Thursday, May 29, 2025

জীবন তার গতি বদলাবে, অথচ তোমায় আর ভুলা হবে না!


 জীবন তার গতি  বদলাবে, অথচ তোমায় আর ভুলা হবে না!

তোমাকে না পাওয়ার আক্ষেপ তখনও ফুরাবে না.!

ঠিক যখন মনে পড়বে, তোমায় আমি পাই নি;


আমি বোধহয় সেই একুশের তরুণের মত ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠব!

তোমার শূন্যতা আমাকে হয়ত সর্বহারা পথশিশুর মত অসহায় করে তুলবে!

তোমার ছোট ছোট স্মৃতিগুলো আঘাত করবে হৃৎপিণ্ডে।

আমার তখনও খুব ইচ্ছে হবে- 

তুমি আমার খোঁজ নাও, আমায় স্বান্তনা দাও, অনুপ্রেরণা দাও, আমায় আবার ভালোবাসো।  


তখনও একটা মূহুর্তের জন্যও তোমায় পাবো না।

এর চেয়ে যন্ত্রণা আর কী হতে পারে! 


#অসম্পূর্ণ_ভালোবাসা

Wednesday, May 28, 2025

যারা সবাইকে খুশি রাখতে চায়, তারা কারো হতে পারে না…

 যারা সবাইকে খুশি রাখতে চায়, তারা কারো হতে পারে না…


কিছু মানুষ থাকে, যারা সবার মন রক্ষা করতে চায়। সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। তারা চায় না কেউ কষ্ট পাক, কেউ দূরে সরে যাক। কিন্তু নিজের অজান্তেই—তারা হয়ে ওঠে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।

কারণ তারা কাউকে পুরোপুরি ধরে রাখে না, আবার সম্পূর্ণ ছেড়েও দেয় না।


তারা এমনভাবে সম্পর্ককে টানতে থাকে—যেন সেটা নিছক একটা অভ্যাস, একটা অলস বিকেলের গল্প, অথবা সময় কাটানোর মাধ্যম। আপনি ভাববেন—তার ভেতরে কিছু আছে, আপনি বুঝতে পারবেন না ঠিক কী, কিন্তু তার টানটা আপনাকে প্রতিদিন দ্বিধায় ফেলবে। আপনাকে বারবার মনে করিয়ে দেবে—আপনি প্রয়োজনীয়, কিন্তু অপরিহার্য নন।


আর আপনি? আপনি হয়তো তাকে ভালোবেসে নিজের পুরোটা দিয়ে ফেলেছেন। তার একটুখানি ভালোবাসার আশায় আপনি রাতজাগা কান্না লুকিয়েছেন বালিশের নিচে। দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছেন একটা গুরুত্বের, একটু মনোযোগের, একটু ভালোবাসার।


কিন্তু সে? সে ঠিক আগের মতোই থাকছে—উদাসীন, নির্বিকার, অন্যমনস্ক। আপনি যখন তাকে ছেড়ে যেতে চাইবেন—তখনই সে হাত ধরে বলবে, “তুমি গেলে আমি ভেঙে পড়ব।” কিন্তু সেই হাতের ভেতরে যে উষ্ণতা থাকা উচিত, সেটা আপনি পাবেন না।

সেই হাত হবে ঠাণ্ডা… কেবল আটকে রাখার হাত, ভালোবাসার নয়।


এই মানুষগুলো কারো ভালোবাসাকে নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে—একদিন আপনাকে চাঁদ বলে গলে পড়ে, আরেকদিন আপনার উপস্থিতিই তাদের বিরক্ত করে তোলে। আপনি বুঝে উঠতে পারেন না—আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন, এই সম্পর্কটা আদৌ কোনো ঠিকানার দিকে যাচ্ছে কিনা।


তারা অনেকের সঙ্গে সামান্য সামান্য করে জড়িয়ে থাকে—কেউ গল্পের জন্য, কেউ সময় কাটানোর জন্য, কেউ আবেগ শেয়ার করার জন্য। কিন্তু আসলে কেউই তাদের হৃদয়ের কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে না।

কারণ তারা কাউকে ভালোবাসে না—শুধু ভালোবাসা পাওয়ার অনুভূতি উপভোগ করে।


আর আপনি হয়তো সেই একজন, যে এই পুরোটা সময়ে একটা মানুষকে ঠিকমতো ভালোবেসে ফেলেছেন। তার অনুপস্থিতিতে আপনার নিঃশ্বাস ভারী হয়, তার উদাসীনতায় আপনার ভেতরের আলো নিভে আসে। আপনি তাকে বুঝতে চেয়েছেন, ধারণ করতে চেয়েছেন, ভালো রাখতে চেয়েছেন—নিজেকে প্রতিদিন ছোট করে।


কিন্তু একটা সময় আপনি বুঝে যাবেন—এই ভালোবাসার বোঝা একা টানার নয়। সম্পর্ক যদি একপাক্ষিক হয়, তবে সেটা ভালোবাসা নয়—একটা নিঃশব্দ যন্ত্রণা, যা দিনে দিনে মানুষকে মরে যেতে শেখায়।


ভালোবাসা মানে একটা মানুষকে এতটা ভালোবাসা দেওয়া, যাতে সে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবে। কিন্তু সেই মানুষটা যদি বোঝে না—তাহলে বারবার ভাঙবেন না নিজেকে। কারণ, আপনার ভালোবাসা কোনো অপমান সইবার বস্তু নয়।


যে মানুষ সবাইকে খুশি রাখতে চায়, সে কাউকেই ভালোবাসে না। সে ভালোবাসে নিজেকে—নিজের চাওয়া-পাওয়া, নিজের শূন্যতা ভরাট করার খেলা। আপনি সেই খেলায় একটা চরিত্র মাত্র।


সত্যিকারের ভালোবাসা একমুখী হয় না, একতরফা হয় না। এটা দুইটি হৃদয়ের নিঃস্বার্থ বন্ধন, যার গভীরতা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায় নিঃশ্বাসে।


তাই, যদি আপনি এমন কারো জন্য নিজেকে নিঃশেষ করে ফেলেন, একদিন ভেঙে পড়বেন। কিন্তু বিশ্বাস রাখুন—ভালোবাসা আছে, শুধু সঠিক হৃদয়ের সন্ধান এখনো আপনার পাওয়ার অপেক্ষায়।


এই পৃথিবীতে কেউ যদি কাউকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে, সেই ভালোবাসা মরে না। হারিয়ে যায় না। শুধু সময়ের আড়ালে একদিন নিজের মতো করে ফেরে—একটি দীর্ঘশ্বাস, একটি স্মৃতি, অথবা নিঃশব্দ ভালোবাসার রূপে।


Sunday, May 25, 2025

তোমার অপেক্ষায় একটি প্রেম, বিরহ ও পুনর্মিলনের গল্প


 

 "তোমার অপেক্ষায়"


তোমার অপেক্ষায়

একটি প্রেম, বিরহ ও পুনর্মিলনের গল্প

অধ্যায় ১: প্রথম দেখা

রাজীব তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। একজন বইপাগল, একটু চুপচাপ, কিন্তু হৃদয়ে এক অদ্ভুত রোমান্টিকতা লুকিয়ে ছিল। সে নিয়মিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ত। সেদিন হঠাৎ করেই লাইব্রেরির নিরিবিলি এক কোণায় বসে পড়ছিল শেলীর কবিতা — এমন সময় সামনে এসে বসে একজন মেয়ে।

মেয়েটির নাম ছিল মায়া। বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মায়া যেমন চঞ্চল, তেমনি বুদ্ধিদীপ্ত — তার চোখে ছিল একধরনের অদ্ভুত আকর্ষণ। রাজীবের বইয়ের পাতার চেয়েও সেই চোখ তাকে বেশি টানল সেদিন।

প্রথমদিন শুধু চোখাচোখি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বই আদান-প্রদানের অজুহাতে কথাবার্তা শুরু হলো। লাইব্রেরি শেষে চা, বিকেলবেলা ক্যাম্পাসের রোদের নিচে হাঁটাহাঁটি — ধীরে ধীরে একটা গল্প তৈরি হচ্ছিল। রাজীব অনুভব করছিল, তার নিঃসঙ্গ জীবনটা মায়ার সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠছে।

অধ্যায় ২: অজানা টান

মায়া ছিল আলাদা ধরনের মেয়ে। সে কারও কথা শুনে চলত না, নিজের মনমতো জীবনযাপন করত। রাজীব তার এই স্বাধীনচেতা মনোভাবের প্রতি মুগ্ধ হলেও মাঝে মাঝে দুশ্চিন্তায় পড়ত — ‘সে কি আমাকে সত্যি চায়?’

একদিন রাজীব সাহস করে বলেই ফেলল,
“মায়া, আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করি প্রতিদিন... হয়তো এটা ভালোবাসাই।”

মায়া হেসে বলল,
“ভালোবাসা এত তাড়াতাড়ি হয় রাজীব? আমি জীবনটাকে এখনো চিনে উঠতে পারিনি। ভালোবাসা চাই, কিন্তু ভয় পাই।”

রাজীব হতাশ হলেও বুঝতে পারল — মায়ার ভেতরে একটা আঘাত লুকিয়ে আছে। সে অপেক্ষা করল, সময়কে বিশ্বাস করল।

অধ্যায় ৩: দূরত্ব

সময় যতই এগোতে থাকল, মায়া যেন রাজীবের কাছ থেকে সরে যেতে লাগল। ফোনে কম কথা, মেসেজে দেরি, দেখা হলে চোখে অস্থিরতা।

একদিন রাজীব জিজ্ঞেস করল,
“তুমি কি কাউকে ভুলতে পারোনি মায়া?”

মায়া চোখ নামিয়ে বলল,
“আমি একবার খুব ভালোবেসেছিলাম... কিন্তু সে আমার ভালোবাসার মানে বোঝেনি। তাই এখন আবার ভালোবাসতে ভয় লাগে।”

রাজীব বলল,
“আমি তোমার অতীত না, আমি তোমার বর্তমান হতে চাই। যদি আমাকে একটা সুযোগ দাও, আমি প্রমাণ করব যে আমি আলাদা।”

মায়া কিছু বলল না। চলে গেল। সেদিনের পর আর দেখা হয়নি অনেকদিন।

অধ্যায় ৪: দীর্ঘ অপেক্ষা

তিন বছর কেটে গেছে। রাজীব এখন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক। সে তার জীবনে অনেক কিছু পেয়েছে, কিন্তু মায়াকে হারিয়ে এক খালি জায়গা থেকে গেছে তার ভেতরে।

সে মাঝে মাঝে ফেসবুকে মায়ার প্রোফাইল খোঁজে। নতুন ছবি নেই, কোনো পোস্টও না। ফোন নম্বর বদলে গেছে।

তারপর হঠাৎ একদিন...

বইমেলায় রাজীব একটা বুকস্টলে বই দেখছে, হঠাৎ কেউ তার পেছন থেকে বলে,
“শেলীর কবিতা এখনো পড়ো?”

রাজীব ঘুরে দাঁড়ায়। মায়া।

চোখেমুখে বয়সের ছাপ লেগেছে, কিন্তু সেই চেনা হাসি, সেই পরিচিত চোখ।

“তুমি... কোথায় ছিলে এতদিন?”

মায়া বলল,
“আমি নিজেকে খুঁজছিলাম... অনেক ভুল করেছি, কিন্তু একদিন বুঝলাম, সত্যিকারের ভালোবাসা কাউকে চোখে চোখে খুঁজে পাওয়া যায় না — তাকে হৃদয়ে ধরে রাখতে হয়। আর তুমি তো কখনো ছাড়ো নি। সবসময় আমার অপেক্ষায় ছিলে।”

রাজীবের চোখ ভিজে যায়।

“তুমি ফিরে এসেছো... এইটুকুই অনেক।”

তারা চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। ব্যস্ত শহরের ভিড়ে, বুকমেলায়, পেছনে হাজারো শব্দ — কিন্তু তাদের জন্য যেন সময় থেমে গেছে।

শেষ অধ্যায়: ভালোবাসা ফিরে পাওয়া

রাজীব ও মায়া একসঙ্গে বসে চা খায়। ক্যাম্পাসে আবার একদিন ঘোরে। তাদের জীবনে ফিরে আসে পুরোনো গান, পুরোনো স্বপ্ন।

ভালোবাসা সবসময়ই সহজ নয়। তবু যারা অপেক্ষা করতে জানে, তাদের জন্য কোনো না কোনো এক ভোরে আলো ঠিকই ফিরে আসে।


শেষ।
ভালোবাসা হারিয়ে গেলেও যদি সেটা সত্যি হয়, তবে একদিন ঠিকই ফিরে আসে।


offer


Eid Special Internet Offer

🌙 ঈদ স্পেশাল ইন্টারনেট অফার!

মাত্র ২০ টাকায় পাচ্ছেন:
  • 📶 ৯৯ জিবি ইন্টারনেট
  • 📞 ৯০০ মিনিট যে কোনো লোকাল নাম্বারে

👉 এই অফারটি সকল সিমের জন্য প্রযোজ্য: Banglalink, Grameenphone, Robi, Airtel, Talital, Skito

Saturday, May 17, 2025

তুমি অনেক দেরিতে বুঝবে, আমি হারিয়ে যাওয়ার মানে শুধু একজন মানুষকে হারানো নয়-


 তুমি অনেক দেরিতে বুঝবে, আমি হারিয়ে যাওয়ার মানে শুধু একজন মানুষকে হারানো নয়-তুমি হারিয়েছো সেই হৃদয়টাকে, যে নিঃস্বার্থভাবে তোমার পাশে ছিল। যে চোখে শুধু তোমাকেই দেখতো, যে মন তোমার প্রতিটি না-বলা কথাও বোঝার চেষ্টা করতো।


একদিন হঠাৎ খুব মনে পড়বে-আমাদের সেই সবদিন, যখন আমি ছিলাম। তখন হয়তো তোমার বুকের ভিতরে এক অদ্ভুত শূন্যতা বাজবে, কিন্তু আমি তখন থাকবো না। আমি চলে যাওয়ার পর তুমি টের পাবে, এই স্বার্থপর দুনিয়ায় নিখাঁদ ভালোবাসা আসলে কতটা দুর্লভ। ভালোবাসার অভাবে, অনুভবের দারিদ্র্যে, তুমি ধীরে ধীরে পুড়ে যাবে।


আমি যখন তোমার চারপাশে ছিলাম, তুমি বুঝে উঠোনি আমার গুরুত্ব। অথচ আমি হারিয়ে গেলে -হয়তো একদিন বাতাসের হঠাৎ নিঃশ্বাসে, মেঘের বিষণ্ণতায়, নদীর একাকীত্বে বা পাহাড়ের নিস্তব্ধতায় তুমি আমাকে খুঁজে পাবে। কিন্তু সে পাওয়াটা হবে শুধু অনুভবে, বাস্তবে নয়। 

তখন হয়তো মনে হবে-"ইশ! যদি আর একবার সময়কে পেছনে নেয়া যেতো!" কিন্তু সময় তো কারো জন্য থামে না। মানুষ যখন চুপচাপ সরে যায়, তখন সে আর আগের মতো ফেরে না।

Friday, May 16, 2025

স্বপ্ন মানুষকে বাঁচতে শেখায়


 একটা মানুষের সাথে পরিচয় হওয়ার পর, তাকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসার পর, তাকে বুকের নরমে জড়িয়ে ধরার পর, তাকে স্থায়ী ভেবে জীবনের বাকি দিনগুলো তার সাথে কাটানোর পরিকল্পনা করার পর; কেন এমন একটা দিন আসে যেদিন তার চলে যাওয়া দেখতে হয় আমাদের? এত এত দিন একসাথে থাকা, একসাথে হাঁটা, একটু একটু করে সম্পর্কটাকে গড়ে তোলা, এত প্রতিশ্রুতি, এত ভালোবাসি বলা; সবটুকু কেন এলো তবে আমাদের জীবনে? কেন এমন মানুষের সাথে পরিচয়ই বা হলো যাকে একদিন আমায় যেতে দিতে বাধ্য হতে হবে?


ভাবুন যে আপনার কাছে সর্বস্ব, একদিন সে আপনাকে পরিত্যাগ করলো। ঠিকানা বদলে নিলো। ফিরেও তাকালো না। এই যন্ত্রণা সয়ে নেওয়া যে কতটা কঠিন, যে জানে সে জানে। 


মনে প্রশ্ন জাগে। নাই বা হতো এমন মানুষদের সাথে পরিচয় যারা থাকতে আসে না!? নাই বা হতো পরিচয় তাদের সাথে যাদের একটা সময় পর যেতে দিতে বাধ্য হই আমরা!? যেতে দেওয়া যে বড্ড কঠিন। পরিত্যক্ত হওয়া যে বড্ড কঠিন।


অনেকটা সময় লেগে যায় এটা বুঝতে যে জীবন থেকে কিছু মানুষের চলে যাওয়া আসলে একটা শিক্ষা। কিছু মানুষ চলে যেতে যেতে আমাদের শিখিয়ে দিয়ে যায় পরের বার আরও সাবধান হতে। খুব সহজে বিশ্বাস না করতে। আর, যারা কোনও পরিস্থিতিতেই আমাদের হাত ছাড়লো না, চলে গেল না, পরিত্যাগ করলো না; সেই মানুষগুলোকে আরও অ্যপ্রিশিয়েট করতে।


স্বপ্ন মানুষকে বাঁচতে শেখায়

Sunday, May 4, 2025

তুমি দেখা দাও। আমার চোখের তৃষ্ণা মেটাও।

 তোমাকে চেয়েছিলাম বর্ষাকালের বৃষ্টির মত; যে বৃষ্টি একবার আসলে আর যাওয়ার নাম নেয় না। তুমি এলে শীতের মৌসুমের বৃষ্টি হয়ে। এত অল্পতে কি আর আমার চোখের তৃষ্ণা মেটে?


"তোমারে দেখিবার অপেক্ষায় আমার চক্ষু মরুভূমি হইয়া গিয়াছে। ইহা কি তুমি জানো?" তুমি জানো না। তোমাকে এক নজর দেখার আকুলতায় আমার সমস্ত সুখ কারাগারে বন্দী হয়ে আছে।


তুমি দেখা দাও। আমার চোখের তৃষ্ণা মেটাও।




-তোমায় নিয়ম করে প্রতিদিন ভালোবাসি বলা হয়নি, কিন্তু প্রতিদিন খুব যত্ন করে ভালোবেসেছি তোমায়.!



Saturday, May 3, 2025

ভালোবাসার অভাবে মানুষ বদমেজাজি হয়ে যায়…


 ভালোবাসার অভাবে মানুষ বদমেজাজি হয়ে যায়…


কেউ জন্ম থেকেই রাগী হয় না, কেউ হঠাৎ করেই গুমরে ওঠা মানুষ হয়ে ওঠে না। অনেক হাসিখুশি মানুষও একসময় বদমেজাজি হয়ে পড়ে, অল্প কথায় রেগে যায়, কারও সঙ্গে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারে না। কিন্তু এর পেছনে কী থাকে জানো? অধিকাংশ সময়, উত্তরটা একটাই – ভালোবাসার অভাব।


ভালোবাসা শুধু রোমান্টিক কোনো সম্পর্ক নয়, বরং সেটা হতে পারে পরিবারের কাছ থেকে, কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে, এমনকি নিজের প্রতি নিজের ভালোবাসাও। যখন একজন মানুষ বারবার অবহেলার শিকার হয়, যখন তার অনুভূতিগুলো কেউ গুরুত্ব দেয় না, যখন সে বুঝে যায়, তার সুখ-দুঃখ কারও জন্যই তেমন কিছু নয়—তখন তার ভেতরে জমে ওঠে একধরনের কষ্ট, যেটা সময়ের সঙ্গে বদলে যায় রাগে, খিটখিটে আচরণে।


ভালোবাসাহীন এই মানুষগুলো চাইলেও হাসতে পারে না, সবকিছুতেই বিরক্তি আসে, সম্পর্কগুলোর ভার সইতে পারে না, কারণ তারা নিজেই অনেক ভেঙে পড়ে। তারা হয়তো কাউকে বোঝাতে পারে না, ঠিক কতটা একা তারা! ঠিক কতবার তারা অপেক্ষা করেছে—কারো একটা মেসেজের, কারো একটু কেয়ার করার, বা কেউ জিজ্ঞেস করুক “তুমি কেমন আছো?” – এই সহজ প্রশ্নটার।


ভালোবাসার অভাবে মানুষ শুধু বদমেজাজি হয় না, ধীরে ধীরে সে নিজের অস্তিত্বকেই তুচ্ছ মনে করতে শুরু করে। নিজের প্রতি ভালোবাসা হারায়, আত্মবিশ্বাস হারায়, আর হারিয়ে ফেলে জীবনের রঙ।


তাই কখনো কারও রাগ বা খিটখিটে স্বভাব দেখে হাসি পাস না, অথবা তাকে দূরে ঠেলে দিও না। হয়তো তার ভেতরটায় জমে আছে শত কথার না বলা কষ্ট, হয়তো সে একটুখানি ভালোবাসার জন্য মরিয়া হয়ে আছে।


ভালোবাসা শুধু উপহার বা কথায় প্রকাশ হয় না, কখনো একটা ফোন কল, কখনো একটু সময় দেওয়া, কখনো শুধু চুপচাপ পাশে থাকা—এই ছোট ছোট ভালোবাসার প্রকাশগুলো কাউকে নতুন করে বাঁচার সাহস দিতে পারে।


ভালোবাসা দিতে শিখো, বোঝার চেষ্টা করো, কারণ এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই চায় একটু গুরুত্ব, একটু যত্ন… আর সেটা যদি তুমি দিতে পারো, তাহলে হয়তো কারও বদমেজাজি হয়ে যাওয়া জীবনের গল্পটা একটু বদলে যাবে। 

এই আমার কথা কে শোনে, বলো? এত সময়, এত ধৈর্য আর কার আছে?

 

এই আমার কথা কে শোনে, বলো?

এত সময়, এত ধৈর্য আর কার আছে?


বুকের ভেতর কথা জমে জমে কষ্টের পাহাড়! এক জীবনে কত কথা এভাবে বুকে চেপে রাখা যায়? তুমিও কতদিন শুনো না কথা! কতদিন কিছু বলো না, পাশে বসো না।


এই আমার কেমন লাগে, তা বোঝাই কী করে? বলো তো...

জানি তুমিও বড্ড ক্লান্ত! মানুষ তো ক্লান্ত হলেই ভালোবাসা চায়। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মানুষ ছায়া চায়। অথচ তুমি? দুঃখ পেলেই কেমন ভুলে যাও, কেমন করে দূরে থাকো! এই আমায় তবে শুনবে কে? কে বলবে কথা, এই নিঃসঙ্গতা দূর করবে কে?


সুনসান নীরবতায় আমি যে হাঁপিয়ে উঠি!

ঘুমালে নাকি শান্তি মিলে। কই? আমার তো ঘুম হয় না। দুচোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, ঝাপসা দেখি সব! ভালোবেসে আমিও যে ভালো নেই!


কত কথা জমে বারান্দার গ্রিল জুড়ে বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে ঝরে পড়তে দেখি অবলীলায়! তুমি দেখো না? নিঃসঙ্গ নীহারিকার মতো, নক্ষত্রের মতো খসে পড়ি! কই? কখনো তো শোকে পাথর হলে না?


পৃথিবী দুঃখ দেয়, এখন তুমিও...

ভেবেছিলাম ভালোবেসে মানুষ সুখী হয়। অথচ তুমিও ব্যতিক্রম নও...


কত কথা জমে বুকের ভেতর কষ্টের পাহাড়।

শুধু শুনো না বলেই বুকটা এমন ভার! শুধু দূরে থাকো বলেই নিঃসঙ্গতা আর একাকিত্ব আমার বুকের আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে!

Friday, May 2, 2025

তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শত বার,


 তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি

শত রূপে শত বার,

জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।

চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়

গাঁথিয়াছে গীতহার-

কত রূপ ধ'রে পরেছ গলায়,

নিয়েছ সে উপহার

জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।


যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,

প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,

অতিপুরাতন বিরহমিলন-কথা,

অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে

দেখা দেয় অবশেষে

কালের তিমির রজনী ভেদিয়া

তোমারি মুরতি এসে

চিরস্মৃতিময়ী ধ্রবতারকার বেশে।


আমরা দু’জনে ভাসিয়া এসেছি

যুগল প্রেমের স্রোতে

অনাদিকালের হৃদয় উৎস হতে।

আমরা দু’জনে করিয়া খেলা

কোটি প্রেমিকের মাঝে

বিরহবিধূর নয়নসলিলে

মিলনমধুর লাজে।

পুরাতন প্রেম নিত্যনতুন সাজে।


আজি সেই চিরদিবসের প্রেম

অবসান লভিয়াছে

রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।

নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ,

নিখিলপ্রানের প্রীতি

একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে-

সকল প্রেমের স্মৃতি,

সকল কালের সকল কবির গীতি।


অনন্ত প্রেম 

_রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মানে পরাজয় নয়—এটা এক ধরনের আত্মরক্ষা, আত্মসম্মানের ভাষা

 নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মানে পরাজয় নয়—এটা এক ধরনের আত্মরক্ষা, আত্মসম্মানের ভাষা একটা সময় ছিল, যখন মানুষ ধরে রাখার জন্য প্রাণপণে লড়ে গেছি। মনে হত...