ঠিক আছে, আমি আপনাকে একটি রোমাঞ্চকর গল্প শোনাচ্ছি।
রহস্যময় দ্বীপ
রুদ্র ছিল একজন অভিজ্ঞ অভিযাত্রী। পৃথিবীর নানা প্রান্তে দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে সে বহু গোপন সত্য উদঘাটন করেছে। একদিন, তার হাতে আসে একটি পুরোনো মানচিত্র, যেখানে অজানা এক দ্বীপের অবস্থান দেখানো। দ্বীপটি ছিল বেশ রহস্যময়, আর বহু মানুষ এই দ্বীপে প্রবেশ করলেও কেউই আর ফিরে আসেনি। কিন্তু রুদ্রের কৌতূহল তাকে থামাতে পারল না। সে সিদ্ধান্ত নিল, এই দ্বীপে অভিযান চালিয়ে দ্বীপের রহস্য উদঘাটন করবেই।
রুদ্র তার ছোট একটি নৌকায় করে সমুদ্রে পাড়ি দিল। কয়েকদিন পর, ভয়ঙ্কর ঢেউ আর প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্য দিয়ে সে দ্বীপের কাছে পৌঁছাল। দ্বীপটি দূর থেকে দেখতে খুব সুন্দর মনে হলেও, এর ভিতরে ছিল এক গভীর অন্ধকার।
দ্বীপে নেমে রুদ্র প্রথমে লক্ষ্য করল যে, এখানে কোন পাখির ডাক নেই, কোন প্রাণীর চলাফেরা নেই—সবকিছুই যেন নিস্তব্ধ। এগিয়ে যেতে যেতে সে দেখতে পেল একটি পুরোনো, পরিত্যক্ত কেল্লা। মনে হচ্ছিল, বহু বছর আগে এখানে কোনো এক শক্তিশালী সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল। কেল্লার ভেতরে ঢুকে রুদ্র একটি সিঁড়ি দেখতে পেল, যা নীচের দিকে নেমে গেছে। নিচে ছিল এক অন্ধকার করিডোর, আর করিডোরের শেষে ছিল একটি বড় পাথরের দরজা।
রুদ্র দরজাটি ঠেলে খোলার চেষ্টা করল। দরজার ওপারে ছিল এক বিশাল হলরুম, যার মাঝখানে একটি সোনার খাঁচা ঝুলছিল। খাঁচার ভেতরে ছিল একটি রহস্যময় ডায়েরি। ডায়েরির কভারে লেখা ছিল, “এই ডায়েরির রহস্য উন্মোচন করতে হলে, দিতে হবে মহামূল্য কিছু।”
ডায়েরিটি স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে কেল্লার চারপাশে ঝড় উঠল, মাটি কাঁপতে শুরু করল, আর রুদ্র বুঝতে পারল, সে কোনো সাধারণ দ্বীপে নয়—এটি ছিল এক জাদু-আবদ্ধ দ্বীপ, যেখানে প্রবেশ করা সহজ, কিন্তু বের হওয়া প্রায় অসম্ভব।
রুদ্র কি দ্বীপের রহস্য উন্মোচন করতে পারবে? নাকি সেও বাকি অভিযাত্রীদের মতো চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে এই দ্বীপে?
শেষ।
No comments:
Post a Comment