Tuesday, October 1, 2024

সন্দেহ মানেই সম্পর্ক শেষ নয়

 



বিবাহিত জীবনে যে বিষয়টা দুইজনকে কুড়ে কুড়ে শেষ করে দেয়, তা হচ্ছে 'সন্দেহ'! স্বামী স্ত্রী যে কোন একজন এই 'সন্দেহ প্রবণ' হলেই বিবাহিত জীবনের সকল আশা ভরসা শেষ হয়ে যায়, বিচ্ছেদেই সমাপ্তি হয়! তবে এই সমস্যা মধ্যবিত্ত পরিবারেই বেশী ঘটে! অন্যদিকে 'সন্দেহ প্রবণ' এই রোগের রোগী স্ত্রীরাই বেশি হয়ে থাকে, প্রথমে তারাই শুরু করে, এবং ক্রমে বাড়িয়েই চলে! স্বামী ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার সরকারী চাকুরে ব্যবসাহী যাই হয়ে থাকুক না কেন, স্ত্রীরা একটু রাতে ফেরা, মোবাইলে কথা বলা, চ্যাটিং ফিটিং তেমন প্রমান না দেখেই সন্দেহ করা শুরু করে, আর এখানেই ভেজাল লেগে যাই, অনেকে এই ভেজাল বা মিথ্যা অপবাদ নিয়ে জীবন পার করে, আর পরে সত্য সত্য অন্য নারীর প্রেমে পড়ে যায়! নিজের স্ত্রীকে তখন ঘৃণা করতে থাকে, এমন কি স্ত্রীর শরীরও আর সেই স্বামীকে টানে না!


বুঝতে পারছি, আপনারা উপরের প্যারা পড়ে আমার উপর রাগ করে ফেলছেন, নারী বন্ধুরা তো কাছে পেলে আমাকে হয়ত চাকু দিয়ে ঘাই দিয়ে দিতেন! আসেন, একটা বাস্তব উদাহরণ দেই। আমার অফিসে এক লোক আসে, সে প্রায় বারে বসে মদ পান করে, আবার নিজ মুখে বলেও সে অন্য নারীদের সাথে থাকে, তার পরিচিত অনেক নারী আছে যাদের ফোন করলেই চলে আসে! সে বিবাহিত, দুই কন্যা সন্তানের জনক। 


গত কয়েক দিন আগে আমার অফিসে আসলে আমি তাকে এই সব বিষয় থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করি, বলি এই সব জীবন নয়, যৌবন ফুরালেই সব শেষ হবে, এইডসের ভয় দেখাই, পরকালের কথা বলি। সে যে এই সব বুঝে না, তা নয়, সব বুঝে তবুও সব চালিয়ে যাচ্ছে কেন, প্রশ্ন করতে সে উত্তরে বলে, আপনার ভাবীর কারনেই আমি এইসবে নেমেছিলাম। আমি আরো জানতে চাই, সে খোলামেলাই আমাকে অনেক কিছু জানায়। সারাংশ আপনাদের জানাচ্ছি।


সে বলে তার দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পরে তার স্ত্রী অহেতুক তাকে সন্দেহ করা শুরু করে, সে অনেকভাবে তাকে বুঝিয়ে বলার পরেও তার স্ত্রী সন্দেহ থামায় না, অফিস থেকে বাসায় গেলেই তার শার্ট প্যান্ট চেক করে এমন কি তার আন্ডারওয়ারও নাকি শুখে দেখতে থাকে! এই বিষয় নিয়ে কয়েক বার হাতাহাতিও হয়েছিল। একদিনতো বাসায় এমন লংকা কান্ড ঘটিয়ে ছিল যে, নানা শ্বশুরকে ডেকে এনে থামাতে হয়েছিল, সেই দিন সে নাকি তালাক দিতেও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। এর পরেও কিছুতেই স্ত্রীকে এই সন্দেহ থেকে থামাতে পারে নাই, এমন কি একবার ডাক্তারের কাছে নিয়েও। 


এর পরেই মুলত তার চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়, সে গুলশানে এক বারে মদপানে নাম লিখায়। সে বলে, কিছু না করেই যখন ঘরে গেলেই অপবাদ শুন্তে হয় তখন খারাপ কাজ করেই দেখি, ব্যস, নেমে পড়ে মদ নারীদের নিয়েও! এভাবেই এখন দিন চলে, এখন এই সব খারাপ কাজ করে মদ পান করে বাসায় গেলে স্ত্রী কিছু বললে চুপ করে অন্য রুমে চলে যায়, কথা কম বলে, খেয়েই অন্যরুমে ঘুমায়, স্ত্রীর দিকে ফিরেও তাকায় না! 


আমি থ হয়ে তার কথা শুনছিলাম, তবে সে যে ভাষায় যেভাবে বলেছে তা আমি সেন্সর করেছি, অনেক গালি লিখি নাই, সে বাড্ডা এলাকার অধিবাসী, ঢাকার ভাষায় তার গালি গুলো কান ঝালাপালা করে দিচ্ছিলো! সে তার স্ত্রীকে প্রায় প্রতিটা লাইনের আগে চুত/মারানীর/মাগী শন্দ ব্যবহার করেছিল, এমনি আরো অনেক গালাগাল করছিলো। আমি হেসে বললাম, স্ত্রীকে এভাবে গালি দেয়া উচিত নয়, সে বলল, হারামী আমার জীবন নষ্ট করছে্‌, এই গালি তো কমই দিচ্ছি!


সন্দেহ আসলেই একটা বিরাট রোগ, এই রোগে যারে পাইছে তার ইহকাল পরকাল শেষ!🥹 


সংগৃহীত 

পোস্ট ভালো লাগলে ফলো ও শেয়ার করুন

No comments:

Post a Comment

প্রকৃত পুরুষের কাছে একজন রমণীর মূল্যায়ন।

 💘প্রকৃত পুরুষের কাছে একজন রমণীর মূল্যায়ন। 🌻 বেশিরভাগ পুরুষই তাদের মায়ের কাছ থেকে ভালোবাসা পাননি, তাই তারা অবচেতনভাবেই নারীদের মাধ্যমে সে...