে আবার ভালোবাসবে। এভাবে তোমার জীবনের কোথাও এবার আমিও রইলাম না, মনে মস্তিষ্কে রইলাম না, না পাওয়ার দুঃখতেও না; কারণ আমার না হওয়াতে দুঃখ তোমায় কোনদিন স্পর্শও করবেনা।


তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে রূপবতী, তুমি সর্বকালের সেরা সুন্দরী; তুমি স্বর্গীয় সুরের কন্ঠ স্বৈরী। তুমি আমার দেখা শ্রেষ্ঠ নারী। তুমি সুখেরই প্রাপ্য।


আমি তোমাকে কোন কারণ ছাড়া ভালোবাসার মতো, কোন ছাড়াই সারাজীবন মনে রাখবো। হাওয়াতে তোমার নাম উচ্চারণ করবো, গাছে খোদাই করে লিখবো, নিঃশব্দে তোমার নাম জোপবো। 


তুমি আমায় চাইলেনা, আর মনেও রাখলেনা, 

মনে রাখার বাধ্যবাধকতা নেই।


কিন্তু আমি তোমায় মনে রাখবো, কারণ অল্প সময়ের জন্য হলেও আমি তোমার মনে ছিলাম। আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করাকালীন তোমার মনে আমাকেই মনে রেখেছো। কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য হলেও তোমার কথা মনে রাখা আমার উচিৎ।


তুমি সত্যি শ্রেষ্ঠ!

Saturday, February 8, 2025

পুরুষ মানুষ সহজে কাঁদে না... কারণ পুরুষের চোখে জল মানায় না.


 "পুরুষ মানুষ সহজে কাঁদে না... কারণ পুরুষের চোখে জল মানায় না... জন্মের পর তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় যতো কষ্টই হোক তোমার চোখে জল আনা যাবে না !!

.

নারীরা হুটহাট কেঁদে উঠতে পারে... নারীরা রাগে কাঁদে, অভিমানে কাঁদে, কষ্টেও কাঁদে... কিন্তু পুরুষ কখনো অভিমান কিংবা রাগে কাঁদে না... নারীর চোখের জলে ছলনা থাকলেও পুরুষের চোখের জলে কোনো ছলনা নেই !!

.

তবুও যদি কোনো পুরুষ কাঁদে তবে বুঝতে হবে সে বড় কষ্টটাই পেয়েছে এবং সে আসলেই কাঁদতেছে... পুরুষ কান্নার অভিনয় করতে পারে না... পুরুষের কান্নার দৃশ্য ভয়াবহ... পুরুষের কান্নার কারণ তীব্রতর হয় !!

.

তবুও পুরুষেরা কাঁদে... পুরুষ কাঁদে চারদেয়ালের আড়ালে... পুরুষ কাঁদে বারবার ইন্টার্ভিউ বোর্ডে ব্যর্থ হয়ে সার্টিফিকেটের দিকে তাকিয়ে... পুরুষেরা কাঁদে সংসারের চাহিদা না মেটাতে পেরে... পুরুষেরা কাঁদে বাবা-মায়ের চাহিদা পূরণ করতে না পেরে... পুরুষেরা কাঁদে প্রেমিকা হারালে !!

.

পুরুষ মানুষ নিজের জন্য যতটা না কেঁদেছে তার চেয়েও বেশি কেঁদেছে অন্য কারোর মন রক্ষার জন্য... পরিবার, বাবা মা, ছেলেমেয়ে কিংবা প্রেমিকার আবদার পূরণ করার জন্যও পুরুষের চোখের জল মাটিতে ফেলতে হয় যা অনেক প্রেমিকাই জানেনা !!

.

ইতিহাস বলে যে নারী ইচ্ছাকৃতভাবে পুরুষের চোখের জলের কারণ হয়েছে সেই নারী জীবনে খুব একটা সুখী হতে পারেনি... এটা নয় কোনো পুরুষের অভিসাপ, এটা পুরুষের চোখের জলের কারণ আর দীর্ঘশ্বাস !!

.

নারীরা বেঁচে থাকে বাবা কিংবা স্বামীর উপর ভরসা করে... আর সেই নারীর জন্যই যদি কোনো পুরুষের কাঁদতে হয় তাহলে সেটা সেই নারীর জন্যই অমঙ্গল... পুরুষের চোখের জল বিফলে যায় না, প্রকৃতিই তার প্রতিদান দেয় !!

.

তবুও পুরুষেরা বীর... দিনশেষে একটা পরিবার, বাবা মা কিংবা একটা নারীর বেঁচে থাকার শক্তি... পুরুষকে কাঁদিয়ে যে নারী জীবনে বড় হতে চেয়েছে তার সারাজীবন ভাঙতে ভাঙতে গেছে... কারণ একটা

 নারীর জীবনে স্রষ্টার পরেই একজন পুরুষের স্থান !!"

আফসোস


 সবশেষে আফসোস এতটুকুই, 

তুমি কখনো জানতেই পারলে না,

তোমাকে পাওয়ার কতটা তীব্র ইচ্ছে নিয়ে

, তোমার থেকে দূরে সরে আসলাম,,,,,!!

Thursday, February 6, 2025

মানুষের সঙ্গে শুধু সীমিত সম্পর্ক রাখাই ভালো।


 মানুষের সঙ্গে শুধু সীমিত সম্পর্ক রাখাই ভালো। কারণ মানুষ যতটা ভালোবাসা দেখায়, বাস্তবে ততটা নয়। প্রয়োজন হলে আপনাকে ভগবান বানিয়ে পূজা করবে, আর প্রয়োজন ফুরালে শত্রু বানিয়ে বদনাম করবে।  


মানুষ চেনা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ। তাই, অতিরিক্ত ভালোবাসা বা ফাস্ট প্রায়োরিটি দেওয়া বোকামি। এতে মানুষ আপনার মাথায় উঠে নাচবে, তারপর ক্ষতি করবে। কারও বিপদে পাশে দাঁড়ানো, অতিরিক্ত স্নেহ করা বা সাহায্য করা যতটা ভালো মনে হয়, দিনশেষে নিজের আত্মসম্মান কমে যায়।  


মানুষ নয়, নিজের স্বপ্ন আর আত্মসম্মানকে প্রাধান্য দিন। স্বপ্ন বাঁচার শক্তি দেয়, আর ভেঙে গেলে মানুষ শেষ হয়ে যায়। তাই, মানুষ নয়, নিজের উপর ভরসা রাখুন।


ভালোবাসা তোমার চাইতে দামী নয়।


 ভালোবাসা তোমার চাইতে দামী নয়। 

আমি তো ভালোবাসা চাইনি, তোমায় চেয়েছি। ভালোবাসা চাইলে সে আমি যে কারো ভালোবাসা পেতে পারি। কিন্তু তোমায় চাইলে কেন তোমায় পাইনা? পৃথিবীতে এত মানুষের ভীড়ে অনুভূতি কেন শুধু তোমার পিছু নেয়? তোমায় পাবে না জেনেও হৃদয় কেন এত উতলা হয়? না পাওয়া জিনিসের প্রতি মানুষের এমন তীব্র আকাঙ্খা মানুষকে যে নিঃস্ব করে ছাড়ে–শুধু নিঃস্ব করে ছাড়ে!


জীবনের কঠিন সময়গুলোতে নিজেকে গোপন


 জীবনের কঠিন সময়গুলোতে নিজেকে গোপন রাখাই ভালো। নিজের দুঃখ কষ্ট কাউকে না দেখানোই উত্তম।


জীবনে যদি কখনও খুব খারাপ সময় আসে, তাহলে নিজের দুঃখ কষ্টগুলো নিজের মাঝে এমন ভাবে আড়াল করে রেখো যেনো তোমার গা ঘেঁষে বসে থাকা মানুষটিও টের না পায় গোপনে তুমি ভেঙে গেছো খুব।


পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে মনের বন। আকস্মিক ঝড়ে, ঝরে গেছে জীবন বৃক্ষের সব কয়টি সবুজ পাতা। শক্ত হও। নিজেকে নিজেকে বুঝাও যে এত সামান্য বাতাসে ঝরে যেতে নেই, ভেঙে যেতে নেই অমন হাল্কা আঘাতে।


কান্না পেলে একা একা গোপনে কাঁদো, তবুও নিজের দুঃখের ক্ষতগুলো কাউকে দেখাতে যাবে না। মনে রেখো, যে নিজের জন্য আলো হতে পারে না, পৃথিবীর সমস্ত আলো মিলেও তাকে পথ দেখাতে পারে না।


জানোই তো মানুষ বড় নিষ্ঠুর ও নির্দ্বয়। ভেঙে যাওয়া মৌচাক দেখলে ঢিল মেরে আরও বেশী ভেঙে দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ পায়।


লেখা: সংগৃহীত

Tuesday, February 4, 2025

একটা মানুষকে নিয়ে কতটা ভাবলে, সেই মানুষটা স্বপ্নে আসে—


 একটা মানুষকে নিয়ে কতটা ভাবলে,

সেই মানুষটা স্বপ্নে আসে—

এ যেন এক অন্তর্লীন ডাক,

মনের অলিগলিতে যে স্পন্দনের প্রতিধ্বনি শোনা যায়।

প্রেম কি তবে এমনই?

অচেনা এক বাঁধনে জড়ায়,

যেখানে বাস্তবতা মিশে যায় কল্পনার গভীর আঁধারে।


রাতের নিস্তব্ধতায়,

মনের প্রতিটি কোণে তার ছায়া খেলা করে।

চোখ বুজলেই যেন তার মুখখানি—

অবাক করে,

মনে হয়, বাস্তব কি তবে এই?

নাকি শুধু এক ভাবনার রূপকথা?


আসলে, স্বপ্নে আসার জন্য বাস্তবের প্রয়োজন নেই,

প্রয়োজন শুধু হৃদয়ের গভীর আকাঙ্ক্ষা।

এমন আকাঙ্ক্ষা, যা সময়কে ছুঁয়ে যায়,

ফাঁকা আকাশে এক অদৃশ্য নক্ষত্রের মতো জ্বলতে থাকে।

ঘৃণা করতেই হবে এমন কোন কথা নেই।

 

ঘৃণা করতেই হবে এমন কোন কথা নেই। তবে মাঝেমাঝে মানুষ মন থেকে উঠে যায়, সে যেই হোক বন্ধু কিংবা কাছের মানুষ অথবা আত্মীয়-স্বজন। আগের মতো তাদের প্রতি আর আগ্রহ থাকে না। তাদের জন্য আর কোনো মায়া লাগে না আর মন কেমন করে না,চোখের কোনে জল ও আসে না। চোখের সামনে ছারখার হতে দেখলেও বলতে ইচ্ছে করে না.....যে তোমার কি খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে? বলতে ইচ্ছে করে না তুমি এটা কোরোনা ওটা কোরোনা তোমার জন্য এটা ঠিক নয় ...... কিচ্ছু না। 

  

   ঘৃণা তো কেবল মনের কোণে জমা থাকা ভালোবাসার এক বিপরীত প্রতিক্রিয়া মাত্র।


   আর আগ্রহ হারানো হল বহু চেষ্টার পর ও ব্যার্থতা স্বীকার করা। আগ্রহ হারালে না থাকে কিছু পাওয়ার ইচ্ছে আর না থাকে কিছু হারানোর ভয়। না থাকে ঘৃণা না থাকে সহানুভূতি,আগ্রহ যেমন মানুষকে অতি কাছের করে আবার আগ্রহ হারালে সেই প্রিয় মানুষগুলো হয়ে যায় দূরের কেউ একজন।🙂

আমি ঐ মানুষটাকে কখনোই ভুলবো না যে,


 আমি ঐ মানুষটাকে কখনোই ভুলবো না যে,

মিথ্যে করে হলেও একদিন আমার মুখের সামনে হেসেছিল


ভালোবাসি বলেছিল। আমার চোখে চোখ রেখে সারাজীবন একসাথে থাকবে বলে 

কথা দিয়েছিল। আমার যত্ন নিয়েছিল। 


তার হাসিমুখ, মায়া ভরা চাহুনি, তার কন্ঠস্বর তার কথা বলার ধরন আমি ভুলতে পারি না। 

কখনো কোনোদিন ও হয়তো ভুলতে পারবো না। 

সে আমার মনে থেকে যাবে 

আজীবন।

কিছু জায়গায় মানুষ অনেক কিছু বলতে চেয়ে অনেক ছোট শব্দে কথার সমাপ্তি ঘটায়।

 

কিছু জায়গায় মানুষ অনেক কিছু বলতে চেয়ে অনেক ছোট শব্দে কথার সমাপ্তি ঘটায়। যেখানটায় অনুভূতির মূল্য একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে আসে, যেখানে বহুবার চিৎকার করে কান্না করেও লাভ হয় নি, সেখানে একসময় নিজের অস্তিত্ব ছিলো সেখানটায় ইচ্ছের ঘুড়ি সুতা ছিঁড়ে বাঁধন ভেঙ্গে দিয়েছে।

মানুষ সেখানে কিছু বলতে গিয়েও চুপ হয়ে যায় যেখানটায় সব হারানোর দায় কেবল ভাগ্যটা কে দিয়ে দেয়।

যেখানে শতাব্দী ধরে সুখ খুঁজেছিল সেখানে কষ্টের ভারে শব্দ হারিয়ে গেলেই মানুষ অনেক কিছু বলতে গিয়েও চুপ হয়ে যায়।


সবচেয়ে বেশি শক্তি এই চুপ থাকাতেই পায়। নিজেকে হারিয়ে শূন্যের কোঠায় চলে যায়,ফিরেও আসে।



আমি তোমার নাম কাউকে বলি নি।


 আমি তোমার নাম কাউকে বলি নি।

কাউকে বলি নি তুমি আমার মন কতটা ভেঙেছিলে, কেমন করে মিথ্যে মায়ায় জড়িয়েছিলে।


আমি কাউকে জানাই নি, তোমার রেখে যাওয়া শূন্যতা আমার বুকের ভিতর কেমন করে একটা দগদগে ক্ষত করে দিয়েছে৷ যা এখনো আগের মতনই আছে। এক ফোঁটাও সারে নি।

তবুও মিথ্যে বলি। কেউ জিজ্ঞেস করলে মুচকি হেসে বলি, “আমি ভালো আছি।”

কিন্তু এই মিথ্যেটা বলার সময় মনে হয় একটা ভারী পাথর বুকের ওপর চেপে বসে আছে। আমি সরাতে চাই কিন্তু উপায় আমার জানা নাই। 


আমি কাউকে বলি নি, আমার নির্ঘুম রাতের কথা। কেমন করে আমি অন্ধকারে ভয় পাই, অজানা আতংকে আঁতকে উঠি, চোখ ভিজে যায়, স্মৃতি তাজা হয়ে ওঠে কেমন নিঃশ্বাস কেড়ে নেয়। 


আমি কাউকে জানাই নি, তোমার রেখে যাওয়া প্রতিটা কথা, প্রতিটা আশ্বাস কেমন করে আমার ভাঙা হৃদয়ে বারবার ফিরে আসে। কেউ জানে না... 

ভেবেছিলাম ভুলে যাবো। কিন্তু ভোলা তো একটা অভ্যাস। যা আমি কোনোদিনই শিখতে পারিনি।

কেন নিয়ম ভা'ঙা যায় না?


 কেন নিয়ম ভা'ঙা যায় না?

কাউকে খুব করে মন চাইলেও, সুখে থাকার তাগিদে নিয়ম ভে'ঙে কেন তার সাথে আজীবন থেকে যাওয়া যায় না?


কারো প্রতি তীব্র মায়া কাজ করলেও, কেন নিয়ম ভে'ঙে বলা যায় না তোমাকে আমার প্রয়োজন। 

কাউকে জড়িয়ে ধরার প্রচন্ড ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়ম ভে'ঙে তাকে জড়িয়ে ধরা যায় না?


কারো জন্য প্রচন্ড কষ্ট হলেও, কেন চোখের কোণে কান্না লুকিয়ে রাখতে হয়?

কেন সামনে গিয়ে প্রকাশ করা যায় না?

কারো হাত ধরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছে থাকলেও কেন ইচ্ছে পূরণ হয় না?


কারো জন্য বুকের ভিতর আজীবন ভালোবাসা জমিয়ে রাখলেও নিয়ম ভে'ঙে প্রকাশ করা যায় না?

বৃদ্ধ বয়সে একসাথে থাকবো ইচ্ছে করলেও স্পষ্ট ভাবে জেনে গেছি নিয়ম ভে'ঙে থাকা যায় না...


কেন কিছু নিষ্ঠুর নিয়মের তি'ক্ত দায়ভারে ভেতরটা ভে'ঙে চু'রে যায়?

নিয়ম কি জীবনের থেকেও বেশি মূল্যবান?


কেন নিয়ম ভা'ঙা যায় না?!


লেখা- কালেক্ট


Monday, February 3, 2025

অবলীলায় অভিমানের মেঘ এসে ছুঁয়ে যায়।

 

অবলীলায় অভিমানের মেঘ এসে ছুঁয়ে যায়। 

কই? তুমি তো ছুঁয়ে দেখো না! রোজ একটু একটু করে হতাশা ছুঁয়ে দেয়, মন খারাপের পায়তারা চলে সন্ধ্যা থেকেই, নির্ঘুম রাতে এপাশ ওপাশ করতে থাকি! দরজায় অপলক তাকিয়ে থাকি তুমি ছুঁতে আসবে বলে। তবে তুমি আসো না, ভালোও বাসো না এখন!


ভালোবাসা সমানে সমান না হলে একপক্ষ নিদারুণ শূন্যতায় ভুগে! এই যে এত শূন্যতা, এত হাহাকার ছুঁয়ে যায় হৃদয়ে, তুমি ছুঁতে চাইলে কী আর ওরা ছুঁতে পারে? 


দু'চোখ দিয়ে অপলক তোমায় দেখবো বলে সুনসান নীরবতায় আমি একা থাকি। চিন্তা-চেতনায়, মন ও মগজে শুধু তোমার আধিপত্য। তোমার খবরদারি উপেক্ষা করে, এই আমায় আর কে ছোঁয়ার দুঃসাহস দেখায়? তুমি ছোঁয় না বলেই অভিমানের মেঘ জমে মনে, বৃষ্টি নামে চোখের ধারায়! 


এই যে এভাবে দূরে থাকো, ঠিকঠাক নিয়ম করে ভালোবাসো না, কথা বলো না, এভাবে কী ভালোবাসা হয়? কত কথা পাখি হয়ে উড়ে যায়, কত কথা বুকের ভেতর জমে জমে কষ্টের পাহাড়, এইসব যন্ত্রণা তুমি বোধহয় হেসেখেলে উড়িয়ে দিতে পারো।


তোমার জন্য হৃদয় টাটায়!

তোমার কথা ভেবেই তো দেহ আর মন জুড়ে এত রোগ-শোক! এমন করে আদতে নিজেকে ভালো রাখা যায়? তুমি ছুঁয়ে দিলেই এইসব ছাইপাঁশ মন খারাপ, একাকিত্ব, বিষন্নতা আর অভিমানের মেঘ আমায় ছুঁতে ঘেন্না করে। 


মানুষ আজন্মকাল কলঙ্ক বয়ে বেড়াতে পারে, তবে এই যে কেউ থাকার পরেও নিজেকে এত একা লাগা, অসহায় মনে হওয়ার যে অনুভূতি আর কথা জমে জমে হৃদয়ে সুবিশাল পাথর বয়ে বেড়াতে পারে না!



যদি ভালোবাসার জন্য অনুরোধ করতে হয়,


 যদি ভালোবাসার জন্য অনুরোধ করতে হয়,

তবে সেই ভালোবাসা থেকে সরে আসাই শ্রেয়।

যে হৃদয় আপনাকে রাখতে চায়,

সে কখনোই আপনার থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না।


ভালোবাসা তো নিজের জায়গা নিজেই খুঁজে নেয়।

যা বারবার প্রমাণ করতে হয়,

তা ভালোবাসা নয়, কেবলই মোহ।

তাই, যদি যেতে চায় কেউ, তাকে যেতে দিন—

শুধু থেকে যাবে আপনার নিজের সম্মান।


___❐ মাহবুব সরদার সবুজ

আচ্ছা, মানুষ নাকি সব ভুলে যায়?


 আচ্ছা, 

মানুষ নাকি সব ভুলে যায়? 

তুমিও যাবে? তা বেশ, ভুলে যেতেই পারো।


ঐ যে ঠোঁটে চুমুর দাগ, অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকা চোখ যুগল, কাছে পাওয়ার তীব্র আকুতি, গভীর আলিঙ্গন, এসব ভুলে যাবে কী করে?


তা বেশ, ভুলে যেতেই পারো সব।

ভুলে যাওয়া তোমার স্বভাব। যেদিকে স্রোত যায়, সেদিকেই স্মৃতি বহমান। এই যে এত আকুতি নিয়ে ভালোবাসা, তোমাকে নিজের করে চাওয়া, তোমাকে নিয়ে হাজার স্বপ্ন দেখা, সবকিছু উপেক্ষা করে তুমি ভুলে যেতেই পারো।


যে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বলেছিলাম, “ ভালোবাসি ” সেই ঠোঁটে চুমুর আবদার নিয়ে পড়ে ছিলাম তোমার পায়ের কাছে। না বুকে, না পায়ে – কোথাও যে ঠাঁই দিলে না! জানি, অপেক্ষায় তোমার ক্লান্তি নেই। তবে নিশ্চয়তা দাও, “ তুমি আমার। ” শুধু এটুকু নিশ্চয়তা পেলেই আমি অবলীলায় যুগ পাড়ি দিবো অপেক্ষায়। অনিশ্চিত অপেক্ষায় অনুভূতি নষ্ট হয়!


মানুষ সব ভুলে যায়!

ঠোঁটে চুমুর দাগ, ভালোবেসে তোমায় না পাওয়ার সম্ভাবনা, অনিয়মে যোগাযোগহীনতায় জর্জরিত হয়ে যাওয়া সম্পর্ক, সবকিছু ভুলে যাওয়া কী এত সহজ?

পারবে ভুলে যেতে, পৃথিবীতে সুখী হওয়ার জন্য এতকিছু থাকার পরেও কেন আমি শুধু তোমায় চেয়েছি? সবই ভুলে যাবে হয়তো। ভুলে যেতে যেতে একদিন ঠিক মনে হবে, “ জীবন কেন তোমার দেয়া ঘড়ির কাঁটার মতো থমকে দাঁড়ায়? ”


অনুভূতি বোঝাতে পারি না বলেই এত যন্ত্রণা হয়!


 অনুভূতি বোঝাতে পারি না বলেই এত যন্ত্রণা হয়! তোমাকে বলা যায় না, ঠিক কেমন লাগে, কতটা অসহায়বোধ করি নিজেকে! এড়িয়ে যাও বোধহয়, নয়তো চুপচাপ শুনে হিমেল বাতাসে উড়িয়ে দাও সব। 


তোমাকে বোঝাতে পারি না বলেই এত দুঃখ হয়!

কতকিছু ঘটে যায়, কত ঝড় বয়ে যায়, অশান্ত করে দেয় হৃদয়! ঠিক কেমন লাগে, তোমাকে বোঝাতে পারি না। তুমি কখনো জানতেও চাইলে না, কতটা যন্ত্রণা পেলে মানুষ নিজেকে ভালোবাসতে ভুলে যায়!


শুধু তুমি বুঝো না বলেই এত আক্ষেপ হয়।

নীরবতার ভাষা, অভিমানে দগ্ধ হওয়া কথাদের, বুকের বাম পাশে চিনচিন ব্যথাদের, কোনোকিছুই বোঝো না তুমি। এই যে এত আবেগ, এত ভালোবাসা, এত করে তোমায় চাওয়া, আকাঙ্খাদের তুমি কেমন অগ্রাহ্য করো! আমার যে তাতে দুঃখ হয়, যন্ত্রণা হয়, কোনোকিছুই ভালো লাগে না।


তোমাকে বোঝাতে পারি না বলেই এত যন্ত্রণা হয়! কতভাবে, কত করে তোমায় বোঝাতে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি বারবার। এ যন্ত্রণা তোমাকে কিছুতেই বোঝাতে পারি না বলেই আরও বেশি যন্ত্রণা হয়!



কিছু কিছু অনুভূতি প্রকাশ করে বোঝানো যায় না


 জানো,

কিছু কিছু অনুভূতি প্রকাশ করে বোঝানো যায় না।ঠিক তেমন তোমার প্রতি আমার হৃদয়ে এই যে মায়ার পাহাড় তৈরি হচ্ছে।এই যে তোমার প্রতি দিন দিন আমার টান বেড়ে যাচ্ছে।তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা গভীরতা বাড়ছে।তা তুমি কতটা বোঝো আমি জানি না।তবে এই অনুভূতি গুলো ব্যাখ্যা করার ভাষা আমার জানা নেই।


এই যে তোমার একটু দূরে থাকায় আমার মন ভারী হয়।আমি তোমাকে প্রচন্ড মিস করি।তোমার কন্ঠ শোনার অপেক্ষায় থাকি।এই অনুভূতি গুলো আমাকে জানান দেয় আমি তোমাকে ভালোবাসি। হ্যাঁ ভীষন ভালোবাসি।


আমি চাই তোমার প্রতি আমার এই ভালবাসার স্থায়িত্ব হোন অনন্তকাল। তুমি শুধু যেমন আছো ঠিক তেমনই থেকে যেও,আমায় শুধু রেখে দিও তোমার বুকের  বাম পাশে  ।আমার একজীবন আমি তোমায় ভালোবেসেই বাঁচতে চাই।

অনুভূতি বোঝাতে পারি না বলেই এত যন্ত্রণা হয়




 অনুভূতি বোঝাতে পারি না বলেই এত যন্ত্রণা হয়! তোমাকে বলা যায় না, ঠিক কেমন লাগে, কতটা অসহায়বোধ করি নিজেকে! এড়িয়ে যাও বোধহয়, নয়তো চুপচাপ শুনে হিমেল বাতাসে উড়িয়ে দাও সব। 


তোমাকে বোঝাতে পারি না বলেই এত দুঃখ হয়!

কতকিছু ঘটে যায়, কত ঝড় বয়ে যায়, অশান্ত করে দেয় হৃদয়! ঠিক কেমন লাগে, তোমাকে বোঝাতে পারি না। তুমি কখনো জানতেও চাইলে না, কতটা যন্ত্রণা পেলে মানুষ নিজেকে ভালোবাসতে ভুলে যায়!


শুধু তুমি বুঝো না বলেই এত আক্ষেপ হয়।

নীরবতার ভাষা, অভিমানে দগ্ধ হওয়া কথাদের, বুকের বাম পাশে চিনচিন ব্যথাদের, কোনোকিছুই বোঝো না তুমি। এই যে এত আবেগ, এত ভালোবাসা, এত করে তোমায় চাওয়া, আকাঙ্খাদের তুমি কেমন অগ্রাহ্য করো! আমার যে তাতে দুঃখ হয়, যন্ত্রণা হয়, কোনোকিছুই ভালো লাগে না।


তোমাকে বোঝাতে পারি না বলেই এত যন্ত্রণা হয়! কতভাবে, কত করে তোমায় বোঝাতে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি বারবার। এ যন্ত্রণা তোমাকে কিছুতেই বোঝাতে পারি না বলেই আরও বেশি যন্ত্রণা হয়!


লেখায়:- মোঃ ফাহাদ মিয়া🌼

মানুষের জীবনে বড়ো একটা লস কী, জানেন?

 

মানুষের জীবনে বড়ো একটা লস কী, জানেন?


জীবন থেকে এমন কাউকে হারিয়ে ফেলা, যে-মানুষটাকে একদিন আপনি তীব্রভাবে ভালোবাসতেন।


তবে আপনার জীবনে তার চেয়েও হাজারগুণ বড়ো লস কোনটা, জানেন? জীবন থেকে এমন কাউকে হারিয়ে ফেলা, যে-মানুষটা আপনাকে নিখুঁতভাবে ভালোবাসত।


যেদিন বুঝবেন, আপনাকে আদুরে বেড়ালের মতন স্নেহে-আদরে যে-মানুষটা তীব্র মমতায় ভালোবাসত, সে আপনাকে আর ভালোবাসে না, সেদিন বুকে চিনচিন ব্যথা করবে, ঘুমোতে গিয়ে রোজ মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে যাবে।


আপনি ভালোবাসেন, এমন কাউকে হারিয়েছেন, তার জন্য নয়; বরং আপনাকে ভালোবাসত, এমন কাউকে হারিয়েছেন, এই আফসোসে আপনি সেদিন কাতরাবেন। আপনি যাকে ভালোবাসেন, তার প্রতি আপনার মুগ্ধতা একদিন শুকনো নদীর মতন শুকিয়ে যাবে, কিন্তু আপনাকে ভালোবাসত, এমন একটা মানুষকে হারানোর আফসোসে আজীবন আপনার বুকের ভেতর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ছাড়াই জ্বালাপোড়া করবে।


পৃথিবীতে এমন হাজারো মানুষ আপনার জীবনে আসবে যাবে, যাদেরকে আপনি তীব্রভাবে ভালোবাসবেন, আবার ভুলেও যাবেন। কিন্তু আপনাকে তীব্রভাবে ভালোবাসবে, এমন মানুষ আপনার গোটা জীবনে বড়োজোর এক-দুই জন পাবেন; বেশিরভাগ সময়ই, এক জন‌ও পাবেন না।


বাড়ি হারালে নতুন বাড়ি কিনতে পারবেন, গাড়ি ভাঙলে জোড়া লাগাতে পারবেন, জমি বেচে-কিনে বা হাত বদলে হাজার হাজার জমির মালিকও হতে পারবেন, কিন্তু শখের মানুষটাকে একবার হারালে তেমন শখের মানুষ আর কখনোই খুঁজে পাবেন না।


আপনার পথ চেয়ে কুকুরের মতন যে-মানুষটা অপেক্ষা করত, সে এখনও অপেক্ষা করে, তবে আপনার জন্য নয়।‌ আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে যে-মানুষটা মরে যেতেও দ্বিধা করত না, সে এখনও মরে যেতে দ্বিধা করে না, তবে তা আপনার জন্য নয়। আপনার বুকে মাথা রেখে যে-মানুষটা হাজার বছর বাঁচতে চাইত, সে এখনও বাঁচতে চায়, তবে আপনার বুকে মাথা রেখে নয়।


এই যে এমন নিখুঁত একটা মানুষ হেলায় হারিয়ে ফেললেন, এর ক্ষতিপূরণ পুরো জীবনটাই দিয়ে দিলেও হয় না।


মানুষ তার ভালোবাসার মানুষটাকে পেতে তীব্র জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হরিণছানার মতন নদীর পাড়ে আটকে গিয়ে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে হলেও কোনোমতে থেকে যেতে চায়।


কিন্তু সে ভেসে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই, আপনি তাকে এক বারও ধরে আটকালেন না, হাতে ধরে জোয়ারের পানি থেকে টেনে পাড়ে তুললেন না। মনে করলেন, সে তো থাকতেই চায়, আটকাতে চায়, তাই সে কোনো না কোনোভাবে ঠিক‌ই আটকে থাকবে।


অথচ একদিন রোদজ্বলা মিষ্টি ভোরে ঘুম ভেঙে জেগে দেখলেন, ঝড় থেমে গেছে, জোয়ার নেমে গেছে, কিন্তু কিনারায় আটকে থাকতে চাওয়া মানুষটা আর নেই, জোয়ারে ভেসে গেছে অন্য কোনো নদীতে অথবা ভিন্ন কোনো সাগরে। অনেকসময় মানুষ নিজে সরে না গেলেও, আটকে রাখতে না জানলে, ঝড় তাকে ঠিক‌ই সরিয়ে নিয়ে যায়।


আপনি তাকে ছুঁয়ে দেখবেন, তার কাছ ঘেঁষে তাকে গিয়ে বলবেন, আমাকে একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দাও। দেখবেন, মানুষটার ছোঁয়ায়, মায়ায় কিংবা কায়ায় কোথাও আপনি নেই।


ঠিক এই জায়গাটায় আপনার বড়ো পরাজয়, বড়ো লসটা হয়ে গেল।


মানুষটা আছে, অথচ মানুষটা নেই।


এই যে হারিয়ে ফেললেন, একদিন দেখবেন, মানুষের ভারে নুয়ে-পড়া দুনিয়াটাকে আপনার কাছে মানুষশূন্য মরুভূমি মনে হবে।


হাজার-কোটি মানুষ আছে চারিদিকে, অথচ আপনার কোনো মানুষ নেই। আপনাকে পায়, এমন হাজারো মানুষ আছে; অথচ আপনি পান, এমন মানুষ এক জনও নেই।


এমন ভয়ানক ক্ষতির সারাটা জীবনেও কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না, এমন সুজন হারানোর পর তার অলটারনেটিভ কোনো পরিপূরক হয় না।


হয় না, হয় না, সত্যিই হয় না। একবার হারিয়ে দেখুন, খুব স্পষ্ট করে সব বুঝে যাবেন।


তাই সময় থাকতে প্রকৃত মানুষের মুল্যায়ন করতে শিখুন।

#collected #সংগৃহীত

For HUAWEI Watch Pro GPS NFC Smart Watch Men 360*360 AMOLED Screen Heart rate Bluetooth Call IP68 Waterproof Man Smartwatch 2025

  Specifications Hign-concerned Chemical None Battery Life 3Day Voice assistant built-in YES Bluetooth-compatible Version 5.3 Metrics measur...