কলমি শাক কেন খাবেন.?
.
কলমি শাক এক ধরনের অর্ধ জলজ লতা। একে সাধারণত শাক হিসেবেই খাওয়া হয়ে থাকে। কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক। আর ইংরেজিতে একে water spinach বা chanciness spinach বলা হয়।
কলমি শাকের আদি নিবাস কোথায় তা জানা যায়নি। তবে পূর্ব, দক্ষিন ও দক্ষিন–পূর্ব এশিয়াতে এর ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলেও কলমি শাকের চাষ করতে দেখা যায়। কলমি শাক পানিতে বা ভেজা মাটিতে জন্মে থাকে, এই শাক চাষের জন্য বেশি যত্নেরও দরকার হয় না।
পুষ্টি গুনে কলমি শাক অনন্য। এই শাক মালয়শিয়ান ও চীনা খাবারে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাধারনত কলমি শাক ভাজি করে খাওয়া হয়।
কলমি শাকের উপকারিতা –
- কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থেকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিত।
- কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ করে।
- কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
- কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুন উপকারি।
- জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাবে।
- নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়।
.
"কলমি শাক জলে জন্মে, জলেই বেড়ে ওঠে। দামে কম হলেও এই শাকের উপকারিতা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এই শাক তুলনামূলক কম খাওয়া হলেও গুণাগুণ অসামান্য। কলমি শাক আঁশজাতীয়। এতে খাদ্য উপাদান রয়েছে প্রচুর।
এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের অনুপাত ঠিক রাখে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে রয়েছে কার্যকর ভূমিকা। ভর্তা কিংবা ভাজি করে খাওয়া হয় কলমি শাক। কলমি শাকের আরও কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেওয়া যাকঃ-------
১) হাঁড় শক্ত করে কলমি শাকঃ কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে বলে এ শাক হাঁড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ালে তাদের আর বাজারের প্রচলিত চটকদার ফুড সাপ্লিমেন্টের দরকার হয় না।
২) চোখ ভালো রাখেঃ কলমি শাক চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
৩) রোগ প্রতিরোধকঃ কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে ।
৪) শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেঃ কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রোগীদেরকে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য তাই কলমি শাক খাওয়ানো হয়।
৫) হজম সহায়কঃ কলমি শাক মূলত আঁশজাতীয়। তাই শরীরের খাবার দ্রুত হজমের জন্য কলমি শাক বিশেষ উপকারী।
৬) রক্তশূন্যতায়ঃ কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ থাকায় রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। শরীরে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতেও এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে যাদের কিডনিতে পাথর আছে তারা এই শাক খেলে তাদের পাথর বৃদ্ধি পেতে পারে ।
প্রিয় পাঠক, এবার বুঝতে পেরেছেন কি কলমি শাক কেন খাবেন?
.
কলমি শাক এক ধরনের অর্ধ জলজ লতা। একে সাধারণত শাক হিসেবেই খাওয়া হয়ে থাকে। কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক। আর ইংরেজিতে একে water spinach বা chanciness spinach বলা হয়।
কলমি শাকের আদি নিবাস কোথায় তা জানা যায়নি। তবে পূর্ব, দক্ষিন ও দক্ষিন–পূর্ব এশিয়াতে এর ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলেও কলমি শাকের চাষ করতে দেখা যায়। কলমি শাক পানিতে বা ভেজা মাটিতে জন্মে থাকে, এই শাক চাষের জন্য বেশি যত্নেরও দরকার হয় না।
পুষ্টি গুনে কলমি শাক অনন্য। এই শাক মালয়শিয়ান ও চীনা খাবারে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাধারনত কলমি শাক ভাজি করে খাওয়া হয়।
কলমি শাকের উপকারিতা –
- কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থেকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিত।
- কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ করে।
- কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
- কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুন উপকারি।
- জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাবে।
- নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়।
.
"কলমি শাক জলে জন্মে, জলেই বেড়ে ওঠে। দামে কম হলেও এই শাকের উপকারিতা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এই শাক তুলনামূলক কম খাওয়া হলেও গুণাগুণ অসামান্য। কলমি শাক আঁশজাতীয়। এতে খাদ্য উপাদান রয়েছে প্রচুর।
এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের অনুপাত ঠিক রাখে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে রয়েছে কার্যকর ভূমিকা। ভর্তা কিংবা ভাজি করে খাওয়া হয় কলমি শাক। কলমি শাকের আরও কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেওয়া যাকঃ-------
১) হাঁড় শক্ত করে কলমি শাকঃ কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে বলে এ শাক হাঁড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ালে তাদের আর বাজারের প্রচলিত চটকদার ফুড সাপ্লিমেন্টের দরকার হয় না।
২) চোখ ভালো রাখেঃ কলমি শাক চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
৩) রোগ প্রতিরোধকঃ কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে ।
৪) শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেঃ কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রোগীদেরকে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য তাই কলমি শাক খাওয়ানো হয়।
৫) হজম সহায়কঃ কলমি শাক মূলত আঁশজাতীয়। তাই শরীরের খাবার দ্রুত হজমের জন্য কলমি শাক বিশেষ উপকারী।
৬) রক্তশূন্যতায়ঃ কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ থাকায় রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। শরীরে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতেও এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে যাদের কিডনিতে পাথর আছে তারা এই শাক খেলে তাদের পাথর বৃদ্ধি পেতে পারে ।
প্রিয় পাঠক, এবার বুঝতে পেরেছেন কি কলমি শাক কেন খাবেন?
No comments:
Post a Comment