Sunday, December 24, 2017

যে ১০ টি বিষয় DSLR কিনতে খেয়াল করবেন

ভার্চুয়াল জগতে প্রকাশিত হবার মাধ্যম ছাড়াও আরও নানা কারণে ইদানীং ফটোগ্রাফির প্রতি মানুষের বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আধুনিকতার আদলে ক্যামেরা যন্ত্রটিও হয়ে পড়েছে অনেক সহজলভ্য.. সস্তা। ডিএসএলআর হচ্ছে এ যাবৎকালের সর্বাধুনিক প্রযৌক্তিক গুণ সম্পন্ন ক্যমেরা যার ভিউফাইন্ডারে সবচেয়ে সঠিক ছবি ধরার নিশ্চয়তা পাওয়া যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এর লেন্স পরিবর্তন করা যায়। তো, ডিএসএলআর কেনার আগে জেনে নিন ক্যামেরা নির্বাচন সম্পর্কে দশটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
১. ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনতে আগ্রহীদের জন্য সবচেয়ে জরুরী বক্তব্যটি হলো, কেনার আগে অবশ্যই ভেবে নিন আপনার আসলেই ডিএসএলআর ক্যামেরা দরকার কিনা।ভালো ছবি তোলার জন্য বাজারে অনেক ভালো মানের পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরা আছে, যার অটো মুড ব্যবহার করে অনেক সহজে চমৎকার ছবি তোলা সম্ভব। ডিএসএলআর তাদেরই প্রয়োজন, যাদের কেবল ছবি তোলা নয় বরং ছবি তোলা শেখার প্রতি আগ্রহ আছে।
২. এবার যদি ডিএসএলআর কিনতেই হয় তবে সবচেয়ে প্রচলিত ব্র্যান্ডগুলোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিন। এ সময়ের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ক্যানননিকনসনি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এতে পরবর্তীতে লেন্স বা ক্যামেরা সংশ্লিষ্ট আনুষাঙ্গিক যন্ত্রাংশগুলো পাওয়া সহজ হবে।
৩. বেশি মেগাপিক্সেল থাকলে ছবি ভাল হবে- এই ভুল ধারণাটি এখনই বাদ দিন। এই এককটি তোলা ছবিটির আকার নির্ধারণ করে দেয় মাত্র। অর্থাৎ মেগাপিক্সেল বেশি হলে ছবিটি সাধারণ অবস্থার চেয়ে বড় করে প্রিন্ট করলে বা ডিজিটালি জুম করলেও তার মান ভালো থাকবে।
৪. সেন্সরের আকার ছবির মান নির্ধারণ করে। সেন্সর যত বড় হবে, ছবি স্পষ্ট ও ঝকঝকে হবার পাশাপাশি তার কারিগরী মান তত ভাল হবে।সুতরাং কেনার সময়ে এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখুন। তবে বড় সেন্সরসহ ক্যামেরাগুলোর দামও তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হয়ে থাকে।
৫. খেয়াল রাখুন, আপনার ক্যামেরাটিতে লাইভ ভিউ ডিসপ্লে আছে কিনা। এতে ছবি তোলার আগেই ছবিটি দেখতে কেমন হবে তা দেখা যায়। নতুন ফটোগ্রাফারদের জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয় ফিচার।
৬. ইদানীং সময়ের প্রায় সব ডিএসএলআর দিয়েই ভিডিও শ্যুট করা যায়। আপনার নির্বাচিত মডেলটির ভিডিও করার জন্য কি কি ফিচার আছে জেনে নিন। লক্ষ্য রাখুন প্রতি সেকেন্ডে কতগুলো ফ্রেম ধারণ করা যায় বা এক্সটার্নাল মাইক লাগানো যায় কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলোর ওপর।
৭. এছাড়াও ক্যামেরা কেনার আগেই প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো যেমন: ফোকাল পয়েন্ট, শাটার স্পিড, ফ্রেমের আকার, ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার, অটোফোকাস ইত্যাদিসম্পর্কে একটু লেখাপড়া করে নিন।এসকল ফিচারগুলো আপনার ছবি তোলা ছবিটিকে আরও সহজ এবং সুন্দর করে তুলতে পারে।
৮. ডিএসএলআর ক্যামেরা লেন্সসহ এবং লেন্স ছাড়া দুইভাবেই বিক্রি হয়ে থাকে। তাই ক্যামেরা কেনার আগেই তার সঙ্গে আনুষাঙ্গিক কি কি পাচ্ছেন তা খেয়াল রাখুন। ব্যাটারী, চার্জার এবং কাধে ঝোলানোর স্ট্র্যাপ ক্যামেরার সাথেই পাওয়া যায়। তবে ব্যবহারের আগে মেমরী কার্ড আলাদা করে কেনার প্রয়োজন হবে। ক্যামেরা সুরক্ষিত রাখতে ক্যামেরার ব্যাগটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কিনে ফেলুন।
৯. লেন্স কেনার ব্যাপারে বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নিন। বেশিরভাগ সময়ে ক্যামেরার সঙ্গেই একটা বেসিক লেন্স পাওয়া যায়। এটা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ছবি তোলা গেলেও ডিএসএলআর-এর পুরোটা ব্যবহার করতে গেলে নতুন লেন্স কেনা লাগবেই।
আপনি কি ধরণের ছবি তুলতে চান তার ওপর ভিত্তি করেই লেন্স নির্বাচন করুন।
১০.সবশেষে ক্যামেরা কেনার আগে তার কোন গুণগত ক্রুটি আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন। সবচেয়ে ভালো হয়, কোন অভিজ্ঞ লোক পরিচিত থাকলে ক্যামেরা কেনার সময় তাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া। এছাড়া নিজেও ক্যামেরা হাতে নিয়ে দেখুন তার ভার ঠিক আছে কিনা বা ধরতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কিনা।
মোটামুটি এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখলেই শখ বা প্রয়োজন মেটানোর জন্য একটা ভাল মানের ডিএসএলআর ক্যামেরা নির্বাচন করা সম্ভব।কেনার আগে নিজে কিছুটা লেখাপড়া করে নিলে বা অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ পাওয়া গেলে নির্বাচনের কাজটি আরও সহজ হয়ে যাবে।

হারানো প্রেমের স্মৃতি

                 

-               আলী আহম্মেদ.
আজ মনে পড়ে সেই কিশোরির হাসি মাখা মিষ্টি মুখ আজ খুঁজি তার উদ্যম বুকে সেই মন মাতানো সুখ। আজ মনে পড়ে সাঝেঁর বেলায় তার নীল জামার দিন আজও অবচেতন মনে খুঁজে যায় হলদে বিকেলের দিন। আজ মনে পড়ে নীল খামে তার সাজানো কথা মালা তার দেয়া রক্ত জবার স্মৃতি গুলো বাড়ায় মনের যালা। আজ ফুলে ফুলে প্রজাপ্রতির মত দেখি তার চলাফেরা আজ ভ্রমর হয়ে মন তার খুঁজে দিশেহারা। আজ খুঁজে ফিরি কালো কেশির মিষ্টি চোখের ভাষা আজও স্বপ্নে আমার ঘরে তার যাওয়া আসা। বোঝতে চাইনা মন সে আজ অন্য ভুবনের বাসিন্দা তাই নীরবে ঝরে অশ্রু মানে না কোন বাঁধা। আজ হন্যে হয়ে খুঁজি হারানো দিনের হারানো প্রেমের স্মৃতি আজও হঠাৎ নিবে যায়, হঠাৎ জ্বলে উঠা প্রেমের রঙ্গিন বাতি। আজ উল্টিয়ে দেখি ক্ষুদ্র জীবনের সব গুলোপাতা তাকে নিয়ে লেখা হয়ে গেল শত কবিতা। আজ তাকে নিয়ে লিখা যত গান আধো মরা তাকে ছাড়া খুঁজে বেড়ায় প্রাণ।

Saturday, December 23, 2017

স্বপ্ন

কেন তুমি বাতাসে যাও ভেসে । কেনই বা আড়ালে ওঠো হেসে । কেন তুমি হারিয়ে যাও গভীর আঁধারে । কেন তুমি থাকো দূরে সরে । কেন তুমি স্বপ্ন দেখাও মিথ্যা ঘুমের ঘরে । দূর অজানায় থাকো তুমি যায় না তোমায় দেখা । অদৃশ্যের জালে আটকে থাকো তাই হয় না আঁকা । কেন তুমি অদৃশ্যের ঐপারে । কেন তুমি স্বপ্ন দেখাও মিথ্যা ঘুমের ঘরে । কোয়াশার মত হারিয়ে যাও সোনালি ঊষার সাথে । ধ্রূবতারা হয়েও তুমি দাও না ধরা নীলাম্বরের হাতে । কেন তুমি থাকো দূরে সরে । কেন তুমি স্বপ্ন দেখাও মিথ্যা ঘুমের ঘরে ।

Saturday, November 25, 2017

স্বার্থপর

চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর, আমাকে কেন জোছনা দেখালি
হবি যাদি নাও ভাসিয়ে দেশান্তর, পাথরের বুকে ফুল কেন ফুটালি
আমারি সীমানায় সেতো তোর ছায়া, সেখানে করে বিচরন দুখের নিবাশ।
ও রাখিস কি খবর তোর আঘাতে জমে গেছে নীল আকাশে জমিনের নীল বেদনা

Friday, November 24, 2017

শুনো মেয়ে, শুধু “ভালবাসি”



শুনো মেয়ে, শুধু “ভালবাসি” বলেই থেমে যেতে চাই না; উন্মত্ত এক প্রেম উপহার দিতে চাই তোমায়। চাওয়া পাওয়ার হিসেবের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে নয়, ভাবনাহীন, উদ্দাম এক প্রেমের ইতিহাস গড়তে চাই।


রাগ করে ফোন কেটে দিই, কেন জানো? চাই আবার ফিরে এস, আমি হবো তোমার শেষ গন্তব্য। কথায় কথায় রাগ করি কেন??? রাগ, অভিমান তো সবার জন্য নয়!!! আমার সব অনুভূতি, হোক সেটা ভালবাসা কিংবা রাগ- অভিমান, তারা তো তোমাতেই আশ্রয় খোঁজে। মেয়ে তুমি আমার নিংড়ানো ভালবাসাটুকু নিয়ে যাবে, রাগটুকু নিবে না, তা তো হবে না; অভিমানগুলোকে প্রশ্রয় দিবে না, তা তো মানব না। শুনো মেয়ে, আমি ভুল করলে মন মত বকা দিবা; না, ভুল বুঝে দূরে থাকবে না। আর হ্যাঁ, দোষ কার ওসব বাদ দিয়ে সবসময় “সরি” বলবে, শুধু আমাকে, অন্য কাউকে নয়।


কী ভাবছ? আমার কাছে ছোট হয়ে যাবে? মোটেও না, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে যে তুমি কী আজও পুরোটুকু তুমিই আছ? নাকী কিছুটা আমারও হয়ে গেছে? যদি সবটুকু তোমারই থাকে তবে বলবো, সরে যাও, দূর হয়ে যাও আমার আঙিনা থেকে। আর যদি কিছু হারিয়ে ফেলেছ বলে মনে হয় তবে বলব, এইটুকু আমার, আমারই অংশ হয়ে গেছে। ভরসা রাখো, প্রাণ থাকতে এই অংশটুকুর অমর্যাদা হতে আমি দেব না।

Tuesday, June 20, 2017

তোমার জন্য শুভ কামনা #F



এই লেখাটি যখন লিখছি, তখন পৃথিবীর সবচেয়ে নি:স্ব মানুষদের একজন আমি, সব হারিয়ে রিক্ত হাতে আমি আজ শুধুই অতীতের কথা বলছি।


অতীত ???


আসলেই,

আমি আজ অতীত,

আমার জীবনের ৩টি বছর আজ অতীত

আমার সব স্বপ্নগুলো আজ অতীত

আমার সব ভালবাসা আজ অতীত।


আসলে আমি নিজেই হয়ে গেছি তার জন্য অতীত।

তার স্বপ্নের কাছে আমি অতীত।

আমার সব সত্ত্বা আজ অতীত।


শুধু পারছি না তাকে অতীত করতে। হয়ত একসময় পারব। কিন্তু ততদিনে আমার অস্বিত্বটাই অতীত হয়ে যাবে।


তারপরও তোমার জন্য শুভ কামনা।

তোমার সব স্বপ্ন পূরন হোক।

তুমি অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার হও।

অনেক সাফল্য অর্জন করো।

আমার থেকে ঢের গুন ভালো মানুষ তুমি পাবে। একদম রাজপুত্রের মত, তোমার জন্য যোগ্য, যে হবে তোমার বাবা মার মন্যমনি।


তবুও একটা কথা মনে রেখ, তুমি জীবনে সব পেলেও, হয়ত এমন কাউকে পাবে না, যে তার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে তোমাকে আগলে রাখবে।


ভালো থেকো।

শুভ কামনা #F

Sunday, April 2, 2017

কিছু নীল কষ্ট


কিছু নীল কষ্ট

- সালমান মাহফুজ


যেদিন এ হৃদয়ের পাশে সুবর্ণ আলো ছড়িয়ে

হেসে উঠেছিলে তুমি প্রভাতী সূর্যের মত -

জীবনের পাতা থেকে এক নিমেষেই

মুছে গেল সব কষ্টের কালিমা;

শিশিরসিক্ত সবুজ ঘাসে

ঘমিয়ে থাকা প্রজাপতির মত

একটি ঘুমন্ত স্বপ্ন জাগতে চাইল

তোমার নরম স্পর্শে- অনেক বছর আগে

যে ঘুমিয়ে পড়েছিল কাক-ডাকা পড়ন্ত বিকেলে ।


আজ হৃদয়ের পাশে খেলা করে কিছু নীল কষ্ট,

মাঝে মাঝে অশ্রু হয়ে তারা নেমে আসে ঠোঁটে-

পেতে চায় ভেতরের রসনার স্পর্শ ;

আমি হাত দিয়ে মুছে ফেলি সেই অশ্রু,

কেননা, তোমার ভালোবাসা

আমায় কষ্টকে লালন করতে শিখায় নি ,

শিখিয়েছে - কীভাবে কষ্টকে জয় করা যায়।

Wednesday, January 18, 2017

থমাস আলভা এডিসন

জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন। যিনি বৈদ্যুতিক বাতি, গ্রামোফোন এবং ভিডিও ক্যামেরা সহ আরও প্রচুর আবিষ্কারের জন্য স্মরণীয়। প্রচুর গল্প আছে উনার জীবন কাহিনী নিয়ে। তাঁর মায়ের সামান্য কিছু পজিটিভ আচরণ কেমন করে তাঁর পুরো জীবন বদলে দিয়েছে- এটি তন্মধ্যে অন্যতম।
.
একদিন টমাস আলভা এডিসন ঘরে এসে তাঁর মাকে একটি মুখবন্ধ খাম দিলেন। তিনি তাঁকে বললেন, "আমার শিক্ষক আমাকে কাগজটি দিয়েছেন এবং শুধুমাত্র তোমাকেই দিতে বলেছেন।" মা চিঠিটি জোরে পড়া শুরু করলেন এবং তার চোখ ভর্তি পানি, "আপনার পুত্র মেধাবী। এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং এখানে তাকে শেখানোর মত যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। দয়া করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।"
.
তাঁর মা মারা যাওয়ার অনেক বছর পরের কথা। এডিসন তখন শতাব্দীর সেরা আবিষ্কারক। একদিন তাঁর পারিবারিক পুরনো জিনিসপত্র দেখছিলেন। একটি ডেস্কের ড্রয়্যারের কোণায় হঠাৎ তিনি একটি ভাঁজ করা কাগজ পেলেন। তিনি সেটি খুললেন। কাগজে লেখা ছিলঃ "আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধিসম্পন্ন। আমরা তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না।" এডিসন কয়েক ঘণ্টা ধরে কাঁদলেন এবং ডায়েরীতে লিখলেনঃ "টমাস আলভা এডিসন একজন স্থুলবুদ্ধিসম্প
ন্ন শিশু ছিলো। একজন আদর্শ মায়ের দ্বারা তিনি শতাব্দীর সেরা মেধাবী হয়ে উঠলেন।"
.
মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রচুর তরুণ তরুনীর আচার আচরণ লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তারা প্রচন্ড মানসিক চাপ এবং অস্থিরতায় ভুগছেন। এই চাপের কারণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পারিবারিক সমস্যা। তাদের সাথে পিতা-মাতার কিংবা পরিবারের গ্যাপ। তারা বেশীরভাগ সময়ে বলেন, আমাকে কেউ বোঝেনা। এই 'কেউ' ইনক্লুড করে বাবা-মা এবং অন্যান্য সদস্যদেরও। 'তাকে কেউ বুঝতে পারছে না' - এই ব্যাপারটি তখন তার কাছে প্রচন্ড ভারী একটি বোঝার মত লাগে। তারা জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে পড়েন অনেকক্ষেত্রে।
.
বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবারগুলোতে পিতা-মাতা সন্তানের উপর নিজের অজান্তেই মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন। তাঁরা ভাবেন যে, সন্তানের প্রশংসা করলে কিংবা পজিটিভ কথা বললে সন্তান বখে যেতে পারে। এই ভুল ধারণা থেকে যদিও আজকাল অনেকেই বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তবুও এখনো অনেক তরুণ তরুনী জীবনের প্রচুর সমস্যা তাদের বাবা-মা'কে জানাতে পারেন না এবং একা একা সমাধানের চেষ্টা করতে গিয়ে অনেক সময় হতাশ হয়ে পড়েন। এটি একটি প্রচন্ড মানসিক চাপ।
.
সন্তান চাইছে বাবা-মা কিংবা পরিবারের জন্য কিছু করতে, তাদেরকে খুশী করতে কিন্তু বাবা-মা তা বুঝতে পারছেন না। তাঁরা ভাবছেন তাদের সন্তান বুঝি তাদের নিয়ে চিন্তা করছে না। সন্তানটি যখন দেখে যে তার পরিবার তার উপর খুশী নয় কিংবা নিজেকে তিনি যোগ্য করে তুলতে পারেন নি তখন সে মানসিক অস্থিরতায় ভুগতে থাকে। হাল ছেড়ে দিতে চান জীবনের সবচেয়ে ক্রুশিয়াল এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। অথচ অবস্থা কিন্তু সেরকম নয় মোটেও। শুধুমাত্র পজিটিভ আচরণের প্রয়োগ ঘটাবার ব্যর্থতা এই গ্যাপের সৃষ্টি করে।
.
বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে যে পরিবারে বাবা-মা সন্তানের সাথে বন্ধুর মত থাকে এবং সন্তানের পজিটিভ দিক তুলে ধরে সন্তানকে সাহস যোগান সেই সন্তানটি অনেকবেশী মুক্তভাবে সফলকাম হতে পারেন পরবর্তি জীবনে। অপরদিকে, যেই সন্তান তার বাবা-মা'কে পাশে পায়না কিংবা পিতা'র কাছ থেকে সময় পায়না যখন প্রয়োজন, সেই সন্তান জীবনের একটি পর্যায়ে সমস্যা ফেইস করতে গিয়ে একা এবং হতাশ বোধ করেনইয়,এবং ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। নিজেকে তখন তার অক্ষম মনে হতে থাকে। সে ভাবে কারো চাহিদাই সে পূরণ করতে পারছে না। এই ভাবনাটি ক্ষতিকর এবং সামনের দিকে এগোবার পথে বাঁধার সৃষ্টি করে।
.
জানি প্রচন্ড হতাশা আমাদের গ্রাস করছে। তবুও আশেপাশে পজিটিভ পরিবেশ তৈরি করবার চেষ্টা করা উচিত। আপনার পরিবারে, আপনার বন্ধুমহলে। একদিন আমরা নিজেরাই এর সুফল ভোগ করতে পারবো, আশাকরি। পজিটিভনেসের গুরুত্ব অপরসীম। উন্নতবিশ্বে স্কুলে বাচ্চাদের শেখানো হয় পজিটিভ থাকা এবং পজিটিভ বলা, সবকিছুতেই তাঁরা আগে পজিটিভ কিছু বলে এরপর বাকিটা বলেন। নেগেটিভ কথাবার্তা মন ভেঙে দেয় মানুষকে অথর্ব করে তোলে। পজিটিভ চিন্তা জীবন বদলে দেয় অজান্তেই।

For HUAWEI Watch Pro GPS NFC Smart Watch Men 360*360 AMOLED Screen Heart rate Bluetooth Call IP68 Waterproof Man Smartwatch 2025

  Specifications Hign-concerned Chemical None Battery Life 3Day Voice assistant built-in YES Bluetooth-compatible Version 5.3 Metrics measur...