Wednesday, June 4, 2025

নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মানে পরাজয় নয়—এটা এক ধরনের আত্মরক্ষা, আত্মসম্মানের ভাষা


 নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মানে পরাজয় নয়—এটা এক ধরনের আত্মরক্ষা, আত্মসম্মানের ভাষা


একটা সময় ছিল, যখন মানুষ ধরে রাখার জন্য প্রাণপণে লড়ে গেছি।

মনে হতো, যার সঙ্গে সম্পর্ক—বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা বা ভালোবাসা—তাকে হারানো মানে জীবনের একটা টুকরো হারিয়ে ফেলা।

তাই চুপ করে সহ্য করতাম, গুরুত্ব না পেলেও পাশে থাকতাম, বুঝেও না বোঝার ভান করতাম।

ভাবতাম, হয়তো একদিন বুঝবে—আমার দেওয়া সময়, ভালোবাসা, উপস্থিতির মূল্য।


কিন্তু সময় শিখিয়েছে, কেউ যদি তোমাকে সত্যিই চায়, তাহলে তোমাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে।

যেখানে তুমি অনুপস্থিত হলেও কারো কিছু যায় আসে না, সেখানে তোমার উপস্থিতিরও আর কোনো অর্থ থাকে না।


আমি আজকাল বুঝি, চুপচাপ চলে আসাটাও এক ধরনের আত্মরক্ষা।

সবসময় যুদ্ধ করেই টিকে থাকতে হয় না, অনেক সময় নিজেকে সরিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়।

কারণ, গুরুত্ব চাওয়ার মধ্যে কোনো ভুল নেই,

ভুল হলো—নিজেকে এমন জায়গায় ধরে রাখা, যেখানে তোমাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।


অনেক সম্পর্কেই আমরা শুধু “অভ্যস্ত” হয়ে পড়ি।

তাদের সঙ্গে মনের বন্ধন নয়, শুধুমাত্র অভ্যাসের শিকল।

তারা ভুলে যায়—তুমি কতটা সময় দিয়েছো, কতবার নিজেকে পেছনে রেখে তাদের গুরুত্ব দিয়েছো,

আর তুমিও একসময় ভুলে যাও—তুমি নিজেও গুরুত্বপূর্ণ।


আমি এখন আর কারো উদাসীনতায় কষ্ট পাই না।

বরং নীরবে সরে আসি।

কারণ, মুখ দেখিয়ে থাকাটা, ভালোবাসাহীন উপস্থিতি ধরে রাখাটা—

আমার আত্মসম্মানের বিরুদ্ধে কাজ করে।


কেউ কেউ ভাবে—চলে আসা মানে দূর্বলতা।

কিন্তু তারা বোঝে না, এই চলে আসার পেছনে কত রাত না ঘুমিয়ে থাকা,

কত নিজেকে প্রশ্ন করা, কত অশ্রু, কত অনুভূতির মৃত্যু লুকিয়ে আছে।


এখন আমি যদি কাউকে ছেড়ে আসি, সেটা অপমান নয়,

বরং নিজের প্রতি একটা গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।


আমি শিখেছি—নিজেকে ভালোবাসা শিখলে আর কেউ তোমাকে অবহেলা করতে পারে না।

কারণ তখন তুমি জানো, কে তোমার জন্য, আর কার জন্য তুমি শুধু অপশন।


এই সরে আসা, এই চুপ করে চলে যাওয়া—এটা কোনো নাটক নয়।

এটা অনেক অভিজ্ঞতার ফল, অনেক চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর তৈরি হওয়া এক শক্তি,

যার নাম—নিজেকে ভালোবাসা।।😌🥀©

Sunday, June 1, 2025

আমি আর কিচ্ছু চাইনা, বিশ্বাস করো।

 আমি আর কিচ্ছু চাইনা, বিশ্বাস করো। 

আমি চাই, তোমার মুখে হাসি থাকুক, তোমার জীবনে আনন্দের জোয়ার নেমে আসুক, তুমি ভালো থাকো।


পৃথিবীতে তোমার হাসির চাইতে দামী আর কিছু নেই। তোমার হাসি, তোমার আনন্দ, তোমার অনুভূতির মূল্য পুরো পৃথিবীর বিনিময়েও হয় না। 


তোমাকে ভালোবাসি, এর চাইতে নিরেট সত্য আর কিছু নেই। তোমাকে ভালোবাসি মানে, তোমাকে ভালো থাকতেই হবে। তোমাকে হাসতে হবে, তোমাকে ভালো ভাবে বাঁচতে হবে। পৃথিবীতে ভালোবাসার মানুষটাকে হাসতে দেখার মতো সুন্দর অনুভূতি আর হয় না। 


আমি আর কিচ্ছু চাইনা, বিশ্বাস করো।

আমি চাই, তোমার জীবন ভালোবাসায় ভরপুর হোক। অবহেলা–অনাদরে নয়, জীবন কাটুক শুধু ভালোবাসায়। তোমার জীবনের সব না পাওয়া ইচ্ছেগুলো পূর্ণতায় রূপ নেয় যেন। 


যাকে ভালোবাসি, দুঃখ যেন তার দ্বারে কাছেও না আসে। পৃথিবীর সমস্ত সুখ যদি তোমার পায়ের তলায় রেখে, বলতে না পারি “ ভালোবাসি ” তবে এই আক্ষেপ নিয়ে মরেও শান্তি পাবো না!


আমি আর কিচ্ছু চাইনা , বিশ্বাস করো।

আমি তোমার ভালো চাই। পৃথিবীতে যা কিছু ভালো, সব ভালো তোমার হোক। যাকে ভালোবাসি, সে ভালো আছে দেখার মতো–জানার মতো অনুভূতি আর হয় না।  তুমি ভালো থাকলেই যে আমি ভালো থাকি, তুমি হাসলেই যে আমি আরও কয়েক যুগ বাঁচার আকুতি করি পৃথিবীতে। 


Thursday, May 29, 2025

জীবন তার গতি বদলাবে, অথচ তোমায় আর ভুলা হবে না!


 জীবন তার গতি  বদলাবে, অথচ তোমায় আর ভুলা হবে না!

তোমাকে না পাওয়ার আক্ষেপ তখনও ফুরাবে না.!

ঠিক যখন মনে পড়বে, তোমায় আমি পাই নি;


আমি বোধহয় সেই একুশের তরুণের মত ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠব!

তোমার শূন্যতা আমাকে হয়ত সর্বহারা পথশিশুর মত অসহায় করে তুলবে!

তোমার ছোট ছোট স্মৃতিগুলো আঘাত করবে হৃৎপিণ্ডে।

আমার তখনও খুব ইচ্ছে হবে- 

তুমি আমার খোঁজ নাও, আমায় স্বান্তনা দাও, অনুপ্রেরণা দাও, আমায় আবার ভালোবাসো।  


তখনও একটা মূহুর্তের জন্যও তোমায় পাবো না।

এর চেয়ে যন্ত্রণা আর কী হতে পারে! 


#অসম্পূর্ণ_ভালোবাসা

Wednesday, May 28, 2025

যারা সবাইকে খুশি রাখতে চায়, তারা কারো হতে পারে না…

 যারা সবাইকে খুশি রাখতে চায়, তারা কারো হতে পারে না…


কিছু মানুষ থাকে, যারা সবার মন রক্ষা করতে চায়। সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। তারা চায় না কেউ কষ্ট পাক, কেউ দূরে সরে যাক। কিন্তু নিজের অজান্তেই—তারা হয়ে ওঠে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।

কারণ তারা কাউকে পুরোপুরি ধরে রাখে না, আবার সম্পূর্ণ ছেড়েও দেয় না।


তারা এমনভাবে সম্পর্ককে টানতে থাকে—যেন সেটা নিছক একটা অভ্যাস, একটা অলস বিকেলের গল্প, অথবা সময় কাটানোর মাধ্যম। আপনি ভাববেন—তার ভেতরে কিছু আছে, আপনি বুঝতে পারবেন না ঠিক কী, কিন্তু তার টানটা আপনাকে প্রতিদিন দ্বিধায় ফেলবে। আপনাকে বারবার মনে করিয়ে দেবে—আপনি প্রয়োজনীয়, কিন্তু অপরিহার্য নন।


আর আপনি? আপনি হয়তো তাকে ভালোবেসে নিজের পুরোটা দিয়ে ফেলেছেন। তার একটুখানি ভালোবাসার আশায় আপনি রাতজাগা কান্না লুকিয়েছেন বালিশের নিচে। দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছেন একটা গুরুত্বের, একটু মনোযোগের, একটু ভালোবাসার।


কিন্তু সে? সে ঠিক আগের মতোই থাকছে—উদাসীন, নির্বিকার, অন্যমনস্ক। আপনি যখন তাকে ছেড়ে যেতে চাইবেন—তখনই সে হাত ধরে বলবে, “তুমি গেলে আমি ভেঙে পড়ব।” কিন্তু সেই হাতের ভেতরে যে উষ্ণতা থাকা উচিত, সেটা আপনি পাবেন না।

সেই হাত হবে ঠাণ্ডা… কেবল আটকে রাখার হাত, ভালোবাসার নয়।


এই মানুষগুলো কারো ভালোবাসাকে নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে—একদিন আপনাকে চাঁদ বলে গলে পড়ে, আরেকদিন আপনার উপস্থিতিই তাদের বিরক্ত করে তোলে। আপনি বুঝে উঠতে পারেন না—আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন, এই সম্পর্কটা আদৌ কোনো ঠিকানার দিকে যাচ্ছে কিনা।


তারা অনেকের সঙ্গে সামান্য সামান্য করে জড়িয়ে থাকে—কেউ গল্পের জন্য, কেউ সময় কাটানোর জন্য, কেউ আবেগ শেয়ার করার জন্য। কিন্তু আসলে কেউই তাদের হৃদয়ের কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে না।

কারণ তারা কাউকে ভালোবাসে না—শুধু ভালোবাসা পাওয়ার অনুভূতি উপভোগ করে।


আর আপনি হয়তো সেই একজন, যে এই পুরোটা সময়ে একটা মানুষকে ঠিকমতো ভালোবেসে ফেলেছেন। তার অনুপস্থিতিতে আপনার নিঃশ্বাস ভারী হয়, তার উদাসীনতায় আপনার ভেতরের আলো নিভে আসে। আপনি তাকে বুঝতে চেয়েছেন, ধারণ করতে চেয়েছেন, ভালো রাখতে চেয়েছেন—নিজেকে প্রতিদিন ছোট করে।


কিন্তু একটা সময় আপনি বুঝে যাবেন—এই ভালোবাসার বোঝা একা টানার নয়। সম্পর্ক যদি একপাক্ষিক হয়, তবে সেটা ভালোবাসা নয়—একটা নিঃশব্দ যন্ত্রণা, যা দিনে দিনে মানুষকে মরে যেতে শেখায়।


ভালোবাসা মানে একটা মানুষকে এতটা ভালোবাসা দেওয়া, যাতে সে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবে। কিন্তু সেই মানুষটা যদি বোঝে না—তাহলে বারবার ভাঙবেন না নিজেকে। কারণ, আপনার ভালোবাসা কোনো অপমান সইবার বস্তু নয়।


যে মানুষ সবাইকে খুশি রাখতে চায়, সে কাউকেই ভালোবাসে না। সে ভালোবাসে নিজেকে—নিজের চাওয়া-পাওয়া, নিজের শূন্যতা ভরাট করার খেলা। আপনি সেই খেলায় একটা চরিত্র মাত্র।


সত্যিকারের ভালোবাসা একমুখী হয় না, একতরফা হয় না। এটা দুইটি হৃদয়ের নিঃস্বার্থ বন্ধন, যার গভীরতা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায় নিঃশ্বাসে।


তাই, যদি আপনি এমন কারো জন্য নিজেকে নিঃশেষ করে ফেলেন, একদিন ভেঙে পড়বেন। কিন্তু বিশ্বাস রাখুন—ভালোবাসা আছে, শুধু সঠিক হৃদয়ের সন্ধান এখনো আপনার পাওয়ার অপেক্ষায়।


এই পৃথিবীতে কেউ যদি কাউকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে, সেই ভালোবাসা মরে না। হারিয়ে যায় না। শুধু সময়ের আড়ালে একদিন নিজের মতো করে ফেরে—একটি দীর্ঘশ্বাস, একটি স্মৃতি, অথবা নিঃশব্দ ভালোবাসার রূপে।


Sunday, May 25, 2025

তোমার অপেক্ষায় একটি প্রেম, বিরহ ও পুনর্মিলনের গল্প


 

 "তোমার অপেক্ষায়"


তোমার অপেক্ষায়

একটি প্রেম, বিরহ ও পুনর্মিলনের গল্প

অধ্যায় ১: প্রথম দেখা

রাজীব তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। একজন বইপাগল, একটু চুপচাপ, কিন্তু হৃদয়ে এক অদ্ভুত রোমান্টিকতা লুকিয়ে ছিল। সে নিয়মিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ত। সেদিন হঠাৎ করেই লাইব্রেরির নিরিবিলি এক কোণায় বসে পড়ছিল শেলীর কবিতা — এমন সময় সামনে এসে বসে একজন মেয়ে।

মেয়েটির নাম ছিল মায়া। বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মায়া যেমন চঞ্চল, তেমনি বুদ্ধিদীপ্ত — তার চোখে ছিল একধরনের অদ্ভুত আকর্ষণ। রাজীবের বইয়ের পাতার চেয়েও সেই চোখ তাকে বেশি টানল সেদিন।

প্রথমদিন শুধু চোখাচোখি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বই আদান-প্রদানের অজুহাতে কথাবার্তা শুরু হলো। লাইব্রেরি শেষে চা, বিকেলবেলা ক্যাম্পাসের রোদের নিচে হাঁটাহাঁটি — ধীরে ধীরে একটা গল্প তৈরি হচ্ছিল। রাজীব অনুভব করছিল, তার নিঃসঙ্গ জীবনটা মায়ার সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠছে।

অধ্যায় ২: অজানা টান

মায়া ছিল আলাদা ধরনের মেয়ে। সে কারও কথা শুনে চলত না, নিজের মনমতো জীবনযাপন করত। রাজীব তার এই স্বাধীনচেতা মনোভাবের প্রতি মুগ্ধ হলেও মাঝে মাঝে দুশ্চিন্তায় পড়ত — ‘সে কি আমাকে সত্যি চায়?’

একদিন রাজীব সাহস করে বলেই ফেলল,
“মায়া, আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করি প্রতিদিন... হয়তো এটা ভালোবাসাই।”

মায়া হেসে বলল,
“ভালোবাসা এত তাড়াতাড়ি হয় রাজীব? আমি জীবনটাকে এখনো চিনে উঠতে পারিনি। ভালোবাসা চাই, কিন্তু ভয় পাই।”

রাজীব হতাশ হলেও বুঝতে পারল — মায়ার ভেতরে একটা আঘাত লুকিয়ে আছে। সে অপেক্ষা করল, সময়কে বিশ্বাস করল।

অধ্যায় ৩: দূরত্ব

সময় যতই এগোতে থাকল, মায়া যেন রাজীবের কাছ থেকে সরে যেতে লাগল। ফোনে কম কথা, মেসেজে দেরি, দেখা হলে চোখে অস্থিরতা।

একদিন রাজীব জিজ্ঞেস করল,
“তুমি কি কাউকে ভুলতে পারোনি মায়া?”

মায়া চোখ নামিয়ে বলল,
“আমি একবার খুব ভালোবেসেছিলাম... কিন্তু সে আমার ভালোবাসার মানে বোঝেনি। তাই এখন আবার ভালোবাসতে ভয় লাগে।”

রাজীব বলল,
“আমি তোমার অতীত না, আমি তোমার বর্তমান হতে চাই। যদি আমাকে একটা সুযোগ দাও, আমি প্রমাণ করব যে আমি আলাদা।”

মায়া কিছু বলল না। চলে গেল। সেদিনের পর আর দেখা হয়নি অনেকদিন।

অধ্যায় ৪: দীর্ঘ অপেক্ষা

তিন বছর কেটে গেছে। রাজীব এখন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক। সে তার জীবনে অনেক কিছু পেয়েছে, কিন্তু মায়াকে হারিয়ে এক খালি জায়গা থেকে গেছে তার ভেতরে।

সে মাঝে মাঝে ফেসবুকে মায়ার প্রোফাইল খোঁজে। নতুন ছবি নেই, কোনো পোস্টও না। ফোন নম্বর বদলে গেছে।

তারপর হঠাৎ একদিন...

বইমেলায় রাজীব একটা বুকস্টলে বই দেখছে, হঠাৎ কেউ তার পেছন থেকে বলে,
“শেলীর কবিতা এখনো পড়ো?”

রাজীব ঘুরে দাঁড়ায়। মায়া।

চোখেমুখে বয়সের ছাপ লেগেছে, কিন্তু সেই চেনা হাসি, সেই পরিচিত চোখ।

“তুমি... কোথায় ছিলে এতদিন?”

মায়া বলল,
“আমি নিজেকে খুঁজছিলাম... অনেক ভুল করেছি, কিন্তু একদিন বুঝলাম, সত্যিকারের ভালোবাসা কাউকে চোখে চোখে খুঁজে পাওয়া যায় না — তাকে হৃদয়ে ধরে রাখতে হয়। আর তুমি তো কখনো ছাড়ো নি। সবসময় আমার অপেক্ষায় ছিলে।”

রাজীবের চোখ ভিজে যায়।

“তুমি ফিরে এসেছো... এইটুকুই অনেক।”

তারা চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। ব্যস্ত শহরের ভিড়ে, বুকমেলায়, পেছনে হাজারো শব্দ — কিন্তু তাদের জন্য যেন সময় থেমে গেছে।

শেষ অধ্যায়: ভালোবাসা ফিরে পাওয়া

রাজীব ও মায়া একসঙ্গে বসে চা খায়। ক্যাম্পাসে আবার একদিন ঘোরে। তাদের জীবনে ফিরে আসে পুরোনো গান, পুরোনো স্বপ্ন।

ভালোবাসা সবসময়ই সহজ নয়। তবু যারা অপেক্ষা করতে জানে, তাদের জন্য কোনো না কোনো এক ভোরে আলো ঠিকই ফিরে আসে।


শেষ।
ভালোবাসা হারিয়ে গেলেও যদি সেটা সত্যি হয়, তবে একদিন ঠিকই ফিরে আসে।


offer


Eid Special Internet Offer

🌙 ঈদ স্পেশাল ইন্টারনেট অফার!

মাত্র ২০ টাকায় পাচ্ছেন:
  • 📶 ৯৯ জিবি ইন্টারনেট
  • 📞 ৯০০ মিনিট যে কোনো লোকাল নাম্বারে

👉 এই অফারটি সকল সিমের জন্য প্রযোজ্য: Banglalink, Grameenphone, Robi, Airtel, Talital, Skito

Saturday, May 17, 2025

তুমি অনেক দেরিতে বুঝবে, আমি হারিয়ে যাওয়ার মানে শুধু একজন মানুষকে হারানো নয়-


 তুমি অনেক দেরিতে বুঝবে, আমি হারিয়ে যাওয়ার মানে শুধু একজন মানুষকে হারানো নয়-তুমি হারিয়েছো সেই হৃদয়টাকে, যে নিঃস্বার্থভাবে তোমার পাশে ছিল। যে চোখে শুধু তোমাকেই দেখতো, যে মন তোমার প্রতিটি না-বলা কথাও বোঝার চেষ্টা করতো।


একদিন হঠাৎ খুব মনে পড়বে-আমাদের সেই সবদিন, যখন আমি ছিলাম। তখন হয়তো তোমার বুকের ভিতরে এক অদ্ভুত শূন্যতা বাজবে, কিন্তু আমি তখন থাকবো না। আমি চলে যাওয়ার পর তুমি টের পাবে, এই স্বার্থপর দুনিয়ায় নিখাঁদ ভালোবাসা আসলে কতটা দুর্লভ। ভালোবাসার অভাবে, অনুভবের দারিদ্র্যে, তুমি ধীরে ধীরে পুড়ে যাবে।


আমি যখন তোমার চারপাশে ছিলাম, তুমি বুঝে উঠোনি আমার গুরুত্ব। অথচ আমি হারিয়ে গেলে -হয়তো একদিন বাতাসের হঠাৎ নিঃশ্বাসে, মেঘের বিষণ্ণতায়, নদীর একাকীত্বে বা পাহাড়ের নিস্তব্ধতায় তুমি আমাকে খুঁজে পাবে। কিন্তু সে পাওয়াটা হবে শুধু অনুভবে, বাস্তবে নয়। 

তখন হয়তো মনে হবে-"ইশ! যদি আর একবার সময়কে পেছনে নেয়া যেতো!" কিন্তু সময় তো কারো জন্য থামে না। মানুষ যখন চুপচাপ সরে যায়, তখন সে আর আগের মতো ফেরে না।

Friday, May 16, 2025

স্বপ্ন মানুষকে বাঁচতে শেখায়


 একটা মানুষের সাথে পরিচয় হওয়ার পর, তাকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসার পর, তাকে বুকের নরমে জড়িয়ে ধরার পর, তাকে স্থায়ী ভেবে জীবনের বাকি দিনগুলো তার সাথে কাটানোর পরিকল্পনা করার পর; কেন এমন একটা দিন আসে যেদিন তার চলে যাওয়া দেখতে হয় আমাদের? এত এত দিন একসাথে থাকা, একসাথে হাঁটা, একটু একটু করে সম্পর্কটাকে গড়ে তোলা, এত প্রতিশ্রুতি, এত ভালোবাসি বলা; সবটুকু কেন এলো তবে আমাদের জীবনে? কেন এমন মানুষের সাথে পরিচয়ই বা হলো যাকে একদিন আমায় যেতে দিতে বাধ্য হতে হবে?


ভাবুন যে আপনার কাছে সর্বস্ব, একদিন সে আপনাকে পরিত্যাগ করলো। ঠিকানা বদলে নিলো। ফিরেও তাকালো না। এই যন্ত্রণা সয়ে নেওয়া যে কতটা কঠিন, যে জানে সে জানে। 


মনে প্রশ্ন জাগে। নাই বা হতো এমন মানুষদের সাথে পরিচয় যারা থাকতে আসে না!? নাই বা হতো পরিচয় তাদের সাথে যাদের একটা সময় পর যেতে দিতে বাধ্য হই আমরা!? যেতে দেওয়া যে বড্ড কঠিন। পরিত্যক্ত হওয়া যে বড্ড কঠিন।


অনেকটা সময় লেগে যায় এটা বুঝতে যে জীবন থেকে কিছু মানুষের চলে যাওয়া আসলে একটা শিক্ষা। কিছু মানুষ চলে যেতে যেতে আমাদের শিখিয়ে দিয়ে যায় পরের বার আরও সাবধান হতে। খুব সহজে বিশ্বাস না করতে। আর, যারা কোনও পরিস্থিতিতেই আমাদের হাত ছাড়লো না, চলে গেল না, পরিত্যাগ করলো না; সেই মানুষগুলোকে আরও অ্যপ্রিশিয়েট করতে।


স্বপ্ন মানুষকে বাঁচতে শেখায়

Sunday, May 4, 2025

তুমি দেখা দাও। আমার চোখের তৃষ্ণা মেটাও।

 তোমাকে চেয়েছিলাম বর্ষাকালের বৃষ্টির মত; যে বৃষ্টি একবার আসলে আর যাওয়ার নাম নেয় না। তুমি এলে শীতের মৌসুমের বৃষ্টি হয়ে। এত অল্পতে কি আর আমার চোখের তৃষ্ণা মেটে?


"তোমারে দেখিবার অপেক্ষায় আমার চক্ষু মরুভূমি হইয়া গিয়াছে। ইহা কি তুমি জানো?" তুমি জানো না। তোমাকে এক নজর দেখার আকুলতায় আমার সমস্ত সুখ কারাগারে বন্দী হয়ে আছে।


তুমি দেখা দাও। আমার চোখের তৃষ্ণা মেটাও।




-তোমায় নিয়ম করে প্রতিদিন ভালোবাসি বলা হয়নি, কিন্তু প্রতিদিন খুব যত্ন করে ভালোবেসেছি তোমায়.!



Saturday, May 3, 2025

ভালোবাসার অভাবে মানুষ বদমেজাজি হয়ে যায়…


 ভালোবাসার অভাবে মানুষ বদমেজাজি হয়ে যায়…


কেউ জন্ম থেকেই রাগী হয় না, কেউ হঠাৎ করেই গুমরে ওঠা মানুষ হয়ে ওঠে না। অনেক হাসিখুশি মানুষও একসময় বদমেজাজি হয়ে পড়ে, অল্প কথায় রেগে যায়, কারও সঙ্গে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারে না। কিন্তু এর পেছনে কী থাকে জানো? অধিকাংশ সময়, উত্তরটা একটাই – ভালোবাসার অভাব।


ভালোবাসা শুধু রোমান্টিক কোনো সম্পর্ক নয়, বরং সেটা হতে পারে পরিবারের কাছ থেকে, কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে, এমনকি নিজের প্রতি নিজের ভালোবাসাও। যখন একজন মানুষ বারবার অবহেলার শিকার হয়, যখন তার অনুভূতিগুলো কেউ গুরুত্ব দেয় না, যখন সে বুঝে যায়, তার সুখ-দুঃখ কারও জন্যই তেমন কিছু নয়—তখন তার ভেতরে জমে ওঠে একধরনের কষ্ট, যেটা সময়ের সঙ্গে বদলে যায় রাগে, খিটখিটে আচরণে।


ভালোবাসাহীন এই মানুষগুলো চাইলেও হাসতে পারে না, সবকিছুতেই বিরক্তি আসে, সম্পর্কগুলোর ভার সইতে পারে না, কারণ তারা নিজেই অনেক ভেঙে পড়ে। তারা হয়তো কাউকে বোঝাতে পারে না, ঠিক কতটা একা তারা! ঠিক কতবার তারা অপেক্ষা করেছে—কারো একটা মেসেজের, কারো একটু কেয়ার করার, বা কেউ জিজ্ঞেস করুক “তুমি কেমন আছো?” – এই সহজ প্রশ্নটার।


ভালোবাসার অভাবে মানুষ শুধু বদমেজাজি হয় না, ধীরে ধীরে সে নিজের অস্তিত্বকেই তুচ্ছ মনে করতে শুরু করে। নিজের প্রতি ভালোবাসা হারায়, আত্মবিশ্বাস হারায়, আর হারিয়ে ফেলে জীবনের রঙ।


তাই কখনো কারও রাগ বা খিটখিটে স্বভাব দেখে হাসি পাস না, অথবা তাকে দূরে ঠেলে দিও না। হয়তো তার ভেতরটায় জমে আছে শত কথার না বলা কষ্ট, হয়তো সে একটুখানি ভালোবাসার জন্য মরিয়া হয়ে আছে।


ভালোবাসা শুধু উপহার বা কথায় প্রকাশ হয় না, কখনো একটা ফোন কল, কখনো একটু সময় দেওয়া, কখনো শুধু চুপচাপ পাশে থাকা—এই ছোট ছোট ভালোবাসার প্রকাশগুলো কাউকে নতুন করে বাঁচার সাহস দিতে পারে।


ভালোবাসা দিতে শিখো, বোঝার চেষ্টা করো, কারণ এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই চায় একটু গুরুত্ব, একটু যত্ন… আর সেটা যদি তুমি দিতে পারো, তাহলে হয়তো কারও বদমেজাজি হয়ে যাওয়া জীবনের গল্পটা একটু বদলে যাবে। 

এই আমার কথা কে শোনে, বলো? এত সময়, এত ধৈর্য আর কার আছে?

 

এই আমার কথা কে শোনে, বলো?

এত সময়, এত ধৈর্য আর কার আছে?


বুকের ভেতর কথা জমে জমে কষ্টের পাহাড়! এক জীবনে কত কথা এভাবে বুকে চেপে রাখা যায়? তুমিও কতদিন শুনো না কথা! কতদিন কিছু বলো না, পাশে বসো না।


এই আমার কেমন লাগে, তা বোঝাই কী করে? বলো তো...

জানি তুমিও বড্ড ক্লান্ত! মানুষ তো ক্লান্ত হলেই ভালোবাসা চায়। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মানুষ ছায়া চায়। অথচ তুমি? দুঃখ পেলেই কেমন ভুলে যাও, কেমন করে দূরে থাকো! এই আমায় তবে শুনবে কে? কে বলবে কথা, এই নিঃসঙ্গতা দূর করবে কে?


সুনসান নীরবতায় আমি যে হাঁপিয়ে উঠি!

ঘুমালে নাকি শান্তি মিলে। কই? আমার তো ঘুম হয় না। দুচোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, ঝাপসা দেখি সব! ভালোবেসে আমিও যে ভালো নেই!


কত কথা জমে বারান্দার গ্রিল জুড়ে বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে ঝরে পড়তে দেখি অবলীলায়! তুমি দেখো না? নিঃসঙ্গ নীহারিকার মতো, নক্ষত্রের মতো খসে পড়ি! কই? কখনো তো শোকে পাথর হলে না?


পৃথিবী দুঃখ দেয়, এখন তুমিও...

ভেবেছিলাম ভালোবেসে মানুষ সুখী হয়। অথচ তুমিও ব্যতিক্রম নও...


কত কথা জমে বুকের ভেতর কষ্টের পাহাড়।

শুধু শুনো না বলেই বুকটা এমন ভার! শুধু দূরে থাকো বলেই নিঃসঙ্গতা আর একাকিত্ব আমার বুকের আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে!

Friday, May 2, 2025

তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শত বার,


 তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি

শত রূপে শত বার,

জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।

চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়

গাঁথিয়াছে গীতহার-

কত রূপ ধ'রে পরেছ গলায়,

নিয়েছ সে উপহার

জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।


যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,

প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,

অতিপুরাতন বিরহমিলন-কথা,

অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে

দেখা দেয় অবশেষে

কালের তিমির রজনী ভেদিয়া

তোমারি মুরতি এসে

চিরস্মৃতিময়ী ধ্রবতারকার বেশে।


আমরা দু’জনে ভাসিয়া এসেছি

যুগল প্রেমের স্রোতে

অনাদিকালের হৃদয় উৎস হতে।

আমরা দু’জনে করিয়া খেলা

কোটি প্রেমিকের মাঝে

বিরহবিধূর নয়নসলিলে

মিলনমধুর লাজে।

পুরাতন প্রেম নিত্যনতুন সাজে।


আজি সেই চিরদিবসের প্রেম

অবসান লভিয়াছে

রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।

নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ,

নিখিলপ্রানের প্রীতি

একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে-

সকল প্রেমের স্মৃতি,

সকল কালের সকল কবির গীতি।


অনন্ত প্রেম 

_রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

Tuesday, April 29, 2025

"ফিরে আসা | পুরনো প্রেমের নতুন গল্প"




উদ্ধৃতি:

"যারা সত্যি ভালোবাসে, তারা ফিরে আসে—হয় বাস্তবে, নয়তো স্মৃতিতে।"

ফিরে আসা

"তুমি কি কখনো ফিরে আসবে?" এই প্রশ্নটা তৃষার মনে আজ আট বছর ধরে গুমরে উঠছে। সৌরভ হঠাৎ একদিন চলে গিয়েছিল। না, কোনো অভিমান ছিল না, কোনো ঝগড়াও না—শুধু বলেছিল, "সময় আসুক, আমি ফিরবো।" আর অপেক্ষা শুরু হয়েছিল তৃষার।

প্রতিদিন একই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা, পুরনো ছবি দেখা, সেই মেসেজ থ্রেড খুলে তাকিয়ে থাকা—সবকিছুই ছিল সৌরভের 'ফিরে আসা'র অপেক্ষা।

তৃষা চাকরি পেয়েছে, পরিবারও চেয়েছিল নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে। কিন্তু কোনো সম্পর্কই সে টিকতে দেয়নি। কারণ? তার মন বলত, "সৌরভ ফিরবে।"

এবং একদিন... একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এল। সাহস করে ধরল—কোনো শব্দ নেই প্রথমে। তারপর খুব চেনা এক কণ্ঠ বলল, "তৃষা... আমি ফিরেছি। এখন কি দেরি হয়ে গেছে?"

তৃষার চোখ ভিজে গেল। সে কিছু বলল না। শুধু ফিসফিস করে বলল, "তুই আসবি বলেই তো আমি থেকেছি।"


#ফিরেআসা #ভালোবাসারগল্প #হারানোপ্রেম #বাংলারোমান্টিকগল্প



আপনার গল্প?

আপনার জীবনে এমন কেউ ছিল যে কথা দিয়ে চলে গিয়েছিল? সে কি ফিরে এসেছিল? নিচে কমেন্ট করে শেয়ার করুন।

Monday, April 21, 2025

শেষ ট্রেন (সম্পূর্ণ গল্প)

 

শেষ ট্রেন (সম্পূর্ণ গল্প)

রাত তখন দশটা বাজে। ঢাকার গুলিস্তানের এক কোণে বসে আছে রিয়াজ। তার সামনে এক কাপ ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া চা, আর পকেটে শেষ সম্বল—একটা মোচড় খাওয়া ৫০ টাকার নোট।

https://pawgleamed.com/i1sname7p?key=5083636343b9a544a789f490c4e0291b আজ সকালেই সে এসেছিল নারায়ণগঞ্জ থেকে, একটা ছোট চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। কলেজ শেষ করে গত এক বছর ধরে বিভিন্ন চাকরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থতা।
আজকের ইন্টারভিউটাও সেই তালিকায় আরেকটা নাম যোগ করল। “তোমার সিভি ভালো, কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞ লোক দরকার”—এই এক কথায় বিদায়।

শহরের কোলাহল কমে এসেছে, দোকানপাট বন্ধ হতে শুরু করেছে। ট্রেন ছাড়া তার ফিরে যাওয়ার উপায় নেই, তাই হেঁটেই রওনা দিল কমলাপুর স্টেশনের দিকে। পথে যেতে যেতে চোখে জল আসে না, কিন্তু ভিতরটা যেন ভার হয়ে আছে।

স্টেশনে পৌঁছতেই দেখে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা বসে আছে। দূরে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে এক বৃদ্ধ, গায়ে সাদা-ময়লা পাঞ্জাবি, হাতে একটা ছড়ি। মুখে একটা মায়াবী হাসি। রিয়াজ পাশে গিয়ে বসে। বৃদ্ধ নিজেই কথা শুরু করেন:

— "এই সময়ে এখানে বসে আছো, কোথায় যাবে বাবা?"
— "নারায়ণগঞ্জ। ট্রেন ধরতে এসেছি।"
— "মনটা কি খুব খারাপ?"
— "হ্যাঁ, চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসে ব্যর্থ হলাম। এমন মনে হচ্ছে, জীবনটাই ভুল পথে হাঁটছে।"

বৃদ্ধ ধীরে ধীরে মাথা নাড়লেন। তারপর বললেন,

— "জীবনে যত বড় মানুষ দেখেছো, তাদের সবাই একদিন না একদিন এমন রাস্তা দিয়ে হেঁটেছে। আমি এক সময় এই স্টেশনেই বাদাম বিক্রি করতাম। কারো কাছে ভিক্ষাও চেয়েছি।"

রিয়াজ একটু চমকে উঠল, অবিশ্বাসের চোখে বৃদ্ধের দিকে তাকাল।

— "হ্যাঁ বাবা। বাবাকে ছোটবেলায় হারিয়েছি, পড়াশোনা করতে পারিনি। হাতে একটা পুরানো ঠেলা গাড়ি নিয়ে বাদাম বিক্রি করতাম। প্রথম প্রথম দিনে ১০-১৫ টাকাও উঠত না। কিন্তু একদিন এক লোক এসে বলল, 'তুই যদি চেষ্টা করিস, আমি তোকে ৫০০০ টাকা ঋণ দিতে পারি, সুদ ছাড়াই।' আমি রাজি হলাম। ছোট একটা চায়ের দোকান দিলাম। তারপর সেই দোকান বড় হলো। এখন আমার নারায়ণগঞ্জে ফার্নিচারের দোকান আছে, পঁচিশটা ছেলে আমার অধীনে কাজ করে।"

রিয়াজ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। এরপর বলল,
— "কিন্তু কিভাবে এতটা সাহস পেলেন? আমি তো বারবার হেরে যাচ্ছি।"

বৃদ্ধ তখন একটা কথা বললেন, যেটা রিয়াজের মাথায় গেঁথে গেল:

— "যে মানুষ হারে, সে মানুষ নয়—সে জিততে শেখে। হারা মানে শেষ নয়। অনেক সময় জীবন আমাদের একটু থামিয়ে দেয়, যাতে আমরা দৌড় শুরু করার আগে ঠিক পথে দাঁড়াই।"

ঠিক তখনই ঘোষণা হলো: নারায়ণগঞ্জগামী শেষ ট্রেন আসছে। রিয়াজ উঠে দাঁড়াল। বৃদ্ধ তার দিকে তাকিয়ে বললেন:

— "এই শেষ ট্রেনটা হয়তো তোর জন্য শেষ সুযোগ না—বরং নতুন শুরুর যাত্রা। মনে রাখিস, কিছু মানুষ জীবনে একটাই ট্রেন মিস করে আর ফিরতে পারে না, কিন্তু কিছু মানুষ ঠিক শেষ ট্রেনেই জীবনের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যায়। তুই কোনটা হতে চাস?"

রিয়াজ চুপচাপ ট্রেনে উঠল। জানালার পাশে বসে বাইরে তাকিয়ে দেখল—বৃদ্ধ হাত নাড়ছেন। তার ঠোঁটে হাসি, চোখে আশীর্বাদ।

রিয়াজ জানত না ভবিষ্যতে কী হবে, কিন্তু একটা ব্যাপার নিশ্চিত—সে হাল ছাড়বে না। আজ থেকে শুরু হবে তার নতুন পথচলা। শেষ ট্রেনটা তার জীবনের শুরুর সিঁড়ি হয়ে উঠবে।


শেষ কথা:

জীবন কখনো কখনো আমাদের ভেঙে দেয়, শুধু এটা দেখার জন্য—আমরা কীভাবে নিজের টুকরোগুলো জোড়া লাগিয়ে আবার দাঁড়াতে পারি। সবশেষ ট্রেন বন্ধ করে না—কখনো কখনো সেটাই খোলে সব নতুন দরজা।

https://pawgleamed.com/i1sname7p?key=5083636343b9a544a789f490c4e0291b

Thursday, April 10, 2025

For HUAWEI Watch Pro GPS NFC Smart Watch Men 360*360 AMOLED Screen Heart rate Bluetooth Call IP68 Waterproof Man Smartwatch 2025

 Specifications

Hign-concerned Chemical
None
Battery Life
3Day
Voice assistant built-in
YES
Bluetooth-compatible Version
5.3
Metrics measured
Heart Rate Monitor,other,Blood Oxygen Monitor,Sleep Monitor,Blood Pressure Monitor,Stress Monitor
Activity Tracked
other,Steps Tracker,Distance Tracker,Calorie Tracker,Activity Tracker
Touch Screen
YES
Category
Smart Watches
Screen Material
AMOLED
Band Detachable
Yes
APP Download Available
Yes
Battery Detachable
Yes
Resolution
360*360
Display Size
1.53 INCH
Movement Type
Electronic
Style
SPORT
Application Age Group
ADULT
Screen Shape
Round
Case Material
Alloy
Band Material
Alloy
Waterproof Grade
Life Waterproof
SIM Card Available
No
Mechanism
Yes
Multiple Dials
Yes
GPS
Yes
Network Mode
None
Battery Capacity
300-450mah
Rear Camera
None
RAM
<128MB
ROM
<128MB
System
Android Wear,Proprietary OS,Android OS,IOS,None,Wear OS,Color OS,HarmonyOS,FreeRTOS,Wacth OS,Zepp OS,DuWear,Tizen OS
Type
On Wrist
Compatibility
All Compatible
Language
English,Russian,Spanish,Portuguese,Turkish,Italian,FRENCH,german,KOREAN,japanese,HEBREW,Arabic
Function
Passometer,fitness tracker,sleep tracker,Mood Tracker,Message Reminder,Call Reminder,Answer Call,Dial Call,REMOTE CONTROL,Push Message,Altitude Meter,tourbillon,Big Three Needles,24 hour instruction,Chronograph,Alarm Clock,Small Second,World Time,Permanent Calendar,GMT Two Places,Heart Rate Tracker,Interactive Music,compass,Countdown,Calculators,Oxymeter
Brand Name
ChiBear
Origin
Mainland China
Certification
CE,RoHS
IP68 Waterproof
nfc
2024NEW
GPS
Watch4 Pro
Watch4
Description
Report Item
Packing list
➤Smart watch*1
➤USB Wireless Charging Cable*1
➤User Manual*1
➤Original retail box*
Smartwatch menu language
➤➤English, Chinese, Traditional Chinese, Danish, Greek, Latin, Romanian, Turkish, Hebrew, Czech, Polish, Spanish, German, Russian, Portuguese, French, Japanese, Italian, Vietnamese, Korean, Indonesian
Watch Main Functions
Breathing training, Dial push, Stopwatch, Brightness adjustment, Multiple sports modes, Sleep tracking, Heart rate monitoring, Apps notifications, Remote music control, Remote camera control, Weather, Find my phone (requires connection with phone), Bluetooth calling, Bluetooth music, Password protection, Calculator, Split-screen display, Quick widgets, Meteorology, Massage function, Alipay, My QR code, Compass, Qibla Finder, Recent task bar, 156 sports algorithms, Blood oxygen saturation monitoring.
➤1.6 inch HD Screen resolution 454*454;
➤Battery capacity: 360mAh;
➤The standby time is about 30 days, and the working time is about 3-5 days;
➤Main Chip: RTL8762D
➤Health Monitor: Heart Rate,Blood pressure,oxygen,ECG
➤Waterproof: IP68;
➤Bluetooth version: 5.0
➤ Compatible mobile phones: Android 5.0 and above, IOS 9.0 and above.
May be an image of ‎digital watch and ‎text that says '‎HD big screen Always show wonderful emalreneteoeo seamless, everytaut.moctt everytouch, wtbbomheeteteotan smoothtrave smooth your aestheticsan bring eticsa differentvisualexperience. شحمة ማባር Color Accu ΔΕC2 Accurate Color: TFT Ultra-Wide Viewing Angle Ultra-wide Ultra- Ultra-wideviewingangle wide viewing angle 99. 5% Adobe RGB Ultra- Utra-wideColorGamut: Ultra-wide wide Color Gamut: 99.596AdobeRGB‎'‎‎



Friday, April 4, 2025

এই পৃথিবীতে যদি সত্যিকারের "বেস্ট ফ্রেন্ড" বলে কেউ থেকে থাকে, সেটা তুমি নিজেই।


 এই পৃথিবীতে যদি সত্যিকারের "বেস্ট ফ্রেন্ড" বলে কেউ থেকে থাকে, সেটা তুমি নিজেই। কারণ দিন শেষে সবাই ব্যস্ত নিজের জীবনে, কিন্তু তুমি—তুমি কখনও নিজেকে ছেড়ে যাবে না।


তুমি জানো তোমার সব গল্প, তোমার সব দুঃখ, তোমার লুকানো কান্না, তোমার না বলা কষ্টগুলো। যখন কেউ পাশে থাকে না, তখনও তোমার মন তোমার সঙ্গ দেয়।


এই পৃথিবীতে যদি কেউ থেকে থাকে যে শেষ অব্দি তোমার সাথে থাকবে, সেটা একমাত্র তুমি!

তোমার সাফল্য, তোমার ব্যর্থতা, তোমার হাসি-কান্না সব কিছুর সাক্ষী তুমি নিজেই।


তাই নিজেকে ভালোবাসো, নিজের পাশে থাকো। কারণ তুমি ছাড়া কেউ তোমার জীবনটাকে তোমার মতো করে অনুভব করতে পারবে না।


নিজেকে সময় দাও, নিজেকে গুরুত্ব দাও। কারণ "তুমি"—তুমিই তোমার সবচেয়ে বড় শক্তি! 

 #motivationalquotes #motivation #motivational

Monday, February 24, 2025

প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোনো না কোনো অভাব থাকে।

 প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোনো না কোনো অভাব থাকে। এটা সত্যি যে আমি তোমার অভাবে মরিয়া। আমার অভাব জুড়ে কেবলই তুমি। তুমিহীনা এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার জটিল কোনো অভাব নেই | 


তোমার এই একটা অভাবের কারণে সকল পূণ্যতা থাকার পরেও আমি বারোমাস অভাবী হয়ে থাকি।

তার মানে এই নয় যে কেউ আমাকে নিতে চায় না। কেউ আমাকে নেয় না বিধায় আমি বার বার তোমার কাছে ফিরে যাই |


আমাকেও নিতে চায় কেউ না কেউ। মূলত তোমাকে ছাড়া কারো কাছে আমার এক রত্তি ও ভালো লাগে না। শান্তি লাগে না। তুমি ছাড়া অন্য কোথাও আশ্রয়ের দুঃসাহস করি না। তাই আমি বার বার তোমার কাছেই যাই |


তুমি আমাাকে নির্বোধ আর উন্মাদ ভাবতেই পারো। কেননা তোমার অভাবে আমি মোমের মতো জ্বলছি।তোমার এমন ভাবনায় আমার দুঃখ হবে না কস্মিনকালেও। আমার দুঃখ কেবল একটা-ই তুমি না থাকা |


আমার অভাব কেবল একটা তুমি না থাকা। এমন অভাব আমাকে নিদারুণ যন্ত্রণা দেয়! মাঝে মাঝে বিভৎস করে তোলে। তুমি বোধহয় জানো না মানুষ মানুষের অভাবে মা|রা যায়। মানুষ মানুষের অভাবে  মা|রা যায়

Wednesday, February 19, 2025

ছুঁয়ে দেখার সাধ্য নেই, তবু অনুভবে বুনে রাখি


 ছুঁয়ে দেখার সাধ্য নেই, তবু অনুভবে বুনে রাখি,

দূরত্ব যতই হোক আমি তাকে ভীষন ভালোবাসি তাকে.....!!


যেমন করে চাঁদ ছুঁতে পারে না কেউ,

তবু রাতভর তার আলোয় বিভোর হয়ে থাকে,

তেমনি আমিও তোমার ছোঁয়া না পেয়ে,

তোমার অস্তিত্বে বাঁচি প্রতিটা নিঃশ্বাসে।


শুধু দূর থেকে দেখি তোমার হাসির ঝিলিক,

তাতে কি আমার ভালোবাসা কমে যায়?

তোমার ছায়ায় বাঁধা আমার একলা রাত,

স্বপ্নের গভীরে তুমিই যে আমার ঠিকানা।


কখনো যদি ভেবো, ভালোবাসা স্পর্শ চায়,

তবে শুনে রেখো—

বাতাসের ছোঁয়া কি চোখে দেখা যায়?

তবু কি তার অস্তিত্বে শরীর জুড়িয়ে যায় না?


তুমিও আছো ঠিক তেমনি,

অদৃশ্য এক আবেগের সুতোয় বাঁধা,

যে বাঁধন ছিঁড়তে পারবে না দূরত্বের দেওয়াল,

আমি তোমায় ভালোবাসি, ছুঁতে না পারলেও...


          "অস্পর্শ ভালোবাসা"

                   লেখা_ছাব্বির

শুনেছিলাম নারীর জন্ম হয় পুরুষের বাম পাঁজরের হাড়ের অংশ থেকে


 শুনেছিলাম নারীর জন্ম হয় পুরুষের বাম পাঁজরের হাড়ের অংশ থেকে, তাই চেয়েছিলাম তুমি যেনো হও আমার পাঁজরের হাড়। পৃথিবী সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ তায়ালা মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে রেখেছেন, আমি চেয়েছিলাম তুমি যেনো থাকো আমার সেই পূর্ব নির্ধারিত ভাগ্যে। মানুষ অতীত জানে আর বর্তমান বুঝে কিন্তু সব মানুষের ভবিষ্যৎ অজানা; আমি তোমাকে চেয়েছিলাম আমার সেই অজানা ভবিষ্যতে। আপন মানুষ নাকি থাকে মানুষের হাতের রেখায়, আমি যত্ন করে চেয়েছিলাম আমার হাতের কোন একটা রেখায় যেন তুমি থাকো।


তুমিও চাইলে হইতো,


আমাদের ছোট্ট একটা সংসার হতো, পুরনো সম্পর্কে প্রতিদিন নতুন করে প্রেম হতো, আমাদের একটা থাকার ঘর হতো। জানালায় উঁকি মেরে চাঁদ দেখা হতো, ভোরের হাওয়া শিশিরে ভেজা ঘাসের উপর একসাথে হাটা হতো, গোধুলির বিকালে তোমার চুলে বিনুনি বাঁধা হতো। মাঝেমধ্যে এক জোড়া গোলাপ হতো, একটা বই দুজনের পড়া হতো। একসাথে আমাদের হাসাহাসি হতো, একসাথে কাঁদা হতো; আমাদের রাগ হতো, অভিমান হতো। আমাদের ভালোবাসা হতো, একসাথে আমাদের বয়স ফুরাইতো।


কিন্তু তুমিই চাইলেনা!


তবুও তুমি আমার শ্রেষ্ঠ নারী।


তুমি চাওনি বলে পুরো পৃথিবী তোমাকে ভিন্ন চোখে দেখলেও আমি তোমায় দেখি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়া মহারাণী হিসেবে। পৃথিবীটা তোমায় ভুল ভাবলেও আমি তোমায় ভাবি সবচেয়ে সুন্দর সঠিক মানুষের রূপে। গোটা পৃথিবীর লোকেরা তোমায় ঘৃণা করলেও, আমি তোমায় ভালোবাসি পৃথিবীকেই ঘিরে থাকা সমস্ত ভালোবাসার ভালোবাসার সমান। পুরোটা পৃথিবীতে জুড়ে থাকা ভয় যদিও চেপে ধরে তোমায়, তবুও তুমি আমার কাছে সাহসী নারী। পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তোমায় ছোট করে দেখলেও, তুমি আমার বিশাল সমুদ্র। তোমাকে ঘিরে সমস্ত বস্তু তোমায় কখনো দেখতে অপছন্দ করকেও, তুমি আমার উজ্জল নক্ষত্র। আমাকে চাওনি বলে তোমাকে কেউ দূর্বল হৃদয়ী ভাবলেও, তুমি আমার কাছে পাহাড়ের মতো অটল। তুমি ফুল ছিলেনা আমার, কিন্তু তুমি ছিলে মহাবিশ্বের সবচেয়ে সুরভী; তুমি চাঁদ ছিলেনা, তবুও তোমার বিষ্মিত একা হাসির দৃশ্য ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জোসনাময় রূপালী সুখ।


তুমি আমার সর্বকালের সেরা সুন্দরী, তুমি মহাবিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মায়াবতী। তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে কোমল, তুমি হৃদয়স্পর্শী মমতাময়ী, তুমি শতাব্দীর পুরনো আদুরিনী। তুমি ইতিহাসের সবচেয়ে রূপবতী, তুমি যুগের বিজয়ী মহীয়সী। তুমি গুণবতী, তুমি ভাগ্যবতী।


তবুও আমি তোমায় ভালোবেসেছি কোন কারণ ছাড়া, কারণ তুমি নিজেই এক টুকরো ভালোবাসা।


কিন্তু তোমাকে পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।

তোমার মাথায় বড্ড স্নেহে রাখা তোমার বাবার হাতের কাছে বরাবরই তুচ্ছ আমার ভালোবাসা। দারুণ অসহায় ভঙ্গি নিয়ে তোমার হাত চেপে ধরা মায়ের চেয়ে সস্তা আমার ভালোবাসা। “আমরা তোর ভালো চাই” কথাটার কাছে সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে আমার ভালোবাসা। “এবার আমাদের সম্মানের দিকে তাকা” এই কথার মর্মের চেয়ে হালকা আমার ভালোবাসা। এসব বলতে গিয়ে তোমার বাবার কন্ঠস্বর ভারী হয়ে আসা, তোমার মায়ের চোখ ভিজে ওঠার অনুভূতির কাছে একদম সামান্য অনুভূতি আমার ভালোবাসা। ভাই বোনের কটুকথা আর প্রতিবেশী লোকের বাহবার চেয়ে অসুন্দর আমার ভালোবাসা। তারপর তোমার নেওয়া কঠিন সিদ্ধান্তের চেয়ে দূর্বল আমার ভালোবাসা। এভাবে তুমি পুরোপুরি ভাবেই হারিয়ে গেলে; তুমি আর রইলেনা দৃশ্যতে, তুমি রইলেনা আকাশে কিংবা বাতাসে, তুমি আর রইলেনা কোথাও। আর আমিও হারিয়ে ফেললাম এমন একজনকে, যাকে ভালোবাসা বাকি আরো খুব।


তুমি এখানেও বাবার শ্রেষ্ঠ কন্যা, মায়ের দায়িত্বশীল মেয়ে, তুমি বড় বোনের গর্ব, ছোট ভাই বোনের অনুপ্রেরণা। তুমি প্রতিবেশীদের অহংকার। তুমি সবকিছুতে বিজয়ী, তুমি শ্রেষ্ঠ, তুমি মহারানী। তুমি এক মহাপুরুষের অর্ধাঙ্গিনী, তুমি ভবিষ্যৎ সন্তানের মমতাময়ী মা। তুমি শাশুড়ীর আঁচলের প্রিয় বউ, তুমি ননদের পছন্দের সেরা ভাবি, তুমি ঘরের রাণী, তুমি দায়দায়িত্বশীল নারী।


নারী ৪ ভাবে সোহাগিনী হয়, তুমি সেই ৪ ভাবে সোহাগিনী।


-তুমি বাবার কন্যা হিসেবে সোহাগিনী 

-ভাইয়ের বোন হিসাবে সোহাগিনী 

-স্বামীর স্ত্রী হিসাবে সোহাগিনী 

-তুমি হবে ভবিষ্যৎ সন্তানের মা হিসেবে সোহাগিনী


তারপর নিয়ম করে সমুদ্রে ডেউ বয়ে চলবে, হিমালয়ে বরফ গলবে, সময় মতো চাঁদ উঠবে, সূর্য অস্ত যাবে। দলবেঁধে জোনাকিরা আলো ছড়াবে, মহাকাশে রকেটগুলো সময় মতো ছুটবে। পৃথিবীর সবকিছু নিয়ম অনুপাতে হবে। দিন যাবে, সপ্তাহ আসবে, মাস গুনতে গুনতে বছর ফুরাবে; যুগের পর যুগ চলে যাবে। কিন্তু আমাদের আর দেখা হবেনা, আমাদের আর কথা হবেনা। নিয়ম ভেঙে তুমি আমার হলেইনা।


যে নিয়ম মেনে চলে গেলে, সে নিয়মে ষোলআনা সুখ হবে, হাসিখুশি জীবন হবে। হৃদয় স্পর্শী আনন্দ হবে, কখনো গান, কখনো কবিতা, মাঝেমধ্যে গোলাপ আবার উপন্যাস; সবই তোমার হবে। দামী উপহার, সুস্ক চুমু, তুমুল সুখময় যৌনতা মাখামাখি রাত। থিয়েটার, শপিংমল, পাহাড় সমুদ্র। তোমার সবই হবে, এমনকি তোমার ভালোবাসাও হবে, তুমি মমতা নিয়ে আবার ভালোবাসবে। এভাবে তোমার জীবনের কোথাও এবার আমিও রইলাম না, মনে মস্তিষ্কে রইলাম না, না পাওয়ার দুঃখতেও না; কারণ আমার না হওয়াতে দুঃখ তোমায় কোনদিন স্পর্শও করবেনা।


তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে রূপবতী, তুমি সর্বকালের সেরা সুন্দরী; তুমি স্বর্গীয় সুরের কন্ঠ স্বৈরী। তুমি আমার দেখা শ্রেষ্ঠ নারী। তুমি সুখেরই প্রাপ্য।


আমি তোমাকে কোন কারণ ছাড়া ভালোবাসার মতো, কোন ছাড়াই সারাজীবন মনে রাখবো। হাওয়াতে তোমার নাম উচ্চারণ করবো, গাছে খোদাই করে লিখবো, নিঃশব্দে তোমার নাম জোপবো। 


তুমি আমায় চাইলেনা, আর মনেও রাখলেনা, 

মনে রাখার বাধ্যবাধকতা নেই।


কিন্তু আমি তোমায় মনে রাখবো, কারণ অল্প সময়ের জন্য হলেও আমি তোমার মনে ছিলাম। আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করাকালীন তোমার মনে আমাকেই মনে রেখেছো। কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য হলেও তোমার কথা মনে রাখা আমার উচিৎ।


তুমি সত্যি শ্রেষ্ঠ!

Saturday, February 8, 2025

পুরুষ মানুষ সহজে কাঁদে না... কারণ পুরুষের চোখে জল মানায় না.


 "পুরুষ মানুষ সহজে কাঁদে না... কারণ পুরুষের চোখে জল মানায় না... জন্মের পর তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় যতো কষ্টই হোক তোমার চোখে জল আনা যাবে না !!

.

নারীরা হুটহাট কেঁদে উঠতে পারে... নারীরা রাগে কাঁদে, অভিমানে কাঁদে, কষ্টেও কাঁদে... কিন্তু পুরুষ কখনো অভিমান কিংবা রাগে কাঁদে না... নারীর চোখের জলে ছলনা থাকলেও পুরুষের চোখের জলে কোনো ছলনা নেই !!

.

তবুও যদি কোনো পুরুষ কাঁদে তবে বুঝতে হবে সে বড় কষ্টটাই পেয়েছে এবং সে আসলেই কাঁদতেছে... পুরুষ কান্নার অভিনয় করতে পারে না... পুরুষের কান্নার দৃশ্য ভয়াবহ... পুরুষের কান্নার কারণ তীব্রতর হয় !!

.

তবুও পুরুষেরা কাঁদে... পুরুষ কাঁদে চারদেয়ালের আড়ালে... পুরুষ কাঁদে বারবার ইন্টার্ভিউ বোর্ডে ব্যর্থ হয়ে সার্টিফিকেটের দিকে তাকিয়ে... পুরুষেরা কাঁদে সংসারের চাহিদা না মেটাতে পেরে... পুরুষেরা কাঁদে বাবা-মায়ের চাহিদা পূরণ করতে না পেরে... পুরুষেরা কাঁদে প্রেমিকা হারালে !!

.

পুরুষ মানুষ নিজের জন্য যতটা না কেঁদেছে তার চেয়েও বেশি কেঁদেছে অন্য কারোর মন রক্ষার জন্য... পরিবার, বাবা মা, ছেলেমেয়ে কিংবা প্রেমিকার আবদার পূরণ করার জন্যও পুরুষের চোখের জল মাটিতে ফেলতে হয় যা অনেক প্রেমিকাই জানেনা !!

.

ইতিহাস বলে যে নারী ইচ্ছাকৃতভাবে পুরুষের চোখের জলের কারণ হয়েছে সেই নারী জীবনে খুব একটা সুখী হতে পারেনি... এটা নয় কোনো পুরুষের অভিসাপ, এটা পুরুষের চোখের জলের কারণ আর দীর্ঘশ্বাস !!

.

নারীরা বেঁচে থাকে বাবা কিংবা স্বামীর উপর ভরসা করে... আর সেই নারীর জন্যই যদি কোনো পুরুষের কাঁদতে হয় তাহলে সেটা সেই নারীর জন্যই অমঙ্গল... পুরুষের চোখের জল বিফলে যায় না, প্রকৃতিই তার প্রতিদান দেয় !!

.

তবুও পুরুষেরা বীর... দিনশেষে একটা পরিবার, বাবা মা কিংবা একটা নারীর বেঁচে থাকার শক্তি... পুরুষকে কাঁদিয়ে যে নারী জীবনে বড় হতে চেয়েছে তার সারাজীবন ভাঙতে ভাঙতে গেছে... কারণ একটা

 নারীর জীবনে স্রষ্টার পরেই একজন পুরুষের স্থান !!"

আফসোস


 সবশেষে আফসোস এতটুকুই, 

তুমি কখনো জানতেই পারলে না,

তোমাকে পাওয়ার কতটা তীব্র ইচ্ছে নিয়ে

, তোমার থেকে দূরে সরে আসলাম,,,,,!!

Thursday, February 6, 2025

মানুষের সঙ্গে শুধু সীমিত সম্পর্ক রাখাই ভালো।


 মানুষের সঙ্গে শুধু সীমিত সম্পর্ক রাখাই ভালো। কারণ মানুষ যতটা ভালোবাসা দেখায়, বাস্তবে ততটা নয়। প্রয়োজন হলে আপনাকে ভগবান বানিয়ে পূজা করবে, আর প্রয়োজন ফুরালে শত্রু বানিয়ে বদনাম করবে।  


মানুষ চেনা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ। তাই, অতিরিক্ত ভালোবাসা বা ফাস্ট প্রায়োরিটি দেওয়া বোকামি। এতে মানুষ আপনার মাথায় উঠে নাচবে, তারপর ক্ষতি করবে। কারও বিপদে পাশে দাঁড়ানো, অতিরিক্ত স্নেহ করা বা সাহায্য করা যতটা ভালো মনে হয়, দিনশেষে নিজের আত্মসম্মান কমে যায়।  


মানুষ নয়, নিজের স্বপ্ন আর আত্মসম্মানকে প্রাধান্য দিন। স্বপ্ন বাঁচার শক্তি দেয়, আর ভেঙে গেলে মানুষ শেষ হয়ে যায়। তাই, মানুষ নয়, নিজের উপর ভরসা রাখুন।


ভালোবাসা তোমার চাইতে দামী নয়।


 ভালোবাসা তোমার চাইতে দামী নয়। 

আমি তো ভালোবাসা চাইনি, তোমায় চেয়েছি। ভালোবাসা চাইলে সে আমি যে কারো ভালোবাসা পেতে পারি। কিন্তু তোমায় চাইলে কেন তোমায় পাইনা? পৃথিবীতে এত মানুষের ভীড়ে অনুভূতি কেন শুধু তোমার পিছু নেয়? তোমায় পাবে না জেনেও হৃদয় কেন এত উতলা হয়? না পাওয়া জিনিসের প্রতি মানুষের এমন তীব্র আকাঙ্খা মানুষকে যে নিঃস্ব করে ছাড়ে–শুধু নিঃস্ব করে ছাড়ে!


জীবনের কঠিন সময়গুলোতে নিজেকে গোপন


 জীবনের কঠিন সময়গুলোতে নিজেকে গোপন রাখাই ভালো। নিজের দুঃখ কষ্ট কাউকে না দেখানোই উত্তম।


জীবনে যদি কখনও খুব খারাপ সময় আসে, তাহলে নিজের দুঃখ কষ্টগুলো নিজের মাঝে এমন ভাবে আড়াল করে রেখো যেনো তোমার গা ঘেঁষে বসে থাকা মানুষটিও টের না পায় গোপনে তুমি ভেঙে গেছো খুব।


পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে মনের বন। আকস্মিক ঝড়ে, ঝরে গেছে জীবন বৃক্ষের সব কয়টি সবুজ পাতা। শক্ত হও। নিজেকে নিজেকে বুঝাও যে এত সামান্য বাতাসে ঝরে যেতে নেই, ভেঙে যেতে নেই অমন হাল্কা আঘাতে।


কান্না পেলে একা একা গোপনে কাঁদো, তবুও নিজের দুঃখের ক্ষতগুলো কাউকে দেখাতে যাবে না। মনে রেখো, যে নিজের জন্য আলো হতে পারে না, পৃথিবীর সমস্ত আলো মিলেও তাকে পথ দেখাতে পারে না।


জানোই তো মানুষ বড় নিষ্ঠুর ও নির্দ্বয়। ভেঙে যাওয়া মৌচাক দেখলে ঢিল মেরে আরও বেশী ভেঙে দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ পায়।


লেখা: সংগৃহীত

Tuesday, February 4, 2025

একটা মানুষকে নিয়ে কতটা ভাবলে, সেই মানুষটা স্বপ্নে আসে—


 একটা মানুষকে নিয়ে কতটা ভাবলে,

সেই মানুষটা স্বপ্নে আসে—

এ যেন এক অন্তর্লীন ডাক,

মনের অলিগলিতে যে স্পন্দনের প্রতিধ্বনি শোনা যায়।

প্রেম কি তবে এমনই?

অচেনা এক বাঁধনে জড়ায়,

যেখানে বাস্তবতা মিশে যায় কল্পনার গভীর আঁধারে।


রাতের নিস্তব্ধতায়,

মনের প্রতিটি কোণে তার ছায়া খেলা করে।

চোখ বুজলেই যেন তার মুখখানি—

অবাক করে,

মনে হয়, বাস্তব কি তবে এই?

নাকি শুধু এক ভাবনার রূপকথা?


আসলে, স্বপ্নে আসার জন্য বাস্তবের প্রয়োজন নেই,

প্রয়োজন শুধু হৃদয়ের গভীর আকাঙ্ক্ষা।

এমন আকাঙ্ক্ষা, যা সময়কে ছুঁয়ে যায়,

ফাঁকা আকাশে এক অদৃশ্য নক্ষত্রের মতো জ্বলতে থাকে।

ঘৃণা করতেই হবে এমন কোন কথা নেই।

 

ঘৃণা করতেই হবে এমন কোন কথা নেই। তবে মাঝেমাঝে মানুষ মন থেকে উঠে যায়, সে যেই হোক বন্ধু কিংবা কাছের মানুষ অথবা আত্মীয়-স্বজন। আগের মতো তাদের প্রতি আর আগ্রহ থাকে না। তাদের জন্য আর কোনো মায়া লাগে না আর মন কেমন করে না,চোখের কোনে জল ও আসে না। চোখের সামনে ছারখার হতে দেখলেও বলতে ইচ্ছে করে না.....যে তোমার কি খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে? বলতে ইচ্ছে করে না তুমি এটা কোরোনা ওটা কোরোনা তোমার জন্য এটা ঠিক নয় ...... কিচ্ছু না। 

  

   ঘৃণা তো কেবল মনের কোণে জমা থাকা ভালোবাসার এক বিপরীত প্রতিক্রিয়া মাত্র।


   আর আগ্রহ হারানো হল বহু চেষ্টার পর ও ব্যার্থতা স্বীকার করা। আগ্রহ হারালে না থাকে কিছু পাওয়ার ইচ্ছে আর না থাকে কিছু হারানোর ভয়। না থাকে ঘৃণা না থাকে সহানুভূতি,আগ্রহ যেমন মানুষকে অতি কাছের করে আবার আগ্রহ হারালে সেই প্রিয় মানুষগুলো হয়ে যায় দূরের কেউ একজন।🙂

আমি ঐ মানুষটাকে কখনোই ভুলবো না যে,


 আমি ঐ মানুষটাকে কখনোই ভুলবো না যে,

মিথ্যে করে হলেও একদিন আমার মুখের সামনে হেসেছিল


ভালোবাসি বলেছিল। আমার চোখে চোখ রেখে সারাজীবন একসাথে থাকবে বলে 

কথা দিয়েছিল। আমার যত্ন নিয়েছিল। 


তার হাসিমুখ, মায়া ভরা চাহুনি, তার কন্ঠস্বর তার কথা বলার ধরন আমি ভুলতে পারি না। 

কখনো কোনোদিন ও হয়তো ভুলতে পারবো না। 

সে আমার মনে থেকে যাবে 

আজীবন।

কিছু জায়গায় মানুষ অনেক কিছু বলতে চেয়ে অনেক ছোট শব্দে কথার সমাপ্তি ঘটায়।

 

কিছু জায়গায় মানুষ অনেক কিছু বলতে চেয়ে অনেক ছোট শব্দে কথার সমাপ্তি ঘটায়। যেখানটায় অনুভূতির মূল্য একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে আসে, যেখানে বহুবার চিৎকার করে কান্না করেও লাভ হয় নি, সেখানে একসময় নিজের অস্তিত্ব ছিলো সেখানটায় ইচ্ছের ঘুড়ি সুতা ছিঁড়ে বাঁধন ভেঙ্গে দিয়েছে।

মানুষ সেখানে কিছু বলতে গিয়েও চুপ হয়ে যায় যেখানটায় সব হারানোর দায় কেবল ভাগ্যটা কে দিয়ে দেয়।

যেখানে শতাব্দী ধরে সুখ খুঁজেছিল সেখানে কষ্টের ভারে শব্দ হারিয়ে গেলেই মানুষ অনেক কিছু বলতে গিয়েও চুপ হয়ে যায়।


সবচেয়ে বেশি শক্তি এই চুপ থাকাতেই পায়। নিজেকে হারিয়ে শূন্যের কোঠায় চলে যায়,ফিরেও আসে।



আমি তোমার নাম কাউকে বলি নি।


 আমি তোমার নাম কাউকে বলি নি।

কাউকে বলি নি তুমি আমার মন কতটা ভেঙেছিলে, কেমন করে মিথ্যে মায়ায় জড়িয়েছিলে।


আমি কাউকে জানাই নি, তোমার রেখে যাওয়া শূন্যতা আমার বুকের ভিতর কেমন করে একটা দগদগে ক্ষত করে দিয়েছে৷ যা এখনো আগের মতনই আছে। এক ফোঁটাও সারে নি।

তবুও মিথ্যে বলি। কেউ জিজ্ঞেস করলে মুচকি হেসে বলি, “আমি ভালো আছি।”

কিন্তু এই মিথ্যেটা বলার সময় মনে হয় একটা ভারী পাথর বুকের ওপর চেপে বসে আছে। আমি সরাতে চাই কিন্তু উপায় আমার জানা নাই। 


আমি কাউকে বলি নি, আমার নির্ঘুম রাতের কথা। কেমন করে আমি অন্ধকারে ভয় পাই, অজানা আতংকে আঁতকে উঠি, চোখ ভিজে যায়, স্মৃতি তাজা হয়ে ওঠে কেমন নিঃশ্বাস কেড়ে নেয়। 


আমি কাউকে জানাই নি, তোমার রেখে যাওয়া প্রতিটা কথা, প্রতিটা আশ্বাস কেমন করে আমার ভাঙা হৃদয়ে বারবার ফিরে আসে। কেউ জানে না... 

ভেবেছিলাম ভুলে যাবো। কিন্তু ভোলা তো একটা অভ্যাস। যা আমি কোনোদিনই শিখতে পারিনি।

কেন নিয়ম ভা'ঙা যায় না?


 কেন নিয়ম ভা'ঙা যায় না?

কাউকে খুব করে মন চাইলেও, সুখে থাকার তাগিদে নিয়ম ভে'ঙে কেন তার সাথে আজীবন থেকে যাওয়া যায় না?


কারো প্রতি তীব্র মায়া কাজ করলেও, কেন নিয়ম ভে'ঙে বলা যায় না তোমাকে আমার প্রয়োজন। 

কাউকে জড়িয়ে ধরার প্রচন্ড ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়ম ভে'ঙে তাকে জড়িয়ে ধরা যায় না?


কারো জন্য প্রচন্ড কষ্ট হলেও, কেন চোখের কোণে কান্না লুকিয়ে রাখতে হয়?

কেন সামনে গিয়ে প্রকাশ করা যায় না?

কারো হাত ধরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছে থাকলেও কেন ইচ্ছে পূরণ হয় না?


কারো জন্য বুকের ভিতর আজীবন ভালোবাসা জমিয়ে রাখলেও নিয়ম ভে'ঙে প্রকাশ করা যায় না?

বৃদ্ধ বয়সে একসাথে থাকবো ইচ্ছে করলেও স্পষ্ট ভাবে জেনে গেছি নিয়ম ভে'ঙে থাকা যায় না...


কেন কিছু নিষ্ঠুর নিয়মের তি'ক্ত দায়ভারে ভেতরটা ভে'ঙে চু'রে যায়?

নিয়ম কি জীবনের থেকেও বেশি মূল্যবান?


কেন নিয়ম ভা'ঙা যায় না?!


লেখা- কালেক্ট


নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মানে পরাজয় নয়—এটা এক ধরনের আত্মরক্ষা, আত্মসম্মানের ভাষা

 নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মানে পরাজয় নয়—এটা এক ধরনের আত্মরক্ষা, আত্মসম্মানের ভাষা একটা সময় ছিল, যখন মানুষ ধরে রাখার জন্য প্রাণপণে লড়ে গেছি। মনে হত...