ভালোবাসার অভাবে মানুষ বদমেজাজি হয়ে যায়…
কেউ জন্ম থেকেই রাগী হয় না, কেউ হঠাৎ করেই গুমরে ওঠা মানুষ হয়ে ওঠে না। অনেক হাসিখুশি মানুষও একসময় বদমেজাজি হয়ে পড়ে, অল্প কথায় রেগে যায়, কারও সঙ্গে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারে না। কিন্তু এর পেছনে কী থাকে জানো? অধিকাংশ সময়, উত্তরটা একটাই – ভালোবাসার অভাব।
ভালোবাসা শুধু রোমান্টিক কোনো সম্পর্ক নয়, বরং সেটা হতে পারে পরিবারের কাছ থেকে, কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে, এমনকি নিজের প্রতি নিজের ভালোবাসাও। যখন একজন মানুষ বারবার অবহেলার শিকার হয়, যখন তার অনুভূতিগুলো কেউ গুরুত্ব দেয় না, যখন সে বুঝে যায়, তার সুখ-দুঃখ কারও জন্যই তেমন কিছু নয়—তখন তার ভেতরে জমে ওঠে একধরনের কষ্ট, যেটা সময়ের সঙ্গে বদলে যায় রাগে, খিটখিটে আচরণে।
ভালোবাসাহীন এই মানুষগুলো চাইলেও হাসতে পারে না, সবকিছুতেই বিরক্তি আসে, সম্পর্কগুলোর ভার সইতে পারে না, কারণ তারা নিজেই অনেক ভেঙে পড়ে। তারা হয়তো কাউকে বোঝাতে পারে না, ঠিক কতটা একা তারা! ঠিক কতবার তারা অপেক্ষা করেছে—কারো একটা মেসেজের, কারো একটু কেয়ার করার, বা কেউ জিজ্ঞেস করুক “তুমি কেমন আছো?” – এই সহজ প্রশ্নটার।
ভালোবাসার অভাবে মানুষ শুধু বদমেজাজি হয় না, ধীরে ধীরে সে নিজের অস্তিত্বকেই তুচ্ছ মনে করতে শুরু করে। নিজের প্রতি ভালোবাসা হারায়, আত্মবিশ্বাস হারায়, আর হারিয়ে ফেলে জীবনের রঙ।
তাই কখনো কারও রাগ বা খিটখিটে স্বভাব দেখে হাসি পাস না, অথবা তাকে দূরে ঠেলে দিও না। হয়তো তার ভেতরটায় জমে আছে শত কথার না বলা কষ্ট, হয়তো সে একটুখানি ভালোবাসার জন্য মরিয়া হয়ে আছে।
ভালোবাসা শুধু উপহার বা কথায় প্রকাশ হয় না, কখনো একটা ফোন কল, কখনো একটু সময় দেওয়া, কখনো শুধু চুপচাপ পাশে থাকা—এই ছোট ছোট ভালোবাসার প্রকাশগুলো কাউকে নতুন করে বাঁচার সাহস দিতে পারে।
ভালোবাসা দিতে শিখো, বোঝার চেষ্টা করো, কারণ এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই চায় একটু গুরুত্ব, একটু যত্ন… আর সেটা যদি তুমি দিতে পারো, তাহলে হয়তো কারও বদমেজাজি হয়ে যাওয়া জীবনের গল্পটা একটু বদলে যাবে।
No comments:
Post a Comment