Wednesday, August 24, 2016

পল্লী কবি জসিম উদ্দিন

জসীম উদ্দীন (জানুয়ারি ১, ১৯০৩ - মার্চ ১৩, ১৯৭৬) একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি। তিনি বাংলাদেশে 'পল্লী কবি' হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখা কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান। পুরো নাম জসীম উদ্দীন মোল্লা হলেও তিনি জসীম উদ্দীন নামেই পরিচিত।
জীবন বৃত্তান্তঃ
তিনি ১৯০৩ সনের পহেলা জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার বাড়ি ছিলো একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট। জসীম উদ্দীন ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল, ও পরবর্তীতে ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে পড়ালেখা করেন। এখান থেকে তিনি তার প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১৯২১ সনে উত্তীর্ন হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. এ. এবং এম. এ. শেষ করেন যথাক্রমে ১৯২৯ এবং ১৯৩১ সনে। ১৯৩৩ সনে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী পদে যোগদেন। এরপর ১৯৩৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৯ সনে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন।
তিনি ১৩ মার্চ ১৯৭৬ সনে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাকে তার নিজ গ্রাম বিমলগুহে সমাধিস্থ করা হয়।
রচনাবলীঃ
কাব্যগ্রন্থ
রাখালী (১৯২৭)
নকশী কাঁথার মাঠ (১৯২৯)
বালু চর (১৯৩০)
ধানখেত (১৯৩৩)
সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৪)
হাসু (১৯৩৮)
রঙিলা নায়ের মাঝি(১৯৩৫)
রুপবতি (১৯৪৬)
মাটির কান্না (১৯৫১)
এক পয়সার বাঁশী (১৯৫৬)
সকিনা (১৯৫৯)
সুচয়নী (১৯৬১)
ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে (১৯৬২)
মা যে জননী কান্দে (১৯৬৩)
হলুদ বরণী (১৯৬৬)
জলে লেখন (১৯৬৯)
কাফনের মিছিল (১৯৮৮)
পুরস্কারঃ
প্রেসিডেন্টস এওয়ার্ড ফর প্রাইড অফ পারফরমেন্স ১৯৫৮
একুশে পদক ১৯৭৬
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ১৯৭৮ (মরণোত্তর)
১৯৭৪ সনে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট ডিগ্রি (১৯৬৯

Monday, August 15, 2016

হতভাগা কপাল পোড়া আমি

হাসো! হাসো না কেন? আমিই তো হাসির
পাত্র!
যত খুশি হেসে ছুড়ে ফেলে দিও যত্র-তত্র!
যেথায় খুশি ফেলে দিও, কি বা যায় আসে
তাতে?
আর আমি বিরক্ত করবনা দিনে কিংবা রাতে।
মানুষ হিসাবে যেটুকু ছিল প্রাপ্প মুল্যায়ন-
অনেক পেয়েছি, তাতেই আমার ভরে গেছে
দুনয়ন!
কি নির্বধ আমি! অধিকারের সীমা করে
অতিক্রম-
কি পেলাম আমি? পরিশেষে হল আমার
মতিভ্রম!
ভুলেই গেছিলাম, চাওয়া-পাওয়া কিছু থাকতে
নেই আমার,
তাই তো মাত্রা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছি
বারংবার!
“কি বলছো! এতে আমার হয়ে কিছু বদনাম?
হাসালে! আমার ছিল এক্টা কাগজের থেকেও
কমদাম!”
ভুল! ভুল! কিছুই যে আমি বুঝতে পারিনি তখন,
বড় দেরি হয়ে গেল, ভুল্টা বুঝতে পারলাম যখন!
না না! ভয় নেই! আজ এর কাউকে দোষ দেব না
আমি,
কতখানি কষ্ট পেয়েছি তা হানি আমি এর
অন্তর্যামি!
কি হল? হাসছো না? আমি তো রয়েছি বহুদূরে,
ভয় নেই! তোমাদের জ্বালাতে আমি আসবনা এর
ফিরে!
এক্টু তো হাসো! যাবার আগে দেখি তোমের
হাসি মুখ,
আমার কপালে হয়ত তা জমা রবে হয়ে কিছুটা
শুখ!
খুব ভাল লাগ্লো যখন জান্লাম তুমিও নও
ব্যতিক্রম,
আগেই যদি বুঝতাম তবে হয়ত হত না এই বৃথাশ্রম!
দাড়াও, এক্টু হেসে নেই! এটুকু সময় তো অন্তত
দেবে?
আমি কষ্ট পাই না পাই, তুমি তো নিশ্চই আনন্দ
পাবে!
আজ বুঝলাম আমি আমার সীমা করেছিলাম
লঙ্ঘন,
তাই তো চলে যাচ্ছি ছিন্ন করে সকল বাঁধন!
ভেবনা! আজ এর আমার মনে জমা নেই কোন
ক্ষোভ,
কন পরিতাপ নেই, দুঃখ নেই, এর নেই কোন লোভ!
অনেক চেষ্টা করেও যখন বঝাতে পারলাম না
তোমায়,
এক্টু এক্টু করে তখন পার হয়ে গিয়েছে সময়!
পোড়া কপাল! হতভাগা আমি! বুঝতে পারিনি
কিছুই,
অহেতুক আস্ফালন করে করে কষ্ট দিয়েছি শুধুই!
তাও ভাল, দেরি হলেও ভেঙ্গে গেছে আমার
ভুল,
কি আসে যায়, কন্টা হল অনুকূল অথবা প্রতিকূল?
আজ কেন পরছে মনে তোমার কথা ক্ষনে ক্ষনে?
এতটুকু জায়গা যখন করতে পারলাম না তোমার
মনে!
দেখ তো কান্ড! শুধু শুধু সময় করছি নষ্ট-
ব্যবধানের দেয়াল গড়ে উঠেছে দেখতে পেলাম
স্পষ্ট!
একদিন আমি ঘুমিয়ে যাব উঠব না আর জেগে,
ভালই হবে, তখন তুমি মুখ কালো করবেনা রেগে!
অনেক বেশি চেয়েছিলাম সীমা গিয়েছিলাম
ছাড়িয়ে,
আজ তাই চলে যাচ্ছি তোমার জীবন থেকে
হারিয়ে!
বিদায় কালে এক্টা কথা বলে দিতে চাই
তোমায়,
শেষ অনুরোধ টা রেখ, ভুল বুঝ না আমায়!

Sunday, August 14, 2016

স্বামী স্ত্রী র জন্য গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট

মা | স্বামী | স্ত্রী | শাশুড়ী
পড়া শেষে শেয়ার করুন...
.
-হুজুর! “বউ হারালে শ টা বউ পাওয়া যাবে, কিন্তু মা হারালে আর পাওয়া যাবে না”-কথাটি কতটুকু সঠিক?
.
-বৎস! কথাটি বাহ্যিকভাবে খুবই সঠিক মনে হলেও এরকম বলা অত্যন্ত খারাপ এবং শয়তানী মস্তিষ্কপ্রসূত। তোমার স্ত্রী কিন্তু তোমার সন্তানের মা। সুতরাং, প্রত্যেক স্ত্রীর ভেতরেই একজন মা লুকিয়ে থাকেন। আরেকটা কথা, মায়ের প্রয়োজনীয়তা পূরণে অনেক সময় তোমার আরো ভাই-বোন আছেন, কিন্তু স্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা পূরণে তুমি একজনই।
#০২
-কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, মা নাকি বউ?
-দুজনের মধ্যে compare করাটাও শয়তানের কাজ। মা হচ্ছেন তোমার কলিজা আর স্ত্রী হচ্ছেন তোমার হার্ট। এবার বলো- “কলিজা” আর “হৃদয়ের” মধ্যে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ? শুনো, দুজনের কাউকেই অখুশি রেখে পরকালে মুক্তি পাবে না।
'
#০৩
-হুজুর! তাহলে আমাদের পরষ্পরে কী রকম আচরণ হওয়া উচিত?
-তুমি স্ত্রীর সাথে এমন আচরণ করবে, যে আচরণ তোমার বোনের সাথে তার স্বামীর থেকে আশা করো। জননী এমন আচরণ করবেন, তোমার বোনের সাথে তার শাশুড়ি থেকে যে রকম আচরণ আশা করেন। আর তোমার স্ত্রীর উচিত শাশুড়ির সাথে এমন আচরণ করা, যে আচরণ তিনি আপন ছেলের বউ থেকে তিনি আশা করেন। স্বামীর পরিবারের লোকের সাথে এমন আচরণ করা উচিত, যা তার ভাইয়ের বউয়ের কাছ থেকে আশা করেন।
☆শুনো, বৎস! স্রষ্টার দেয়া নির্দিষ্ট কক্ষপথে চললে সৃষ্টিসমূহ কখনোই মুখোমুখি হবে না। ইনশাআল্লাহ।
:
#০৪
স্বামীদের বলছি,
নিজ স্ত্রীকে রাগ দিয়ে নয় সুন্দর আচরণ আর ভালবাসা দিয়ে মন জয় করুন।
নিজের চরিত্র আর নবীজির সুন্নাত দিয়ে তাকে অাকৃস্ট করুন।
ভুল না ধরে মন, মগজ ও সুন্দর পরিস্থিতি বুঝে আপ্নি যেভাবে খুশি হোন সেভাবে বুঝানোর চেষ্টা করুন।
নিজের মা এবং স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা বাড়াতে সাহায্য করুন, অগ্রনি ভূমিকা পালন করুন।
যখন বাজারে যাবেন তখন বাড়ি আসার আগে কিছু হাদিয়া স্ত্রীর জন্য আনুন। স্ত্রী যা পচ্ছন্দ করে সেটা আগে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
আল্লাহর হুকুম পালনে স্ত্রীকে উৎসাহ প্রদান করুন, পরকালের ভয়, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা স্পস্টরুপে উপস্থাপন করুন।
মনে রাখবেন!
লেবু যতো চাপ দিবেন ততোই এর স্বাদ নস্ট হবে, স্ত্রীর ভুল যতো ধরবেন, যতো রাগ করবেন ততোই সাংসারিক কলহ বাড়বে, বরং বেশি বেশি স্ত্রীকে ছাড় দিন। রাগ দিয়ে নয় স্ত্রীকে ভালবাসা দিয়ে জয় করুন।
:
#০৫
আর একটি কথা
দ্বীনদার সঙ্গী মানেই শুধু একসাথে দ্বীন মানা, নফল পড়া, তাহাজ্জুদে ডেকে দেয়া...
যারা শুধুই এই ধারনা নিয়ে আছেন, তারা এখনো কল্পনার আকাশ থেকে নিচে নামতে পারেননি।
নিউলি ম্যারিড ফেবু সেলিব্রিটির 'খুন'শুটি মার্কা পোস্ট দেখে পুরো জীবনের বাস্তবকে অনুরূপ মনে করে বসা বোকামি।
নতুন দম্পতির পোস্ট আবেগের জোয়ারে ভাসবে এটাই নিয়ম। কিন্তু ইহাই সারাজীবনের বাস্তবতা নয়।
শুধুই স্বপ্নের পশরা নিয়ে বাস্তবে নামলে হোঁচট খাবেন।
..........
একটা সংসার। দু'জনের। দু'টি 'মানুষ', আবার বলছি, "মানুষ"।
তাদেরও মানবীয় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে; তারা পাশাপাশি থাকলে বছরের পর বছর বাংলা সিনেমার মত জীবন চলবে না।
ধরুন; হয়ত, প্রচন্ড ব্যাস্ততায় আপনার একবেলা জামাত ছুটে গেছে ;
আপনি নিজেই প্রচন্ড মনঃক্ষুণ্ণ ; সে হয়ত এটা নিয়ে অনুযোগ-অভিযোগ করেই বসল। তখন তার উপর একটু হলেও হয়ত আপনার বিরক্তি আসবে!
"বেশি জ্ঞান দাও ; হু? "
.......
বোন, হয়ত আপনার কোন ঝামেলার কারনে এক ওয়াক্ত নামাজে দেরি হয়েছে; কিংবা ফরজ বিধানে ত্রুটি হয়েছে, এই মুহুর্তে আপনি আসলেই খুব অনুতপ্ত থাকবেন। এমন সময় ভাই হয়ত ভাল নিয়তেই একটু কড়া ভাবে উপদেশ দিল।
তখন আপনারও একটু আঘাত লাগবে।
.......
দ্বীনদার মানুষগুলোর মধ্যে "তুমি ঐ ছেলে/মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ছিলে কেন" কিংবা " হেসে কথা বললে কেন? " এগুলো নিয়ে ঝামেলা হবার কথা নয়। কিন্তু, উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়েও অসন্তুষ্টি আসে, আসতে পারে। মাত্র ১টি নগন্য উদাহরন দিলাম।
...
এক্ষেত্রে আপনি যদি ভেবে বসে থাকেন "দ্বীনদার মানে ত্রুটিহীন /অলস্কোয়ার"
তবে আশাহত হবেন।
.
যে কোন মানুষকে দ্বীন সম্পর্কে সাহায্য করতে হলে শাসন নয়, কোমল হতে হবে।
খুব কোমলতার ইন্ডিরেক্টলি বোঝালে সেটা কড়া উপদেশের চেয়ে বেশি ফলদায়ক। কারন, মানুষ উপদেশ খুব একটা পচ্ছন্দ করেনা।
.
সহমর্মিতা & কোমলতা একান্ত জরুরি। অন্যথায় হিতে বিপরীত ঘটতে পারে।
তবে হ্যা, সকল মনোমালিন্য কিংবা মনঃকষ্টের বেলায়, আপনার দ্বীনদার সংগীটি তার ভুল বুঝতে অনুতপ্ত হবে।এটাই দ্বীনদারিতা। তবে হ্যা, তাকে যথেষ্ট ফ্যাসিলেট করুন নিজের ভুল বুঝতে। আপনি তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিলে শয়তান জয়ী হবে।
.
বিশেষত; জিহ্বার সাইজ হার্টের চেয়ে ছোট হলেও ; এটা মুহুর্তেই heart কে hurt করার বিরাট ক্ষমতা রাখে।
.
কিছু ক্ষেত্রে সবার কাছে উত্তম আখলাকের মানুষটার আচরণ ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে বিনম্র হয় না। ( কারনটা হয়ত একটু বেশি সখ্যতা কিংবা আবদার।তবে এটা কাম্য নয়।কারন পরিবারের মানুষগুলোর হক সব'চে বেশি)
.
আমাদের সকলকেই যথেষ্ট সহনশীল হতে হবে। একটা সুখী জীবনের জন্য উত্তম আখলাক এবং সহনশীলতা জরুরি।
ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ্
-সংগৃহীত এবং সম্পাদিত
কৃতজ্ঞতাঃ দীন ইসলাম

For HUAWEI Watch Pro GPS NFC Smart Watch Men 360*360 AMOLED Screen Heart rate Bluetooth Call IP68 Waterproof Man Smartwatch 2025

  Specifications Hign-concerned Chemical None Battery Life 3Day Voice assistant built-in YES Bluetooth-compatible Version 5.3 Metrics measur...