"""""উষ্ণ_প্রেমের_লীলাখেলা""""""
একফোঁটা বীর্য যখন তোমার জরায়ুতে ঠাই পেয়েছিলো। সেখানে ছিলাম আমি। লাখ লাখ শুক্রানুর মধ্যে আমিও লুকিয়ে ছিলাম একসাগরের মাঝে। আমরা সবাই দৌড় প্রতিযোগিতায় মত্ত ছিলাম। কে, কাকে হারিয়ে দিয়ে প্রথম হবো।যুদ্ধ না মা, যুদ্ধ না! এ এক মরণ খেলা! যে জিতবে সেই শুধু বাঁচবে, বাকি সব্বাইকে মরতে হবে..........জানো মা! জীবনের সাথে যুদ্ধ করে, সেদিন আমিই জয় লাভ করেছিলাম। তুমি বিশ্বাস করো মা, আমার মত খুশি সেদিন আর কেউহতে পারেনি। আমিই সেদিন ডিম্বানুকে ভেদ করে, জয়ের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলাম। সেখানেও কত ভয়। যদি এ যুদ্ধে টিকে না থাকতে পারি ? মাগো, আস্তে আস্তে আমি পানি বিন্দু থেকে, রক্তের কণিকায় রুপ নিতে থাকলাম।সত্যি মা!আমি কত খুশি ছিলাম, সময়েরগতিতে আমি পুর্ণতা পেতে থাকলাম। আস্তে আস্তে মাংসল পিন্ড থেকে আমার কচি হাত-পা, নখ গজাতে শুরু করলো। মাঝে মাঝে আমার কচি নখের স্পর্শে তুমি শিউরে উঠতে। আমার কি যে ভালো লাগতো মা। আমি বলে বুঝাতে পারবো না।মাগো! মা! এখনো আমার চোখ ফুটে নাই মা। আমি নিজেকে নিজেই দেখি নাই মা! আজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে মা!বাঁচাও মা, একটু বাঁচাও আমাকে.......কে শুনে আমার চিৎকার! আমি যে আজ কারোর আপন কেউ নই। আমি বুঝতে পেরেছি, আমিকারোর উষ্ণ প্রেমের লীলাখেলার আগাছা।কেউ পাশ থেকে বলছে, ছিড়ে ফেলুন ডাক্তার, মেরে ফেলুন ওকে। আমার বুঝতে বাকি রইলোনা, সে আমার অনাগত বাবা।আমি চিৎকার করে বলতে চাচ্ছিলাম, মেরো না আমায়.... আমি কখনো তোমাদের কাউকে বাবা-মা বলে পরিচয় দিবো না। তবুও আমায় মেরো না। আমাকে একটি বার পৃথিবী দেখতে দাও। আমাকে মেরো না।কিন্তু একটি সময় আমার চিৎকার থামিয়ে দিলাম, যখন দেখলাম আমাকে রক্ষার জন্য তোমার মধ্যেও কোন ইচ্ছা নেই । আর ইচ্ছা থাকবেও বা কেনো!! তুমিও তো উষ্ণ প্রেমের লীলাখেলায় মেতেছিলে একটু সুখের আশায়, আমাকে পাবারজন্য নয়।আমার শরীরকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলো তোমার শরীর থেকে। আমার শরীর থেকে প্রাণ বায়ু বের হয়ে যাচ্ছিলো। আমি কষ্টে হাউমাউ করে কান্না করছিলাম। ঘৃণা হচ্ছিলো এই পৃথিবীর মানুষের উপর। ঘৃণা হচ্ছিলো, পশুর সমতুল্য মা-বাবার উপর। একটি সময় আমি তোমাদের ঝামেলা মুক্ত করে শেষ হয়ে গেলাম। আমার শেষ জায়গা এখন এক পঁচা নর্দমায় এবং আমি এখন এক পঁচা নর্দমার কীট!ভালো থেকো মা!....ভালো থেকো বাবা.....!!!
No comments:
Post a Comment